ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দ্বাদশ সমাবর্তন গত ৮ ফেব্রুয়ারি ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ডা.বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ড. হাসান দিয়াব। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড মো. সবুর খান। অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান ও বিভিন্ন অনুষদেও ডীনবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ভ্যালিডেকটোরিয়ান বক্তব্য প্রদান করেন টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের গ্র্যাজুয়েট মাশুর সাদ করিম।
সমাবর্তনে ৩৯৫১ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ১২ জন গ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান ও উপাচার্য সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘স্বর্ণ পদক’ প্রদান করেন।
সমাবর্তনে চ্যান্সেলর এওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন ফার্মেসী বিভাগের আবু ফারহান সিয়াম, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জাবেদ হাসান, নিউট্রিশান এন্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হুমায়রা আসিমা মিম, টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাসহুর সাদ করিম এবং সফটওয়্যার ইঞ্জনিয়ারিং বিভাগের আশিকুল হক।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আপনাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। এখন আপনাদের অর্জিত শিক্ষা দেশ ও দশের কল্যাণে কাজে লাগানোর পালা।
তিনি বলেন, আমি এতদিন পত্র-পত্রিকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির র্যাংকিং প্রথম সারিতে দেখেছি। আজ ইউনিভার্সিটির গ্রীন ক্যাম্পাস স্বচক্ষে দেখে আমি অভিভূত। বিশ্ববিদ্যালয়টি ইতিমধ্যে শিক্ষার পরিবেশ, গুনগত মান, শিক্ষা প্রদান সংক্রান্ত সকল কর্মক্ষমতা এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শর্ত পূরণ করে স্থায়ীসনদও অর্জন করেছে।
স্বাগত বক্তব্যে ডিআইইউ’র ট্রাস্টিবোডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি ডিজিটাল এবং উদ্যোক্তা পাওয়ার হাউস। প্রযুক্তি-চালিত বিশ্বের জটিলতাগুলো নেভিগেট করার জন্য আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করেছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে ব্লকচেইন, ই-কমার্স থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ শিক্ষার্থীরা এখন আধুনিক শিল্পে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতার অধিকারী। আমাদের উদ্যোক্তা কর্মসূচী যেমন স্টার্টআপ মার্কেট, ঐতিজ্যের হাট এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যাক্সেস শিক্ষার্থীদের তাদের ধারণা বাস্তবে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা দিয়েছে।
সমাবর্তন বক্তা লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ড. হাসান দিয়াব বলেন, ডিআইইউ এমন একটি প্রতিষ্ঠান- শুধু বাংলাদেশের নয়, সমগ্র অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আশার আলো এবং মডেল। ডিআইইউ’র অগ্রগতি-চিন্তা পদ্ধতি, ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টার, ব্লকচেইন-চালিত ডিজিটাল সার্টিফিকেট সিস্টেম এবং রূপান্তরমূলক, ‘একজন ছাত্র, একটি ল্যাপটপ’ প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগে ৬৫,০০০ শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে- এতে এটাই স্পষ্ট হয় যে-এটা নিছক শিক্ষা নয়; এটা ক্ষমতায়ন, বিভাজন সেতুবন্ধন এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিকীকরণের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শাখা ক্যাম্পাস চালুর মধ্য দিয়ে ডিআইইউ একটি বৈচিত্রময় ছাত্র সম্প্রদায়কে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদানে তাদের প্রতিশ্রুতি ও যোগ্যতা প্রদর্শন করেছে।
রোববার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দ্বাদশ সমাবর্তন গত ৮ ফেব্রুয়ারি ড্যাফোডিল স্মার্ট সিটিতে স্বাধীনতা সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের প্রতিনিধি হিসেবে সভাপতিত্ব করেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা প্রফেসর ডা.বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। এতে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ড. হাসান দিয়াব। সমাবর্তন অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড মো. সবুর খান। অন্যান্যের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম লুৎফর রহমান ও বিভিন্ন অনুষদেও ডীনবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ভ্যালিডেকটোরিয়ান বক্তব্য প্রদান করেন টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের গ্র্যাজুয়েট মাশুর সাদ করিম।
সমাবর্তনে ৩৯৫১ জন গ্র্যাজুয়েটকে ডিগ্রী প্রদান করা হয়। এছাড়াও অনুষ্ঠানে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফল অর্জনকারী ১২ জন গ্র্যাজুয়েটকে চ্যান্সেলর, চেয়ারম্যান ও উপাচার্য সহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ‘স্বর্ণ পদক’ প্রদান করেন।
সমাবর্তনে চ্যান্সেলর এওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন ফার্মেসী বিভাগের আবু ফারহান সিয়াম, ইলেক্ট্রিক্যাল এন্ড ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের জাবেদ হাসান, নিউট্রিশান এন্ড ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের হুমায়রা আসিমা মিম, টুরিজম এন্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাসহুর সাদ করিম এবং সফটওয়্যার ইঞ্জনিয়ারিং বিভাগের আশিকুল হক।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা প্রফেসর ড. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেন, সমাবর্তনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো আপনাদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা। এখন আপনাদের অর্জিত শিক্ষা দেশ ও দশের কল্যাণে কাজে লাগানোর পালা।
তিনি বলেন, আমি এতদিন পত্র-পত্রিকায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির র্যাংকিং প্রথম সারিতে দেখেছি। আজ ইউনিভার্সিটির গ্রীন ক্যাম্পাস স্বচক্ষে দেখে আমি অভিভূত। বিশ্ববিদ্যালয়টি ইতিমধ্যে শিক্ষার পরিবেশ, গুনগত মান, শিক্ষা প্রদান সংক্রান্ত সকল কর্মক্ষমতা এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শর্ত পূরণ করে স্থায়ীসনদও অর্জন করেছে।
স্বাগত বক্তব্যে ডিআইইউ’র ট্রাস্টিবোডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান বলেন, ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় শুধু একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নয়, এটি একটি ডিজিটাল এবং উদ্যোক্তা পাওয়ার হাউস। প্রযুক্তি-চালিত বিশ্বের জটিলতাগুলো নেভিগেট করার জন্য আমরা আমাদের শিক্ষার্থীদের সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করেছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে ব্লকচেইন, ই-কমার্স থেকে ডিজিটাল মার্কেটিং এ শিক্ষার্থীরা এখন আধুনিক শিল্পে নেতৃত্ব দেওয়ার দক্ষতার অধিকারী। আমাদের উদ্যোক্তা কর্মসূচী যেমন স্টার্টআপ মার্কেট, ঐতিজ্যের হাট এবং ভেঞ্চার ক্যাপিটাল অ্যাক্সেস শিক্ষার্থীদের তাদের ধারণা বাস্তবে রূপান্তরিত করার ক্ষমতা দিয়েছে।
সমাবর্তন বক্তা লেবাননের সাবেক প্রধানমন্ত্রী প্রফেসর ড. হাসান দিয়াব বলেন, ডিআইইউ এমন একটি প্রতিষ্ঠান- শুধু বাংলাদেশের নয়, সমগ্র অঞ্চলের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আশার আলো এবং মডেল। ডিআইইউ’র অগ্রগতি-চিন্তা পদ্ধতি, ব্লেন্ডেড লার্নিং সেন্টার, ব্লকচেইন-চালিত ডিজিটাল সার্টিফিকেট সিস্টেম এবং রূপান্তরমূলক, ‘একজন ছাত্র, একটি ল্যাপটপ’ প্রোগ্রামের মতো উদ্যোগে ৬৫,০০০ শিক্ষার্থী উপকৃত হয়েছে- এতে এটাই স্পষ্ট হয় যে-এটা নিছক শিক্ষা নয়; এটা ক্ষমতায়ন, বিভাজন সেতুবন্ধন এবং উদ্ভাবনকে উৎসাহিত করা। তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিকীকরণের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতে শাখা ক্যাম্পাস চালুর মধ্য দিয়ে ডিআইইউ একটি বৈচিত্রময় ছাত্র সম্প্রদায়কে বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদানে তাদের প্রতিশ্রুতি ও যোগ্যতা প্রদর্শন করেছে।