alt

শিক্ষা

নিজ ভাষায় বই পেল গারো শিক্ষার্থীরা

হাবিবুর রহমান, মধুপুর (টাঙ্গাইল) : মঙ্গলবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৩

টাঙ্গইল : নিজ ভাষায় বই পেয়ে ক্ষুদে গারো শিক্ষার্থীরা উল্লসিত -সংবাদ

দেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে গারো সম্প্রদায়ের বসবাস। লাল মাটির মধুপুর গড়ের গারো সম্প্রদায়ের আচিক ভাষা (গারো ভাষা) হারিয়ে যাচ্ছিল। সময়ে সরকার ক্ষুদে গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের নিজস্ব ভাষার বই দিয়েছে। সারা দেশের ন্যায় বই উৎসবে মধুপুরে অন্য বই বিতরণের পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত ১৭শ’ বই বিতরণ করা হয়েছে। নিজস্ব ভাষার বই পেয়ে ছাত্র শিক্ষক ও গারো সম্প্রদায়ের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে তাদের দাবি গারো শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুদের মাঝে গারো ভাষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার।

মধুপুরের অরণখোলা, বেরিবাইদ, কুড়াগাছা, শোলাকুড়ি, ফুলবাগচালা ও আউশনারা ইউনিয়নে গারো সম্প্রদায়ের বসবাস। গর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি রয়েছে মিশনারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরকার নৃতাত্ত্বিক জন গোষ্ঠির শিশুদের জন্য অন্য পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব ভাষার বই দিয়ে ভাষাচর্চা ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত বিতরণ করেছে। বাংলা, গণিত ও ইংরেজি তিনটি বই বিতরণ করেছে বলে শিক্ষক ,শিক্ষার্থী ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের নিজস্ব ভাষার বই পড়ানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও সরকারি মনিটরিং এবং ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করণের দাবি জানান।

গায়রা গ্রামের অভিভাবক সুস্ময় নকরেক জানান, তার মেয়ে নাম্বিয়া দালবত একটি কিন্ডার গার্টেনে পড়ে। ওই স্কুলে গারো ভাষার বই পড়ানোর মতো কোন শিক্ষক নেই। ফলে তাদের ভাষার বই পড়ানো হয় না বলে তিনি জানান। শিশুরা এ ভাষায় বই পড়তে পারলে তাদের ভাষা সংরক্ষণের পাশাপাশি চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ জন্য তিনি স্কুলগুলোতে গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি অভিভাবকদের যতœশীল হওয়ার কথা বলেন।

ভুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মার্জিনা চিসিম জানান, গারো সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য তাদের ভাষায় পাঠ্যপুস্তক দেয়ায় তিনি ও তার সম্প্রদায় খুশি। সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে এই শিক্ষিকা বলেন, সব স্কুলেই গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষিক নেই। অনেক স্কুলেই গারো শিক্ষার্থী রয়েছে কিন্তু অনেক স্কুলেই গারো ভাষার বই পড়ানোর মত শিক্ষক নেই। এ জন্য তিনি যে সব স্কুলে গারো শিক্ষার্থী রয়েছে ওই সব স্কুলে গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রশিক্ষণের দাবি জানান। তাদের ভাষায় বই পাওয়ার ফলে গারো শিশুরা তাদের নিজস্ব ভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষায়ও পড়াশুনার সুযোগ পাবে।

আচিক মিচিক সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সুলেখা ¤্রং নিজস্ব ভাষার বই পেয়ে খুশি। এর ফলে গারো সম্প্রদায়ের শিশুরা যে সময়ে তাদের ভাষা হারিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে এই বই পেয়ে শিশুরা নিজস্ব ভাষায় পড়তে পারবে। এ চর্চার মধ্য দিয়ে শিশুরা তাদের ভাষা ধরে রাখতে পারবে। ফলে আচিক ভাষা বা গারো ভাষা সংরক্ষণ হবে বলে তিনি মনে করেন। গারো ভাষার বই পড়ানোর জন্য তিনি গারো শিক্ষক দরকার উল্লেখ করে বলেন, এতে সহজে পড়াতে ও বুঝাতে পারবেন।

জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক জানান, গারো ভাষার বই পাওয়ার ফলে শিশুরা তাদের ভাষা চর্চা ও শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ জন্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং ও ক্লাসের এই বই পড়ানো প্রতি জোর দিতে হবে। তিনি বলেন রোমান হরফে লেখা বই উচ্চারণ অনেকটা কঠিন। এ জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সেমিনার ও কর্মশালার ব্যবস্থা হলে ভাল হবে।

মধুপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, বই উৎসবে অন্য বইয়ের পাশাপাশি মধুপুরের নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠির গারো সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিকের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য ৫শ’ ও প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি ক্লাসে ৪শ’ করে বই বরাদ্ধ পেয়ে বিতরণ করা হয়েছে।

ছবি

উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ দাবি, আন্দোলনে ছাত্রদলসহ শিক্ষার্থীরা

ছবি

শাহরিয়ার সাম্য হত্যার ঘটনায় ঢাবিতে অর্ধদিবস শ্রদ্ধা, নিরাপত্তা জোরদারে উদ্যোগ

ছবি

বিশ্ববিদ্যালয় তহবিল স্থানান্তর ও রাজস্ব ফাঁকিতে দুদকের নজরে দুই প্রতিষ্ঠান

ছবি

কোরবানির ঈদ আর গ্রীষ্ম: লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান

ছবি

১৬ কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন, বাদ শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী নেতাদের নাম

ছবি

কুয়েটে শিক্ষাকার্যক্রম শুরু হলেও শিক্ষকদের অনড় কর্মবিরতি, অনিশ্চয়তায় শিক্ষার্থীরা

ছবি

৬ বছর পর ইইডিতে উপপরিচালক পদায়ন

ছবি

শিক্ষার্থী-শিক্ষক উত্তেজনায় কুয়েটে অনিশ্চয়তায় একাডেমিক কার্যক্রম

ছবি

বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অ্যাডহক কমিটির মাধ্যমে নিয়মিত কমিটি গঠন স্থগিত

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ২৪ মে

ছবি

মে মাসের মাঝামাঝিতে তারিখ ঘোষণার লক্ষ্যে ডাকসু নির্বাচনের রোডম্যাপ প্রকাশ

ছবি

কক্সবাজারে পরীক্ষা দিচ্ছে সেই ১৩ শিক্ষার্থী

ছবি

ভিসি অপসারণ একমাত্র দাবি: কুয়েট শিক্ষার্থীদের এক দফা আন্দোলন

ছবি

কৃষি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা ১২ এপ্রিল

ছবি

বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা, অংশ নেবে ১৯ লাখের বেশি শিক্ষার্থী

ছবি

১৩৫ কলেজে নতুন অধ্যক্ষ নিয়োগ দিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়

ছবি

শিক্ষা সংস্কারে পদক্ষেপ নেই, বাজেট বাড়ানোর দাবি শিক্ষাবিদদের

ছবি

এসএসসি পরীক্ষার জন্য কোচিং সেন্টার বন্ধ ও কেন্দ্রের আশপাশে ১৪৪ ধারা

ছবি

ঢাবির ‘গ’ ইউনিটের ফল প্রকাশে দুই মাসের স্থগিতাদেশ

ছবি

পেছালো এসএসসির গণিত পরীক্ষা, নতুন সময়সূচি প্রকাশ

ছবি

ঢাবির সহিংসতা: ১২৮ জনের তালিকা চূড়ান্ত নয়, পুনঃতদন্তে কমিটি

ছবি

নতুন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ‘গ্রামীণ ইউনিভার্সিটি’ অনুমোদিত

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহিংসতা: ১২৮ জনের তালিকা প্রকাশ

ছবি

ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো তিতুমীরের শিক্ষার্থীরা

ছবি

অধ্যাপক আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের মৃত্যুতে ঢাবিতে রোববার ছুটি

ছবি

শাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষায় আপাতত সব কোটা স্থগিত

ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪-২০ মার্চ অনলাইনে ক্লাস

ছবি

এডাব্লিউএস ক্লাউড ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য জাপানে ক্যারিয়ারের সুযোগ

ছবি

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিলের ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ লার্নিং সেন্টার

ছবি

ঢাবি ছাত্রীকে হেনস্তার অভিযোগে গ্রেপ্তার আসিফের মুক্তির দাবিতে শাহবাগ থানায় একদল ব্যক্তি

ছবি

কুয়েট সংঘর্ষ: সময় বাড়লেও জমা হয়নি তদন্তে প্রতিবেদন

ছবি

গ্রীসে জলবায়ু পরিবর্তন শীর্ষক কর্মশালায় বাংলাদেশী গবেষক দলের অংশগ্রহণ

প্রেনিউর ল্যাবের উদ্যোগে তরুণদের পলিসি মেকিং কন্টেন্ট ক্রিয়েশন ফেলোশিপ অনুষ্ঠিত

ছবি

মার্চেই জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল ইউনিটের ফল প্রকাশ, জানালেন উপাচার্য

ছবি

এইচএসসির ফরম পূরণ শুরু ২ মার্চ, সর্বোচ্চ ফি ২৭৮৫ টাকা

ছবি

ড্যাফোডিলে অনুষ্ঠিত হলো কমিউনিটি ডিজিটাল স্টোরি টেলিং ফেস্টিভ্যালের দ্বিতীয় সিজন

tab

শিক্ষা

নিজ ভাষায় বই পেল গারো শিক্ষার্থীরা

হাবিবুর রহমান, মধুপুর (টাঙ্গাইল)

টাঙ্গইল : নিজ ভাষায় বই পেয়ে ক্ষুদে গারো শিক্ষার্থীরা উল্লসিত -সংবাদ

মঙ্গলবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৩

দেশের বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও টাঙ্গাইলের মধুপুর গড়ে গারো সম্প্রদায়ের বসবাস। লাল মাটির মধুপুর গড়ের গারো সম্প্রদায়ের আচিক ভাষা (গারো ভাষা) হারিয়ে যাচ্ছিল। সময়ে সরকার ক্ষুদে গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থীদের জন্য তাদের নিজস্ব ভাষার বই দিয়েছে। সারা দেশের ন্যায় বই উৎসবে মধুপুরে অন্য বই বিতরণের পাশাপাশি প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত ১৭শ’ বই বিতরণ করা হয়েছে। নিজস্ব ভাষার বই পেয়ে ছাত্র শিক্ষক ও গারো সম্প্রদায়ের নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তবে তাদের দাবি গারো শিক্ষক নিয়োগ ও তাদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিশুদের মাঝে গারো ভাষার আলো ছড়িয়ে দেয়ার।

মধুপুরের অরণখোলা, বেরিবাইদ, কুড়াগাছা, শোলাকুড়ি, ফুলবাগচালা ও আউশনারা ইউনিয়নে গারো সম্প্রদায়ের বসবাস। গর এলাকার বিভিন্ন গ্রামে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশাপাশি রয়েছে মিশনারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। সরকার নৃতাত্ত্বিক জন গোষ্ঠির শিশুদের জন্য অন্য পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি তাদের নিজস্ব ভাষার বই দিয়ে ভাষাচর্চা ও ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত বিতরণ করেছে। বাংলা, গণিত ও ইংরেজি তিনটি বই বিতরণ করেছে বলে শিক্ষক ,শিক্ষার্থী ও প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে। গারো সম্প্রদায়ের লোকেরা তাদের নিজস্ব ভাষার বই পড়ানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগ, প্রশিক্ষণ ও সরকারি মনিটরিং এবং ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করণের দাবি জানান।

গায়রা গ্রামের অভিভাবক সুস্ময় নকরেক জানান, তার মেয়ে নাম্বিয়া দালবত একটি কিন্ডার গার্টেনে পড়ে। ওই স্কুলে গারো ভাষার বই পড়ানোর মতো কোন শিক্ষক নেই। ফলে তাদের ভাষার বই পড়ানো হয় না বলে তিনি জানান। শিশুরা এ ভাষায় বই পড়তে পারলে তাদের ভাষা সংরক্ষণের পাশাপাশি চর্চার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ জন্য তিনি স্কুলগুলোতে গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়োগের পাশাপাশি অভিভাবকদের যতœশীল হওয়ার কথা বলেন।

ভুটিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মার্জিনা চিসিম জানান, গারো সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য তাদের ভাষায় পাঠ্যপুস্তক দেয়ায় তিনি ও তার সম্প্রদায় খুশি। সমস্যা ও সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে এই শিক্ষিকা বলেন, সব স্কুলেই গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষিক নেই। অনেক স্কুলেই গারো শিক্ষার্থী রয়েছে কিন্তু অনেক স্কুলেই গারো ভাষার বই পড়ানোর মত শিক্ষক নেই। এ জন্য তিনি যে সব স্কুলে গারো শিক্ষার্থী রয়েছে ওই সব স্কুলে গারো সম্প্রদায়ের শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে প্রশিক্ষণের দাবি জানান। তাদের ভাষায় বই পাওয়ার ফলে গারো শিশুরা তাদের নিজস্ব ভাষার পাশাপাশি অন্য ভাষায়ও পড়াশুনার সুযোগ পাবে।

আচিক মিচিক সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক সুলেখা ¤্রং নিজস্ব ভাষার বই পেয়ে খুশি। এর ফলে গারো সম্প্রদায়ের শিশুরা যে সময়ে তাদের ভাষা হারিয়ে যাচ্ছিল ঠিক সেই সময়ে এই বই পেয়ে শিশুরা নিজস্ব ভাষায় পড়তে পারবে। এ চর্চার মধ্য দিয়ে শিশুরা তাদের ভাষা ধরে রাখতে পারবে। ফলে আচিক ভাষা বা গারো ভাষা সংরক্ষণ হবে বলে তিনি মনে করেন। গারো ভাষার বই পড়ানোর জন্য তিনি গারো শিক্ষক দরকার উল্লেখ করে বলেন, এতে সহজে পড়াতে ও বুঝাতে পারবেন।

জয়েনশাহী আদিবাসী উন্নয়ন পরিষদের সভাপতি ইউজিন নকরেক জানান, গারো ভাষার বই পাওয়ার ফলে শিশুরা তাদের ভাষা চর্চা ও শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এ জন্য কর্তৃপক্ষের মনিটরিং ও ক্লাসের এই বই পড়ানো প্রতি জোর দিতে হবে। তিনি বলেন রোমান হরফে লেখা বই উচ্চারণ অনেকটা কঠিন। এ জন্য শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ সেমিনার ও কর্মশালার ব্যবস্থা হলে ভাল হবে।

মধুপুর উপজেলা শিক্ষা অফিসার শফিকুল ইসলাম জানান, বই উৎসবে অন্য বইয়ের পাশাপাশি মধুপুরের নৃতাত্বিক জনগোষ্ঠির গারো সম্প্রদায়ের শিশুদের জন্য প্রাক-প্রাথমিকের ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের জন্য ৫শ’ ও প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণী পর্যন্ত প্রতি ক্লাসে ৪শ’ করে বই বরাদ্ধ পেয়ে বিতরণ করা হয়েছে।

back to top