বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গান নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ গানের সুর বিকৃত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে অস্কারজয়ী এ আর রহমানের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দুই বাংলার সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। কারও প্রশ্ন, রহমান এমন গর্হিত কাজ করলেন কীভাবে। অন্য পক্ষের প্রশ্ন ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটির সুর কি আদৌ এ আর রহমান করেছেন? এদিকে গতকাল বিকেলে নজরুলের গান বিকৃত করা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নজরুল ইনিস্টিটিউট।
কীভাবে এই গানটি রেকর্ড করা হয়? কী কী পদ্ধতি ছিল সেখানে? এ প্রসঙ্গে খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করেছে ভারতীয় পাঠকপ্রিয় গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজার’র অনলাইন সংস্করণ। জানা গেছে, ‘পিপ্পা’ সিনেমার এ গানে একাধিক বাঙালি শিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন রাহুল দত্ত, তীর্থ ভট্টাচার্য, পীযূষ দাশ, শালিনী মুখোপাধ্যায়, দিলাশা চৌধুরী, শ্রয়ী পাল প্রমুখ। তবে মূল উদ্যোগ ছিল রাহুলের।
রাহুল বললেন, ২০২১ সালে হঠাৎ এক রাতে তার কাছে এ আর রহমানের টিমের পক্ষ থেকে ফোন আসে। এটা এ আর রহমানের সঙ্গে শিল্পীর তৃতীয় কাজ। রাহুল বললেন, ‘বলা হয় সেই রাতেই গানটা রেকর্ড করতে হবে। সে অনুযায়ী আমি বাকিদের উপস্থিত করি। তখনো জানতাম না গানটা কীভাবে কোথায় ব্যবহার করা হবে।’ তারপর এ আর রহমানের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন রাহুল। গভীর রাতে শুরু হয় রেকর্ডিং। রহমান কি আগে সুর করে পাঠিয়েছিলেন?
রাহুল সে কথা স্বীকার করে নিয়ে বললেন, ‘আমাদের কাছে আগে সুর করে পাঠানো হয়েছিল। আমরা কিছুই জানতাম না। কোন সিনেমায় ব্যবহার করা হবে সেটাও জানতাম না।’
রাহুল আরও জানান, রেকর্ডিংয়ের সময় তাদের সঙ্গে এ আর রহমানের টিমের সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি সিনেমার প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে রাহুলের কাছে ফোন আসে। তারপর তিনি জানতে পারেন কোথায় এবং কীভাবে গানটা ব্যবহার করা হবে। কিন্তু সুর জানার পর রাহুল প্রতিবাদ করলেন না কেন?
এ প্রসঙ্গে শিল্পী বললেন, ‘তখন এতো কিছু ভাবিনি। গায়কের কাজ গান গাওয়া। আমরা সেটাই করেছি। গান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা তো হতেই পারে। সত্যিই বলছি অত কিছু ভাবিনি। বাঙালি ছেলেমেয়েদের রহমানের মতো শিল্পী কোরাসে ব্যবহার করতে চেয়েছেন এটাই আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় মনে হয়েছিল।’
শনিবার, ১১ নভেম্বর ২০২৩
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গান নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। এ গানের সুর বিকৃত করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে অস্কারজয়ী এ আর রহমানের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে দুই বাংলার সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড় চলছে। কারও প্রশ্ন, রহমান এমন গর্হিত কাজ করলেন কীভাবে। অন্য পক্ষের প্রশ্ন ‘কারার ঐ লৌহকপাট’ গানটির সুর কি আদৌ এ আর রহমান করেছেন? এদিকে গতকাল বিকেলে নজরুলের গান বিকৃত করা নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে নজরুল ইনিস্টিটিউট।
কীভাবে এই গানটি রেকর্ড করা হয়? কী কী পদ্ধতি ছিল সেখানে? এ প্রসঙ্গে খোঁজ নিয়ে জানার চেষ্টা করেছে ভারতীয় পাঠকপ্রিয় গণমাধ্যম ‘আনন্দবাজার’র অনলাইন সংস্করণ। জানা গেছে, ‘পিপ্পা’ সিনেমার এ গানে একাধিক বাঙালি শিল্পী কণ্ঠ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন রাহুল দত্ত, তীর্থ ভট্টাচার্য, পীযূষ দাশ, শালিনী মুখোপাধ্যায়, দিলাশা চৌধুরী, শ্রয়ী পাল প্রমুখ। তবে মূল উদ্যোগ ছিল রাহুলের।
রাহুল বললেন, ২০২১ সালে হঠাৎ এক রাতে তার কাছে এ আর রহমানের টিমের পক্ষ থেকে ফোন আসে। এটা এ আর রহমানের সঙ্গে শিল্পীর তৃতীয় কাজ। রাহুল বললেন, ‘বলা হয় সেই রাতেই গানটা রেকর্ড করতে হবে। সে অনুযায়ী আমি বাকিদের উপস্থিত করি। তখনো জানতাম না গানটা কীভাবে কোথায় ব্যবহার করা হবে।’ তারপর এ আর রহমানের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলেন রাহুল। গভীর রাতে শুরু হয় রেকর্ডিং। রহমান কি আগে সুর করে পাঠিয়েছিলেন?
রাহুল সে কথা স্বীকার করে নিয়ে বললেন, ‘আমাদের কাছে আগে সুর করে পাঠানো হয়েছিল। আমরা কিছুই জানতাম না। কোন সিনেমায় ব্যবহার করা হবে সেটাও জানতাম না।’
রাহুল আরও জানান, রেকর্ডিংয়ের সময় তাদের সঙ্গে এ আর রহমানের টিমের সঙ্গে ভিডিও কলে যোগাযোগ রাখা হয়েছিল। সম্প্রতি সিনেমার প্রযোজনা সংস্থার পক্ষ থেকে রাহুলের কাছে ফোন আসে। তারপর তিনি জানতে পারেন কোথায় এবং কীভাবে গানটা ব্যবহার করা হবে। কিন্তু সুর জানার পর রাহুল প্রতিবাদ করলেন না কেন?
এ প্রসঙ্গে শিল্পী বললেন, ‘তখন এতো কিছু ভাবিনি। গায়কের কাজ গান গাওয়া। আমরা সেটাই করেছি। গান নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা তো হতেই পারে। সত্যিই বলছি অত কিছু ভাবিনি। বাঙালি ছেলেমেয়েদের রহমানের মতো শিল্পী কোরাসে ব্যবহার করতে চেয়েছেন এটাই আমাদের কাছে মুখ্য বিষয় মনে হয়েছিল।’