মরণোত্তর দেহ দান করবেন বলে জানিয়েছেন মডেল ও অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া। এ ব্যাপারে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা গত সপ্তাহেই সেরেফেলেছেন বলে জানান তিনি।
গণমাধ্যমসূত্রে জানাগেছে, বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্পর্শিয়া চূড়ান্ত আলাপ করেছেন। তার মৃত্যুর পর কলেজসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তার মরদেহ নিয়ে যাবেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। আজ ৮ ডিসেম্বর, স্পর্শিয়ার জন্মদিন। দিনটিতে তার দেহদানের বিষয়টি সামনে আসে।
স্পর্শিয়া বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমি মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করি। গত সপ্তাহে ফাইনাল করি। আমার মনে হয়েছে, জীবনে বেঁচে থাকতে কার উপকারে আসব, তা তো জানি না, মরণের পর যদি কারও কাজে আসি, তাহলে জীবনটা সার্থক হয় আর কি। মরণের পর যেন কাজে আসি, তাই দেহদানের সিদ্ধান্ত। জীবনের একটা অর্থ তো লাগবে, আমার দেহটা অন্যের কাজে আসতে পারাটাই জীবনের অন্যতম একটা অর্থপূর্ণ ব্যাপার মনে হয়েছে। এখন সুস্থভাবে থাকলেই হয় আর কি।’
স্পর্শিয়া আরও বলেন, ‘আমার শরীরটুকু মৃত্যুর পরও যেন কাজে লাগে, সেটা খুব করে চাই। আমার হার্ট যদি ভালো থাকে, সেটা স্থানান্তরিত হবে অন্য শরীরে, যার মাধ্যমে বেঁচে থাকবে আরেকটা জীবন। এসব ভাবতেও ভালো লাগে। শুধু হার্ট নয়, আমার শরীরের যেসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিক থাকবে, সবই যেন কাজে লাগে মানুষ ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রসারে—এটা আমি মনেপ্রাণে চাই। এমনকি আমার কঙ্কালও যেন ব্যবহার করা হয়, সেটাও আমি চাই।’
২০১১ সালে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে স্পর্শিয়ার কাজের শুরু। ‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপূরী’ শিরোনামের জিঙ্গেলের সেই টেলিকম প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করে দর্শকের নজর কাড়েন তিনি। এরপর নাটক, টেলিছবি আর চলচ্চিত্রেও সমানতালে অভিনয় করেছেন।
শুক্রবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৩
মরণোত্তর দেহ দান করবেন বলে জানিয়েছেন মডেল ও অভিনেত্রী অর্চিতা স্পর্শিয়া। এ ব্যাপারে যাবতীয় আনুষ্ঠানিকতা গত সপ্তাহেই সেরেফেলেছেন বলে জানান তিনি।
গণমাধ্যমসূত্রে জানাগেছে, বিষয়টি নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে স্পর্শিয়া চূড়ান্ত আলাপ করেছেন। তার মৃত্যুর পর কলেজসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা তার মরদেহ নিয়ে যাবেন ঢাকা মেডিকেল কলেজে। আজ ৮ ডিসেম্বর, স্পর্শিয়ার জন্মদিন। দিনটিতে তার দেহদানের বিষয়টি সামনে আসে।
স্পর্শিয়া বলেন, ‘অনেক দিন ধরে আমি মরণোত্তর দেহদানের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করি। গত সপ্তাহে ফাইনাল করি। আমার মনে হয়েছে, জীবনে বেঁচে থাকতে কার উপকারে আসব, তা তো জানি না, মরণের পর যদি কারও কাজে আসি, তাহলে জীবনটা সার্থক হয় আর কি। মরণের পর যেন কাজে আসি, তাই দেহদানের সিদ্ধান্ত। জীবনের একটা অর্থ তো লাগবে, আমার দেহটা অন্যের কাজে আসতে পারাটাই জীবনের অন্যতম একটা অর্থপূর্ণ ব্যাপার মনে হয়েছে। এখন সুস্থভাবে থাকলেই হয় আর কি।’
স্পর্শিয়া আরও বলেন, ‘আমার শরীরটুকু মৃত্যুর পরও যেন কাজে লাগে, সেটা খুব করে চাই। আমার হার্ট যদি ভালো থাকে, সেটা স্থানান্তরিত হবে অন্য শরীরে, যার মাধ্যমে বেঁচে থাকবে আরেকটা জীবন। এসব ভাবতেও ভালো লাগে। শুধু হার্ট নয়, আমার শরীরের যেসব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ঠিক থাকবে, সবই যেন কাজে লাগে মানুষ ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের প্রসারে—এটা আমি মনেপ্রাণে চাই। এমনকি আমার কঙ্কালও যেন ব্যবহার করা হয়, সেটাও আমি চাই।’
২০১১ সালে বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবে স্পর্শিয়ার কাজের শুরু। ‘আমাদের দেশটা স্বপ্নপূরী’ শিরোনামের জিঙ্গেলের সেই টেলিকম প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করে দর্শকের নজর কাড়েন তিনি। এরপর নাটক, টেলিছবি আর চলচ্চিত্রেও সমানতালে অভিনয় করেছেন।