জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্ট থিয়েটার হলে আজ সন্ধ্যা ৭টায় থিয়েট্রেক্স প্রযোজিত নাট্যকার সেলিম আল দীনের ‘স্বর্ণবোয়াল’ নাটকটির প্রদর্শনী হবে। এতে নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। লন্ডনের গোল্ডস্মিথস ইউনিভার্সিটি থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের মাস্টার্স পাঠ্যসূচিতে ২০২১ সালে অন্তর্ভুক্ত হয় বাংলাদেশের নাট্যকার সেলিম আল দীনের লেখা নাটক ‘স্বর্ণবোয়াল’। নাটকটির প্রধান চরিত্র এক বিশাল মাছ, যার নাম ‘স্বর্ণবোয়াল’।
বলা হয়, ‘মাছ’ নিয়ে বাংলায় এটিই প্রথম নাটক। চকচকে সোনার রং তার। সবাই তাকে দেখতেও পায় না। মাছটি শিকারের নেশায় জীবন দেয় জনম মাঝি ও খলিশা মাঝি। ৬০ বছর বয়সে কোশা নৌকায় বসে জনম মাঝি এক ভোরে ছিপ ফেলে বড়শিতে গেঁথেছিল মাছটিকে। কিন্তু ছোট্ট কোশাসহ মাছটি তাকে টেনে নেয় গভীর জলে। জনম মাঝির স্বর্ণবোয়াল শিকারের নেশা সংক্রমিত হয় ছেলে খলিশার শরীরে, কিন্তু সেও পারে না মাছটি শিকার করতে।
তার ছেলে তিরমন অজেয় মাছটিকে জয় করতে পারবে, এমন স্বপ্ন দেখে। বাবার কাছে মাছটির গল্প শুনতে শুনতে তিরমনের ভেতরও শিকারের নেশা জাগে। মৃতপ্রায় বাবাকে রেখে মায়ের নিষেধ উপেক্ষা করে ভাদ্র মাসের এক ঝড়ের রাতে বড়শি নিয়ে সে যাত্রা করে স্বর্ণবোয়াল শিকারে। প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর বোয়ালটিকে ধরেও ফেলে। তবে নদীতীরে টেনে আনতে পারলেও শেষ পর্যন্ত মাছটি লাফ দিয়ে গভীর জলে চলে যায়। অজেয় মাছ অজেয়ই থেকে যায়। নাটক শেষে দেখানো হয়, স্বর্ণবোয়ালও হারেনি, তিরমনও হারেনি অথবা দুজনের কেউ-ই জেতেনি। হারজিতহীন এই দর্শন নিয়েই ‘স্বর্ণবোয়াল’।
রোববার, ১৪ জুলাই ২০২৪
জাতীয় নাট্যশালার এক্সপেরিমেন্ট থিয়েটার হলে আজ সন্ধ্যা ৭টায় থিয়েট্রেক্স প্রযোজিত নাট্যকার সেলিম আল দীনের ‘স্বর্ণবোয়াল’ নাটকটির প্রদর্শনী হবে। এতে নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। লন্ডনের গোল্ডস্মিথস ইউনিভার্সিটি থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগের মাস্টার্স পাঠ্যসূচিতে ২০২১ সালে অন্তর্ভুক্ত হয় বাংলাদেশের নাট্যকার সেলিম আল দীনের লেখা নাটক ‘স্বর্ণবোয়াল’। নাটকটির প্রধান চরিত্র এক বিশাল মাছ, যার নাম ‘স্বর্ণবোয়াল’।
বলা হয়, ‘মাছ’ নিয়ে বাংলায় এটিই প্রথম নাটক। চকচকে সোনার রং তার। সবাই তাকে দেখতেও পায় না। মাছটি শিকারের নেশায় জীবন দেয় জনম মাঝি ও খলিশা মাঝি। ৬০ বছর বয়সে কোশা নৌকায় বসে জনম মাঝি এক ভোরে ছিপ ফেলে বড়শিতে গেঁথেছিল মাছটিকে। কিন্তু ছোট্ট কোশাসহ মাছটি তাকে টেনে নেয় গভীর জলে। জনম মাঝির স্বর্ণবোয়াল শিকারের নেশা সংক্রমিত হয় ছেলে খলিশার শরীরে, কিন্তু সেও পারে না মাছটি শিকার করতে।
তার ছেলে তিরমন অজেয় মাছটিকে জয় করতে পারবে, এমন স্বপ্ন দেখে। বাবার কাছে মাছটির গল্প শুনতে শুনতে তিরমনের ভেতরও শিকারের নেশা জাগে। মৃতপ্রায় বাবাকে রেখে মায়ের নিষেধ উপেক্ষা করে ভাদ্র মাসের এক ঝড়ের রাতে বড়শি নিয়ে সে যাত্রা করে স্বর্ণবোয়াল শিকারে। প্রচণ্ড লড়াইয়ের পর বোয়ালটিকে ধরেও ফেলে। তবে নদীতীরে টেনে আনতে পারলেও শেষ পর্যন্ত মাছটি লাফ দিয়ে গভীর জলে চলে যায়। অজেয় মাছ অজেয়ই থেকে যায়। নাটক শেষে দেখানো হয়, স্বর্ণবোয়ালও হারেনি, তিরমনও হারেনি অথবা দুজনের কেউ-ই জেতেনি। হারজিতহীন এই দর্শন নিয়েই ‘স্বর্ণবোয়াল’।