গোপনে ঢাকায় এসে শুটিং করায় কলকাতার নির্মাতা রাহুল মুখার্জিকে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল টলিউড নির্মাতাদের সংগঠন ‘ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’। পরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সংগঠনটি। নিষেধাজ্ঞা তোলায় আপত্তি জানায় ফেডারেশন। ফলে ফেডারেশন পক্ষের টেকনিশিয়ানরা রাহুলের উপস্থিতিতে কাজ করতে অস্বীকার করে।
এ নিয়ে উত্তাল টলিপাড়া। পরিচালক ও ফেডারেশনের দ্বন্দ্ব মিটছেই না। শনিবার (২৭ জুলাই) সেটে রাহুল মুখার্জির উপস্থিত থাকায় টেকনিশিয়ানরা কাজ করেননি। বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন টলিপাড়ার পরিচালকেরা। তারাও প্রশ্ন তুলেছেন, পরিচালকরা যদি কাজ বন্ধ করে দেন তা হলে, কোনও কাজ এগোবে তো? এর মধ্যেই সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করলেন টলিউডের তিন নেতা প্রসেনজিৎ, দেব, রাজ চক্রবর্তী। একই পোস্ট শেয়ার করেছেন ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেকেই।
পোস্টে বেশ কিছু সমাধান সূত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত বলা হয়েছে ‘আজ (২৭ জুলাই) সকালে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে বাংলা ছবি, টেলিভিশনের পরিচালকেরা ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের সামনে কিছু প্রশ্ন রেখেছে। বহু দিন ধরেই রাখছে, আজ ভঙ্গিটা আন্দোলনের। তার একটি বা অনেক কারণ রয়েছে। এই আন্দোলনের গোড়ায়, আগায়, সামনে, পিছনে, ডান দিক, বাঁ দিক, কোথাও সিনিয়র, জুনিয়র-সহ সমস্ত রকমের টেকনিশিয়ান, সিনে-শ্রমিকদের স্বার্থহানির এক ফোটা উদ্দেশ্য নেই। বিষয় সেটা নয়ই। বিষয় হলো নীতির।’
এ বিষয়টির মধ্যে কোনও রাজনৈতিক রং নেই।
কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাও নেই দাবি করে পোস্টে বলা হচ্ছে ‘বিষয়টা একই পরিবারের। পরিবারটি বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি। তাই এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক দিক নেই ‘আমরা-ওরা’ নেই।’
বিষয়টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে এলে আর সমাধানের পথ পাওয়া যাবে না বলে মত পোস্টদাতা পরিচালক ও অভিনেতাদের। এর ফলে বিপদ বাড়তে থাকবে গোটা ইন্ডাস্ট্রির।
পোস্টে আরও বলা হচ্ছে ‘পরিবারের কারও শরীর খারাপ হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করাতে বলেন। নীতি নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, তা হলে সকলে বসে সেই পরীক্ষাগুলো করেই নেওয়া উচিত। যদি সত্যিই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে হয়, তাহলে সবার মতামত নিয়েই চলতে হয়।’
পরিচালক, অভিনেতা থেকে শুরু করে যিনি আলো নিয়ে কাজ করেন, প্রত্যেকের মতামত জরুরি বলে দাবি করা হয়েছে এই পোস্টের মাধ্যমে।
পোস্টটি অতনু ঘোষ, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, দেবালয় ভট্টাচার্যরাও ভাগ করেছেন তাদের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। তাই ধরে নেওয়াই যায়, এই পোস্টের সঙ্গে তারাও সহমত। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘বাংলা ছবির স্বাস্থ্য ভালো নয়, এটা কোনও ধারণা নয়, বাস্তব সমস্যা, তাই এর সমাধানও কোনও ধারণা দিয়ে হবে না। বাস্তব সমাধান দিয়েই করতে হবে। সেখানে ক্ষমতার লাফালাফি দেখালে হবে না, ভোট গুনলে হবে না। এটা রাজনৈতিক সমস্যা নয়, রাজনৈতিক কায়দায় এই সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যা বিনোদন শিল্পীদের, তাদের কাজের পরিবেশের, তাদের সম্মানের। তাদের মানে সকলের কথা বলা হচ্ছে। যিনি মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং তার জন্য যিনি জল-খাবার দেন, তারও।’
আরও বলা হয়, ‘ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের জেরে গোটা ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে এক বড় আসন্ন বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা নানা রকম ঘটনা দিয়েই বুঝিয়ে দেওয়া যায়। বাইরের বিজ্ঞাপন না আসা, বাইরের ছবির কাজ না আসা। এ সবেরই পথ সরু হতে হতে বন্ধ হতে চলেছে। আজকের বেশি টাকা কাল যদি শেষ হয়ে যায়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে বিনোদন শিল্প বলে আর কিছু থাকবে না। এটা রকেট সায়েন্স নয়, কঠিন অঙ্ক নয়। একটু মাথা খাটালেই বোঝা যাবে।’
পোস্টের শেষে শঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘এই ভাবে চলতে থাকলে, ৮০ সালের পর আবার সেই দিন আসবে, যখন স্টুডিয়োগুলো ফের গুদাম হয়ে যাওয়া ছাড়া আর পথ থাকবে না।’
সোমবার, ২৯ জুলাই ২০২৪
গোপনে ঢাকায় এসে শুটিং করায় কলকাতার নির্মাতা রাহুল মুখার্জিকে তিন মাসের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল টলিউড নির্মাতাদের সংগঠন ‘ডিরেক্টর্স অ্যাসোসিয়েশন অব ইস্টার্ন ইন্ডিয়া’। পরে সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সংগঠনটি। নিষেধাজ্ঞা তোলায় আপত্তি জানায় ফেডারেশন। ফলে ফেডারেশন পক্ষের টেকনিশিয়ানরা রাহুলের উপস্থিতিতে কাজ করতে অস্বীকার করে।
এ নিয়ে উত্তাল টলিপাড়া। পরিচালক ও ফেডারেশনের দ্বন্দ্ব মিটছেই না। শনিবার (২৭ জুলাই) সেটে রাহুল মুখার্জির উপস্থিত থাকায় টেকনিশিয়ানরা কাজ করেননি। বিষয়টি নিয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন টলিপাড়ার পরিচালকেরা। তারাও প্রশ্ন তুলেছেন, পরিচালকরা যদি কাজ বন্ধ করে দেন তা হলে, কোনও কাজ এগোবে তো? এর মধ্যেই সোশ্যাল হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট শেয়ার করলেন টলিউডের তিন নেতা প্রসেনজিৎ, দেব, রাজ চক্রবর্তী। একই পোস্ট শেয়ার করেছেন ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেকেই।
পোস্টে বেশ কিছু সমাধান সূত্র তুলে ধরা হয়েছে। প্রথমত বলা হয়েছে ‘আজ (২৭ জুলাই) সকালে টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে বাংলা ছবি, টেলিভিশনের পরিচালকেরা ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের সামনে কিছু প্রশ্ন রেখেছে। বহু দিন ধরেই রাখছে, আজ ভঙ্গিটা আন্দোলনের। তার একটি বা অনেক কারণ রয়েছে। এই আন্দোলনের গোড়ায়, আগায়, সামনে, পিছনে, ডান দিক, বাঁ দিক, কোথাও সিনিয়র, জুনিয়র-সহ সমস্ত রকমের টেকনিশিয়ান, সিনে-শ্রমিকদের স্বার্থহানির এক ফোটা উদ্দেশ্য নেই। বিষয় সেটা নয়ই। বিষয় হলো নীতির।’
এ বিষয়টির মধ্যে কোনও রাজনৈতিক রং নেই।
কোনও প্রতিদ্বন্দ্বিতাও নেই দাবি করে পোস্টে বলা হচ্ছে ‘বিষয়টা একই পরিবারের। পরিবারটি বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি। তাই এর মধ্যে কোনও রাজনৈতিক দিক নেই ‘আমরা-ওরা’ নেই।’
বিষয়টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা নিয়ে এলে আর সমাধানের পথ পাওয়া যাবে না বলে মত পোস্টদাতা পরিচালক ও অভিনেতাদের। এর ফলে বিপদ বাড়তে থাকবে গোটা ইন্ডাস্ট্রির।
পোস্টে আরও বলা হচ্ছে ‘পরিবারের কারও শরীর খারাপ হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করাতে বলেন। নীতি নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে, তা হলে সকলে বসে সেই পরীক্ষাগুলো করেই নেওয়া উচিত। যদি সত্যিই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বজায় রাখতে হয়, তাহলে সবার মতামত নিয়েই চলতে হয়।’
পরিচালক, অভিনেতা থেকে শুরু করে যিনি আলো নিয়ে কাজ করেন, প্রত্যেকের মতামত জরুরি বলে দাবি করা হয়েছে এই পোস্টের মাধ্যমে।
পোস্টটি অতনু ঘোষ, ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত, দেবালয় ভট্টাচার্যরাও ভাগ করেছেন তাদের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে। তাই ধরে নেওয়াই যায়, এই পোস্টের সঙ্গে তারাও সহমত। পোস্টে লেখা হয়েছে, ‘বাংলা ছবির স্বাস্থ্য ভালো নয়, এটা কোনও ধারণা নয়, বাস্তব সমস্যা, তাই এর সমাধানও কোনও ধারণা দিয়ে হবে না। বাস্তব সমাধান দিয়েই করতে হবে। সেখানে ক্ষমতার লাফালাফি দেখালে হবে না, ভোট গুনলে হবে না। এটা রাজনৈতিক সমস্যা নয়, রাজনৈতিক কায়দায় এই সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যা বিনোদন শিল্পীদের, তাদের কাজের পরিবেশের, তাদের সম্মানের। তাদের মানে সকলের কথা বলা হচ্ছে। যিনি মূল ভূমিকায় অভিনয় করেন এবং তার জন্য যিনি জল-খাবার দেন, তারও।’
আরও বলা হয়, ‘ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের জেরে গোটা ইন্ডাস্ট্রি যেভাবে এক বড় আসন্ন বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, সেটা নানা রকম ঘটনা দিয়েই বুঝিয়ে দেওয়া যায়। বাইরের বিজ্ঞাপন না আসা, বাইরের ছবির কাজ না আসা। এ সবেরই পথ সরু হতে হতে বন্ধ হতে চলেছে। আজকের বেশি টাকা কাল যদি শেষ হয়ে যায়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গে বিনোদন শিল্প বলে আর কিছু থাকবে না। এটা রকেট সায়েন্স নয়, কঠিন অঙ্ক নয়। একটু মাথা খাটালেই বোঝা যাবে।’
পোস্টের শেষে শঙ্কা প্রকাশ করে বলা হয়েছে, ‘এই ভাবে চলতে থাকলে, ৮০ সালের পর আবার সেই দিন আসবে, যখন স্টুডিয়োগুলো ফের গুদাম হয়ে যাওয়া ছাড়া আর পথ থাকবে না।’