চলচ্চিত্র নিয়ে অশ্লীল ও বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ এনে অভিনেতা পীরজাদা শহীদুল হারুনকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি। এই সময়ের মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তাকে এফডিসিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার কথা জানান সমিতির নেতারা।
গত রোববার বিকেলে এফডিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম জানান, তিনি (পীরজাদা হারুন) ক্ষমা না চাইলে, কেউ না করুক এই প্রযোজক ব্যক্তিগতভাবে তার নামে মামলা করবেন।
এ সময় চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সবার কাছে পীরজাদা হারুনকে কোনো সিনেমায় না নেয়ার অনুরোধ জানান পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা বলেছিলেন, ‘একসময় এফডিসি থেকে অভিনেতা রাজীবকে আউট করে অতিরিক্ত সচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি এফডিসি সম্পর্কে অবগত না থাকায় দেখভালের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়। তিনি শুধু স্বাক্ষর করতেন। তখন দেখি ১২০টি রুম আছে বিভিন্ন প্রযোজকদের নামে। সেখানে মাদক ও নারী ব্যবসাসহ সবকিছু হতো। এমডিকে অবগত করে তখন রুমগুলো দখলমুক্ত করি। সন্ধ্যার পর থেকে এফডিসিতে মাদকসেবন ও নারী ব্যবসা হয়। ওই রুমগুলো আবার দখল হয়েছে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। এফডিসি পবিত্র জায়গা। পবিত্র জায়গা পবিত্র রাখতে হবে।’
মূলত তার এমন বক্তব্য ভিত্তিহীন বলেই দাবি চলচ্চিত্রের মানুষের। এ কারণেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলো।
এ সময় শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ডিএ তায়েব জানান, তাদের সমিতির সভায় পীরজাদা হারুনের বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। এরপরেই তার সদস্যপদ থাকবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও পীরজাদা হারুনকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এই অভিনেতা। নির্বাচনের দিন এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠনের সদস্যদের। শুধু শিল্পী ছাড়া নির্বাচনের দিন আর কেউ এফডিসিতে প্রবেশ করতে না পারায় অপমানজনক দাবি করে নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুনকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠন।
বৃহস্পতিবার, ২৯ আগস্ট ২০২৪
চলচ্চিত্র নিয়ে অশ্লীল ও বিরূপ মন্তব্য করার অভিযোগ এনে অভিনেতা পীরজাদা শহীদুল হারুনকে তিন দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছে চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি। এই সময়ের মধ্যে প্রকাশ্যে ক্ষমা না চাইলে তাকে এফডিসিতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করার কথা জানান সমিতির নেতারা।
গত রোববার বিকেলে এফডিসিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। এ সময় প্রযোজক-পরিবেশক সমিতি সাবেক সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম জানান, তিনি (পীরজাদা হারুন) ক্ষমা না চাইলে, কেউ না করুক এই প্রযোজক ব্যক্তিগতভাবে তার নামে মামলা করবেন।
এ সময় চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্ট সবার কাছে পীরজাদা হারুনকে কোনো সিনেমায় না নেয়ার অনুরোধ জানান পরিচালক সমিতির মহাসচিব শাহীন সুমন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই অভিনেতা বলেছিলেন, ‘একসময় এফডিসি থেকে অভিনেতা রাজীবকে আউট করে অতিরিক্ত সচিবকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তিনি এফডিসি সম্পর্কে অবগত না থাকায় দেখভালের জন্য আমাকে দায়িত্ব দেয়। তিনি শুধু স্বাক্ষর করতেন। তখন দেখি ১২০টি রুম আছে বিভিন্ন প্রযোজকদের নামে। সেখানে মাদক ও নারী ব্যবসাসহ সবকিছু হতো। এমডিকে অবগত করে তখন রুমগুলো দখলমুক্ত করি। সন্ধ্যার পর থেকে এফডিসিতে মাদকসেবন ও নারী ব্যবসা হয়। ওই রুমগুলো আবার দখল হয়েছে। এগুলো বন্ধ করা দরকার। এফডিসি পবিত্র জায়গা। পবিত্র জায়গা পবিত্র রাখতে হবে।’
মূলত তার এমন বক্তব্য ভিত্তিহীন বলেই দাবি চলচ্চিত্রের মানুষের। এ কারণেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে যাচ্ছে চলচ্চিত্রের সংগঠনগুলো।
এ সময় শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ডিএ তায়েব জানান, তাদের সমিতির সভায় পীরজাদা হারুনের বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে। এরপরেই তার সদস্যপদ থাকবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
এবারই প্রথম নয়, এর আগেও পীরজাদা হারুনকে আজীবন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। ২০২২ সালের ২৮ জানুয়ারি শিল্পী সমিতির নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালন করেছিলেন এই অভিনেতা। নির্বাচনের দিন এফডিসিতে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি চলচ্চিত্রের ১৭টি সংগঠনের সদস্যদের। শুধু শিল্পী ছাড়া নির্বাচনের দিন আর কেউ এফডিসিতে প্রবেশ করতে না পারায় অপমানজনক দাবি করে নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা শহীদুল হারুনকে আজীবন নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিল চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৮ সংগঠন।