alt

বিনোদন

শিল্পকলা একাডেমিতে পৃথক চলচ্চিত্র বিভাগ দাবি

বিনোদন র্বাতা পরিবেশক : বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন-১৯৮৯ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশের খসড়ায় পূর্বের ‘নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র’ উপবিভাগ থেকে কেটে চলচ্চিত্র অংশটুকু বাদ দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। ২৪ নভেম্বর আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুনের সই করা এক প্রতিবাদ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

এই দাবির প্রতি একমত হয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৭৫ জন এতে সই করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে যখন নতুন সময়ে গণঅভ্যুত্থানকে ও মানুষের মুক্তিমুখীন লড়াইকে ধারণ করা এবং চলমান দেশগঠন ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ, এই নবজাগরণকে সবচেয়ে ভালোভাবে ধারণ করতে পারে যে মাধ্যম, শিল্পকলার সেই অন্যতম শাখা চলচ্চিত্রকে একাডেমি থেকে বাদ না দিয়ে বরং স্বতন্ত্র বিভাগ গঠন করা হোক, আমরা সরকারের কাছে এই দাবি জানাচ্ছি।’

‘কারণ জাতির বর্তমান প্রত্যাশা ও প্রয়োজনকে ছোট-বড়-প্রমাণ্য-ফিচার ইত্যাদি নানাধর্মী চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে ধারণ করবে যে নতুন প্রজন্মের নির্মাতারা, তার পৃষ্ঠপোষকতা বাণিজ্যিক আবহ করবে না, জাতীয় প্রতিষ্ঠান শিল্পকলা একাডেমিই সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একাডেমির সব জেলার শাখায় এসব চলচ্চিত্রের ধারাবাহিক প্রদর্শন চলতে থাকবে, এটাই চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের আকাক্সক্ষা।’

‘শিল্পকলা একাডেমিতে চলচ্চিত্রবিষয়ক কার্যক্রমের বিষয়টি স্বাধীনতার পর থেকেই রয়েছে। ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালের আইনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পাঁচটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে।

এই পাঁচটি বিভাগ ছিলÑ চারুকলা বিভাগ, নাট্যকলা বিভাগ, সংগীত ও নৃত্যকলা বিভাগ, চলচ্চিত্র (সিনেমাটোগ্রাফি) বিভাগ, গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ। অর্থাৎ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শুরু থেকেই পৃথক ‘চলচ্চিত্র বিভাগ’ ছিল। প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সরকার ১৯৭৪ সালের বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন রহিত করে ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন-১৯৮৯’ জারি করে।

১৯৮৯ সালের এই আইনে চলচ্চিত্র বিভাগ বাদ দেয়া হয় এবং এই আইনে চলচ্চিত্রকে বাদ দেয়ার বিরোধিতা করে চলচ্চিত্রকর্মীরা প্রতিবাদ জানান। তাদের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিষদ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন ১৯৮৯ এর ৮ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারার অধিকার বলে চলচ্চিত্রকে নাট্যকলা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করে ‘নাট্যকলা ও চলচ্চিত্রবিষয়ক বিভাগ’

গঠন করে চলচ্চিত্রবিষয়ক তৎপরতা পরিচালনা করে আসছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু থেকেই ‘চলচ্চিত্র’ তার অংশ হয়ে আছে। তাই ঐতিহ্য ও অধিকারের বিচারে আজকেও শিল্পকলা একাডেমি থেকে চলচ্চিত্রকে বিদায় করে দেয়ার সুযোগ নেই।’

ছবি

আসছে এফ এ প্রীতমের ‘হাবিবি’

ছবি

আসছে ‘দীপ্ত অ্যাওয়ার্ড ২০২৪’

ছবি

শুরু হচ্ছে ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ১৮তম কেন্দ্রীয় বার্ষিক নাট্যোৎসব-২০২৪’

ছবি

এসডি রুবেলের সিনেমায় গাইলেন কোনাল

ছবি

বিজয়ের মাসে ছায়ানটের বিশেষ আয়োজন: শুরু জাতীয় সংগীত দিয়ে

ছবি

চলচ্চিত্রে কিংবদন্তি আনোয়ার হোসেনের জীবন

ছবি

এবার পর্দায় আসছে মোহাম্মদ রফির জীবনী

ছবি

হল বরাদ্দ বাতিল করা নাটকটি ফিরছে শিল্পকলায়

ছবি

প্রথমবার একসঙ্গে বৃষ্টি, শামীম, সামান্তা

ছবি

ঢাবি নাট্যোৎসবে সম্মাননা পাচ্ছেন ইসলাম উদ্দিন পালাকার

ছবি

জবিতে শুরু হতে চলেছে ইরানি চলচ্চিত্র উৎসব

ছবি

সঙ্গীতের কিংবদন্তি: উদিত নারায়ণের জন্মদিন

ছবি

বছরের বড় প্রজেক্ট ‘গেম চেঞ্জার’

ছবি

সচিব পদমর্যাদা পেলেন ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ

ছবি

সৃজিতের নতুন সিনেমায় ঋত্বিক-পরমব্রত

ছবি

আসছে নাটক ‘শর্ত দিয়ে বিয়ে’

ছবি

ওটিটিতেই নজর জাহিদ হাসানের

ছবি

তানজিব-অবন্তীর কণ্ঠে নতুন গান

ছবি

একই সিনেমায় তারা চারজন

ছবি

নতুন নাটকে নিলয়-বৃষ্টি

ছবি

আসছে অপূর্বর ‘চালচিত্র’

ছবি

নতুন গান নিয়ে লিজা

ছবি

১৫০ পর্বে ধারাবাহিক ‘হাবুর স্কলারশিপ’

ছবি

মঞ্চে নতুন সংগঠন ‘টিএএডি’

ছবি

বাতিল হলো নুহাশের সিনেমার ৫০ লাখ টাকার বরাদ্দ

ছবি

এবার মোংলা বন্দরে ‘ইত্যাদি’

ছবি

একসঙ্গে গাইলেন এসডি রুবেল-অনুপমা মুক্তি

ছবি

ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ড পেলেন অপর্ণা রানী রাজবংশী

ছবি

ট্র্যাব অ্যাওয়ার্ড পেলেন রাজীব মণি দাস

ছবি

ওটিটিতে ‘কাজলরেখা’

ছবি

ঈদে আসছে সিনেমা ‘পিনিক’

ছবি

বাদ্যযন্ত্র নিয়ে ঢাকায় অন্যরকম প্রদর্শনী

ছবি

হুমায়ূন আহমেদের গল্পে মিঠুন

ছবি

আবার মঞ্চে ‘নিত্যপুরাণ’

ছবি

নির্ঝরের সংকলনে কুমার বিশ্বজিৎ, বাপ্পা ও অর্ণব

ছবি

সায়মন তারিক ও টিমের ১০ সিনেমা

tab

বিনোদন

শিল্পকলা একাডেমিতে পৃথক চলচ্চিত্র বিভাগ দাবি

বিনোদন র্বাতা পরিবেশক

বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন-১৯৮৯ এর অধিকতর সংশোধনকল্পে প্রণীত অধ্যাদেশের খসড়ায় পূর্বের ‘নাট্যকলা ও চলচ্চিত্র’ উপবিভাগ থেকে কেটে চলচ্চিত্র অংশটুকু বাদ দেয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। ২৪ নভেম্বর আলোকচিত্রী নাসির আলী মামুনের সই করা এক প্রতিবাদ গণমাধ্যমে পাঠানো হয়।

এই দাবির প্রতি একমত হয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট ১৭৫ জন এতে সই করেছেন। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গণঅভ্যুত্থানের পরে যখন নতুন সময়ে গণঅভ্যুত্থানকে ও মানুষের মুক্তিমুখীন লড়াইকে ধারণ করা এবং চলমান দেশগঠন ও সংস্কার প্রক্রিয়ায় পুরো জাতি ঐক্যবদ্ধ, এই নবজাগরণকে সবচেয়ে ভালোভাবে ধারণ করতে পারে যে মাধ্যম, শিল্পকলার সেই অন্যতম শাখা চলচ্চিত্রকে একাডেমি থেকে বাদ না দিয়ে বরং স্বতন্ত্র বিভাগ গঠন করা হোক, আমরা সরকারের কাছে এই দাবি জানাচ্ছি।’

‘কারণ জাতির বর্তমান প্রত্যাশা ও প্রয়োজনকে ছোট-বড়-প্রমাণ্য-ফিচার ইত্যাদি নানাধর্মী চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে ধারণ করবে যে নতুন প্রজন্মের নির্মাতারা, তার পৃষ্ঠপোষকতা বাণিজ্যিক আবহ করবে না, জাতীয় প্রতিষ্ঠান শিল্পকলা একাডেমিই সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘একাডেমির সব জেলার শাখায় এসব চলচ্চিত্রের ধারাবাহিক প্রদর্শন চলতে থাকবে, এটাই চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের আকাক্সক্ষা।’

‘শিল্পকলা একাডেমিতে চলচ্চিত্রবিষয়ক কার্যক্রমের বিষয়টি স্বাধীনতার পর থেকেই রয়েছে। ১৯৭৪ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠাকালের আইনে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পাঁচটি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে।

এই পাঁচটি বিভাগ ছিলÑ চারুকলা বিভাগ, নাট্যকলা বিভাগ, সংগীত ও নৃত্যকলা বিভাগ, চলচ্চিত্র (সিনেমাটোগ্রাফি) বিভাগ, গবেষণা ও প্রকাশনা বিভাগ। অর্থাৎ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির শুরু থেকেই পৃথক ‘চলচ্চিত্র বিভাগ’ ছিল। প্রতিষ্ঠার ১৫ বছর পর ১৯৮৯ সালে তৎকালীন সরকার ১৯৭৪ সালের বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন রহিত করে ‘বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন-১৯৮৯’ জারি করে।

১৯৮৯ সালের এই আইনে চলচ্চিত্র বিভাগ বাদ দেয়া হয় এবং এই আইনে চলচ্চিত্রকে বাদ দেয়ার বিরোধিতা করে চলচ্চিত্রকর্মীরা প্রতিবাদ জানান। তাদের প্রতিবাদের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পরিষদ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আইন ১৯৮৯ এর ৮ নম্বর ধারার ২ নম্বর উপধারার অধিকার বলে চলচ্চিত্রকে নাট্যকলা বিভাগের সঙ্গে যুক্ত করে ‘নাট্যকলা ও চলচ্চিত্রবিষয়ক বিভাগ’

গঠন করে চলচ্চিত্রবিষয়ক তৎপরতা পরিচালনা করে আসছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু থেকেই ‘চলচ্চিত্র’ তার অংশ হয়ে আছে। তাই ঐতিহ্য ও অধিকারের বিচারে আজকেও শিল্পকলা একাডেমি থেকে চলচ্চিত্রকে বিদায় করে দেয়ার সুযোগ নেই।’

back to top