আজ বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাট্যদল নাট্যপালা মঞ্চায়ন করবে বাদল সরকার রচিত ‘বাঘ’ নাটক। বাদল সরকার রচিত নাটক নির্বাচন, নির্মাণ, মঞ্চায়ন, প্রত্যাশা-প্রাপ্তী এবং আগামীর প্রযোজনা নিয়ে দৈনিক সংবাদের সেঙ্গে কথা বলেছেন নাটকটির নির্দেশক তোসাদ্দেক হোসাইন মান্না। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন সংবাদের বিনোদন প্রতিবেদক নায়িমী জান্নাত ব্যাপ্তি।
‘বাঘ’ নাটকের বিষয়বস্ত এবং নির্বাচন প্রসঙ্গে বলুন
বাদল সরকার বাঘ নাটক লিখেছেন ১৯৬৫ সালে, যা এখনো সমসাময়িক। আজকে সারা বিশ্ব একটি অস্থিরতা মধ্যে চলছে যেখানে শিশুর অভুক্ততা, যুদ্ধ, হিংসা, নারীর প্রতি অন্য দৃষ্টিতে তাকানো, শিক্ষা ব্যবস্থা সব কিছুই এই নাটকে আছে। আর বড় কথা এই সমাজে আমরা নিজেকে নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি, একা এই একাকিত্ব থেকে যুবসমাজ একধরনের মানসিক রোগী হয়ে যায় সেখানে একজন ভাল বন্ধু সেই একাকিত্ব থেকে তাকে বের করে আনতে পারে। এই নাটকে সেই বন্ধুত্বের কথা বলেছে। নাটকে সাথে আরো বলেছে নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গ। এই সবকারনেই এই নাটক নির্বাচন করি। আরও মজার বিষয় এই নাটকে অভিনয় শিল্পীর সংখ্যা মাত্র দুজন।
নাটকটির নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন
এই নাটক নির্মান করতে আমাকে খুব বেগ পেতে হয়েছে কারন আমরা নতুন সংগঠন। আর পাত্র পাত্রী যদি পরীক্ষিত না হয় এই নাটক চালানো খুব কষ্টকর। কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী কাজ শুরু করেও ব্যস্ততায় মাঝ পথে চলে গেছে যা আমাকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছিল। অবশেষে আমার কন্যাকে ৬ মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে এই নাটকের কাজ শুরু করি। সাথে অর্থ একটি ব্যাপার, আমার ঈদের বোনাস এবং বেতনের টাকা দিয়ে এই নাটকের প্রযোজনা চালু করি। সেই সাথে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি জুবাইয়ের জাহিদ, উর্মী কুমার, মোকলেস, তন্ময়, শিমুল, তানজিকুন, সাগরসহ আরও বেশ কিছু নাট্যকর্মী, তাদের প্রচেষ্টায় এই নাটকের যাত্রা শুরু হয়।
আপনি তো নাটক রচনা ও নির্দেশনার সূত্রে বেশ কয়েকটি দলের সাথে যুক্ত সে বিষয়ে বলেন।
আমি মূলত পথনাটক নিয়ে কাজ করি। আমার পথনাটকের পথপ্রদশক প্রয়াত মান্নান হীরা, তার অনুপ্রেরণায় বেশ কয়েকটি পথনাটক লিখি এবং একটি বই মুদ্রিত হয় "হাফ ডজন পথনাটক" নামে। তবে আমার যেহেতু নির্দেশনা দিতে আনন্দ লাগে সেই কারনে বেশ কয়েকটি পথনাটক ও একটি একক মঞ্চ নাটক নির্দেশনা দিয়েছিলাম। বাহিরের সংগঠনে কাজ করার সময় আমি নিজের সংগঠন মনে করেই কাজ করি তাই আমারা বেশ আনন্দের সাথে কাজটি করি।
মুনীর চৌধুরীর জন্মশতবর্ষে আপনারা নূতন কিছু করতে চলেছেন সে বিষয়ে বলেন।
আসলে নাট্যপালা’র আগামী পরিকল্পনা অনেক। বাদল সরকারের জন্মশত বর্ষ চলছে তাকে গিরে একটি একটি নাট্য উৎসব করার ইচ্ছে আছে। সেই সাথে আগামী বছর হবে বাংলা নাটকের আধুনিক নাট্যকার মুনীর চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ। তাই তাঁর জীবন আশ্রিত নাটক করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আমাদের সংগঠন।
থিয়েটারে আপনার আগামীর স্বপ্ন নিয়ে বলেন।
থিয়েটার আমার জীবনের অর্ধেক প্রান, বাকী অর্ধেক আমার পরিবার। তাই জীবনের সকল স্বপ্নেই থাকে থিয়েটার। আমার স্বপ্ন হচ্ছে দেশে যে কোন বিষয় নিয়ে, যে কোনো স্থানে প্রান খুলে থিয়েটার করতে পারা। প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে মঞ্চ হওয়া। প্রতিটি ওয়ার্ডে যেখানে একটি করে কমিউনিটি সেন্টার আছে সেখানেই এটি সম্ভব।
শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪
আজ বাংলাদেশ মহিলা সমিতির ড. নীলিমা ইব্রাহিম মিলনায়তনে নাট্যদল নাট্যপালা মঞ্চায়ন করবে বাদল সরকার রচিত ‘বাঘ’ নাটক। বাদল সরকার রচিত নাটক নির্বাচন, নির্মাণ, মঞ্চায়ন, প্রত্যাশা-প্রাপ্তী এবং আগামীর প্রযোজনা নিয়ে দৈনিক সংবাদের সেঙ্গে কথা বলেছেন নাটকটির নির্দেশক তোসাদ্দেক হোসাইন মান্না। সাক্ষাৎকারটি গ্রহণ করেছেন সংবাদের বিনোদন প্রতিবেদক নায়িমী জান্নাত ব্যাপ্তি।
‘বাঘ’ নাটকের বিষয়বস্ত এবং নির্বাচন প্রসঙ্গে বলুন
বাদল সরকার বাঘ নাটক লিখেছেন ১৯৬৫ সালে, যা এখনো সমসাময়িক। আজকে সারা বিশ্ব একটি অস্থিরতা মধ্যে চলছে যেখানে শিশুর অভুক্ততা, যুদ্ধ, হিংসা, নারীর প্রতি অন্য দৃষ্টিতে তাকানো, শিক্ষা ব্যবস্থা সব কিছুই এই নাটকে আছে। আর বড় কথা এই সমাজে আমরা নিজেকে নিয়ে খুব ব্যস্ত থাকি, একা এই একাকিত্ব থেকে যুবসমাজ একধরনের মানসিক রোগী হয়ে যায় সেখানে একজন ভাল বন্ধু সেই একাকিত্ব থেকে তাকে বের করে আনতে পারে। এই নাটকে সেই বন্ধুত্বের কথা বলেছে। নাটকে সাথে আরো বলেছে নারীর ক্ষমতায়নের প্রসঙ্গ। এই সবকারনেই এই নাটক নির্বাচন করি। আরও মজার বিষয় এই নাটকে অভিনয় শিল্পীর সংখ্যা মাত্র দুজন।
নাটকটির নির্মাণ প্রসঙ্গে বলেন
এই নাটক নির্মান করতে আমাকে খুব বেগ পেতে হয়েছে কারন আমরা নতুন সংগঠন। আর পাত্র পাত্রী যদি পরীক্ষিত না হয় এই নাটক চালানো খুব কষ্টকর। কিছু অভিনেতা-অভিনেত্রী কাজ শুরু করেও ব্যস্ততায় মাঝ পথে চলে গেছে যা আমাকে অনেক পিছিয়ে দিয়েছিল। অবশেষে আমার কন্যাকে ৬ মাস প্রশিক্ষণ দিয়ে এই নাটকের কাজ শুরু করি। সাথে অর্থ একটি ব্যাপার, আমার ঈদের বোনাস এবং বেতনের টাকা দিয়ে এই নাটকের প্রযোজনা চালু করি। সেই সাথে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি জুবাইয়ের জাহিদ, উর্মী কুমার, মোকলেস, তন্ময়, শিমুল, তানজিকুন, সাগরসহ আরও বেশ কিছু নাট্যকর্মী, তাদের প্রচেষ্টায় এই নাটকের যাত্রা শুরু হয়।
আপনি তো নাটক রচনা ও নির্দেশনার সূত্রে বেশ কয়েকটি দলের সাথে যুক্ত সে বিষয়ে বলেন।
আমি মূলত পথনাটক নিয়ে কাজ করি। আমার পথনাটকের পথপ্রদশক প্রয়াত মান্নান হীরা, তার অনুপ্রেরণায় বেশ কয়েকটি পথনাটক লিখি এবং একটি বই মুদ্রিত হয় "হাফ ডজন পথনাটক" নামে। তবে আমার যেহেতু নির্দেশনা দিতে আনন্দ লাগে সেই কারনে বেশ কয়েকটি পথনাটক ও একটি একক মঞ্চ নাটক নির্দেশনা দিয়েছিলাম। বাহিরের সংগঠনে কাজ করার সময় আমি নিজের সংগঠন মনে করেই কাজ করি তাই আমারা বেশ আনন্দের সাথে কাজটি করি।
মুনীর চৌধুরীর জন্মশতবর্ষে আপনারা নূতন কিছু করতে চলেছেন সে বিষয়ে বলেন।
আসলে নাট্যপালা’র আগামী পরিকল্পনা অনেক। বাদল সরকারের জন্মশত বর্ষ চলছে তাকে গিরে একটি একটি নাট্য উৎসব করার ইচ্ছে আছে। সেই সাথে আগামী বছর হবে বাংলা নাটকের আধুনিক নাট্যকার মুনীর চৌধুরীর জন্মশতবর্ষ। তাই তাঁর জীবন আশ্রিত নাটক করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে আমাদের সংগঠন।
থিয়েটারে আপনার আগামীর স্বপ্ন নিয়ে বলেন।
থিয়েটার আমার জীবনের অর্ধেক প্রান, বাকী অর্ধেক আমার পরিবার। তাই জীবনের সকল স্বপ্নেই থাকে থিয়েটার। আমার স্বপ্ন হচ্ছে দেশে যে কোন বিষয় নিয়ে, যে কোনো স্থানে প্রান খুলে থিয়েটার করতে পারা। প্রত্যেক ওয়ার্ডে একটি করে মঞ্চ হওয়া। প্রতিটি ওয়ার্ডে যেখানে একটি করে কমিউনিটি সেন্টার আছে সেখানেই এটি সম্ভব।