alt

বিনোদন

আট বিভাগীয় শহরে সিনেমা বানাবেন আট নির্মাতা

বিনোদন র্বাতা পরিবেশক : বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫

সংস্কৃতির বিকাশ ও বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষে বাংলাদেশের আটটি বিভাগীয় শহরে কর্মশালাভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে আটজন পরিচালক নির্বাচন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ৭ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

নির্বাচিত এই আটজন চলচ্চিত্রকার হলেন- অনম বিশ্বাস, হুমায়রা বিলকিস, নুহাশ হুমায়ূন, শঙ্খ দাশগুপ্ত, শাহীন দিল রিয়াজ, রবিউল আলম রবি, তাসমিয়াহ আফরিন মৌ ও মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম। জানা যায়, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সৃজনশীল তরুণ প্রজন্ম যুক্ত হবে। সেইসাথে দেশের বরেণ্য ও মেধাবী চলচ্চিত্রকারদের পরিচালিত কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবে।

নবীন ও প্রশিক্ষিত চলচ্চিত্রকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচিত এই আট চলচ্চিত্রকার, আটটি বিভাগীয় শহর থেকে এ বছর আটটি মাঝারি দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন। ডিসেম্বর মাসে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়। সার্চ কমিটি গত দুই মাসে তিনটি অফলাইন এবং একাধিক অনলাইন সভায় মিলিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা ১৬ জনের একটি তালিকা করেন।

এরপর নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ব্যস্ততা, আগ্রহ, জেন্ডার, কাজের ধরণ এবং অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে আটজনকে চূড়ান্ত করেন। এই আটজন চলচ্চিত্রকার ২০২৫ সালে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মাশালা পরিচালনা ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন। সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বালেন, ‘এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দুটি লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে।

এক, শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের আগ্রহী তরুণ জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ তৈরি করা। তাদের কর্মদক্ষতা তৈরি ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া। দুই, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে সরাসরি কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষকদের সঙ্গেই চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণদের অংশ নেওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব কর্মাশালা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য কোনো ছক বেঁধে দেওয়া হয়নি। এতে করে শিল্পীরা তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি ও সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে সমর্থ হবেন এবং শৈল্পিক, রাজনীতিমনস্ক, বৈপ্লবিক এবং তারুণ্যদীপ্ত শিল্পভাষা তৈরি করতে আরও স্বচ্ছন্দ হবেন। বিশেষকরে যে দীর্ঘ দুঃসময় ও রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লব পার হয়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে নিশ্বাস ফেলছে, তার একটি শৈল্পিক ভাষা এসব চলচ্চিত্রে দেখতে পাবো বলে আমরা আশা করছি।’

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এসব কর্মশালা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়া ঢাকার বাইরের একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে এই শিল্প প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করবে এবং এই বিপ্লবোত্তর সময়ে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিল্পসংস্কৃতির একটি নতুন ভাষ্যের সন্ধান দেবে। এই উদ্যোগ চলমান থাকবে এবং দেশের বরেণ্য চলচ্চিত্রকারদের আরও অনেকেই পরবর্তী বছরগুলোতে এটার সঙ্গে যুক্ত হবেন।

ছবি

মুক্তি পাচ্ছে কঙ্গনার ‘এমার্জেন্সি’

ছবি

অস্কারে প্রথম বাংলা সিনেমা ‘পুতুল’

ছবি

আসছে চলচ্চিত্র পরিচালকদের নির্বাচন

ছবি

মোশাররফ, মমকে নিয়ে ভিকির ভিন্ন গল্প

ছবি

কোরিয়ান ড্রামায় যুক্ত হলেন মিথিলা

ছবি

স্ত্রীর ব্যক্তিগত ছবি শেয়ার করে বিতর্কে কানইয়ে ওয়েস্ট

ছবি

শুরু হচ্ছে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব

ছবি

মিতুর কণ্ঠে নতুন গান

ছবি

আসছে নাজনীন হাসান খানের পরিচালনায় তিন নাটক

ছবি

শফি মণ্ডলের ‘ঠিকানা’

ছবি

প্রথমবার ওটিটিতে সুমাইয়া শিমু

ছবি

মাকে নিয়ে গাইলেন কাজী শুভ

ছবি

আসছে তাহসানের নতুন গান

ছবি

জুটি বাঁধছেন আয়ুষ্মান-রাশমিকা

ছবি

এবার পর্দায় দেখা মিলবে তুষির

ছবি

প্রকাশ পেয়েছে চন্দ্রবিন্দুর ‘টালোবাসা’

ছবি

হলিউডে পুরস্কার উৎসব

ছবি

মুক্তি পেতে যাচ্ছে বায়োপিক ‘ফুল’

ছবি

ইয়াশ-তটিনী জুটির ‘কাছাকাছি দুইজন’

ছবি

চলে গেলেন অভিনেতা প্রবীর মিত্র

ছবি

একসঙ্গে মোশাররফ করিম, অর্ষা ও স্বর্ণলতা

ছবি

বিয়ে করলেন তাহসান

ছবি

রুনা খান অভিনীত ‘নীলপদ্ম’

ছবি

সংগ্রামের গল্প নিয়ে আসছেন মোশাররফ-পার্নো

ছবি

নতুন বছরে শিল্পকলায় মাসব্যাপী ‘তারুণ্যের উৎসব’

ছবি

আজ জেনেসিস থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নূর হোসেন রানার জন্মদিন

ছবি

ফারুকীর ‘৮৪০’ হয়ে গেলো টিভি সিরিজ

ছবি

আসছে এলার্ট বাংলাদেশ’র ‘নারী’ ও ‘ডানপিটে ছেলে’

ছবি

নিলয়-হিমির ‘পাগলের সুখ মনে মনে’

ছবি

একসঙ্গে আসিফ আকবর ও ইমরান মাহমুদুল

ছবি

অভিনয়ে ফিরছেন রিচি

ছবি

আদর-দীঘিকে নিয়ে ‘টগর’

ছবি

এবার মুক্তি পাবে ‘রিকশা গার্ল’

ছবি

নতুন বছরে প্রেক্ষাগৃহে ‘মধ্যবিত্ত’

ছবি

২০২৫’র শুরুতে ওটিটিতে যা থাকবে

ছবি

আসছে নাটক ‘প্রেমেতে বাঁধিবো’

tab

বিনোদন

আট বিভাগীয় শহরে সিনেমা বানাবেন আট নির্মাতা

বিনোদন র্বাতা পরিবেশক

বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারী ২০২৫

সংস্কৃতির বিকাশ ও বিকেন্দ্রীকরণের লক্ষে বাংলাদেশের আটটি বিভাগীয় শহরে কর্মশালাভিত্তিক চলচ্চিত্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে আটজন পরিচালক নির্বাচন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। ৭ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

নির্বাচিত এই আটজন চলচ্চিত্রকার হলেন- অনম বিশ্বাস, হুমায়রা বিলকিস, নুহাশ হুমায়ূন, শঙ্খ দাশগুপ্ত, শাহীন দিল রিয়াজ, রবিউল আলম রবি, তাসমিয়াহ আফরিন মৌ ও মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম। জানা যায়, এই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের সৃজনশীল তরুণ প্রজন্ম যুক্ত হবে। সেইসাথে দেশের বরেণ্য ও মেধাবী চলচ্চিত্রকারদের পরিচালিত কর্মশালায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে চলচ্চিত্র নির্মাণ বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করবে।

নবীন ও প্রশিক্ষিত চলচ্চিত্রকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচিত এই আট চলচ্চিত্রকার, আটটি বিভাগীয় শহর থেকে এ বছর আটটি মাঝারি দৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন। ডিসেম্বর মাসে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে একটি সার্চ কমিটি গঠিত হয়। সার্চ কমিটি গত দুই মাসে তিনটি অফলাইন এবং একাধিক অনলাইন সভায় মিলিত হয়। প্রাথমিক পর্যায়ে তারা ১৬ জনের একটি তালিকা করেন।

এরপর নির্মাতাদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ব্যস্ততা, আগ্রহ, জেন্ডার, কাজের ধরণ এবং অভিজ্ঞতা বিবেচনায় নিয়ে আটজনকে চূড়ান্ত করেন। এই আটজন চলচ্চিত্রকার ২০২৫ সালে দেশের আটটি বিভাগীয় শহরে চলচ্চিত্র বিষয়ক কর্মাশালা পরিচালনা ও চলচ্চিত্র নির্মাণ করবেন। সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী বালেন, ‘এই উদ্যোগের মাধ্যমে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় দুটি লক্ষ্য অর্জন করতে চাইছে।

এক, শিল্পের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শাখা চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে ঢাকা ও ঢাকার বাইরের আগ্রহী তরুণ জনগোষ্ঠীর যোগাযোগ তৈরি করা। তাদের কর্মদক্ষতা তৈরি ও প্রতিভা বিকাশের সুযোগ করে দেওয়া। দুই, প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান ও দক্ষতাকে সরাসরি কাজে লাগানোর জন্য প্রশিক্ষকদের সঙ্গেই চলচ্চিত্র নির্মাণে তরুণদের অংশ নেওয়া।’

তিনি আরও বলেন, ‘এসব কর্মাশালা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্য কোনো ছক বেঁধে দেওয়া হয়নি। এতে করে শিল্পীরা তাদের নিজস্ব কর্মপদ্ধতি ও সৃজনশীলতার সর্বোচ্চ প্রয়োগ ঘটাতে সমর্থ হবেন এবং শৈল্পিক, রাজনীতিমনস্ক, বৈপ্লবিক এবং তারুণ্যদীপ্ত শিল্পভাষা তৈরি করতে আরও স্বচ্ছন্দ হবেন। বিশেষকরে যে দীর্ঘ দুঃসময় ও রক্তস্নাত জুলাই বিপ্লব পার হয়ে বাংলাদেশের মানুষ এখন স্বাধীনভাবে নিশ্বাস ফেলছে, তার একটি শৈল্পিক ভাষা এসব চলচ্চিত্রে দেখতে পাবো বলে আমরা আশা করছি।’

মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, এসব কর্মশালা এবং চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রক্রিয়া ঢাকার বাইরের একটা বৃহৎ জনগোষ্ঠীকে এই শিল্প প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত করবে এবং এই বিপ্লবোত্তর সময়ে চলচ্চিত্রের মাধ্যমে শিল্পসংস্কৃতির একটি নতুন ভাষ্যের সন্ধান দেবে। এই উদ্যোগ চলমান থাকবে এবং দেশের বরেণ্য চলচ্চিত্রকারদের আরও অনেকেই পরবর্তী বছরগুলোতে এটার সঙ্গে যুক্ত হবেন।

back to top