সংগীতশিল্পী পাভেল আরীনের লিভিং রুম সেশন প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। চিরকুট ব্যান্ডের এই সদস্যের উদ্যেগে প্রথম সিজনে ছিল ৯ গান। আবার নতুন সিজন শুরু করেছেন তিনি। গত বছর এই আয়োজনের মাঝামাঝিতে পাভেল বলেছিলেন, স্বপ্ন দেখেন বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের গানকে নিয়ে যাওয়ার। তা শতভাগ সম্ভব মনে করেন তিনি, প্রয়োজন শুধু লক্ষ্য ঠিক থাকা এবং কাজের প্রতি সৎ থাকা। ঠিক ১০ মাস পার হতেই পাভেল জানালেন, লিভিং রুম সেশন দ্বিতীয় সিজন শুরু করছেন।
এই প্ল্যাটফর্মে গাইবেন চার দেশের শিল্পীরা। ১২ গান দিয়ে সাজানো এই আয়োজনে বাজাবেন ১৫ দেশের যন্ত্রশিল্পীরা। লিভিং রুম সেশন দ্বিতীয় সিজনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম গত শনিবার শুরু হয়েছে লন্ডনে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের দ্য আইভি টাওয়ার ব্রিজে নতুন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে পাভেল আরীন, ইমতিয়াজ আলী ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান রাহাত আমিন, নির্বাহী পরিচালক শাহ ফরহাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাভেল জানালেন, আনুষ্ঠানিক পথচলা চুক্তি স্বাক্ষরে হলেও কাজটা তিনি আরও আগেই শুরু করেছেন। চার দেশের শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও হয়েছে। যাঁরা শিল্পীদের সঙ্গে সঙ্গত করবেন, তাঁদের সঙ্গেও আলাপ–আলোচনা চূড়ান্ত। ‘রেকর্ডিং শুরুর পর আমরা শিল্পীর তালিকা প্রকাশ করব। এবার স্বপ্নটা সত্যিই বড় করে দেখেছি। আশা করি সেই স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারব।
পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান আমাকে সেভাবেই আশ্বস্তও করেছেন।’ বললেন পাভেল।
‘লিভিং রুম সেশন’ প্রসঙ্গে পাভেল জানালেন, এমন একটি অনুষ্ঠানের স্বপ্ন তিনি প্রথম দেখেছিলেন ১৪ বছর আগে। তাঁর ভাষ্যে, ২০১০ সালের দিকের ঘটনা, ইউটিউবে ‘এওএল সেশনস’ দেখি। মুগ্ধ হই। অবাকও হই। পরে এমটিভি আনপ্লাগড দেখতাম, সেখানে পছন্দের মিউজিশিয়ানের গান শুনতাম। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল এ রকম অভিনব কিছু একটা করার। অল্প বয়সে স্বপ্ন আঁকতে থাকি, আমার মিউজিক দিয়ে নতুন কিছু যায় কি না।
এরপর অনেক বৈচিত্র্যময় কাজ করেছি। চ্যানেল নাইনে ‘জেনএক্স’ নামে একটি অনুষ্ঠান করেছি। ভারতের প্রেসিডেন্ট হাউসে আমরা চিরকুট যখন গাইতে গেলাম, তখন পাকিস্তানি মিউজিশয়ানের সঙ্গে দেখা হয়। মিউজিক নিয়ে আলাপ হয়। অনেকের কাছ থেকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত হই।
আত্মবিশ্বাসও বাড়তে থাকে। তিন বছর আগে এমন একটি অনুষ্ঠান বানানো শুরু করি। এবার সেটিরই দ্বিতীয় সিজন করছি। পাভেল আরীন বলেন, ‘সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মাধ্যমে ভালোবাসা, শান্তি ও ঐক্যের প্রচার করে বাংলা সংগীতকে বৈশ্বিক দরবারে তুলে ধরার স্বপ্ন নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ করা। আমি বিশ্বাস করি, বাংলা সংগীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে এই আয়োজন, বিশ্বব্যাপী সবাইকে একত্র করতেও পারব।’
বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫
সংগীতশিল্পী পাভেল আরীনের লিভিং রুম সেশন প্রথম সিজন শেষ হয়েছে। চিরকুট ব্যান্ডের এই সদস্যের উদ্যেগে প্রথম সিজনে ছিল ৯ গান। আবার নতুন সিজন শুরু করেছেন তিনি। গত বছর এই আয়োজনের মাঝামাঝিতে পাভেল বলেছিলেন, স্বপ্ন দেখেন বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের গানকে নিয়ে যাওয়ার। তা শতভাগ সম্ভব মনে করেন তিনি, প্রয়োজন শুধু লক্ষ্য ঠিক থাকা এবং কাজের প্রতি সৎ থাকা। ঠিক ১০ মাস পার হতেই পাভেল জানালেন, লিভিং রুম সেশন দ্বিতীয় সিজন শুরু করছেন।
এই প্ল্যাটফর্মে গাইবেন চার দেশের শিল্পীরা। ১২ গান দিয়ে সাজানো এই আয়োজনে বাজাবেন ১৫ দেশের যন্ত্রশিল্পীরা। লিভিং রুম সেশন দ্বিতীয় সিজনের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম গত শনিবার শুরু হয়েছে লন্ডনে। যুক্তরাজ্যের লন্ডনের দ্য আইভি টাওয়ার ব্রিজে নতুন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর হয়। এতে পাভেল আরীন, ইমতিয়াজ আলী ও পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান রাহাত আমিন, নির্বাহী পরিচালক শাহ ফরহাদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
পাভেল জানালেন, আনুষ্ঠানিক পথচলা চুক্তি স্বাক্ষরে হলেও কাজটা তিনি আরও আগেই শুরু করেছেন। চার দেশের শিল্পীদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও হয়েছে। যাঁরা শিল্পীদের সঙ্গে সঙ্গত করবেন, তাঁদের সঙ্গেও আলাপ–আলোচনা চূড়ান্ত। ‘রেকর্ডিং শুরুর পর আমরা শিল্পীর তালিকা প্রকাশ করব। এবার স্বপ্নটা সত্যিই বড় করে দেখেছি। আশা করি সেই স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছাতে পারব।
পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান আমাকে সেভাবেই আশ্বস্তও করেছেন।’ বললেন পাভেল।
‘লিভিং রুম সেশন’ প্রসঙ্গে পাভেল জানালেন, এমন একটি অনুষ্ঠানের স্বপ্ন তিনি প্রথম দেখেছিলেন ১৪ বছর আগে। তাঁর ভাষ্যে, ২০১০ সালের দিকের ঘটনা, ইউটিউবে ‘এওএল সেশনস’ দেখি। মুগ্ধ হই। অবাকও হই। পরে এমটিভি আনপ্লাগড দেখতাম, সেখানে পছন্দের মিউজিশিয়ানের গান শুনতাম। তখন থেকেই ইচ্ছা ছিল এ রকম অভিনব কিছু একটা করার। অল্প বয়সে স্বপ্ন আঁকতে থাকি, আমার মিউজিক দিয়ে নতুন কিছু যায় কি না।
এরপর অনেক বৈচিত্র্যময় কাজ করেছি। চ্যানেল নাইনে ‘জেনএক্স’ নামে একটি অনুষ্ঠান করেছি। ভারতের প্রেসিডেন্ট হাউসে আমরা চিরকুট যখন গাইতে গেলাম, তখন পাকিস্তানি মিউজিশয়ানের সঙ্গে দেখা হয়। মিউজিক নিয়ে আলাপ হয়। অনেকের কাছ থেকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত হই।
আত্মবিশ্বাসও বাড়তে থাকে। তিন বছর আগে এমন একটি অনুষ্ঠান বানানো শুরু করি। এবার সেটিরই দ্বিতীয় সিজন করছি। পাভেল আরীন বলেন, ‘সাংস্কৃতিক সহযোগিতার মাধ্যমে ভালোবাসা, শান্তি ও ঐক্যের প্রচার করে বাংলা সংগীতকে বৈশ্বিক দরবারে তুলে ধরার স্বপ্ন নিয়ে এই প্রকল্পের কাজ করা। আমি বিশ্বাস করি, বাংলা সংগীতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে এই আয়োজন, বিশ্বব্যাপী সবাইকে একত্র করতেও পারব।’