চলে গেছেন সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘ রোগভোগের পর শনিবার ভোরে তার গানের মতই ‘অচেনা সাগরে ডিঙ্গা ভাসালেন’ এই শিল্পী। তার বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর। খবর কোলকাতার সংবাদমাধ্যমের।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রতুল মারা যান বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম।
এ বছরের শুরু থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তখন থেকেই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে প্রতুল মুখার্জির শরীরে একটি অস্ত্রোপচার হয়। এরপর তার হার্ট অ্যাটাকও হয় এবং তিনি আক্রান্ত হন নিউমোনিয়াতেও।
কোলকাতার সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ছোট থেকেই গান লিখে তাতে সুর দিয়ে গাওয়ার ঝোঁক ছিল প্রতুলের। গায়ক হিসেবে তাকে পাদপ্রদীপের আলোয় আনে তার গান ‘আমি বাংলায় গান গাই’। শিল্পীর বহু গানের মধ্যে ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’; ‘চার্লি চ্যাপলিন’ অন্যতম জনপ্রিয় গান। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ ছবির নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রতুলের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১১ সাালের মার্চে। অ্যালবামটির নাম ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এই গানেই প্রতুল বেশি মিশে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের গান পালদের মাঝে।
বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় ১৯৪২ সালের ২৫ জুন জন্ম প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের। বাবা প্রভাতচন্দ্র ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক, মা বাণী মুখোপাধ্যায় গৃহবধূ। দেশভাগের পর পরিবারের সঙ্গে চলে যান পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়।
মাত্র ১২ বছর বয়সে কবি মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতাটিতে সুরারোপ করে বন্ধুদের চমকে দিয়েছিলেন প্রতুল। পাশাপাশি নিজেও লিখতে থাকেন ছড়া, গানের লিরিক। চাকরি করেছেন আর পাঁচজন মধ্যবিত্ত গেরস্তের মতোই। রাজনৈতিক বিশ্বাসে ছিলেন সমাজতন্ত্রের শরিক।
মঞ্চে গাওয়ার সময়ে (মঞ্চের বাইরেও হাটে-মাঠে-ঘাটে) কোনও যন্ত্রীকে সঙ্গে নিতেন না। কখনও নিজের গাল কখনও বা বুক বাজিয়ে, তুড়ি দিয়ে, হাততালি দিয়ে গাইতেন নিজের বাঁধা গান।
প্রতুলের প্রথম অ্যালবাম ‘যেতে হবে’ প্রকাশ হয় ১৯৯৪ সালে। মঞ্চে প্রতুল যন্ত্রানুষঙ্গ বর্জন করলেও এই অ্যালবামে করেননি। তবে যন্ত্র ছিলো তার গানের পিছনে বহুদূরের দিগন্তরেখার মতো। গানই ছিলো সেখানে মুখ্য।
তার গানের অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’, ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’, ‘যেতে হবে’, ‘ওঠো হে’, ‘কুট্টুস কাট্টুস’, ‘তোমাকে দেখেছিলাম’, ‘স্বপনপুরে’, ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’, ‘হযবরল’, ‘দুই কানুর উপাখ্যান’, ‘আঁধার নামে’।
শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
চলে গেছেন সঙ্গীতশিল্পী প্রতুল মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘ রোগভোগের পর শনিবার ভোরে তার গানের মতই ‘অচেনা সাগরে ডিঙ্গা ভাসালেন’ এই শিল্পী। তার বয়স হয়েছিলো ৮৩ বছর। খবর কোলকাতার সংবাদমাধ্যমের।
শনিবার সকাল ১০টার দিকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রতুল মারা যান বলে জানিয়েছে পশ্চিমবঙ্গের সংবাদ মাধ্যম।
এ বছরের শুরু থেকেই অসুস্থ ছিলেন। তখন থেকেই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এর মধ্যে প্রতুল মুখার্জির শরীরে একটি অস্ত্রোপচার হয়। এরপর তার হার্ট অ্যাটাকও হয় এবং তিনি আক্রান্ত হন নিউমোনিয়াতেও।
কোলকাতার সংবাদমাধ্যমে বলা হচ্ছে, ছোট থেকেই গান লিখে তাতে সুর দিয়ে গাওয়ার ঝোঁক ছিল প্রতুলের। গায়ক হিসেবে তাকে পাদপ্রদীপের আলোয় আনে তার গান ‘আমি বাংলায় গান গাই’। শিল্পীর বহু গানের মধ্যে ‘ডিঙ্গা ভাসাও সাগরে সাথী রে’; ‘চার্লি চ্যাপলিন’ অন্যতম জনপ্রিয় গান। সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি ‘গোঁসাইবাগানের ভূত’ ছবির নেপথ্য কণ্ঠশিল্পী ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন থেকে প্রতুলের একটি অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ২০১১ সাালের মার্চে। অ্যালবামটির নাম ‘আমি বাংলায় গান গাই’। এই গানেই প্রতুল বেশি মিশে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের গান পালদের মাঝে।
বাংলাদেশের বরিশাল জেলায় ১৯৪২ সালের ২৫ জুন জন্ম প্রতুল মুখোপাধ্যায়ের। বাবা প্রভাতচন্দ্র ছিলেন সরকারি স্কুলের শিক্ষক, মা বাণী মুখোপাধ্যায় গৃহবধূ। দেশভাগের পর পরিবারের সঙ্গে চলে যান পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার চুঁচুড়ায়।
মাত্র ১২ বছর বয়সে কবি মঙ্গলাচরণ চট্টোপাধ্যায়ের ‘আমি ধান কাটার গান গাই’ কবিতাটিতে সুরারোপ করে বন্ধুদের চমকে দিয়েছিলেন প্রতুল। পাশাপাশি নিজেও লিখতে থাকেন ছড়া, গানের লিরিক। চাকরি করেছেন আর পাঁচজন মধ্যবিত্ত গেরস্তের মতোই। রাজনৈতিক বিশ্বাসে ছিলেন সমাজতন্ত্রের শরিক।
মঞ্চে গাওয়ার সময়ে (মঞ্চের বাইরেও হাটে-মাঠে-ঘাটে) কোনও যন্ত্রীকে সঙ্গে নিতেন না। কখনও নিজের গাল কখনও বা বুক বাজিয়ে, তুড়ি দিয়ে, হাততালি দিয়ে গাইতেন নিজের বাঁধা গান।
প্রতুলের প্রথম অ্যালবাম ‘যেতে হবে’ প্রকাশ হয় ১৯৯৪ সালে। মঞ্চে প্রতুল যন্ত্রানুষঙ্গ বর্জন করলেও এই অ্যালবামে করেননি। তবে যন্ত্র ছিলো তার গানের পিছনে বহুদূরের দিগন্তরেখার মতো। গানই ছিলো সেখানে মুখ্য।
তার গানের অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘পাথরে পাথরে নাচে আগুন’, ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’, ‘যেতে হবে’, ‘ওঠো হে’, ‘কুট্টুস কাট্টুস’, ‘তোমাকে দেখেছিলাম’, ‘স্বপনপুরে’, ‘অনেক নতুন বন্ধু হোক’, ‘হযবরল’, ‘দুই কানুর উপাখ্যান’, ‘আঁধার নামে’।