প্রতি বছরের মতো এবারও সরকারি অনুদানের জন্য পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব আহ্বান করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। যাতে দেখা যাচ্ছে অতীতের চেয়ে এবার পূর্ণদৈর্ঘ্যরে সংখ্যা কমছে, বাড়ানো হচ্ছে স্বল্পদৈর্ঘ্য। তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১২টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ২০টি সিনেমাকে অনুদান দেয়া হবে। সব মিলিয়ে মোট ৩২টি চলচ্চিত্রকে অনুদান দেয়ার কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা হতে হবে কমপক্ষে ৭০ মিনিট এবং স্বল্পদৈর্ঘ্যরে ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩০ মিনিট। প্রযোজক, পরিচালক ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন ১৪টি শর্তসাপেক্ষে। তবে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাতাদের জন্য এটা একটা বিশাল সুযোগ। এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বল্পদৈর্ঘ্যরে জন্য অনুদান দেবে সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাকে অনুদান দেয়া হয়। অন্যদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্যরে জন্য অনুদান দেবে সরকারÑ যা আগের বছরের তুলনায় কমছে পূর্ণদৈর্ঘ্য আর তিনগুন বাড়ছে স্বল্পদৈর্ঘ্যরে সংখ্যা। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন শুধু দেশীয় নির্মাতা ও প্রযোজকেরা। প্রযোজক, পরিচালক, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পেশাদাররাই গল্প জমা দিতে পারবেন। এমনকি একই সঙ্গে আলাদা প্রস্তাবে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে। তবে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার ক্ষেত্রে অনুদানপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার ক্ষেত্রে সার্টিফিকেশন সনদ গ্রহণ ব্যতীত কোনো প্রযোজক পুনরায় আবেদন করার যোগ্য হবেন না। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগ্রহীদের চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য ও অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আগামী ৭ এপ্রিল বিকেল ৪টার মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।
নির্মাণের সার্বিক পরিকল্পনা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের তালিকাসহ প্রতিটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবের ১২টি কপি জমা দিতে হবে। বলা প্রয়োজন, অনুদান প্রদানের পরও সরকার যেকোনো নতুন শর্তারোপ করতে পারবে। চলচ্চিত্রশিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে প্রতি বছর সরকার অনুদান দিয়ে থাকে। মজার তথ্য, (২৩-২৪ অর্থবছর) প্রজ্ঞাপনে ১০টি পূর্ণদের্ঘ্য ও ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য অনুদানের আহ্বান জানানো হলেও শেষে অনুদান দেয়া হয় ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং মাত্র ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাকে। অনুদান কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রে জানা গেছে, এটি নির্ভর করছে সিনেমা জমা পড়া ও পলিটিক্যাল প্রেসারের ওপর। ফলে কোনোবারই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত সংখ্যা চূড়ান্ত ফলাফলের সময় ঠিক রাখা সম্ভব হয় না।
সোমবার, ০৩ মার্চ ২০২৫
প্রতি বছরের মতো এবারও সরকারি অনুদানের জন্য পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাব আহ্বান করেছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়। যাতে দেখা যাচ্ছে অতীতের চেয়ে এবার পূর্ণদৈর্ঘ্যরে সংখ্যা কমছে, বাড়ানো হচ্ছে স্বল্পদৈর্ঘ্য। তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে পূর্ণদৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ১২টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য সর্বোচ্চ ২০টি সিনেমাকে অনুদান দেয়া হবে। সব মিলিয়ে মোট ৩২টি চলচ্চিত্রকে অনুদান দেয়ার কথা জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। এক্ষেত্রে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা হতে হবে কমপক্ষে ৭০ মিনিট এবং স্বল্পদৈর্ঘ্যরে ক্ষেত্রে কমপক্ষে ৩০ মিনিট। প্রযোজক, পরিচালক ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন ১৪টি শর্তসাপেক্ষে। তবে স্বল্পদৈর্ঘ্য নির্মাতাদের জন্য এটা একটা বিশাল সুযোগ। এবার সর্বোচ্চ সংখ্যক স্বল্পদৈর্ঘ্যরে জন্য অনুদান দেবে সরকার। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাকে অনুদান দেয়া হয়। অন্যদিকে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ১২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং ২০টি স্বল্পদৈর্ঘ্যরে জন্য অনুদান দেবে সরকারÑ যা আগের বছরের তুলনায় কমছে পূর্ণদৈর্ঘ্য আর তিনগুন বাড়ছে স্বল্পদৈর্ঘ্যরে সংখ্যা। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, অনুদানের জন্য আবেদন করতে পারবেন শুধু দেশীয় নির্মাতা ও প্রযোজকেরা। প্রযোজক, পরিচালক, চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ে পেশাদাররাই গল্প জমা দিতে পারবেন। এমনকি একই সঙ্গে আলাদা প্রস্তাবে পূর্ণদৈর্ঘ্য ও স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য কোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান আবেদন করতে পারবে। তবে পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার ক্ষেত্রে অনুদানপ্রাপ্ত প্রথম সিনেমা মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত এবং স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার ক্ষেত্রে সার্টিফিকেশন সনদ গ্রহণ ব্যতীত কোনো প্রযোজক পুনরায় আবেদন করার যোগ্য হবেন না। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আগ্রহীদের চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য ও অভিনয়শিল্পীদের নামসহ পূর্ণাঙ্গ প্যাকেজ আগামী ৭ এপ্রিল বিকেল ৪টার মধ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দিতে হবে।
নির্মাণের সার্বিক পরিকল্পনা, শিল্পী ও কলাকুশলীদের তালিকাসহ প্রতিটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তাবের ১২টি কপি জমা দিতে হবে। বলা প্রয়োজন, অনুদান প্রদানের পরও সরকার যেকোনো নতুন শর্তারোপ করতে পারবে। চলচ্চিত্রশিল্পে মেধা ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করতে এবং বাংলাদেশের আবহমান সংস্কৃতি সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে প্রতি বছর সরকার অনুদান দিয়ে থাকে। মজার তথ্য, (২৩-২৪ অর্থবছর) প্রজ্ঞাপনে ১০টি পূর্ণদের্ঘ্য ও ১০টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য অনুদানের আহ্বান জানানো হলেও শেষে অনুদান দেয়া হয় ২০টি পূর্ণদৈর্ঘ্য এবং মাত্র ৬টি স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমাকে। অনুদান কমিটির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্রে জানা গেছে, এটি নির্ভর করছে সিনেমা জমা পড়া ও পলিটিক্যাল প্রেসারের ওপর। ফলে কোনোবারই প্রজ্ঞাপনে উল্লেখিত সংখ্যা চূড়ান্ত ফলাফলের সময় ঠিক রাখা সম্ভব হয় না।