যুক্তরাষ্ট্রের অস্কারজয়ী অভিনেতা জিন হ্যাকম্যানের মৃত্যু হয়েছে তার স্ত্রী বেটসি আরাকাওয়ারের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর। সাতদিনের বেশি সময় নিয়ে তদন্তের পর যু্ক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর মেডিকেল তদন্ত কর্মকর্তারা হ্যাকমান ও স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ ও দিনক্ষণ নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন।
বিবিসি লিখেছে, নতুন তথ্য অনুযায়ী নিউ মেক্সিকোর সান্তা ফের বাসায় ৯৫ বছর বয়সী হ্যাকমান মারা গেছেন হৃদরোগে (করোনারি আর্টারি ডিজিজ) আক্রান্ত হয়ে; আর তার স্ত্রী মারা গেছেন বিরল হান্টাভাইরাস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
হৃদরোগ ছাড়াও হ্যাকম্যানের মৃত্যুর কারণের মধ্যে ‘অ্যালঝাইমার’ এবং পেটে খাবার না থাকার বিষয়টিকেও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে। আর হ্যাকমানের স্ত্রী ৬৫ বছর বয়সী আরাকাওয়ার মারা গেছেন হান্টাভাইরাস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে; যা সংক্রমিত হয় ইঁদুরের মল থেকে। তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, আরাকাওয়ারের মৃত্যু হয়েছে তার স্বামীর মারা যাওয়ার অন্তত সাতদিন আগে।
নিউ মেক্সিকোর মেডিকেল ইনভেস্টিগের অফিসের চিকিৎসক হিদার জ্যারেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “মিসেস আরাকাওয়ার সম্ভবত প্রথমে ১১ ফেব্রুয়ারি মারা যান। এটা যুক্তিসঙ্গতভাবে বলা যায় যে হ্যাকম্যান মারা গেছেন ১৮ ফেব্রুয়ারি।”
গত ২৬ ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকম্যান ও আরাকাওয়ার মরদেহ এবং তাদের একটি কুকুরের লাশ উদ্ধার করা হয় নিউ মেক্সিকোর হাইড পার্কের ওল্ড সানসেট ট্রেইলের সান্তা ফের বাসা থেকে। ছয় দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে দুটি অস্কার, দুটি বাফটা, চারটি গোল্ডেন গ্লোব এবং একটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন হ্যাকম্যান।
‘দ্য ফ্রেঞ্চ কানেকশন’, ‘সুপারম্যান’, ‘দ্য রয়্যাল টেনেনবাউমস’ এবং ‘আনফরগিভেন’ সিনেমার জন্য ভক্তরা তাকে অনেক দিন মনে রাখবে। এর আগে কর্তৃপক্ষ বলছিল দুই মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে মৃত্যুকে ‘পর্যাপ্ত সন্দেহজনক’ বিবেচনায় নিয়ে কর্মকর্তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে হ্যাকমান নাকি তার স্ত্রী আরাকাওয়া আগে মারা গেছেন সেটি তখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
মেডিকেল ইনভেস্টিগেটর অফিসের চিকিৎসক হিদার জ্যারেল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মিসেস আরাকাওয়ার গতিবিধির সর্বশেষ তথ্য তারা জানতে পেরেছেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি দিনের বেলা আরাকাওয়ার মুদি দোকান, ফার্মেসি এবং পোষ্যদের দোকানে যাতায়াত করেছেন, তারপর তিনি সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন।
সেদিন থেকে আরাকাওয়া ইমেইলের উত্তর দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে এই দম্পতির মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড এখনও বিশ্লেষণ করা হয়নি। চিকিৎসক হিদার জ্যারেল সাংবাদিকদের বলেন, হ্যাকম্যান যেহেতু ‘অ্যালঝাইমারকে’ রোগে আক্রান্ত ছিলেন খুব সম্ভবত তিনি বুঝতে পারেননি যে তার স্ত্রী মারা গেছেন। তিনি তার স্বাভাবিক কাজকর্ম করা ক্ষমতা সম্পর্কেও তিনি অবগত ছিলেন না। অভিনেতার হৃদরোগ গুরুতর পর্যায়ে ছিল এবং শেষ পর্যন্ত এটিই তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া দিনি দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে মৃত্যুর আগে কয়েকদিন তিনি কিছু খাননি। তবে তার শরীরে পানিশূন্যতার কোনো লক্ষণ দেখা যাননি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে নিউ মেক্সিকো পাবলিক হেলথ ভেটেরিনারিয়ান এরিন ফিপস বলেন, হান্টাভাইরাসের সংক্রমণ আসলে বিরল। এটি ইঁদুরের বিষ্ঠা এবং লালার মাধ্যমে সংক্রমিত হয় এবং দূষিত ধূলো এবং শ্বাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরের প্রবেশ করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংক্রমিত হন।
গত ৫০ বছরের ইতিহাসে এই রাজ্যে ১৩৬ জনের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য আছে। যাদের মধ্যে মারা গেছে শতকরা ৪২ জন। মিসেস আরাকাওয়া কীভাবে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেদি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এরিন ফিপস। তিনি বলেছেন, হ্যাকমানের শরীরে হান্টাভাইরাসের সংক্রমণ হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা সেখানে কাজ করার সময় জানালা দিয়ে ঘরের মেঝেতে এই দম্পতির মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিল।
এর আগে গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, হ্যাকম্যানের পেসমেকার সর্বশেষ কার্যকলাপ রেকর্ড করেছে ১৭ ফেব্রুয়ারি। এতে ধারণা করা হচ্ছে, সেটিই তার জীবনের শেষ দিন।
অনুসন্ধান নথিতে বলা হয়েছে, আরাকাওয়ার মাথার কাছে একটি ছোট পোর্টেবল হিটার পেয়েছেন কর্মকর্তারা। গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, তিনি হঠাৎ মাটিতে পড়ে গেলে সেটি উল্টে যেতে পারে।
এছাড়া আরাকাওয়ার মরদেহের বাথরুমের কাউন্টারের ওপর একটি ওষুধের বোতল ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েকটি ওষুধ পাওয়া গেছে। সেগুলো সাধারণত থাইরয়েড ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী খেয়ে থাকেন বলে পরীক্ষায় জানা গেছে।
হ্যাকম্যানের পরনে ছিল ধূসর ট্র্যাকস্যুটের প্যান্ট, নীল ফুলহাতা টি শার্ট ও বাদামি স্লিপার। তার মরদেহের পাশে সানগ্লাস ও একটি লাঠিও পাওয়া গেছে।
হ্যাকম্যান হঠাৎ পড়ে গিয়ে আহত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। আরাকাওয়ার মরদেহের কাছাকাছি একটি বাথরুমের আলমারিতে তাদের পোষা জার্মান শেফার্ড জাতের কুকুরটিকেও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া বাড়ির ভেতরে একং বাইরে দুইটি কুকুরকে সুস্থ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী বাড়ির সামনের দরজা খোলা অবস্থায় পেয়েছিলেন, এই ঘটনায় যা সন্দেহের অন্যতম কারণ।
তবে অভিনেতার বাড়িতে জোরপূর্বক কোরো প্রবেশের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি তদন্তে, এমনকি ওই বাড়ির ভেতরেও কোনো কিছু এলোমেলো ছিল না।
নিউ মেক্সিকোর শেরিফ আদান মেনডোজা বলেছিলেন, কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ার পরীক্ষা দুজনের ক্ষেত্রেই নেগেটিভ এসেছে। স্থানীয় গ্যাস কোম্পানি ওই এলাকায় কোনো গ্যাস লিকেজের প্রমাণ পায়নি। ফায়ার ডিপার্টমেন্টও কার্বন মনোক্সাইড নিঃসরণ বা বিষক্রিয়ারও কোনো ইঙ্গিত পায়নি।
হ্যাকম্যানের মেয়ে লেসলি অ্যান হ্যাকম্যান মেইল অনলাইনকে জানিয়েছেন, বয়স হলেও তার বাবার শারীরিক অবস্থা ‘খুব ভালো’ ছিল। এছাড়া এর মধ্যে অভিনেতার শরীরে বড় ধরনের কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি। অ্যান হ্যাকম্যান জানিয়েছেন ১৯৯১ সালে হ্যাকমান ও আরাকাওয়া বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনবে ‘অসাধারণ’ বলে বর্ণনা করেছেন অ্যান হ্যাকম্যান।
বাবার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার পুরো কৃতিত্ব অ্যান দিয়েছে আরাকাওয়াকে। তার ভাষ্য, আরাকাওয়া বাবাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তিনি বাবার যত্ন নিতেন, খেয়াল রাখতেন।
রোববার, ০৯ মার্চ ২০২৫
যুক্তরাষ্ট্রের অস্কারজয়ী অভিনেতা জিন হ্যাকম্যানের মৃত্যু হয়েছে তার স্ত্রী বেটসি আরাকাওয়ারের মৃত্যুর এক সপ্তাহ পর। সাতদিনের বেশি সময় নিয়ে তদন্তের পর যু্ক্তরাষ্ট্রের নিউ মেক্সিকোর মেডিকেল তদন্ত কর্মকর্তারা হ্যাকমান ও স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ ও দিনক্ষণ নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন।
বিবিসি লিখেছে, নতুন তথ্য অনুযায়ী নিউ মেক্সিকোর সান্তা ফের বাসায় ৯৫ বছর বয়সী হ্যাকমান মারা গেছেন হৃদরোগে (করোনারি আর্টারি ডিজিজ) আক্রান্ত হয়ে; আর তার স্ত্রী মারা গেছেন বিরল হান্টাভাইরাস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে।
হৃদরোগ ছাড়াও হ্যাকম্যানের মৃত্যুর কারণের মধ্যে ‘অ্যালঝাইমার’ এবং পেটে খাবার না থাকার বিষয়টিকেও গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে ধরা হয়েছে। আর হ্যাকমানের স্ত্রী ৬৫ বছর বয়সী আরাকাওয়ার মারা গেছেন হান্টাভাইরাস ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে; যা সংক্রমিত হয় ইঁদুরের মল থেকে। তদন্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, আরাকাওয়ারের মৃত্যু হয়েছে তার স্বামীর মারা যাওয়ার অন্তত সাতদিন আগে।
নিউ মেক্সিকোর মেডিকেল ইনভেস্টিগের অফিসের চিকিৎসক হিদার জ্যারেল এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “মিসেস আরাকাওয়ার সম্ভবত প্রথমে ১১ ফেব্রুয়ারি মারা যান। এটা যুক্তিসঙ্গতভাবে বলা যায় যে হ্যাকম্যান মারা গেছেন ১৮ ফেব্রুয়ারি।”
গত ২৬ ফেব্রুয়ারিতে হ্যাকম্যান ও আরাকাওয়ার মরদেহ এবং তাদের একটি কুকুরের লাশ উদ্ধার করা হয় নিউ মেক্সিকোর হাইড পার্কের ওল্ড সানসেট ট্রেইলের সান্তা ফের বাসা থেকে। ছয় দশকের বেশি সময়ের ক্যারিয়ারে দুটি অস্কার, দুটি বাফটা, চারটি গোল্ডেন গ্লোব এবং একটি স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন হ্যাকম্যান।
‘দ্য ফ্রেঞ্চ কানেকশন’, ‘সুপারম্যান’, ‘দ্য রয়্যাল টেনেনবাউমস’ এবং ‘আনফরগিভেন’ সিনেমার জন্য ভক্তরা তাকে অনেক দিন মনে রাখবে। এর আগে কর্তৃপক্ষ বলছিল দুই মরদেহে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই। তবে মৃত্যুকে ‘পর্যাপ্ত সন্দেহজনক’ বিবেচনায় নিয়ে কর্মকর্তারা তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে হ্যাকমান নাকি তার স্ত্রী আরাকাওয়া আগে মারা গেছেন সেটি তখনো নিশ্চিত করা যায়নি।
মেডিকেল ইনভেস্টিগেটর অফিসের চিকিৎসক হিদার জ্যারেল সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, মিসেস আরাকাওয়ার গতিবিধির সর্বশেষ তথ্য তারা জানতে পেরেছেন। গত ১১ ফেব্রুয়ারি দিনের বেলা আরাকাওয়ার মুদি দোকান, ফার্মেসি এবং পোষ্যদের দোকানে যাতায়াত করেছেন, তারপর তিনি সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে আসেন।
সেদিন থেকে আরাকাওয়া ইমেইলের উত্তর দেওয়া বন্ধ করে দেন। তবে এই দম্পতির মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড এখনও বিশ্লেষণ করা হয়নি। চিকিৎসক হিদার জ্যারেল সাংবাদিকদের বলেন, হ্যাকম্যান যেহেতু ‘অ্যালঝাইমারকে’ রোগে আক্রান্ত ছিলেন খুব সম্ভবত তিনি বুঝতে পারেননি যে তার স্ত্রী মারা গেছেন। তিনি তার স্বাভাবিক কাজকর্ম করা ক্ষমতা সম্পর্কেও তিনি অবগত ছিলেন না। অভিনেতার হৃদরোগ গুরুতর পর্যায়ে ছিল এবং শেষ পর্যন্ত এটিই তার মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এছাড়া দিনি দীর্ঘস্থায়ী উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন। পরীক্ষায় দেখা গেছে মৃত্যুর আগে কয়েকদিন তিনি কিছু খাননি। তবে তার শরীরে পানিশূন্যতার কোনো লক্ষণ দেখা যাননি।
ওই সংবাদ সম্মেলনে নিউ মেক্সিকো পাবলিক হেলথ ভেটেরিনারিয়ান এরিন ফিপস বলেন, হান্টাভাইরাসের সংক্রমণ আসলে বিরল। এটি ইঁদুরের বিষ্ঠা এবং লালার মাধ্যমে সংক্রমিত হয় এবং দূষিত ধূলো এবং শ্বাসের মাধ্যমে মানুষের শরীরের প্রবেশ করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংক্রমিত হন।
গত ৫০ বছরের ইতিহাসে এই রাজ্যে ১৩৬ জনের এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার তথ্য আছে। যাদের মধ্যে মারা গেছে শতকরা ৪২ জন। মিসেস আরাকাওয়া কীভাবে এই রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন, সেদি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এরিন ফিপস। তিনি বলেছেন, হ্যাকমানের শরীরে হান্টাভাইরাসের সংক্রমণ হয়নি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে রক্ষণাবেক্ষণ কর্মীরা সেখানে কাজ করার সময় জানালা দিয়ে ঘরের মেঝেতে এই দম্পতির মৃতদেহ দেখতে পেয়েছিল।
এর আগে গোয়েন্দা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিলেন, হ্যাকম্যানের পেসমেকার সর্বশেষ কার্যকলাপ রেকর্ড করেছে ১৭ ফেব্রুয়ারি। এতে ধারণা করা হচ্ছে, সেটিই তার জীবনের শেষ দিন।
অনুসন্ধান নথিতে বলা হয়েছে, আরাকাওয়ার মাথার কাছে একটি ছোট পোর্টেবল হিটার পেয়েছেন কর্মকর্তারা। গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, তিনি হঠাৎ মাটিতে পড়ে গেলে সেটি উল্টে যেতে পারে।
এছাড়া আরাকাওয়ার মরদেহের বাথরুমের কাউন্টারের ওপর একটি ওষুধের বোতল ও ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েকটি ওষুধ পাওয়া গেছে। সেগুলো সাধারণত থাইরয়েড ও উচ্চ রক্তচাপের রোগী খেয়ে থাকেন বলে পরীক্ষায় জানা গেছে।
হ্যাকম্যানের পরনে ছিল ধূসর ট্র্যাকস্যুটের প্যান্ট, নীল ফুলহাতা টি শার্ট ও বাদামি স্লিপার। তার মরদেহের পাশে সানগ্লাস ও একটি লাঠিও পাওয়া গেছে।
হ্যাকম্যান হঠাৎ পড়ে গিয়ে আহত হয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা করছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। আরাকাওয়ার মরদেহের কাছাকাছি একটি বাথরুমের আলমারিতে তাদের পোষা জার্মান শেফার্ড জাতের কুকুরটিকেও মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। এছাড়া বাড়ির ভেতরে একং বাইরে দুইটি কুকুরকে সুস্থ অবস্থায় পাওয়া গেছে।
রক্ষণাবেক্ষণ কর্মী বাড়ির সামনের দরজা খোলা অবস্থায় পেয়েছিলেন, এই ঘটনায় যা সন্দেহের অন্যতম কারণ।
তবে অভিনেতার বাড়িতে জোরপূর্বক কোরো প্রবেশের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি তদন্তে, এমনকি ওই বাড়ির ভেতরেও কোনো কিছু এলোমেলো ছিল না।
নিউ মেক্সিকোর শেরিফ আদান মেনডোজা বলেছিলেন, কার্বন মনোক্সাইড বিষক্রিয়ার পরীক্ষা দুজনের ক্ষেত্রেই নেগেটিভ এসেছে। স্থানীয় গ্যাস কোম্পানি ওই এলাকায় কোনো গ্যাস লিকেজের প্রমাণ পায়নি। ফায়ার ডিপার্টমেন্টও কার্বন মনোক্সাইড নিঃসরণ বা বিষক্রিয়ারও কোনো ইঙ্গিত পায়নি।
হ্যাকম্যানের মেয়ে লেসলি অ্যান হ্যাকম্যান মেইল অনলাইনকে জানিয়েছেন, বয়স হলেও তার বাবার শারীরিক অবস্থা ‘খুব ভালো’ ছিল। এছাড়া এর মধ্যে অভিনেতার শরীরে বড় ধরনের কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি। অ্যান হ্যাকম্যান জানিয়েছেন ১৯৯১ সালে হ্যাকমান ও আরাকাওয়া বিয়ে করেন। তাদের দাম্পত্য জীবনবে ‘অসাধারণ’ বলে বর্ণনা করেছেন অ্যান হ্যাকম্যান।
বাবার সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার পুরো কৃতিত্ব অ্যান দিয়েছে আরাকাওয়াকে। তার ভাষ্য, আরাকাওয়া বাবাকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন। তিনি বাবার যত্ন নিতেন, খেয়াল রাখতেন।