শেখ হাসিনার গত দেড় দশকের শাসনামলে বিনোদন জগতের মানুষেরা ‘ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠিকে সহযোগিতা করেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী।
তিনি বলেন, “দুটি নাটক, গান, নাচের মাধ্যমে তারা ফ্যাসিস্টকে সহযোগিতা করেছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। যেন আর কেউ ফ্যাসিস্টের জন্ম দিতে না পারে।”
এছাড়া, জুলাই আন্দোলন দমাতে শেখ হাসিনা ‘হত্যা করার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন’, সেই কাজে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যে কোনো স্থান থেকে ‘সহযোগিতা করেছে’ বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকার মহানগর হাকিম সারাহ্ ফারজানা হকের আদালতে হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়ার জামিন শুনানিতে সোমবার এ কথা বলেন আইনজীবী ফারুকী।
তিনি জানান, দেশে যাতে আর কোনো ফ্যাসিস্টের ‘জন্ম না হতে পারে’, এ জন্য সেই গোষ্ঠীকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
শুনানিতে চিত্রনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদকেও ‘খোঁজা হচ্ছে’ বলে আদালতকে জানান ফারুকী।
তিনি বলেন, “নাট্যকার, অভিনেতা, অভিনেত্রী—এরা সবাই একটা গোষ্ঠী হয়ে গত ১৫ বছর সহযোগিতা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “শাহবাগের আন্দোলনকারীদের ওপর এরা গরম পানি নিক্ষেপ করতে উদ্ধুদ্ধ করে। দেশে-বিদেশে থেকে প্ররোচণা দিয়েছে। ফ্যাসিস্টের অন্যতম সহযোগী তারা।
আন্দোলন দমাতে, হত্যা করতে হাসিনা যে নির্দেশ দিয়েছিল, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যেকোনো স্থান থেকে সহযোগিতা করেছে। তাদের মধ্য নুসরাত ফারিয়া একজন।”
এদিন আদালতে ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন জানান, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নায়িকাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিল্লাল ভূঁইয়া। শুনানি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
সকাল ৯টার দিকে ফারিয়াকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ প্রহরায় তাকে হাজতখানা থেকে বের করা হয়। এ সময় তার মুখে সাদা মাস্ক, মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।
ফারিয়াকে সিএমএম আদালতের দোতলায় নেওয়া হয়। এরপর ১০টায় ফারিয়ার হেলমেট খুলে তাকে আসামির কাঠগড়ায় তোলা হয়। তখন সাদা মাস্ক মুখ থেকে একটু নামিয়ে তিনি হাঁপাতে থাকেন। নারী পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে পানি নিয়ে পান করেন। এরপর উল্টো দিকে ফিরে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকেন।
১০টা ৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠলে ফারিয়া ফিরে তাকান। এরপর কাঠগড়ার রেলিংয়ে দুই হাত রাখেন। শুনানির শুরুতেই এক আইনজীবী ফারিয়ার ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিতে আদালতের অনুমতি চান।
এরপর আইনজীবী ফারহান মোহাম্মদ আরাভ ওকালতনামা দিলে তিনি স্বাক্ষর দেন। এরপর ১০টা ৮ মিনিটে তার জামিন শুনানি শুরু হয়।
নুসরাত ফারিয়ার পক্ষে আইনজীবী ফারহান মোহাম্মদ আরাভ ও মোর্শেদ আলম শাহিন জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরাভ বলেন, “তিনি একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী। আন্দোলনের আগে ৯ জুলাই শুটিং করতে কানাডায় যান। সেখান থেকে ১৪ অগাস্টে দেশে ফিরে আসেন। সেই কাগজপত্র আমরা জমা দিয়েছি। তিনি আন্দোলনের স্বপক্ষে ছিলেন, পোস্টও দিয়েছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে তার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। তিনি আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত নন।”
মোর্শেদ আলম শাহিন বলেন, “ঘটনার সময় তিনি দেশে ছিলেন না। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো আইনের পরিপন্থি। তিনি একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেটায় ভুল-ত্রুটি তুলে ধরা হয়েছে। তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি শারীরিকভাবেও অসুস্থ। জামিনের প্রার্থনা করছি।”
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন।
তিনি বলেন, “নুসরাত ফারিয়া একজন মডেল, নায়িকা। তিনি এজাহারনামীয় আসামি। থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্টরা দেশের নায়ক, নায়িকা, ফুটবলারদের দলে নেয়। আর ফ্যাসিস্টদের লোভে পড়ে তারাও অনেক সময় চলে যায় আনুকূল্য পাওয়ার জন্য।
তিনি পলককে অবলম্বন করে সেখানে গিয়েছেন।”
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফারিয়া।
শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি এ সিনেমাটি ২০২৩ সালে মুক্তি পায়। এতে ফারিয়া ছাড়াও আরিফিন শুভ, তিশা, রিয়াজ আহমেদসহ অনেকে অভিনয় করেন।
এই প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “নুসরাত ফারিয়া বলেছেন, প্রতিটা ঘরে একজন হাসিনা রয়েছে। মানে প্রতিটা ঘরে ফ্যাসিস্ট রয়েছে। প্রতিটা ঘরের মেয়েরা কি ফ্যাসিস্ট? এধরনের বক্তব্য উসকানিমূলক।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের হয়ে সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হতে তিনি জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তিনি অনলাইনে জুয়া খেলেন।
অনলাইন জুয়ার অ্যাপসের কারণে যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে। তিনি তার গানের মাধ্যমে বলছেন ‘সবাই মিলে খেলব, আনন্দ করে ফিরব।’”
ফারুকী আরও বলেন, “বিনোদন জগতের মানুষরা বসে নেই। দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে এবং ফ্যাসিস্টকে ফিরিয়ে আনতে গুপ্ত মিছিল করে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
আসামি জামিন পেলে আবার ষড়যন্ত্র করবে। মামলার তদন্তের ব্যাঘাত ঘটাবে।”
ঘটনার সময় ফারিয়া দেশের বাইরে ছিলেন কি না, আন্দোলনের পক্ষে পোস্ট দিয়েছেন কি না- সে বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছেন বিচারক।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর ২২ মে জামিন শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় রোববার সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন নুসরাত ফারিয়া।
এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি গত মার্চ মাসে নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, ভাবনা, জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয়শিল্পী এবং আরও ২৮৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
আদালতের নির্দেশে ভাটারা থানা গত ২৯ এপ্রিল মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় গুলিতে এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে এবং তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।
সোমবার, ১৯ মে ২০২৫
শেখ হাসিনার গত দেড় দশকের শাসনামলে বিনোদন জগতের মানুষেরা ‘ফ্যাসিবাদী গোষ্ঠিকে সহযোগিতা করেছে’ বলে অভিযোগ করেছেন ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী।
তিনি বলেন, “দুটি নাটক, গান, নাচের মাধ্যমে তারা ফ্যাসিস্টকে সহযোগিতা করেছে। তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। যেন আর কেউ ফ্যাসিস্টের জন্ম দিতে না পারে।”
এছাড়া, জুলাই আন্দোলন দমাতে শেখ হাসিনা ‘হত্যা করার যে নির্দেশ দিয়েছিলেন’, সেই কাজে অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যে কোনো স্থান থেকে ‘সহযোগিতা করেছে’ বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকার মহানগর হাকিম সারাহ্ ফারজানা হকের আদালতে হত্যাচেষ্টা মামলায় নুসরাত ফারিয়ার জামিন শুনানিতে সোমবার এ কথা বলেন আইনজীবী ফারুকী।
তিনি জানান, দেশে যাতে আর কোনো ফ্যাসিস্টের ‘জন্ম না হতে পারে’, এ জন্য সেই গোষ্ঠীকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
শুনানিতে চিত্রনায়ক ও সাবেক সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদকেও ‘খোঁজা হচ্ছে’ বলে আদালতকে জানান ফারুকী।
তিনি বলেন, “নাট্যকার, অভিনেতা, অভিনেত্রী—এরা সবাই একটা গোষ্ঠী হয়ে গত ১৫ বছর সহযোগিতা করেছে।”
তিনি আরও বলেন, “শাহবাগের আন্দোলনকারীদের ওপর এরা গরম পানি নিক্ষেপ করতে উদ্ধুদ্ধ করে। দেশে-বিদেশে থেকে প্ররোচণা দিয়েছে। ফ্যাসিস্টের অন্যতম সহযোগী তারা।
আন্দোলন দমাতে, হত্যা করতে হাসিনা যে নির্দেশ দিয়েছিল, অভিনেতা-অভিনেত্রীরা যেকোনো স্থান থেকে সহযোগিতা করেছে। তাদের মধ্য নুসরাত ফারিয়া একজন।”
এদিন আদালতে ভাটারা থানার সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই জাকির হোসেন জানান, তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত নায়িকাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেছেন তদন্ত কর্মকর্তা এসআই বিল্লাল ভূঁইয়া। শুনানি শেষে আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেয় আদালত।
সকাল ৯টার দিকে ফারিয়াকে ঢাকার সিএমএম আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। সকাল ১০টার দিকে পুলিশ প্রহরায় তাকে হাজতখানা থেকে বের করা হয়। এ সময় তার মুখে সাদা মাস্ক, মাথায় হেলমেট ও গায়ে বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ছিল।
ফারিয়াকে সিএমএম আদালতের দোতলায় নেওয়া হয়। এরপর ১০টায় ফারিয়ার হেলমেট খুলে তাকে আসামির কাঠগড়ায় তোলা হয়। তখন সাদা মাস্ক মুখ থেকে একটু নামিয়ে তিনি হাঁপাতে থাকেন। নারী পুলিশ সদস্যদের কাছ থেকে পানি নিয়ে পান করেন। এরপর উল্টো দিকে ফিরে নিশ্চুপ দাঁড়িয়ে থাকেন।
১০টা ৫ মিনিটে বিচারক এজলাসে উঠলে ফারিয়া ফিরে তাকান। এরপর কাঠগড়ার রেলিংয়ে দুই হাত রাখেন। শুনানির শুরুতেই এক আইনজীবী ফারিয়ার ওকালতনামায় স্বাক্ষর নিতে আদালতের অনুমতি চান।
এরপর আইনজীবী ফারহান মোহাম্মদ আরাভ ওকালতনামা দিলে তিনি স্বাক্ষর দেন। এরপর ১০টা ৮ মিনিটে তার জামিন শুনানি শুরু হয়।
নুসরাত ফারিয়ার পক্ষে আইনজীবী ফারহান মোহাম্মদ আরাভ ও মোর্শেদ আলম শাহিন জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরাভ বলেন, “তিনি একজন স্বনামধন্য অভিনেত্রী। আন্দোলনের আগে ৯ জুলাই শুটিং করতে কানাডায় যান। সেখান থেকে ১৪ অগাস্টে দেশে ফিরে আসেন। সেই কাগজপত্র আমরা জমা দিয়েছি। তিনি আন্দোলনের স্বপক্ষে ছিলেন, পোস্টও দিয়েছিলেন। এ ঘটনার সঙ্গে তার বিন্দুমাত্র সম্পৃক্ততা নেই। তিনি আওয়ামী লীগের সাথে সম্পৃক্ত নন।”
মোর্শেদ আলম শাহিন বলেন, “ঘটনার সময় তিনি দেশে ছিলেন না। তাকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো আইনের পরিপন্থি। তিনি একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন। সেটায় ভুল-ত্রুটি তুলে ধরা হয়েছে। তাকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মামলায় জড়ানো হয়েছে। তিনি শারীরিকভাবেও অসুস্থ। জামিনের প্রার্থনা করছি।”
রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন।
তিনি বলেন, “নুসরাত ফারিয়া একজন মডেল, নায়িকা। তিনি এজাহারনামীয় আসামি। থাইল্যান্ডে পালিয়ে যাওয়ার সময় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গেলে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে আটক করে।”
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্টরা দেশের নায়ক, নায়িকা, ফুটবলারদের দলে নেয়। আর ফ্যাসিস্টদের লোভে পড়ে তারাও অনেক সময় চলে যায় আনুকূল্য পাওয়ার জন্য।
তিনি পলককে অবলম্বন করে সেখানে গিয়েছেন।”
‘মুজিব: একটি জাতির রূপকার’ সিনেমায় শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন ফারিয়া।
শ্যাম বেনেগালের পরিচালনায় বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ প্রযোজনায় তৈরি এ সিনেমাটি ২০২৩ সালে মুক্তি পায়। এতে ফারিয়া ছাড়াও আরিফিন শুভ, তিশা, রিয়াজ আহমেদসহ অনেকে অভিনয় করেন।
এই প্রসঙ্গে ফারুকী বলেন, “নুসরাত ফারিয়া বলেছেন, প্রতিটা ঘরে একজন হাসিনা রয়েছে। মানে প্রতিটা ঘরে ফ্যাসিস্ট রয়েছে। প্রতিটা ঘরের মেয়েরা কি ফ্যাসিস্ট? এধরনের বক্তব্য উসকানিমূলক।”
তিনি আরও বলেন, “আওয়ামী লীগের হয়ে সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী হতে তিনি জোর প্রচেষ্টা চালিয়েছিলেন। তিনি অনলাইনে জুয়া খেলেন।
অনলাইন জুয়ার অ্যাপসের কারণে যুব সমাজ নষ্ট হচ্ছে। তিনি তার গানের মাধ্যমে বলছেন ‘সবাই মিলে খেলব, আনন্দ করে ফিরব।’”
ফারুকী আরও বলেন, “বিনোদন জগতের মানুষরা বসে নেই। দেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে এবং ফ্যাসিস্টকে ফিরিয়ে আনতে গুপ্ত মিছিল করে কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছেন।
আসামি জামিন পেলে আবার ষড়যন্ত্র করবে। মামলার তদন্তের ব্যাঘাত ঘটাবে।”
ঘটনার সময় ফারিয়া দেশের বাইরে ছিলেন কি না, আন্দোলনের পক্ষে পোস্ট দিয়েছেন কি না- সে বিষয়ে প্রতিবেদন চেয়েছেন বিচারক।
প্রতিবেদন পাওয়ার পর ২২ মে জামিন শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন আদালত।
থাইল্যান্ড যাওয়ার সময় রোববার সকালে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন নুসরাত ফারিয়া।
এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি গত মার্চ মাসে নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ, ভাবনা, জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয়শিল্পী এবং আরও ২৮৩ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন।
আদালতের নির্দেশে ভাটারা থানা গত ২৯ এপ্রিল মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে।
মামলার বিবরণ অনুযায়ী, ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ভাটারা থানার সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। এ সময় গুলিতে এনামুল হকের পায়ে গুলি লাগে এবং তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।