ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে রাজকীয় কোনো গাউন, ছুঁড়ে দেয়া উড়ন্ত চুমু, আর চোখ ধাঁধানো ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলক। এবার ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের নবম দিন ঐশ্বরিয়া হাজির হলেন শুদ্ধ সাদায় মোড়ানো এক ভারতীয় রূপে ক্লাসিক বেনারসি শাড়িতে, যেন এক চলন্ত শিল্পকর্ম। পরনে ছিল খ্যাতনামা ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রার ডিজাইন করা এক অত্যন্ত ভারী সাদা বেনারসি শাড়ি, যার প্রতিটি ভাজে ছিল শুদ্ধতার এবং অতীত ঐতিহ্যের ছাপ। তার সঙ্গে ফুলস্লিভ ব্লাউজ, এবং সেই শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ওড়নাও ছিল নিখুঁত। আর সবচেয়ে বেশি চর্চায় ছিল তার গলায় ঝুলে থাকা মোজাম্বিক রুবির হার, যার ওজন প্রায় ৫০০ ক্যারেট। জানা গেছে, এই হারটি একটি রেয়ার কালেকশন থেকে আনা হয়েছে এবং এর পেছনে রয়েছে আফ্রিকার ঐতিহাসিক খনিজ সম্পদের কাহিনি। আর আনকাট ডায়মন্ডের গয়না। এ ছাড়া তার সাজে ছিল এমন কিছু সূক্ষ্ম ইঙ্গিত, যা দর্শকদের চোখ এড়িয়ে যায়নি। সিঁথিতে সিঁদুর, মুখে লাল লিপস্টিক, খোলা চুলের গ্ল্যামার আর হালকা ব্লাশ সব মিলিয়ে এ যেন এক পূর্ণ ভারতীয় বিবাহিত নারীর প্রতিচ্ছবি। তবে এই সাজ শুধু এক বিবাহিত নারীর বার্তা নয়, বরং এক আভিজাত্যের, এক চিরন্তন রূপের প্রতীক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তার সিঁথির সিঁদুর যা এদিন যেন কান চলচ্চিত্র উৎসবের সবচেয়ে আলোচিত অ্যাকসেসরিতে পরিণত হয়। ঐশ্বরিয়ার এই লুক ইতোমধ্যেই ঝড় তুলেছে সামাজিক মাধ্যম গুলোতে। ঐশ্বরিয়ার এই উপস্থিতি সৌন্দর্যের বাইরেও এক নতুন ভাষা বলেছে একটু ক্লান্তি, একটু নীরবতা, একটু প্রত্যাবর্তন আর অনেকখানি নিজেকে ছাপিয়ে ওঠার গল্প। হাঁটতে হাঁটতে বারবার পা আটকে যাচ্ছিল, ভঙ্গিমা ক্লান্ত, কিন্তু গালিচা ছেড়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সেই মাথা ছিল উঁচু। এ বছর কানে হয়তো সবচেয়ে ঝলমলে ছিলেন না তিনি, কিন্তু সবচেয়ে ‘মনে গেঁথে থাকা’ রইলেন তিনি-ই।
শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫
ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে রাজকীয় কোনো গাউন, ছুঁড়ে দেয়া উড়ন্ত চুমু, আর চোখ ধাঁধানো ক্যামেরার ফ্ল্যাশের ঝলক। এবার ৭৮তম কান চলচ্চিত্র উৎসবের নবম দিন ঐশ্বরিয়া হাজির হলেন শুদ্ধ সাদায় মোড়ানো এক ভারতীয় রূপে ক্লাসিক বেনারসি শাড়িতে, যেন এক চলন্ত শিল্পকর্ম। পরনে ছিল খ্যাতনামা ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রার ডিজাইন করা এক অত্যন্ত ভারী সাদা বেনারসি শাড়ি, যার প্রতিটি ভাজে ছিল শুদ্ধতার এবং অতীত ঐতিহ্যের ছাপ। তার সঙ্গে ফুলস্লিভ ব্লাউজ, এবং সেই শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ওড়নাও ছিল নিখুঁত। আর সবচেয়ে বেশি চর্চায় ছিল তার গলায় ঝুলে থাকা মোজাম্বিক রুবির হার, যার ওজন প্রায় ৫০০ ক্যারেট। জানা গেছে, এই হারটি একটি রেয়ার কালেকশন থেকে আনা হয়েছে এবং এর পেছনে রয়েছে আফ্রিকার ঐতিহাসিক খনিজ সম্পদের কাহিনি। আর আনকাট ডায়মন্ডের গয়না। এ ছাড়া তার সাজে ছিল এমন কিছু সূক্ষ্ম ইঙ্গিত, যা দর্শকদের চোখ এড়িয়ে যায়নি। সিঁথিতে সিঁদুর, মুখে লাল লিপস্টিক, খোলা চুলের গ্ল্যামার আর হালকা ব্লাশ সব মিলিয়ে এ যেন এক পূর্ণ ভারতীয় বিবাহিত নারীর প্রতিচ্ছবি। তবে এই সাজ শুধু এক বিবাহিত নারীর বার্তা নয়, বরং এক আভিজাত্যের, এক চিরন্তন রূপের প্রতীক হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে তার সিঁথির সিঁদুর যা এদিন যেন কান চলচ্চিত্র উৎসবের সবচেয়ে আলোচিত অ্যাকসেসরিতে পরিণত হয়। ঐশ্বরিয়ার এই লুক ইতোমধ্যেই ঝড় তুলেছে সামাজিক মাধ্যম গুলোতে। ঐশ্বরিয়ার এই উপস্থিতি সৌন্দর্যের বাইরেও এক নতুন ভাষা বলেছে একটু ক্লান্তি, একটু নীরবতা, একটু প্রত্যাবর্তন আর অনেকখানি নিজেকে ছাপিয়ে ওঠার গল্প। হাঁটতে হাঁটতে বারবার পা আটকে যাচ্ছিল, ভঙ্গিমা ক্লান্ত, কিন্তু গালিচা ছেড়ে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সেই মাথা ছিল উঁচু। এ বছর কানে হয়তো সবচেয়ে ঝলমলে ছিলেন না তিনি, কিন্তু সবচেয়ে ‘মনে গেঁথে থাকা’ রইলেন তিনি-ই।