নির্মাতা নাজনীন হাসান খান-এর পরিচালনায় নির্মিত হলো ঈদের ৭পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘গণক’। রাজীব মণি দাসের রচনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন- আ.খ.ম. হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশরাফুল আশিষ, ফাহমিদা তৃষা, মাসুদ মহিউদ্দিন, সায়কা আহমেদ, মাসুদ রানা মিঠু, সুজাত শিমুল, ফরিদ হোসাইন, রিকি রাফাত প্রমুখ।
নির্মাণ প্রসঙ্গে পরিচালক নাজনীন হাসান খান বলেন, ‘আমাদের সমাজে হাত গণনা কিংবা ভাগ্য গণনা নিয়ে নানান কুসংস্কার রয়েছে। সেরকম একটা গল্প নিয়ে বিনোদনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতনতা করার প্রয়াসে এমন গল্প নির্মাণ করা। প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমাদের গল্পে ভিন্নতা রয়েছে। আশা করছি নাটকটি দেখে দর্শক তৃপ্ত হবে।’
গল্পের নাট্যকার রাজীব মণি দাস বলেন, ‘সারাদিনের ক্লান্তিবোধ শেষে মানুষ একটু বিনোদন খোঁজে। আর তাই দর্শকদের সেই মনের খোরাকের কথা বিবেচনায় রেখেই কমেডি গল্প মাথায় আসে। গণক নাটকটি তেমনই সমাজ জীবনের গল্প।’
গল্পে দেখা যায়Ñ গ্রামের গরিব সহজ-সরল দম্পতি আমির ও আসমা। আমির ক্ষীণ স্মরণশক্তি ও বোকা স্বভাবের কারণে কোনো কাজই সে ঠিকমত করতে পারে না। আসমা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। সুন্দরী হওয়ায় সমাজের কুরুচিপূর্ণ পুরুষের দৃষ্টি পড়ে তার দিকে।
একরাতে স্ত্রী পিঠা ভাজে, আমির না দেখে বলে দেয় কয়টা পিঠা ভাজা হইছে। স্ত্রী অবাক হয় এবং সবার মাঝে গণক হিসাবে স্বামীকে জাহির করে।
অন্যদিকে গ্রামের বিত্তবান মুন্সি বাড়িতে স্বর্ণের গয়না চুরি হয়। সন্দেহ করে আসমাকে, কারণ এই বাড়ির মধ্যে একমাত্র আসমাই ছুটা বুয়ার কাজ করে। আসমাকে আসামির মতো গ্রেফতার করে মুন্সি বাড়ির লোকজন। আসমা চুরি করেনি একথা সে বার বার বললেও তার কথা কেউ বিশ্বাস করে না। অতপর সালিশ বসে।
আসমা সবাইকে বলে তার স্বামীর সাথে জ্বীন আছে। আর সেই জ্বীন চালান দিয়ে গণনা করে প্রকৃত চোরকে ধরিয়ে দেয়। জ্বীন চালানের মাধ্যমে বোকা আমির কিভাবে আসল চোর কালামকে ধরে দিল, সেইটা আট-দশ গ্রামে রটে যায়। সেই থেকে বোকা আমির গণক হিসেবে সুপরিচিতি পায়। আর খুব দ্রুতই সে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে নেয়।
বোকা আমির মুহূর্তের মধ্যে গ্রামের মানুষের কাছে হয়ে উঠে মস্তবড় গণক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন।
আসছে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে নাটকটি প্রচার হবে বলে পরিচালক সূত্রে জানা যায়।
মঙ্গলবার, ২৭ মে ২০২৫
নির্মাতা নাজনীন হাসান খান-এর পরিচালনায় নির্মিত হলো ঈদের ৭পর্বের ধারাবাহিক নাটক ‘গণক’। রাজীব মণি দাসের রচনায় নাটকটিতে অভিনয় করেছেন- আ.খ.ম. হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশরাফুল আশিষ, ফাহমিদা তৃষা, মাসুদ মহিউদ্দিন, সায়কা আহমেদ, মাসুদ রানা মিঠু, সুজাত শিমুল, ফরিদ হোসাইন, রিকি রাফাত প্রমুখ।
নির্মাণ প্রসঙ্গে পরিচালক নাজনীন হাসান খান বলেন, ‘আমাদের সমাজে হাত গণনা কিংবা ভাগ্য গণনা নিয়ে নানান কুসংস্কার রয়েছে। সেরকম একটা গল্প নিয়ে বিনোদনের মাধ্যমে মানুষকে সচেতনতা করার প্রয়াসে এমন গল্প নির্মাণ করা। প্রতিবারের ন্যায় এবারও আমাদের গল্পে ভিন্নতা রয়েছে। আশা করছি নাটকটি দেখে দর্শক তৃপ্ত হবে।’
গল্পের নাট্যকার রাজীব মণি দাস বলেন, ‘সারাদিনের ক্লান্তিবোধ শেষে মানুষ একটু বিনোদন খোঁজে। আর তাই দর্শকদের সেই মনের খোরাকের কথা বিবেচনায় রেখেই কমেডি গল্প মাথায় আসে। গণক নাটকটি তেমনই সমাজ জীবনের গল্প।’
গল্পে দেখা যায়Ñ গ্রামের গরিব সহজ-সরল দম্পতি আমির ও আসমা। আমির ক্ষীণ স্মরণশক্তি ও বোকা স্বভাবের কারণে কোনো কাজই সে ঠিকমত করতে পারে না। আসমা অন্যের বাড়িতে কাজ করে সংসার চালায়। সুন্দরী হওয়ায় সমাজের কুরুচিপূর্ণ পুরুষের দৃষ্টি পড়ে তার দিকে।
একরাতে স্ত্রী পিঠা ভাজে, আমির না দেখে বলে দেয় কয়টা পিঠা ভাজা হইছে। স্ত্রী অবাক হয় এবং সবার মাঝে গণক হিসাবে স্বামীকে জাহির করে।
অন্যদিকে গ্রামের বিত্তবান মুন্সি বাড়িতে স্বর্ণের গয়না চুরি হয়। সন্দেহ করে আসমাকে, কারণ এই বাড়ির মধ্যে একমাত্র আসমাই ছুটা বুয়ার কাজ করে। আসমাকে আসামির মতো গ্রেফতার করে মুন্সি বাড়ির লোকজন। আসমা চুরি করেনি একথা সে বার বার বললেও তার কথা কেউ বিশ্বাস করে না। অতপর সালিশ বসে।
আসমা সবাইকে বলে তার স্বামীর সাথে জ্বীন আছে। আর সেই জ্বীন চালান দিয়ে গণনা করে প্রকৃত চোরকে ধরিয়ে দেয়। জ্বীন চালানের মাধ্যমে বোকা আমির কিভাবে আসল চোর কালামকে ধরে দিল, সেইটা আট-দশ গ্রামে রটে যায়। সেই থেকে বোকা আমির গণক হিসেবে সুপরিচিতি পায়। আর খুব দ্রুতই সে লক্ষ লক্ষ টাকা কামিয়ে নেয়।
বোকা আমির মুহূর্তের মধ্যে গ্রামের মানুষের কাছে হয়ে উঠে মস্তবড় গণক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মধ্যে একজন।
আসছে ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে একটি বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলে নাটকটি প্রচার হবে বলে পরিচালক সূত্রে জানা যায়।