সা ক্ষা ৎ কা র
আসন্ন ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় নির্মাতা সঞ্চয় সমদ্দারের সিনেমা ‘ইনসাফ’। প্রথমে পোস্টার এবার প্রকাশ্যে এর টিজারও। সিনেমা ‘ইনসাফ’ এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সঞ্জয় সমদ্দারের সঙ্গে কথা বলেছেন সংবাদের বিনোদন প্রতিবেদক নায়িমী জান্নাত ব্যাপ্তি
কেমন যাচ্ছে সময়?
‘ইনসাফ’-এর পোস্ট প্রডাকশন ও প্রমোশনের কাজ চলছে। বেশ ব্যস্ততায় কাটছে সময়।
ছোট পর্দা, ওটিটি এরপর এখন চলচ্চিত্র, বড় পর্দায় কেমন অনুভূতি অভিজ্ঞতা?
যখন যেখানে কাজ করেছি, নানা রকম চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি। পরবর্তীতে দর্শক তা পছন্দও করেছে। অনেক এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করেছি। যেগুলো নাটকে স্ক্রিপ্ট করা কঠিন ছিল, তারপরও কাজগুলো করতে পেরেছি সফলভাবে।
‘ইনসাফ’ নির্মাণের পেছনের গল্পটা কি ছিল?
এটি আমার ২য় নির্মাণ, প্রথমটি ওপার বাংলার একটি সিনেমা। যার নাম ছিল ‘মানুষ’। সেই অভিজ্ঞতার পর থেকেই ইচ্ছে ছিল আরও একটি সিনেমা নির্মাণের। তখন চিত্রনাট্য তৈরি এবং সেটাই এবার ঈদে মুক্তি পাবে। আসলে এভাবেই সাজানো হয় ‘ইনসাফ’। পরবর্তীতে প্রযোজকরা যুক্ত হন এবং সিনেমার কাজ শুরু হয়।
বাণিজ্যিক সিনেমায় ছোট পর্দার ফারিণকে নেয়ার কারণ কি?
ফারিণের ভেতরে একজন অভিনেত্রী আছে। ফারিণের দক্ষতা এবং নিপুণতা দিয়ে সেটি বার বার প্রমাণ করেছেন তিনি। ছোটপর্দা, ওটিটি সব জায়গায় সে ভালো কাজ করেছে। সে জন্যই তাকে নেয়া। গল্পের প্রয়োজনে যাবে প্রয়োজন তাকেই নেয় হয়েছে ইনসাফে।
একে একে ৩টি পোস্টার এবং এখন টিজার রিলিজ হওয়ার পর দর্শকের আগ্রহ কেমন দেখছেন?
বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। সবার আগ্রহ বাড়ছে। পোস্ট প্রকাশের পর পরিচিতরা মেসেজ দিয়ে জানিয়েছে। দর্শকরা কমেন্ট করেছেন পোস্টের নিচে। টিজার প্রকাশের পরপরই অনেক ভিউ হয়েছে। অনেক কমেন্ট পেয়েছি সামাজিক মাধ্যমে। ভালো ফলাফল আশা করাই যায়।
মোশাররফ করিমের এমন তামিল লুকের কারণটা জানতে চাই।
মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে আমার। প্রতিবার তাকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করেছি বলা যায় যা দর্শক ভালো পছন্দ করেছে, তাই এবার ভিন্ন কিছু করার লক্ষ্যেই এমন ব্যতিক্রমী লুকে সাজানো হয়েছে মোশাররফ ভাইয়ের চরিত্রটি। আর কিছুটা তামিল লুকও বলা যায় এটা।
শরিফুল রাজেরও ভয়ানক রূপ, মোশাররফ করিম এবং রাজ কে নিয়ে কীভাবে সাজানো হয়েছে ইনসাফের গল্প? দর্শক কতটা গ্রহণ করবে বলে মনে হয়?
গল্পের প্রয়োজনেই এই দুজনকে নেয়া হয়েছে। এই সিনেমাটির গল্প খুব শক্ত, এখানে অনেক মানবিক সম্পর্কের জায়গা আছে। দেশের অনেক বড় একটা সমস্যা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। যেটা সিনেমা মুক্তির পর সবাই জানতে পারবে। যেভাবে এর চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে, আশা করা যায় দর্শক নতুনত্ব পাবে এবং গ্রহণ করবে।
আপনাকে সঙ্গে নিয়েই কেন লম্বা বিরতির পর তিতাস কথা চিত্র প্রযোজনায় ফিরল?
তারা প্রযোজনায় ফিরতে চাচ্ছিল আগে থেকেই। ইনসাফের পরিকল্পনা শোনার পর তারা আমার সঙ্গেই ফিরতে চাইল এটাই মূখ্য।
এবার ইনসাফ বাদে অন্য প্রসঙ্গ, ওপার বাংলায় কাজ করেছেন, কেমন ছিল সে অভিজ্ঞতা?
সে অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। সেখানের সবাই সহায়তাপরায়ণ ছিলেন। নিজেও শিখেছি অনেক কিছু।
নাটক, ওটিটি এবং চলচ্চিত্র তিনটির কাজের ধরন কেমন। কোনটি বেশি পছন্দের বা কোনটি করতে সাচ্ছন্দ্য পান?
আমি মনে করি এখন আর ছোটপর্দা বড়পর্দা আলাদা করার কিছু নেই। ছোটপর্দার গুণীজনরা বড়পর্দায় কাজ করছে এবং সাফল্য পাচ্ছেন। সেদিক থেকে সব প্ল্যাটফর্মেই ভালো কাজের সুযোগ রয়েছে। সব কয়টায় সাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারি।
হুমায়ূন আহমেদের গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্র ‘লোভ’ সেটি কবে আসবে?
সামনে এটার পরিকল্পনাও চলছে। সময়-সুযোগ হলে এটার কাজও শুরু করব।
বুধবার, ২৮ মে ২০২৫
সা ক্ষা ৎ কা র
আসন্ন ঈদে মুক্তির অপেক্ষায় নির্মাতা সঞ্চয় সমদ্দারের সিনেমা ‘ইনসাফ’। প্রথমে পোস্টার এবার প্রকাশ্যে এর টিজারও। সিনেমা ‘ইনসাফ’ এবং অন্যান্য বিষয় নিয়ে সঞ্জয় সমদ্দারের সঙ্গে কথা বলেছেন সংবাদের বিনোদন প্রতিবেদক নায়িমী জান্নাত ব্যাপ্তি
কেমন যাচ্ছে সময়?
‘ইনসাফ’-এর পোস্ট প্রডাকশন ও প্রমোশনের কাজ চলছে। বেশ ব্যস্ততায় কাটছে সময়।
ছোট পর্দা, ওটিটি এরপর এখন চলচ্চিত্র, বড় পর্দায় কেমন অনুভূতি অভিজ্ঞতা?
যখন যেখানে কাজ করেছি, নানা রকম চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে চেয়েছি। পরবর্তীতে দর্শক তা পছন্দও করেছে। অনেক এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করেছি। যেগুলো নাটকে স্ক্রিপ্ট করা কঠিন ছিল, তারপরও কাজগুলো করতে পেরেছি সফলভাবে।
‘ইনসাফ’ নির্মাণের পেছনের গল্পটা কি ছিল?
এটি আমার ২য় নির্মাণ, প্রথমটি ওপার বাংলার একটি সিনেমা। যার নাম ছিল ‘মানুষ’। সেই অভিজ্ঞতার পর থেকেই ইচ্ছে ছিল আরও একটি সিনেমা নির্মাণের। তখন চিত্রনাট্য তৈরি এবং সেটাই এবার ঈদে মুক্তি পাবে। আসলে এভাবেই সাজানো হয় ‘ইনসাফ’। পরবর্তীতে প্রযোজকরা যুক্ত হন এবং সিনেমার কাজ শুরু হয়।
বাণিজ্যিক সিনেমায় ছোট পর্দার ফারিণকে নেয়ার কারণ কি?
ফারিণের ভেতরে একজন অভিনেত্রী আছে। ফারিণের দক্ষতা এবং নিপুণতা দিয়ে সেটি বার বার প্রমাণ করেছেন তিনি। ছোটপর্দা, ওটিটি সব জায়গায় সে ভালো কাজ করেছে। সে জন্যই তাকে নেয়া। গল্পের প্রয়োজনে যাবে প্রয়োজন তাকেই নেয় হয়েছে ইনসাফে।
একে একে ৩টি পোস্টার এবং এখন টিজার রিলিজ হওয়ার পর দর্শকের আগ্রহ কেমন দেখছেন?
বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। সবার আগ্রহ বাড়ছে। পোস্ট প্রকাশের পর পরিচিতরা মেসেজ দিয়ে জানিয়েছে। দর্শকরা কমেন্ট করেছেন পোস্টের নিচে। টিজার প্রকাশের পরপরই অনেক ভিউ হয়েছে। অনেক কমেন্ট পেয়েছি সামাজিক মাধ্যমে। ভালো ফলাফল আশা করাই যায়।
মোশাররফ করিমের এমন তামিল লুকের কারণটা জানতে চাই।
মোশাররফ ভাইয়ের সঙ্গে অনেক কাজ হয়েছে আমার। প্রতিবার তাকে নিয়ে এক্সপেরিমেন্টাল কাজ করেছি বলা যায় যা দর্শক ভালো পছন্দ করেছে, তাই এবার ভিন্ন কিছু করার লক্ষ্যেই এমন ব্যতিক্রমী লুকে সাজানো হয়েছে মোশাররফ ভাইয়ের চরিত্রটি। আর কিছুটা তামিল লুকও বলা যায় এটা।
শরিফুল রাজেরও ভয়ানক রূপ, মোশাররফ করিম এবং রাজ কে নিয়ে কীভাবে সাজানো হয়েছে ইনসাফের গল্প? দর্শক কতটা গ্রহণ করবে বলে মনে হয়?
গল্পের প্রয়োজনেই এই দুজনকে নেয়া হয়েছে। এই সিনেমাটির গল্প খুব শক্ত, এখানে অনেক মানবিক সম্পর্কের জায়গা আছে। দেশের অনেক বড় একটা সমস্যা নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করেছি। যেটা সিনেমা মুক্তির পর সবাই জানতে পারবে। যেভাবে এর চিত্রনাট্য সাজানো হয়েছে, আশা করা যায় দর্শক নতুনত্ব পাবে এবং গ্রহণ করবে।
আপনাকে সঙ্গে নিয়েই কেন লম্বা বিরতির পর তিতাস কথা চিত্র প্রযোজনায় ফিরল?
তারা প্রযোজনায় ফিরতে চাচ্ছিল আগে থেকেই। ইনসাফের পরিকল্পনা শোনার পর তারা আমার সঙ্গেই ফিরতে চাইল এটাই মূখ্য।
এবার ইনসাফ বাদে অন্য প্রসঙ্গ, ওপার বাংলায় কাজ করেছেন, কেমন ছিল সে অভিজ্ঞতা?
সে অভিজ্ঞতা দারুণ ছিল। সেখানের সবাই সহায়তাপরায়ণ ছিলেন। নিজেও শিখেছি অনেক কিছু।
নাটক, ওটিটি এবং চলচ্চিত্র তিনটির কাজের ধরন কেমন। কোনটি বেশি পছন্দের বা কোনটি করতে সাচ্ছন্দ্য পান?
আমি মনে করি এখন আর ছোটপর্দা বড়পর্দা আলাদা করার কিছু নেই। ছোটপর্দার গুণীজনরা বড়পর্দায় কাজ করছে এবং সাফল্য পাচ্ছেন। সেদিক থেকে সব প্ল্যাটফর্মেই ভালো কাজের সুযোগ রয়েছে। সব কয়টায় সাচ্ছন্দ্যে কাজ করতে পারি।
হুমায়ূন আহমেদের গল্প অবলম্বনে চলচ্চিত্র ‘লোভ’ সেটি কবে আসবে?
সামনে এটার পরিকল্পনাও চলছে। সময়-সুযোগ হলে এটার কাজও শুরু করব।