ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত নারীপ্রধান সিনেমা ‘এশা মার্ডার’-এ পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। সিনেমা মুক্তির প্রায় কুড়ি দিন পর নিজের ফেসবুকে একটি ভাবনাপ্রসূত পোস্ট দিয়েছেন তিনি। এই পোস্টের সঙ্গে তিনি ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার কিছু স্থিরচিত্রও শেয়ার করেছেন, যেখানে তাকে পুলিশের পোশাকে কঠিন, দৃঢ়চেতা এক অফিসারের চরিত্রে দেখা গেছে। পোস্টে বাঁধন সিনেমায় ইউনিফর্ম পরা চরিত্রদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। বাঁধন লিখেছেন ‘চরিত্রের প্রতি সম্মান, পোশাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো জরুরি। সিনেমায় যখন এমন কাউকে তুলে ধরা হয়, যিনি দেশের জন্য দায়িত্ব পালন করেনÑ তখন সেটা কেবল একটি পোশাক নয়, কেবল একটি শরীর নয়। এটি একটি দায়িত্ব, একটি আত্মত্যাগের প্রতীকÑ যারা নীরবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন, তাদের প্রতিনিধিত্ব করে এই চরিত্রটি। সুতরাং, সেটিকে যথাযথ সম্মান দেয়া প্রত্যেক নির্মাতার ন্যূনতম দায়িত্ব। এই দেশে যারা ইউনিফর্ম পরেন, তারা মূলত দায়িত্ব পালন করতেই তা পরেনÑ নিজেকে জাহির করার জন্য নয়’ বলেন বাঁধন। নির্মাতাদের উদ্দেশে বাঁধন লিখেন, ‘সিনেমা নির্মাতাদের প্রতি সহজ একটি অনুরোধ, মর্যাদা নিয়ে চরিত্র নির্মাণ করুন। উদ্দেশ্য নিয়ে উপস্থাপন করুন।’ ‘এশা মার্ডার’ মূলত একটি মিস্ট্রি থ্রিলার, যেখানে ঘটনাপ্রবাহ ঘিরে আবর্তিত হয় একজন নারী পুলিশ অফিসারকে কেন্দ্র করে। সিনেমাটিতে বাঁধনের চরিত্রটি কেবল কাহিনির কেন্দ্রে নয়, বরং বাংলাদেশের মূলধারার সিনেমায় নারীর উপস্থাপনার ক্ষেত্রেও একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করেন অনেকে। বাঁধনের পোস্টে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তিনি কেবল একজন অভিনেত্রী হিসেবে নয়, বরং একজন সচেতন শিল্পী হিসেবেও পর্দায় দায়িত্বশীল চরিত্রগুলোর যথাযথ উপস্থাপনায় বিশ্বাসী।
তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, ‘প্রতিটি চরিত্রকে আবেদনময়ী করে তুলতেই হবেÑ এমন কোনো নিয়ম নেই। যখন আপনি একটি সম্মানজনক পেশাকে সস্তা উত্তেজনার উপকরণ বানিয়ে ফেলেন, তখন আপনি শুধু চলচ্চিত্রের ভাষাকেই অপমান করেন না, অপমান করেন সেই সব মানুষকেও, যারা সত্যিকারের দেশসেবায় নিয়োজিত। আর দর্শক ‘উত্তেজনা পাচ্ছে’Ñ এই কথায় যদি আপনি গর্ববোধ করেন, তবে সেটা ফিল্ম মেকিং নয়, সেটা এক ধরনের মশকরা!’ তিনি বলেন, ‘সময় এসেছে উত্তেজনার চেয়ে মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেয়ার। সময় এসেছে এমন চরিত্রগুলোকে সম্মান জানানো, যারা কেবল কল্পনার নয়, বরং বাস্তব জীবনের নীরব নায়ক।’
রোববার, ২৯ জুন ২০২৫
ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত নারীপ্রধান সিনেমা ‘এশা মার্ডার’-এ পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। সিনেমা মুক্তির প্রায় কুড়ি দিন পর নিজের ফেসবুকে একটি ভাবনাপ্রসূত পোস্ট দিয়েছেন তিনি। এই পোস্টের সঙ্গে তিনি ‘এশা মার্ডার’ সিনেমার কিছু স্থিরচিত্রও শেয়ার করেছেন, যেখানে তাকে পুলিশের পোশাকে কঠিন, দৃঢ়চেতা এক অফিসারের চরিত্রে দেখা গেছে। পোস্টে বাঁধন সিনেমায় ইউনিফর্ম পরা চরিত্রদের যথাযথ সম্মান ও মর্যাদার সঙ্গে উপস্থাপনের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেছেন। বাঁধন লিখেছেন ‘চরিত্রের প্রতি সম্মান, পোশাকের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো জরুরি। সিনেমায় যখন এমন কাউকে তুলে ধরা হয়, যিনি দেশের জন্য দায়িত্ব পালন করেনÑ তখন সেটা কেবল একটি পোশাক নয়, কেবল একটি শরীর নয়। এটি একটি দায়িত্ব, একটি আত্মত্যাগের প্রতীকÑ যারা নীরবে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করেন, তাদের প্রতিনিধিত্ব করে এই চরিত্রটি। সুতরাং, সেটিকে যথাযথ সম্মান দেয়া প্রত্যেক নির্মাতার ন্যূনতম দায়িত্ব। এই দেশে যারা ইউনিফর্ম পরেন, তারা মূলত দায়িত্ব পালন করতেই তা পরেনÑ নিজেকে জাহির করার জন্য নয়’ বলেন বাঁধন। নির্মাতাদের উদ্দেশে বাঁধন লিখেন, ‘সিনেমা নির্মাতাদের প্রতি সহজ একটি অনুরোধ, মর্যাদা নিয়ে চরিত্র নির্মাণ করুন। উদ্দেশ্য নিয়ে উপস্থাপন করুন।’ ‘এশা মার্ডার’ মূলত একটি মিস্ট্রি থ্রিলার, যেখানে ঘটনাপ্রবাহ ঘিরে আবর্তিত হয় একজন নারী পুলিশ অফিসারকে কেন্দ্র করে। সিনেমাটিতে বাঁধনের চরিত্রটি কেবল কাহিনির কেন্দ্রে নয়, বরং বাংলাদেশের মূলধারার সিনেমায় নারীর উপস্থাপনার ক্ষেত্রেও একটি ভিন্ন মাত্রা যোগ করেছে বলে মনে করেন অনেকে। বাঁধনের পোস্টে ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তিনি কেবল একজন অভিনেত্রী হিসেবে নয়, বরং একজন সচেতন শিল্পী হিসেবেও পর্দায় দায়িত্বশীল চরিত্রগুলোর যথাযথ উপস্থাপনায় বিশ্বাসী।
তিনি স্পষ্ট ভাষায় লেখেন, ‘প্রতিটি চরিত্রকে আবেদনময়ী করে তুলতেই হবেÑ এমন কোনো নিয়ম নেই। যখন আপনি একটি সম্মানজনক পেশাকে সস্তা উত্তেজনার উপকরণ বানিয়ে ফেলেন, তখন আপনি শুধু চলচ্চিত্রের ভাষাকেই অপমান করেন না, অপমান করেন সেই সব মানুষকেও, যারা সত্যিকারের দেশসেবায় নিয়োজিত। আর দর্শক ‘উত্তেজনা পাচ্ছে’Ñ এই কথায় যদি আপনি গর্ববোধ করেন, তবে সেটা ফিল্ম মেকিং নয়, সেটা এক ধরনের মশকরা!’ তিনি বলেন, ‘সময় এসেছে উত্তেজনার চেয়ে মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেয়ার। সময় এসেছে এমন চরিত্রগুলোকে সম্মান জানানো, যারা কেবল কল্পনার নয়, বরং বাস্তব জীবনের নীরব নায়ক।’