বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন জাপানি ভাষায় ‘টেনেমেন্ট অব সিক্রেট টক’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। এই ছবির মাধ্যমে আবারও বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নাম তুলে ধরলেন তিনি। সিনেমাটি নির্বাচিত হয়েছে এশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে। এর একটি জাপানের কারাতসু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। অন্যটি ভারতের কলকাতার অষ্টম দক্ষিণ এশীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব। জাপানের সাগা প্রদেশের কারাতসু শহরে ৮ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে কারাতসু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এর প্রতিযোগিতা বিভাগে মনোনীত পাঁচটি জাপানি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের একটি হলো ইমনের এই ছবি। এবারের আসরে বিশ্বের ৩৩টি দেশ থেকে জমা পড়া ৩৩১টি ছবির মধ্যে থেকে ১১১টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বাছাই করা হয়।
সেখান থেকে চূড়ান্তভাবে মাত্র পাঁচটি ছবিকে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ উৎসবের আয়োজক কারাতসু সংস্কৃতি কমিশন। সমাপনী দিনে, ১৩ জুলাই, বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। একই সময়ে ছবিটি নির্বাচিত হয়েছে ভারতের কলকাতায় আয়োজিত অষ্টম দক্ষিণ এশীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে। ৭ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত কলকাতার ঐতিহাসিক নন্দন চলচ্চিত্রকেন্দ্রে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে। এর আন্তর্জাতিক বিভাগে কল্পকাহিনিভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে ৯টি ছবি নির্বাচিত হয়েছে। তার একটি ‘টেনেমেন্ট অব সিক্রেট টক’। এই উৎসব আয়োজন করছে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব ইন্ডিয়া। উৎসবটি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের শৈল্পিক বৈচিত্র্য ও নতুন নির্মাতাদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থাপন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
ছবিটি নির্মিত হয়েছে কিয়োতো চলচ্চিত্র নির্মাতা ল্যাব প্রকল্পের আওতায়, কিয়োতো হিস্টোরিকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সহায়তায়। পুরো ছবির চিত্রায়ন হয়েছে জাপানের ঐতিহাসিক শোচিকু স্টুডিওতে, যা ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র নির্মাণের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। এ ছবির গল্প গড়ে উঠেছে এডো যুগের প্রেক্ষাপটে, যেখানে ঐতিহাসিক পরিবেশ, আবেগ ও চিত্রভাষার অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটেছে। এমন একটি ভিন্নধারার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে নির্মাতা ইমন বলেন, ‘জাপানের চলচ্চিত্র ঐতিহ্যের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে একটি আন্তর্জাতিক টিমের সঙ্গে কাজ করাটা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এই ছবিটি বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির দর্শকের মনে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে, তা আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ এরই মধ্যে ‘টেনেমেন্ট অব সিক্রেট টক’ ইতোমধ্যেই জাপানেও প্রশংসিত হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কুমাগায়া একিমায়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে এটি শ্রেষ্ঠত্ব পুরস্কার লাভ করে। বিচারকরা এই ছবির চিত্রগ্রহণ, ঐতিহাসিক আবহ এবং জিদাইগেকির (ঐতিহাসিক নাট্যধর্মী ঘরানা) উপস্থাপনাকে বিশেষভাবে প্রশংসা করেছেন। ছবিটি জাপানের সুকুবা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে।
বুধবার, ০৯ জুলাই ২০২৫
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন নির্মাতা আবু শাহেদ ইমন জাপানি ভাষায় ‘টেনেমেন্ট অব সিক্রেট টক’ নামে একটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন। এই ছবির মাধ্যমে আবারও বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশের নাম তুলে ধরলেন তিনি। সিনেমাটি নির্বাচিত হয়েছে এশিয়ার দুটি গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসবে। এর একটি জাপানের কারাতসু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। অন্যটি ভারতের কলকাতার অষ্টম দক্ষিণ এশীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসব। জাপানের সাগা প্রদেশের কারাতসু শহরে ৮ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত চলবে কারাতসু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এর প্রতিযোগিতা বিভাগে মনোনীত পাঁচটি জাপানি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের একটি হলো ইমনের এই ছবি। এবারের আসরে বিশ্বের ৩৩টি দেশ থেকে জমা পড়া ৩৩১টি ছবির মধ্যে থেকে ১১১টি আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র বাছাই করা হয়।
সেখান থেকে চূড়ান্তভাবে মাত্র পাঁচটি ছবিকে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। এ উৎসবের আয়োজক কারাতসু সংস্কৃতি কমিশন। সমাপনী দিনে, ১৩ জুলাই, বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হবে। একই সময়ে ছবিটি নির্বাচিত হয়েছে ভারতের কলকাতায় আয়োজিত অষ্টম দক্ষিণ এশীয় স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে। ৭ থেকে ১৩ জুলাই পর্যন্ত কলকাতার ঐতিহাসিক নন্দন চলচ্চিত্রকেন্দ্রে উৎসবটি অনুষ্ঠিত হবে। এর আন্তর্জাতিক বিভাগে কল্পকাহিনিভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে ৯টি ছবি নির্বাচিত হয়েছে। তার একটি ‘টেনেমেন্ট অব সিক্রেট টক’। এই উৎসব আয়োজন করছে ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব ইন্ডিয়া। উৎসবটি দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলের শৈল্পিক বৈচিত্র্য ও নতুন নির্মাতাদের আন্তর্জাতিক মঞ্চে উপস্থাপন করে আসছে দীর্ঘদিন ধরে।
ছবিটি নির্মিত হয়েছে কিয়োতো চলচ্চিত্র নির্মাতা ল্যাব প্রকল্পের আওতায়, কিয়োতো হিস্টোরিকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সহায়তায়। পুরো ছবির চিত্রায়ন হয়েছে জাপানের ঐতিহাসিক শোচিকু স্টুডিওতে, যা ঐতিহাসিক চলচ্চিত্র নির্মাণের সূতিকাগার হিসেবে পরিচিত। এ ছবির গল্প গড়ে উঠেছে এডো যুগের প্রেক্ষাপটে, যেখানে ঐতিহাসিক পরিবেশ, আবেগ ও চিত্রভাষার অপূর্ব সংমিশ্রণ ঘটেছে। এমন একটি ভিন্নধারার অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে নির্মাতা ইমন বলেন, ‘জাপানের চলচ্চিত্র ঐতিহ্যের কেন্দ্রে দাঁড়িয়ে একটি আন্তর্জাতিক টিমের সঙ্গে কাজ করাটা ছিল এক অসাধারণ অভিজ্ঞতা। এই ছবিটি বিভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির দর্শকের মনে যে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করছে, তা আমার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ এরই মধ্যে ‘টেনেমেন্ট অব সিক্রেট টক’ ইতোমধ্যেই জাপানেও প্রশংসিত হয়েছে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কুমাগায়া একিমায়ে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র উৎসবে এটি শ্রেষ্ঠত্ব পুরস্কার লাভ করে। বিচারকরা এই ছবির চিত্রগ্রহণ, ঐতিহাসিক আবহ এবং জিদাইগেকির (ঐতিহাসিক নাট্যধর্মী ঘরানা) উপস্থাপনাকে বিশেষভাবে প্রশংসা করেছেন। ছবিটি জাপানের সুকুবা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় পুরস্কার অর্জন করেছে।