চর্যাপদ গানের পুনর্জাগরণের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী ‘চর্যাপদ পুনর্জাগরণ উৎসব ২০২৫’ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয়বারের এত উৎসবটি আয়োজন করছে ভাবনগর ফাউন্ডেশন। ৯ জুলাই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাবনগর সাধুসঙ্গের শিল্পীরা সমবেতভাবে লুইপার রচিত চর্যাপদের প্রথম পদটি পরিবেশন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফ্রান্স থেকে আসা লালনপন্থী সাধক ফকির দেবোরাহ জান্নাত। তিনি বলেন, ‘আদি সংস্কৃতির মধ্যেই মানবের মুক্তি। চর্যাপদের গানে তার নির্দেশনা রয়েছে। আজকের সাধকেরা যে চর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণ করেছেন, তা এ দেশের প্রাচীন সাধনার সঙ্গে আমাদের সংযোগ স্থাপন করে
দিচ্ছে। নিজের হৃদয়ের কাছে পৌঁছানোর জন্য চর্যাগান থেকে লালন সাঁইয়ের গানের কাছে, জ্ঞানের কাছে ফিরতে হয়।’
বক্তব্যের পাশাপাশি তিনি চর্যাপদের ৬ নম্বর গান পরিবেশন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আমেরিকার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক-শিক্ষক কিথ ই কান্তু। তিনি বলেন, ‘চর্যাপদের গান বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের অংশ। এই গানের পুনর্জাগরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধকেরা তাঁদের যে সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।’ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশের চর্যাপদের গানের সুরকার, শিল্পী ও প্রশিক্ষক সাধিকা সৃজনী তানিয়া এবং ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার থেকে আসা চর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণের শিল্পী বাবুল আক্তার। স্বাগত বক্তব্য দেন গবেষক সাইমন জাকারিয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার কক্ষে চর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণের আসরে চর্যাগান পরিবেশন করেন ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার থেকে আসা সাধকশিল্পী বাবুল আক্তার, লুৎফর রহমান, আফজাল হোসেন, সোহেল, সানোয়ার, খলিল, আলী আজম, ফারুক হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন, বেল্লাল হোসেন, আবদুল হাকিম, কাওসার মাহমুদ, অভয়চরণ, মোসলেম, নাহিদ ও রঞ্জিত। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন নূরুননবী শান্ত ও কবি শাহেদ কায়েস। চর্যাপদ পুনর্জাগরণ উৎসব ২০২৫ চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। তৃতীয় দিন শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে চর্যাপদের গানের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন চর্যাপদের গানের সুরকার, শিল্পী ও প্রশিক্ষক সাধক সৃজনী তানিয়া, শাহ আলম দেওয়ান ও বাউল অন্তর সরকার।
এছাড়া একই দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভাব সাধকদের অংশগ্রহণে চর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণের আসর অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চর্যাপদের গানের প্রশিক্ষণগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ, এক যুগ ধরে চর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ শিল্পীদের ক্রেস্ট প্রদান এবং সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে সমাপনী ভাষণ দেবেন লেখক ও গবেষক ফরহাদ মজহার, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ সুকোমল বড়ুয়া এবং ভিক্ষু জিনবধি। তিন দিনের অনুষ্ঠানমালার উপস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন ভাবনগর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নূরুননবী শান্ত এবং কবি শাহেদ কায়েস।
বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫
চর্যাপদ গানের পুনর্জাগরণের এক যুগ পূর্তি উপলক্ষে তিন দিনব্যাপী ‘চর্যাপদ পুনর্জাগরণ উৎসব ২০২৫’ শুরু হয়েছে। দ্বিতীয়বারের এত উৎসবটি আয়োজন করছে ভাবনগর ফাউন্ডেশন। ৯ জুলাই বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাবনগর সাধুসঙ্গের শিল্পীরা সমবেতভাবে লুইপার রচিত চর্যাপদের প্রথম পদটি পরিবেশন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ফ্রান্স থেকে আসা লালনপন্থী সাধক ফকির দেবোরাহ জান্নাত। তিনি বলেন, ‘আদি সংস্কৃতির মধ্যেই মানবের মুক্তি। চর্যাপদের গানে তার নির্দেশনা রয়েছে। আজকের সাধকেরা যে চর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণ করেছেন, তা এ দেশের প্রাচীন সাধনার সঙ্গে আমাদের সংযোগ স্থাপন করে
দিচ্ছে। নিজের হৃদয়ের কাছে পৌঁছানোর জন্য চর্যাগান থেকে লালন সাঁইয়ের গানের কাছে, জ্ঞানের কাছে ফিরতে হয়।’
বক্তব্যের পাশাপাশি তিনি চর্যাপদের ৬ নম্বর গান পরিবেশন করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন আমেরিকার হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটির গবেষক-শিক্ষক কিথ ই কান্তু। তিনি বলেন, ‘চর্যাপদের গান বাংলাদেশের প্রাচীন ইতিহাসের অংশ। এই গানের পুনর্জাগরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সাধকেরা তাঁদের যে সৃজনশীলতার পরিচয় দিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়।’ অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বাংলাদেশের চর্যাপদের গানের সুরকার, শিল্পী ও প্রশিক্ষক সাধিকা সৃজনী তানিয়া এবং ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার থেকে আসা চর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণের শিল্পী বাবুল আক্তার। স্বাগত বক্তব্য দেন গবেষক সাইমন জাকারিয়া।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটার কক্ষে চর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণের আসরে চর্যাগান পরিবেশন করেন ঐতিহাসিক পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার থেকে আসা সাধকশিল্পী বাবুল আক্তার, লুৎফর রহমান, আফজাল হোসেন, সোহেল, সানোয়ার, খলিল, আলী আজম, ফারুক হোসেন, মোফাজ্জল হোসেন, বেল্লাল হোসেন, আবদুল হাকিম, কাওসার মাহমুদ, অভয়চরণ, মোসলেম, নাহিদ ও রঞ্জিত। অনুষ্ঠান উপস্থাপনা করেন নূরুননবী শান্ত ও কবি শাহেদ কায়েস। চর্যাপদ পুনর্জাগরণ উৎসব ২০২৫ চলবে শুক্রবার পর্যন্ত। তৃতীয় দিন শুক্রবার বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির স্টুডিও থিয়েটারে চর্যাপদের গানের প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন চর্যাপদের গানের সুরকার, শিল্পী ও প্রশিক্ষক সাধক সৃজনী তানিয়া, শাহ আলম দেওয়ান ও বাউল অন্তর সরকার।
এছাড়া একই দিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত ভাব সাধকদের অংশগ্রহণে চর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণের আসর অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি রাত ৮টা থেকে ৯টা পর্যন্ত চর্যাপদের গানের প্রশিক্ষণগ্রহণকারীদের মধ্যে সনদ বিতরণ, এক যুগ ধরে চর্যাপদের গানের পুনর্জাগরণে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ শিল্পীদের ক্রেস্ট প্রদান এবং সমাপনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। সমাপনী অনুষ্ঠানে সমাপনী ভাষণ দেবেন লেখক ও গবেষক ফরহাদ মজহার, একুশে পদকপ্রাপ্ত শিক্ষাবিদ সুকোমল বড়ুয়া এবং ভিক্ষু জিনবধি। তিন দিনের অনুষ্ঠানমালার উপস্থাপনার সার্বিক দায়িত্ব পালন করছেন ভাবনগর ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক নূরুননবী শান্ত এবং কবি শাহেদ কায়েস।