বাংলা সিনেমার জন্য আরেকটি সুখবর বয়ে আনলেন তরুণ নির্মাতা মেহেদী হাসান। ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব কার্লোভি ভেরি। এবার এই উৎসবে মেহেদী নির্মিত এবং রুবাইয়াত হোসেন প্রযোজিত ‘বালুর নগরীতে’ বা ‘স্যান্ড সিটি’ সিনেমাটি জিতে নিল ‘প্রক্সিমা গ্র্যান্ড প্রিক্স’। কার্লোভি ভেরি সূত্রে জানা গেছে, এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ১৫ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ লাখ টাকার বেশি। উৎসবে মেহেদী হাসান ও সিনেমার কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রক্সিমা প্রতিযোগিতা শাখায় ‘গ্র্যান্ড প্রিক্স’ পুরস্কার পেয়েছে ‘বালুর নগরীতে’। সিনেমার গল্প মূলত নগরের বালুকে ঘিরে। সিনেমায় এমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভিক্টোরিয়া চাকমা। যাকে দেখা যাবে বিড়ালের ক্যাট লিটারের জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্কুটারে করে বালু সংগ্রহ করতে। বালু সংগ্রহ করতে গিয়ে এমা একদিন বিচ্ছিন্ন আঙুল খুঁজে পায়। এই রহস্য নাটকীয়ভাবে গল্পে পরিবর্তন নিয়ে আসে। সিনেমায় আরেকটি চরিত্র সামনে আসে। তার নাম হাসান। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনোয়ার। তিনি বালুর প্ল্যান্টে কাজ করেন।
সেখান থেকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস চুরি করে বাড়িতেই কাচ তৈরির চেষ্টা করতে থাকেন হাসান। তার স্বপ্ন, একদিন কাচের ফ্যাক্টরির মালিক হবেন; যা শেষ পর্যন্ত তাকে ধ্বংসাত্মক উদ্ভট পরিকল্পনার দিকে নিয়ে যায়। এদিকে, সিনেমাটি সম্পর্কে পরিচালক মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে জানান, তিনি বাসায় বিড়াল পোষেন। বিড়ালের জন্য ক্যাট লিটারের প্রয়োজন হয়। ক্যাট লিটারের বালু ব্যবহার করতে গিয়েই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা, বিভিন্ন রাস্তার মোড়, কনস্ট্রাকশন সাইট থেকে বালু সংগ্রহ করতেন। এভাবে তার মাথায় আসে গল্পটি। এই গল্প এর আগে লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসব থেকে তহবিল পায়। বলা প্রয়োজন, চেক প্রজাতন্ত্রের এই উৎসব ৪ জুলাই থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় ১২ জুলাই। উৎসবের প্রধান অফিসিয়াল বিভাগ ক্রিস্টাল গ্লোব। এই শাখায় পুরস্কার পেয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের সিনেমা ‘বেটার গো ম্যাড ইন দ্য ওয়াইল্ড’, পরিচালক মিরো রেমো। উৎসবের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ প্রক্সিমা কম্পিটিশন। এটাও বলা প্রয়োজন, ২০১৬ সালে মেহেদী হাসানের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আই অ্যাম টাইম’ লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওপেন ডোরসে প্রদর্শিত হয়। দুই বছর পর ২০১৮ সালে প্রদর্শিত হয় ‘ডেথ অব আ রিডার’।
২০২০ সালে লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ‘বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল শর্টফিল্ম’ বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্য প্রথম কোনো বাংলাদেশি ছবি হিসেবে নির্বাচিত হয় মেহেদীর ‘দ্য বোরিং ফিল্ম’। ১৬ মিনিট দৈর্ঘ্যরে এই সিনেমার ভাবনা, চিত্রনাট্য, পরিচালনা ও সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি নিজেই। এদিকে জানা গেছে, সিনেমাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ব্যাংককভিত্তিক চলচ্চিত্র পরিবেশনা সংস্থা ডাইভারশন। এখন থেকে এই প্রতিষ্ঠানটিই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সিনেমাটি বিক্রি করবে।
সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
বাংলা সিনেমার জন্য আরেকটি সুখবর বয়ে আনলেন তরুণ নির্মাতা মেহেদী হাসান। ইউরোপের গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব কার্লোভি ভেরি। এবার এই উৎসবে মেহেদী নির্মিত এবং রুবাইয়াত হোসেন প্রযোজিত ‘বালুর নগরীতে’ বা ‘স্যান্ড সিটি’ সিনেমাটি জিতে নিল ‘প্রক্সিমা গ্র্যান্ড প্রিক্স’। কার্লোভি ভেরি সূত্রে জানা গেছে, এই পুরস্কারের অর্থমূল্য ১৫ হাজার ডলার বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৮ লাখ টাকার বেশি। উৎসবে মেহেদী হাসান ও সিনেমার কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রক্সিমা প্রতিযোগিতা শাখায় ‘গ্র্যান্ড প্রিক্স’ পুরস্কার পেয়েছে ‘বালুর নগরীতে’। সিনেমার গল্প মূলত নগরের বালুকে ঘিরে। সিনেমায় এমা চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভিক্টোরিয়া চাকমা। যাকে দেখা যাবে বিড়ালের ক্যাট লিটারের জন্য শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে স্কুটারে করে বালু সংগ্রহ করতে। বালু সংগ্রহ করতে গিয়ে এমা একদিন বিচ্ছিন্ন আঙুল খুঁজে পায়। এই রহস্য নাটকীয়ভাবে গল্পে পরিবর্তন নিয়ে আসে। সিনেমায় আরেকটি চরিত্র সামনে আসে। তার নাম হাসান। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন মোস্তফা মনোয়ার। তিনি বালুর প্ল্যান্টে কাজ করেন।
সেখান থেকে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস চুরি করে বাড়িতেই কাচ তৈরির চেষ্টা করতে থাকেন হাসান। তার স্বপ্ন, একদিন কাচের ফ্যাক্টরির মালিক হবেন; যা শেষ পর্যন্ত তাকে ধ্বংসাত্মক উদ্ভট পরিকল্পনার দিকে নিয়ে যায়। এদিকে, সিনেমাটি সম্পর্কে পরিচালক মেহেদী হাসান গণমাধ্যমকে জানান, তিনি বাসায় বিড়াল পোষেন। বিড়ালের জন্য ক্যাট লিটারের প্রয়োজন হয়। ক্যাট লিটারের বালু ব্যবহার করতে গিয়েই রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা, বিভিন্ন রাস্তার মোড়, কনস্ট্রাকশন সাইট থেকে বালু সংগ্রহ করতেন। এভাবে তার মাথায় আসে গল্পটি। এই গল্প এর আগে লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসব থেকে তহবিল পায়। বলা প্রয়োজন, চেক প্রজাতন্ত্রের এই উৎসব ৪ জুলাই থেকে শুরু হয়ে শেষ হয় ১২ জুলাই। উৎসবের প্রধান অফিসিয়াল বিভাগ ক্রিস্টাল গ্লোব। এই শাখায় পুরস্কার পেয়েছে চেক প্রজাতন্ত্রের সিনেমা ‘বেটার গো ম্যাড ইন দ্য ওয়াইল্ড’, পরিচালক মিরো রেমো। উৎসবের দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ প্রক্সিমা কম্পিটিশন। এটাও বলা প্রয়োজন, ২০১৬ সালে মেহেদী হাসানের প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘আই অ্যাম টাইম’ লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ওপেন ডোরসে প্রদর্শিত হয়। দুই বছর পর ২০১৮ সালে প্রদর্শিত হয় ‘ডেথ অব আ রিডার’।
২০২০ সালে লোকার্নো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ‘বেস্ট ইন্টারন্যাশনাল শর্টফিল্ম’ বিভাগে প্রতিযোগিতার জন্য প্রথম কোনো বাংলাদেশি ছবি হিসেবে নির্বাচিত হয় মেহেদীর ‘দ্য বোরিং ফিল্ম’। ১৬ মিনিট দৈর্ঘ্যরে এই সিনেমার ভাবনা, চিত্রনাট্য, পরিচালনা ও সম্পাদনার দায়িত্বে ছিলেন তিনি নিজেই। এদিকে জানা গেছে, সিনেমাটির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ব্যাংককভিত্তিক চলচ্চিত্র পরিবেশনা সংস্থা ডাইভারশন। এখন থেকে এই প্রতিষ্ঠানটিই আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সিনেমাটি বিক্রি করবে।