দুই বছর পর আবার মঞ্চে ফিরছে নাট্যদল বাতিঘর থিয়েটারের আলোচিত নাটক ‘র্যার্ডক্লিফ লাইন’। সর্বশেষ ২০২৩ সালের আগস্টে মঞ্চে এসেছিল নাটকটি। দীর্ঘ বিরতির পর ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে এই নাটক। রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন মুক্তনীল। নাটকটিতে অভিনয় করছেন খালিদ হাসান রুমি, স্মরণ বিশ্বাস, শিশির সরকার ও সঞ্জয় হালদার। আলোক পরিকল্পনা করেছেন তানজিল আহমেদ, মঞ্চ পরিকল্পনা তাজিম আহমেদ শাওন, সংগীতায়োজন জনি সেন রুবেল ও সাদ্দাম রহমান, শব্দ প্রক্ষেপণে সাদ্দাম রহমান। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নাটকটির অগ্রিম টিকিট বিক্রি। ‘র্যার্ডক্লিফ লাইন’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র দুটি। বিজিবি সদস্য জামাল ও বিএসএফ সদস্য হীরালাল। সীমান্তে একটি গরুকে কেন্দ্র করে এক নাটকীয় পরিস্থিতিতে দেখা হয়ে যায় দুই দেশের এই দুই প্রহরীর। গরুটি ঢুকে পড়ে একটি সুড়ঙ্গে, যার শেষপ্রান্ত গিয়ে পড়ে নো ম্যানস ল্যান্ডে। সেখানে একে অপরের মুখোমুখি হন জামাল ও
হীরালাল। শুরু হয় কথোপকথন।যেখানে উঠে আসে ইতিহাস, রাজনীতি, সীমান্ত হত্যা, বিভাজন আর বিশ্বাসঘাতকতার গল্প। তাদের মধ্যে উত্তেজনা যেমন বাড়ে, তেমনি গভীর হয় উপলব্ধি। তারা বুঝতে পারে ধর্ম, জাতীয়তা বা ভূখণ্ড আলাদা হলেও যন্ত্রণাগুলো আসলে এক। নাটকের নির্দেশক মুক্তনীল বলেন, ‘ইংরেজরা ধর্মের নামে মানুষকে বিভক্ত করেছিল। সেই বিভাজনের বিষ আজও রয়ে গেছে উপমহাদেশে। একই খেতের ফসল, একই নদীর জল, কিন্তু মানুষ পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাসে ভুগছে। এই নাটক সেই বিভাজনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ আর দখলদারিত্বের মহাউৎসব যেন থামছেই না। এই বাস্তবতায় র্যাডক্লিফ লাইন নাটকটি হয়ে উঠেছে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।’
সোমবার, ০৪ আগস্ট ২০২৫
দুই বছর পর আবার মঞ্চে ফিরছে নাট্যদল বাতিঘর থিয়েটারের আলোচিত নাটক ‘র্যার্ডক্লিফ লাইন’। সর্বশেষ ২০২৩ সালের আগস্টে মঞ্চে এসেছিল নাটকটি। দীর্ঘ বিরতির পর ১৫ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে রাজধানীর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হবে এই নাটক। রচনা ও নির্দেশনায় রয়েছেন মুক্তনীল। নাটকটিতে অভিনয় করছেন খালিদ হাসান রুমি, স্মরণ বিশ্বাস, শিশির সরকার ও সঞ্জয় হালদার। আলোক পরিকল্পনা করেছেন তানজিল আহমেদ, মঞ্চ পরিকল্পনা তাজিম আহমেদ শাওন, সংগীতায়োজন জনি সেন রুবেল ও সাদ্দাম রহমান, শব্দ প্রক্ষেপণে সাদ্দাম রহমান। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে নাটকটির অগ্রিম টিকিট বিক্রি। ‘র্যার্ডক্লিফ লাইন’ নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র দুটি। বিজিবি সদস্য জামাল ও বিএসএফ সদস্য হীরালাল। সীমান্তে একটি গরুকে কেন্দ্র করে এক নাটকীয় পরিস্থিতিতে দেখা হয়ে যায় দুই দেশের এই দুই প্রহরীর। গরুটি ঢুকে পড়ে একটি সুড়ঙ্গে, যার শেষপ্রান্ত গিয়ে পড়ে নো ম্যানস ল্যান্ডে। সেখানে একে অপরের মুখোমুখি হন জামাল ও
হীরালাল। শুরু হয় কথোপকথন।যেখানে উঠে আসে ইতিহাস, রাজনীতি, সীমান্ত হত্যা, বিভাজন আর বিশ্বাসঘাতকতার গল্প। তাদের মধ্যে উত্তেজনা যেমন বাড়ে, তেমনি গভীর হয় উপলব্ধি। তারা বুঝতে পারে ধর্ম, জাতীয়তা বা ভূখণ্ড আলাদা হলেও যন্ত্রণাগুলো আসলে এক। নাটকের নির্দেশক মুক্তনীল বলেন, ‘ইংরেজরা ধর্মের নামে মানুষকে বিভক্ত করেছিল। সেই বিভাজনের বিষ আজও রয়ে গেছে উপমহাদেশে। একই খেতের ফসল, একই নদীর জল, কিন্তু মানুষ পরস্পরের প্রতি অবিশ্বাসে ভুগছে। এই নাটক সেই বিভাজনের বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদ।’ তিনি আরও বলেন, ‘যুদ্ধ আর দখলদারিত্বের মহাউৎসব যেন থামছেই না। এই বাস্তবতায় র্যাডক্লিফ লাইন নাটকটি হয়ে উঠেছে আরও বেশি প্রাসঙ্গিক।’