বিশ্ব চলচ্চিত্রের অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বলে নাম জ্যাকি চ্যান। সুইজারল্যান্ডের লোকার্নো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ঐতিহাসিক পিয়াজ্জা গ্রান্দে স্কয়ারে ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় গোটা জগতের নজর কেড়েছেন হংকং ও হলিউডের কিংবদন্তি এই অভিনেতা। পার্দো আল্লা ক্যারিয়েরা বা ‘ক্যারিয়ার লেপার্ড’ পুরস্কার হাতে নিয়ে জ্যাকি চ্যানের মুখে ছিল এক অবিস্মরণীয় উজ্জ্বলতা আর গর্বের হাসি। ‘বুয়োনা সেরা!’ বলে ইতালীয় ভাষায় শুভেচ্ছা জানিয়ে মঞ্চে উঠে তিনি কৃতজ্ঞতার স্রোতে ভাসলেন। হাতে পুরস্কারটি নিয়ে হাসতে হাসতে বললেন, ‘এটা কিন্তু অনেক ভারী।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা একসময় বলেছিলেন, ৬০ বছর বয়সেও আমি কি লড়াই করতে পারব? আমি এখন ৭১ এবং এখনও লড়তে পারি।’ এ কথা বলতেই পুরো স্কয়ার উল্লাসে ফেটে পড়ে। অভিনেতা আরও জানান, ‘এই বছর তার চলচ্চিত্র জীবনের ৬৪ বছর পূর্ণ হলো।’ এ ছাড়া মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিশ্ব শান্তি ও ঐক্যের কামনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা আর শান্তি ছড়িয়ে দিন, সবাইকে ভালোবাসি।’ সে সময় ভক্তদের মুখে জ্যাকি! জ্যাকি স্লোগান, হাতে ‘আই লাভ জ্যাকি চ্যান’ লেখা পোস্টার আর লাল টি-শার্ট পরা সমর্থকদের উত্তেজনা চারদিকে মাতিয়ে দিয়েছে উৎসবের মঞ্চ। বড় স্ক্রিনে যখন চ্যানের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার মুহূর্ত ফুটে উঠল, তখন দর্শকরা করতালি আর উল্লাসে ফেটে পড়লেন।
দুই হাতে পান্ডা খেলনা নিয়ে লাল গালিচায় হাঁটতে দেখা গেল তাকে, আর তখন তো উন্মাদনার পারদ চড়েই গেল। এ বিষয়ে লোকার্নোর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর গিওনা এ নাজারো বলেন, ‘হংকং সিনেমার ভক্ত হিসেবে, আমি তিনটি বই লিখেছি, আর জ্যাকি চ্যান আমার সে স্বপ্ন পূরণ করেন।’ এশিয়ার মেগাস্টার, দক্ষ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং হলিউডের অন্যতম এই প্রিয় মুখ হিসেবে তার সম্মাননা দেয়া হয়েছে, যিনি প্রায় ৬০ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে পরিচিত এক ব্যক্তিত্ব। পার্দো আল্লা ক্যারিয়েরা পুরস্কার আসকোনা-লোকার্নো ট্যুরিজমের সহযোগিতায় দেওয়া হয়, যার আগের প্রাপকরা ছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান, ক্লাউডিয়া কার্ডিনালে, জনি তোসহ অনেকে। বিশ্ব মঞ্চে জ্যাকির এ অসাধারণ সাফল্যের গল্প এখন নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।
বুধবার, ১৩ আগস্ট ২০২৫
বিশ্ব চলচ্চিত্রের অঙ্গনে এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বলে নাম জ্যাকি চ্যান। সুইজারল্যান্ডের লোকার্নো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের ঐতিহাসিক পিয়াজ্জা গ্রান্দে স্কয়ারে ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় গোটা জগতের নজর কেড়েছেন হংকং ও হলিউডের কিংবদন্তি এই অভিনেতা। পার্দো আল্লা ক্যারিয়েরা বা ‘ক্যারিয়ার লেপার্ড’ পুরস্কার হাতে নিয়ে জ্যাকি চ্যানের মুখে ছিল এক অবিস্মরণীয় উজ্জ্বলতা আর গর্বের হাসি। ‘বুয়োনা সেরা!’ বলে ইতালীয় ভাষায় শুভেচ্ছা জানিয়ে মঞ্চে উঠে তিনি কৃতজ্ঞতার স্রোতে ভাসলেন। হাতে পুরস্কারটি নিয়ে হাসতে হাসতে বললেন, ‘এটা কিন্তু অনেক ভারী।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমার বাবা একসময় বলেছিলেন, ৬০ বছর বয়সেও আমি কি লড়াই করতে পারব? আমি এখন ৭১ এবং এখনও লড়তে পারি।’ এ কথা বলতেই পুরো স্কয়ার উল্লাসে ফেটে পড়ে। অভিনেতা আরও জানান, ‘এই বছর তার চলচ্চিত্র জীবনের ৬৪ বছর পূর্ণ হলো।’ এ ছাড়া মঞ্চে দাঁড়িয়ে বিশ্ব শান্তি ও ঐক্যের কামনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ভালোবাসা আর শান্তি ছড়িয়ে দিন, সবাইকে ভালোবাসি।’ সে সময় ভক্তদের মুখে জ্যাকি! জ্যাকি স্লোগান, হাতে ‘আই লাভ জ্যাকি চ্যান’ লেখা পোস্টার আর লাল টি-শার্ট পরা সমর্থকদের উত্তেজনা চারদিকে মাতিয়ে দিয়েছে উৎসবের মঞ্চ। বড় স্ক্রিনে যখন চ্যানের ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ছবি তোলার মুহূর্ত ফুটে উঠল, তখন দর্শকরা করতালি আর উল্লাসে ফেটে পড়লেন।
দুই হাতে পান্ডা খেলনা নিয়ে লাল গালিচায় হাঁটতে দেখা গেল তাকে, আর তখন তো উন্মাদনার পারদ চড়েই গেল। এ বিষয়ে লোকার্নোর আর্টিস্টিক ডিরেক্টর গিওনা এ নাজারো বলেন, ‘হংকং সিনেমার ভক্ত হিসেবে, আমি তিনটি বই লিখেছি, আর জ্যাকি চ্যান আমার সে স্বপ্ন পূরণ করেন।’ এশিয়ার মেগাস্টার, দক্ষ চলচ্চিত্র নির্মাতা এবং হলিউডের অন্যতম এই প্রিয় মুখ হিসেবে তার সম্মাননা দেয়া হয়েছে, যিনি প্রায় ৬০ বছর ধরে বিশ্বজুড়ে পরিচিত এক ব্যক্তিত্ব। পার্দো আল্লা ক্যারিয়েরা পুরস্কার আসকোনা-লোকার্নো ট্যুরিজমের সহযোগিতায় দেওয়া হয়, যার আগের প্রাপকরা ছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান, ক্লাউডিয়া কার্ডিনালে, জনি তোসহ অনেকে। বিশ্ব মঞ্চে জ্যাকির এ অসাধারণ সাফল্যের গল্প এখন নতুন প্রজন্মের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।