বাংলা নাটকের নতুন ধারার প্রবর্তক নাট্যগুরু সেলিমআল দীনের ১৪ তম প্রয়ান দিবস আজ। ২০০৮ সালের এই দিনে মাত্র ৫৯ বছর বয়সে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। বাংলা নাটককে তিনি প্রচলিত ধারা থেকে বের করে এনে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংমিশ্রণে নবরূপে ও ভিন্ন মাত্রায় প্রাণবন্ত করেছেন।
সেলিম আল দীনের জন্ম ১৯৪৯ সালে ১৮ আগস্ট ফেনী জেলায়। ১৯৭৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন সেলিমআল দীন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা সেলিম আল দীনের হাত ধরেই। ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলা নাটকের এই শিকড় সন্ধানী ১৯৮১-৮২ সালে নাট্য নির্দেশক নাসিরউদ্দীন ইউসুফকে সঙ্গী করে গড়ে তোলেন গ্রাম থিয়েটার।
তার প্রথম রেডিও নাটক ‘বিপরীত তমসায়’। প্রথম মঞ্চনাটক ‘সর্প বিষয়ক গল্প’ ১৯৭২ সালে মঞ্চায়ন হয়। সেলিম আল দীন তার অল্প সময়ের এই জীবনে অসংখ্য মঞ্চ নাটক রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে- শকুন্তলা, কীর্তনখোলা, চাকা, যৈবতি কন্যার মন, মহুয়া, কাঁদো নদী কাঁদো।
এছাড়া রেডিও এবং টেলিভিশনের জন্যও অসংখ্য নাটক রচনা করেছেন। রক্তের আঙুরলতা, অশ্রুতগান্ধার, গ্রন্থিক গণ কহে, ভাঙনের শব্দ শুনি, অনৃতরাত্রি, ছায়াশিকারী, রঙের মানুষ, নকশী পাড়ের মানুষেরা, রঙের মানুষ, হীরাফুল প্রভৃতি অসংখ্য জনপ্রিয় টিভি নাটক রচনা করেছেন তিনি।
তিনি শুধু নাটক রচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, বাংলা ভাষার একমাত্র নাট্যবিষয়ক কোষগ্রন্থ বাংলা নাট্য কোষসংগ্রহ, সংকলন, প্রণয়নও সম্পাদনা করেছেন।
তার লেখা বেশ কয়েকটি নাটক থেকে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র। সেসবের মধ্যে ১৯৯৪ সালে নির্মিত হয় ‘চাকা’, ‘কীত্তনখোলা’ নাটক থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় ২০০০ সালে। এছাড়া তিনি ‘একাত্তরের যীশু’ চলচ্চিত্রের সংলাপ রচনা করেন। সবশেষ তার নাটক ‘যৈবতি কন্যার মন’ অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, নান্দিকার পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার সহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন।
শুক্রবার, ১৪ জানুয়ারী ২০২২
বাংলা নাটকের নতুন ধারার প্রবর্তক নাট্যগুরু সেলিমআল দীনের ১৪ তম প্রয়ান দিবস আজ। ২০০৮ সালের এই দিনে মাত্র ৫৯ বছর বয়সে তিনি মৃত্যু বরণ করেন। বাংলা নাটককে তিনি প্রচলিত ধারা থেকে বের করে এনে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের সংমিশ্রণে নবরূপে ও ভিন্ন মাত্রায় প্রাণবন্ত করেছেন।
সেলিম আল দীনের জন্ম ১৯৪৯ সালে ১৮ আগস্ট ফেনী জেলায়। ১৯৭৪ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগ দেন সেলিমআল দীন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের প্রতিষ্ঠা সেলিম আল দীনের হাত ধরেই। ঢাকা থিয়েটারের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য বাংলা নাটকের এই শিকড় সন্ধানী ১৯৮১-৮২ সালে নাট্য নির্দেশক নাসিরউদ্দীন ইউসুফকে সঙ্গী করে গড়ে তোলেন গ্রাম থিয়েটার।
তার প্রথম রেডিও নাটক ‘বিপরীত তমসায়’। প্রথম মঞ্চনাটক ‘সর্প বিষয়ক গল্প’ ১৯৭২ সালে মঞ্চায়ন হয়। সেলিম আল দীন তার অল্প সময়ের এই জীবনে অসংখ্য মঞ্চ নাটক রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে- শকুন্তলা, কীর্তনখোলা, চাকা, যৈবতি কন্যার মন, মহুয়া, কাঁদো নদী কাঁদো।
এছাড়া রেডিও এবং টেলিভিশনের জন্যও অসংখ্য নাটক রচনা করেছেন। রক্তের আঙুরলতা, অশ্রুতগান্ধার, গ্রন্থিক গণ কহে, ভাঙনের শব্দ শুনি, অনৃতরাত্রি, ছায়াশিকারী, রঙের মানুষ, নকশী পাড়ের মানুষেরা, রঙের মানুষ, হীরাফুল প্রভৃতি অসংখ্য জনপ্রিয় টিভি নাটক রচনা করেছেন তিনি।
তিনি শুধু নাটক রচনার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকেননি, বাংলা ভাষার একমাত্র নাট্যবিষয়ক কোষগ্রন্থ বাংলা নাট্য কোষসংগ্রহ, সংকলন, প্রণয়নও সম্পাদনা করেছেন।
তার লেখা বেশ কয়েকটি নাটক থেকে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র। সেসবের মধ্যে ১৯৯৪ সালে নির্মিত হয় ‘চাকা’, ‘কীত্তনখোলা’ নাটক থেকে চলচ্চিত্র নির্মিত হয় ২০০০ সালে। এছাড়া তিনি ‘একাত্তরের যীশু’ চলচ্চিত্রের সংলাপ রচনা করেন। সবশেষ তার নাটক ‘যৈবতি কন্যার মন’ অবলম্বনে চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে।
তিনি একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কার, নান্দিকার পুরস্কার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, খালেকদাদ চৌধুরী সাহিত্য পুরস্কার সহ নানা পুরস্কার ও সম্মাননায় ভূষিত হন।