সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি রাজধানীর বাড্ডায় নিজ বাসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল নেই আজ তিন বছর কিন্ত আছে তার সুরের ভূবন। ১৯৭০ এর দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে দেশাত্মবোধক গান দিয়ে সুরকার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। এরপর আমৃত্যু নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন সংগীতের সাধনায়। ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ সিনেমার মাধ্যমে সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
তিনি স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন। ‘নয়নের আলো’ সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ওই সিনেমার ছয়টি গানই তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাঁকাতে হয়নি তাকে।
কিন্তু নয়নের আলো সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনার কাজ পেতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছিল আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে। ‘এ ছবিটি পাওয়ার যে প্রচেষ্টা আমার, সে কী বলবো? হিমালয় পর্বতের চূড়ায় উঠা আর এই ছবির কাজ পাওয়া একই কথা’ জানিয়েছিলেন তিনি।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের হাতের রেখা দেখে একজন জ্যোতিষী মন্তব্য করেছিলেন, এ হাতের মধ্যে সুরকার এবং গীতিকার হওয়ার কোন রেখাই নেই গনমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলছিলেন তিনি। কিন্তু জ্যোতিষীর সেই ভবিষ্যতবাণী ভুল প্রমাণ করেছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন। চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে, ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’ ‘ আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘ তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘ সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘ আম্মাজান আম্মাজান’, ‘ একাত্তরের মা জননী’, ‘ অনেক সাধনার পরে’ গানগুলো বাংলাদেশ ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। যতদিন বাংলা গান থাকবে তত দিনই গানের সুরে বেঁচে থাকবেন সুরের পাখি বুলবুল।
শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
সংগীত পরিচালক, গীতিকার, সুরকার ও বীরমুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৯ সালের ২২ জানুয়ারি রাজধানীর বাড্ডায় নিজ বাসায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
অসংখ্য কালজয়ী গানের স্রষ্টা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল নেই আজ তিন বছর কিন্ত আছে তার সুরের ভূবন। ১৯৭০ এর দশকে বাংলাদেশ টেলিভিশনে দেশাত্মবোধক গান দিয়ে সুরকার হিসেবে যাত্রা শুরু করেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। এরপর আমৃত্যু নিজেকে নিয়োজিত রেখেছিলেন সংগীতের সাধনায়। ১৯৭৮ সালে ‘মেঘ বিজলি বাদল’ সিনেমার মাধ্যমে সুরকার ও সংগীত পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি।
তিনি স্বাধীনভাবে গানের অ্যালবাম তৈরি করেছেন এবং অসংখ্য চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন। ‘নয়নের আলো’ সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনার মধ্য দিয়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে আসেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। ওই সিনেমার ছয়টি গানই তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। এরপর থেকে আর পেছনে ফিরে তাঁকাতে হয়নি তাকে।
কিন্তু নয়নের আলো সিনেমায় সঙ্গীত পরিচালনার কাজ পেতে যথেষ্ঠ বেগ পেতে হয়েছিল আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলকে। ‘এ ছবিটি পাওয়ার যে প্রচেষ্টা আমার, সে কী বলবো? হিমালয় পর্বতের চূড়ায় উঠা আর এই ছবির কাজ পাওয়া একই কথা’ জানিয়েছিলেন তিনি।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের হাতের রেখা দেখে একজন জ্যোতিষী মন্তব্য করেছিলেন, এ হাতের মধ্যে সুরকার এবং গীতিকার হওয়ার কোন রেখাই নেই গনমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে বলছিলেন তিনি। কিন্তু জ্যোতিষীর সেই ভবিষ্যতবাণী ভুল প্রমাণ করেছিলেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।
আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করেছেন। চলচ্চিত্রের সংগীত পরিচালনা করে দুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। এছাড়া তিনি রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সম্মান একুশে পদক এবং রাষ্ট্রপতির পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হন।
‘সব কটা জানালা খুলে দাও না’, ‘ও মাঝি নাও ছাইড়া দে, ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে’, ‘সুন্দর সুবর্ণ তারুণ্য লাবণ্য’ ‘ আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন’, ‘ তুমি মোর জীবনের ভাবনা’, ‘ সেই রেল লাইনের ধারে’, ‘ আম্মাজান আম্মাজান’, ‘ একাত্তরের মা জননী’, ‘ অনেক সাধনার পরে’ গানগুলো বাংলাদেশ ইতিহাসের অংশ হয়ে আছে। যতদিন বাংলা গান থাকবে তত দিনই গানের সুরে বেঁচে থাকবেন সুরের পাখি বুলবুল।