রাজধানীতে গভীর রাতে অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘকে (৩৩) আটক করে রাজধানীর ধানমন্ডি থানা পুলিশ। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তারা। তবে এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও স্পর্শিয়া দুই ধরণের বক্তব্য দিয়েছে।
পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয় স্পর্শিয়া-অর্ঘ্যের গাড়ি। তাদের পথ আটকানোর পর সড়কেই ঘণ্টাখানেক মাতলামি করেন। পরে তাদের ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাতেই মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পান তারা।
পুলিশ কর্মকর্তা মাহাবুব বলেন, ‘ওরা ড্রাংক ছিলেন। চালক নিজেই বলেন যে তিনি অল্প পরিমাণে মদ পান করেছেন। তিনি এ কথাও বলেন যে তার মদ পানের পারমিট রয়েছে। তবে সেই পারমিট দেখাতে পারেননি। তিনি খুবই বাজে ব্যবহার করছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা দুজনই পুলিশের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা গাড়িসহ তাদের থানায় নিতে বলেন। পরে আমরা জানতে পারি তিনি অভিনেত্রী স্পর্শিয়া। পরে সেখানে তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
এই ঘটনার বিষয়ে স্পর্শিয়া বলেন, ‘রাস্তায় রিকশাকে ধাক্কা কিংবা মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের কাছে ধরা পড়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। অনেক গনমাধ্যমে ভুলভাল লেখা হয়েছে। আমাদের গাড়ির গতি স্বাভাবিক ছিলো, মোটেও ড্রাংক ছিলাম না। পারিবারিক আয়োজনে মানুষ কীভাবে মদ্যপ থাকে? যে কোনো ধরনের টেস্ট দিয়ে আমরা প্রমাণ করতে পারব আমরা মদ্যপ ছিলাম না।’
স্পর্শিয়া গনমাধ্যমকে আরও বলেন, ‘আমরা একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফিরছিলাম। সেসময় আমাদের গাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া একটা রিকশায় ধাক্কা লাগার উপক্রম হয়। কিন্তু তেমন কোনো ঘটনা ছিলোনা সেটা। পুলিশ আমাদের গাড়ি থামাতে বলে আমরা থামাই এরপর পুলিশ বলে আরও ধীরে চালাতে। কিন্তু পরে গাড়ি থামিয়ে রাখাতে কিছুটা উচু গলায় কথা হয়। এরপর এক ঘণ্টা আমাদের রাস্তায় আটকে রাখে। একসময় ধৈর্যের সীমা পেরিয়ে গেলে পুলিশের ওপর কিছুটা রাগারাগি করি। বিষয়টি নিয়ে আমার এত রাগ হয়েছে; আর বসে থাকতে পারি নাই। গাড়ির ব্যাকডালা খুলে বসে আমি বলেছি, ভাইয়া আগে আমাকে বলবেন, কেন আটকানো হচ্ছে। তাদের কোনো উত্তর নেই। এরপর আমার বন্ধু অর্ঘকে থানায় যেতে বলে। কিন্তু আমাকে বলা হয় আপনি না এলেও চলবে। কিন্তু আমি অর্ঘকে একা ফেলে আসিনি। আমিও থানায় যাই।’
থানায় যাওয়ার পর ঘটনা সম্পর্কে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘থানায় যাওয়ার পর এসিকে জিজ্ঞাসা করেছি, আমরা কী করেছি? উনি বলেছেন, আপনি তো গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। আপনি আমাদের কোনো ইস্যু না। আপনি চলে যেতে পারেন। আমি বলেছিলাম, আমার বন্ধুকে রেখে আমি যাব না। এসি ভদ্রলোক খুব ভালো মানুষ। পরে মুচলেকা নিয়েছে। ওটা করে আমরা বাসায় চলে আসছি।’
শনিবার, ২২ জানুয়ারী ২০২২
রাজধানীতে গভীর রাতে অভিনেত্রী স্পর্শিয়া ও তার বন্ধু প্রাঙ্গন দত্ত অর্ঘকে (৩৩) আটক করে রাজধানীর ধানমন্ডি থানা পুলিশ। পরে মুচলেকা দিয়ে ছাড়া পান তারা। তবে এই ঘটনা নিয়ে পুলিশ ও স্পর্শিয়া দুই ধরণের বক্তব্য দিয়েছে।
পুলিশের দাবি, বৃহস্পতিবার (২০ জানুয়ারি) মধ্যরাতে ধানমন্ডির সাত মসজিদ রোডে একটি রিকশাকে ধাক্কা দেয় স্পর্শিয়া-অর্ঘ্যের গাড়ি। তাদের পথ আটকানোর পর সড়কেই ঘণ্টাখানেক মাতলামি করেন। পরে তাদের ধানমন্ডি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। তবে রাতেই মুচলেকা দিয়ে থানা থেকে ছাড়া পান তারা।
পুলিশ কর্মকর্তা মাহাবুব বলেন, ‘ওরা ড্রাংক ছিলেন। চালক নিজেই বলেন যে তিনি অল্প পরিমাণে মদ পান করেছেন। তিনি এ কথাও বলেন যে তার মদ পানের পারমিট রয়েছে। তবে সেই পারমিট দেখাতে পারেননি। তিনি খুবই বাজে ব্যবহার করছিলেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা দুজনই পুলিশের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। এক পর্যায়ে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে তারা গাড়িসহ তাদের থানায় নিতে বলেন। পরে আমরা জানতে পারি তিনি অভিনেত্রী স্পর্শিয়া। পরে সেখানে তার কাছ থেকে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
এই ঘটনার বিষয়ে স্পর্শিয়া বলেন, ‘রাস্তায় রিকশাকে ধাক্কা কিংবা মদ্যপ অবস্থায় পুলিশের কাছে ধরা পড়ার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা। অনেক গনমাধ্যমে ভুলভাল লেখা হয়েছে। আমাদের গাড়ির গতি স্বাভাবিক ছিলো, মোটেও ড্রাংক ছিলাম না। পারিবারিক আয়োজনে মানুষ কীভাবে মদ্যপ থাকে? যে কোনো ধরনের টেস্ট দিয়ে আমরা প্রমাণ করতে পারব আমরা মদ্যপ ছিলাম না।’
স্পর্শিয়া গনমাধ্যমকে আরও বলেন, ‘আমরা একটি পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে বাসায় ফিরছিলাম। সেসময় আমাদের গাড়ির পাশ দিয়ে যাওয়া একটা রিকশায় ধাক্কা লাগার উপক্রম হয়। কিন্তু তেমন কোনো ঘটনা ছিলোনা সেটা। পুলিশ আমাদের গাড়ি থামাতে বলে আমরা থামাই এরপর পুলিশ বলে আরও ধীরে চালাতে। কিন্তু পরে গাড়ি থামিয়ে রাখাতে কিছুটা উচু গলায় কথা হয়। এরপর এক ঘণ্টা আমাদের রাস্তায় আটকে রাখে। একসময় ধৈর্যের সীমা পেরিয়ে গেলে পুলিশের ওপর কিছুটা রাগারাগি করি। বিষয়টি নিয়ে আমার এত রাগ হয়েছে; আর বসে থাকতে পারি নাই। গাড়ির ব্যাকডালা খুলে বসে আমি বলেছি, ভাইয়া আগে আমাকে বলবেন, কেন আটকানো হচ্ছে। তাদের কোনো উত্তর নেই। এরপর আমার বন্ধু অর্ঘকে থানায় যেতে বলে। কিন্তু আমাকে বলা হয় আপনি না এলেও চলবে। কিন্তু আমি অর্ঘকে একা ফেলে আসিনি। আমিও থানায় যাই।’
থানায় যাওয়ার পর ঘটনা সম্পর্কে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘থানায় যাওয়ার পর এসিকে জিজ্ঞাসা করেছি, আমরা কী করেছি? উনি বলেছেন, আপনি তো গাড়ি চালাচ্ছিলেন না। আপনি আমাদের কোনো ইস্যু না। আপনি চলে যেতে পারেন। আমি বলেছিলাম, আমার বন্ধুকে রেখে আমি যাব না। এসি ভদ্রলোক খুব ভালো মানুষ। পরে মুচলেকা নিয়েছে। ওটা করে আমরা বাসায় চলে আসছি।’