জামালপুরে বিভিন্ন এলাকায় চিত্রায়িত ‘গলুই’ সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছেন জামালপুরে ডিসি মুর্শেদা জামান। জামালপুর শিল্পকলা একাডেমির নতুন অডিটোরিয়াম, জামালপুরের মাদারগঞ্জে নুরুন্নাহার মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম, ইসলামপুরের ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটোরিয়াম ও জামালপুর মীর্জা অডিটোরিয়ামে এ সিনেমার প্রদর্শন চলছিল । অনুমতি নিয়েই ঈদের দিন থেকে এগুলোতে ‘গলুই’ সিনেমার প্রদর্শনী চলছিল বলে জানা গেছে ।
জামালপুর জেলায় সিনেমা হল রয়েছে মাত্র ১টি। এদিকে ‘গলুই’ সিনেমার কাজ এই জেলাতে হওয়ায়। তাই ছবিটির প্রতি এই জেলার মানুষদের আগ্রহ অনেক। জেলার মানুষদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করেই অডিটোরিয়ামগুলোতে ‘গলুই’র প্রদর্শন চলছিল।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুর্শেদা জামান গণমাধ্যমকে জানান, অডিটোরায়ামগুলো তো আর সিনেমার হল নয়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এর প্রদর্শনের অনুমতি ছিল। অনুমতির সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কেন বন্ধ করা হচ্ছে ‘গলুই’য়ের প্রদর্শনী? এ বিষয়ে সিনেমাটির নির্মাতা এস এ হক অলিক বলেন, ‘১৯১৮ সালের একটি পুরনো আইনের দোহাই দিয়ে জামালপুরের ডিসি সিনেমাটির প্রদর্শনী বন্ধ করে দিচ্ছেন। ওই আইনে আছে, সিনেমা হল ব্যতীত অন্য কোথাও বাণিজ্যিকভাবে সিনেমা প্রদর্শন করা যাবে না। এখন দেখেন একমাত্র মেলান্দহ ছাড়া জামালপুরের আর কোথাও কোনও সিনেমা হল নেই। সিনেমাটি দেখানোর বিকল্প পথ হিসেবে আমরা অডিটোরিয়ামগুলোকে বেছে নিয়েছিলাম। যেখানে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সিনেমা শিল্পকে সহায়তা করতে বলেছেন সেখানে জামালপুরের ডিসির এমন নির্দেশনায় আমরা সত্যিই হতবাক হয়েছি। ডিসির এমন অসহযোগিতা কাম্য নয়।’
গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ‘গলুই’। এতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন অনুষঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি সহজ-সরল প্রেম কাহিনী। মুক্তির পর থেকে সিনেমাটি অনেক প্রশংসা পাচ্ছে। এবং অনেক বছর পর দলে দলে মানুষ সিনেমা হলে যাচ্ছে ‘গলুই’ দেখতে। এমন অবস্থায় জামালপুরে ‘গলুই’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ করায় প্রতিবাদ শুরু করেছেন সারা দেশের মানুষ। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে শিল্পী ও সাধারণ মানুষদের প্রতিবাদ।
এই সিনেমায় শাকিব অভিনয় করেছেন লালু চরিত্রে, আর তার বিপরীতে পূজা চেরী আছেন মালার ভূমিকায়। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, সুচরিতা, আলী রাজ, সমু চৌধুরী প্রমুখ। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি সিনেমাটির সহ-প্রযোজনায় আছেন খোরশেদ আলম খসরু।
সোমবার, ০৯ মে ২০২২
জামালপুরে বিভিন্ন এলাকায় চিত্রায়িত ‘গলুই’ সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করে দিয়েছেন জামালপুরে ডিসি মুর্শেদা জামান। জামালপুর শিল্পকলা একাডেমির নতুন অডিটোরিয়াম, জামালপুরের মাদারগঞ্জে নুরুন্নাহার মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়াম, ইসলামপুরের ফরিদুল হক খান দুলাল অডিটোরিয়াম ও জামালপুর মীর্জা অডিটোরিয়ামে এ সিনেমার প্রদর্শন চলছিল । অনুমতি নিয়েই ঈদের দিন থেকে এগুলোতে ‘গলুই’ সিনেমার প্রদর্শনী চলছিল বলে জানা গেছে ।
জামালপুর জেলায় সিনেমা হল রয়েছে মাত্র ১টি। এদিকে ‘গলুই’ সিনেমার কাজ এই জেলাতে হওয়ায়। তাই ছবিটির প্রতি এই জেলার মানুষদের আগ্রহ অনেক। জেলার মানুষদের আগ্রহের কথা বিবেচনা করেই অডিটোরিয়ামগুলোতে ‘গলুই’র প্রদর্শন চলছিল।
এ বিষয়ে জামালপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) মুর্শেদা জামান গণমাধ্যমকে জানান, অডিটোরায়ামগুলো তো আর সিনেমার হল নয়। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত এর প্রদর্শনের অনুমতি ছিল। অনুমতির সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় সিনেমার প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
কেন বন্ধ করা হচ্ছে ‘গলুই’য়ের প্রদর্শনী? এ বিষয়ে সিনেমাটির নির্মাতা এস এ হক অলিক বলেন, ‘১৯১৮ সালের একটি পুরনো আইনের দোহাই দিয়ে জামালপুরের ডিসি সিনেমাটির প্রদর্শনী বন্ধ করে দিচ্ছেন। ওই আইনে আছে, সিনেমা হল ব্যতীত অন্য কোথাও বাণিজ্যিকভাবে সিনেমা প্রদর্শন করা যাবে না। এখন দেখেন একমাত্র মেলান্দহ ছাড়া জামালপুরের আর কোথাও কোনও সিনেমা হল নেই। সিনেমাটি দেখানোর বিকল্প পথ হিসেবে আমরা অডিটোরিয়ামগুলোকে বেছে নিয়েছিলাম। যেখানে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সিনেমা শিল্পকে সহায়তা করতে বলেছেন সেখানে জামালপুরের ডিসির এমন নির্দেশনায় আমরা সত্যিই হতবাক হয়েছি। ডিসির এমন অসহযোগিতা কাম্য নয়।’
গ্রামীণ প্রেক্ষাপটে নির্মিত হয়েছে ‘গলুই’। এতে গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন অনুষঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে। সেই সঙ্গে একটি সহজ-সরল প্রেম কাহিনী। মুক্তির পর থেকে সিনেমাটি অনেক প্রশংসা পাচ্ছে। এবং অনেক বছর পর দলে দলে মানুষ সিনেমা হলে যাচ্ছে ‘গলুই’ দেখতে। এমন অবস্থায় জামালপুরে ‘গলুই’ সিনেমার প্রদর্শনী বন্ধ করায় প্রতিবাদ শুরু করেছেন সারা দেশের মানুষ। এই নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে শিল্পী ও সাধারণ মানুষদের প্রতিবাদ।
এই সিনেমায় শাকিব অভিনয় করেছেন লালু চরিত্রে, আর তার বিপরীতে পূজা চেরী আছেন মালার ভূমিকায়। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন আজিজুল হাকিম, সুচরিতা, আলী রাজ, সমু চৌধুরী প্রমুখ। সরকারি অনুদানের পাশাপাশি সিনেমাটির সহ-প্রযোজনায় আছেন খোরশেদ আলম খসরু।