গজলশিল্পী ভূপিন্দর সিং চিরবিদায় নিয়েছেন। সোমবার জুহুর হাসপাতালে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন ভূপিন্দর সিং। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। গজলশিল্পীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই শোকের ছায়া নেমে আসে সংগীতজগতে। মঙ্গলবার ভূপিন্দর সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানান তাঁর স্ত্রী বাংলাদেশের মেয়ে জনপ্রিয় গায়িকা মিতালি মুখার্জি।
বাংলাদেশে ভূপিন্দরের পরিচয় যেমন খ্যাতিমান গজল শিল্পী হিসেবে তেমনি বাংলাদেশের জামাই হিসেবেও।
ভূপিন্দর সিংয়ের স্ত্রী মিতালী মুখার্জির জন্মস্থান বাংলাদেশের ময়মনসিংহে। বাংলাদেশেই তিনি গান গেয়ে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তিনি ১৯৮২ সালে ‘দুই পয়সার আলতা’ চলচ্চিত্রে ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’ গানে কন্ঠ দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
জানা গেছে, ভূপিন্দর সিং বেশ কিছু দিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক দীপক নমযোশি জানান, দিন দশেক আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভূপিন্দর সিং। কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন। করোনা টেস্টও করানো হয় প্রবীণ শিল্পীর। দিন পাঁচেক আগে করোনা রিপোর্টও পজিটিভ আসে।
ভূপিন্দর সিংয়ের জন্ম অমৃতসরে। বাবার কাছেই গানের তালিম শুরু। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান করে তাঁর পেশাগত সংগীত জীবনের যাত্রা হয়। মিঠুন চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায় অভিনীত ‘ত্রয়ী’ ছবিতে ভূপিন্দরের গাওয়া, ‘কবে যে কোথায় কী যে হলো ভুল’ আজও এই প্রজন্মের প্রিয়। তাঁর ভারী কণ্ঠস্বরের মিষ্টি সুরে ‘মৌসম’, ‘সত্তে পে সত্তা’, ‘আহিস্তা’, ‘দুরিয়া’ ছবির গান শ্রোতাদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। ‘দিল ঢুনতা হ্যায়’, ‘নাম গুম জায়েগা’, ‘এক আকেলা ইস শহর মে’, ‘বিতি না বিতাই রয়না’-এর মতো জনপ্রিয় গান তাঁর কণ্ঠে শ্রোতারা চিরকাল মনে রাখবেন।
ভূপিন্দর সিংয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোক প্রকাশ করেন ভক্ত, অনুরাগীসহ ভারতীয় সংগীত ও চলচ্চিত্র জগতের অনেকে। আরেক গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাস লিখেছেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন তিনি। তাঁর গায়নরীতি, কণ্ঠস্বর সবার থেকে আলাদা। আবারও আমাদের এ সংগীত দুনিয়া অভিভাবকহীন হলো। ভারত তার আরও এক কৃতী সন্তানকে হারাল।’
মঙ্গলবার, ১৯ জুলাই ২০২২
গজলশিল্পী ভূপিন্দর সিং চিরবিদায় নিয়েছেন। সোমবার জুহুর হাসপাতালে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন ভূপিন্দর সিং। তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর। গজলশিল্পীর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পরপরই শোকের ছায়া নেমে আসে সংগীতজগতে। মঙ্গলবার ভূপিন্দর সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে বলে জানান তাঁর স্ত্রী বাংলাদেশের মেয়ে জনপ্রিয় গায়িকা মিতালি মুখার্জি।
বাংলাদেশে ভূপিন্দরের পরিচয় যেমন খ্যাতিমান গজল শিল্পী হিসেবে তেমনি বাংলাদেশের জামাই হিসেবেও।
ভূপিন্দর সিংয়ের স্ত্রী মিতালী মুখার্জির জন্মস্থান বাংলাদেশের ময়মনসিংহে। বাংলাদেশেই তিনি গান গেয়ে অত্যন্ত জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। তিনি ১৯৮২ সালে ‘দুই পয়সার আলতা’ চলচ্চিত্রে ‘এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই’ গানে কন্ঠ দিয়ে বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
জানা গেছে, ভূপিন্দর সিং বেশ কিছু দিন ধরে নানা রোগে ভুগছিলেন। ক্রিটিকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক দীপক নমযোশি জানান, দিন দশেক আগেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ভূপিন্দর সিং। কোলন ক্যানসারে ভুগছিলেন। করোনা টেস্টও করানো হয় প্রবীণ শিল্পীর। দিন পাঁচেক আগে করোনা রিপোর্টও পজিটিভ আসে।
ভূপিন্দর সিংয়ের জন্ম অমৃতসরে। বাবার কাছেই গানের তালিম শুরু। অল ইন্ডিয়া রেডিওতে গান করে তাঁর পেশাগত সংগীত জীবনের যাত্রা হয়। মিঠুন চক্রবর্তী, দেবশ্রী রায় অভিনীত ‘ত্রয়ী’ ছবিতে ভূপিন্দরের গাওয়া, ‘কবে যে কোথায় কী যে হলো ভুল’ আজও এই প্রজন্মের প্রিয়। তাঁর ভারী কণ্ঠস্বরের মিষ্টি সুরে ‘মৌসম’, ‘সত্তে পে সত্তা’, ‘আহিস্তা’, ‘দুরিয়া’ ছবির গান শ্রোতাদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে। ‘দিল ঢুনতা হ্যায়’, ‘নাম গুম জায়েগা’, ‘এক আকেলা ইস শহর মে’, ‘বিতি না বিতাই রয়না’-এর মতো জনপ্রিয় গান তাঁর কণ্ঠে শ্রোতারা চিরকাল মনে রাখবেন।
ভূপিন্দর সিংয়ের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোক প্রকাশ করেন ভক্ত, অনুরাগীসহ ভারতীয় সংগীত ও চলচ্চিত্র জগতের অনেকে। আরেক গজলশিল্পী পঙ্কজ উদাস লিখেছেন, ‘আমার বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন তিনি। তাঁর গায়নরীতি, কণ্ঠস্বর সবার থেকে আলাদা। আবারও আমাদের এ সংগীত দুনিয়া অভিভাবকহীন হলো। ভারত তার আরও এক কৃতী সন্তানকে হারাল।’