বছরের শুরুর দিন রাজ-পরীর সম্পর্কের চরম তিক্ততা দেশের মানুষের সামনে প্রকাশ পায়। ঐ ঘটনার পর তাদের সংসার টিকবে কি না সে নিয়ে চলে নানা কথা। মিডিয়া পাড়াতে চলে আলোচনা। এরই মধ্যে তাদের সম্পর্ক জোড়ালাগার খবর প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। ছেলের জন্মদিনের ছবিতে দু’জনকেই দেখাযায় হাসিখুশী। এ প্রফুল্লতা কি আসলেই তাদের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে নাকি ফের তিক্ততা তৈরি হয়েছে ভেতরে ভেতরে, তা নিয়ে চলছিল কানাঘষা। প্রকাশ্যে একসঙ্গে দেখা না যাওয়ায় অনেকের মনে ছিল প্রশ্ন, আদৌ কি তাঁদের সম্পর্ক জোড়া লেগেছে? এরি মধ্যেই গতকাল শনিবার দুপুরে একসঙ্গে দেখা দিলেন তাঁরা। সন্তান রাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন পরীমনি ও শরীফুল রাজ।
মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে কথা বলেন পরীমনি ও শরীফুল রাজ। শুরুতেই রাজের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সংসার কেমন চলছে? প্রশ্ন শুনেই রাজের সেই স্বভাবসুলভ হাসি। উত্তর দিতেও সময় নিলেন না, ‘খুবই ভালো, ফ্যান্টাস্টিক, জোশ যাচ্ছে আমাদের সংসার। বলতে পারেন সুখ-আনন্দে আমাদের ঘর এখন ভরপুর।’
কথায় কথায় রাজ বললেন, ‘সংসারজীবনে ঝুটঝামেলা থাকেই। এটি প্রায় সব সংসারেই হয়। আমি মনে করি, দাম্পত্য জীবনে একটু মান-অভিমান থাকলে ভালোবাসার গভীরতা বাড়ে। আমাদেরও বেড়েছে, হা হা হা...।’ পাশে বসে রাজের কথা শুনে হাসছিলেন পরীমনি। রাজ্য তখন আরেকজনের কোলে গভীর ঘুমে।
পরীমনি বলছিলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যের আচরণে পরিবর্তন এসেছে। সারা রাত না ঘুমিয়ে ভোরবেলায় ঘুমায়। সারা রাত আমাকে জেগে থাকতে হয়। শুক্রবার রাতে সারা রাত ঘুমাইনি, ছেলেকে সময় দিয়েছি। রাজ সারা রাত আরামে ঘুমিয়েছে। খুব স্বার্থপর রাজ, আমাকে রেখে সারা রাত ঘুমাল সে। হা হা হা...।’ একটু থেমে আবার বলেন, ‘আমার এখন খুব ঘুম পাচ্ছে। ইস! এখন যদি একটু ঘুমাতে পারতাম। বাসায় কোনোমতে যেতে পারলেই টানা ঘুম দিব।’
জানতে চাওয়া হলে পরী বললেন, ‘এখনো জানি না।’ তবে রাজ বলেছেন, ‘কে, কীভাবে পরস্পরকে সারপ্রাইজ দেব, তা নিয়ে একটা ভাবনা তো আছেই। এর বেশি আর বলতে চাচ্ছি না।’ তবে বিবাহবার্ষিকীতে পরীর পক্ষ থেকে রাজের জন্য বিশেষ একটা উপহার অবশ্য আছে, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ মুক্তি পেয়েছে। পরীমনি বলেন, ‘আমি এখনো দেখিনি। আজ আমার ও রাজের জন্য বিশেষ দিন। সন্ধ্যায় নিজে টিকিট কেটে রাজকে আমার সিনেমা দেখাব। এটি বিবাহবার্ষিকীতে রাজের জন্য উপহার।’
অন্যদিকে পরপর তিন ছবি ‘পরাণ, ‘হাওয়া’ ও ‘দামাল’ মুক্তির পর শরীফুল রাজ আলোচনায় আছেন। ছবিগুলো মুক্তির অনেক দিন হয়ে গেল। ভক্ত অনুসারীরা নতুন নতুন ছবিতে কাজের প্রত্যাশা করলেও এখনো কোনো নতুন ছবিতে চুক্তির খবর নেই রাজের। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ঢাকাই ছবির এই নায়ক বলেন, ‘ভালো গল্প দাও, চরিত্র দাও, নতুন সিনেমায় চুক্তি করছি। সত্য কথা কি, অনেকগুলো ছবির গল্প শুনেছি, চিত্রনাট্যও পড়েছি, কিন্তু সেসব চিত্রনাট্যে কাজের ইচ্ছা জাগেনি। শুনেছি, অপেক্ষার ফল নাকি সুমিষ্ট হয়। আরেকটু অপেক্ষা করি না।’
‘গুণিন’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই রাজের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়। সেই দেখার মাত্র সাত দিনের মাথায় গোপনে বিয়ে করেন তাঁরা। প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরীমনি জানান, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর তাঁর বিয়ে করেছেন। প্রেম হওয়ার ঠিক সাত দিনের মাথায় এমন সিদ্ধান্ত নেন। পরে ২২ জানুয়ারি রাতে জমকালো আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তাঁরা।
পরীমনি বলেন, ‘প্রথমে দুই পরিবারকেই আমরা দুজন জানিয়েছিলাম। এরপর পারিবারিকভাবে রাজের আফতাব নগরের বাসায় বিয়ে হয় আমাদের।’ পরীমনি বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে মিশতে গিয়ে দেখলাম, আমরা দুজনই পাগল। দুজনই ভাবলাম, আমাদের সারা জীবন একসঙ্গে থাকা উচিত। তাই কোনো কিছু না ভেবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই আমরা।’ গত বছরের ১০ জানুয়ারি জানা যায়, পরীমনি মা হতে চলেছেন।
রোববার, ২২ জানুয়ারী ২০২৩
বছরের শুরুর দিন রাজ-পরীর সম্পর্কের চরম তিক্ততা দেশের মানুষের সামনে প্রকাশ পায়। ঐ ঘটনার পর তাদের সংসার টিকবে কি না সে নিয়ে চলে নানা কথা। মিডিয়া পাড়াতে চলে আলোচনা। এরই মধ্যে তাদের সম্পর্ক জোড়ালাগার খবর প্রকাশ হয় গণমাধ্যমে। ছেলের জন্মদিনের ছবিতে দু’জনকেই দেখাযায় হাসিখুশী। এ প্রফুল্লতা কি আসলেই তাদের মধ্যে বিদ্যমান রয়েছে নাকি ফের তিক্ততা তৈরি হয়েছে ভেতরে ভেতরে, তা নিয়ে চলছিল কানাঘষা। প্রকাশ্যে একসঙ্গে দেখা না যাওয়ায় অনেকের মনে ছিল প্রশ্ন, আদৌ কি তাঁদের সম্পর্ক জোড়া লেগেছে? এরি মধ্যেই গতকাল শনিবার দুপুরে একসঙ্গে দেখা দিলেন তাঁরা। সন্তান রাজ্যকে সঙ্গে নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিলেন পরীমনি ও শরীফুল রাজ।
মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে কথা বলেন পরীমনি ও শরীফুল রাজ। শুরুতেই রাজের কাছে জানতে চাওয়া হয়, সংসার কেমন চলছে? প্রশ্ন শুনেই রাজের সেই স্বভাবসুলভ হাসি। উত্তর দিতেও সময় নিলেন না, ‘খুবই ভালো, ফ্যান্টাস্টিক, জোশ যাচ্ছে আমাদের সংসার। বলতে পারেন সুখ-আনন্দে আমাদের ঘর এখন ভরপুর।’
কথায় কথায় রাজ বললেন, ‘সংসারজীবনে ঝুটঝামেলা থাকেই। এটি প্রায় সব সংসারেই হয়। আমি মনে করি, দাম্পত্য জীবনে একটু মান-অভিমান থাকলে ভালোবাসার গভীরতা বাড়ে। আমাদেরও বেড়েছে, হা হা হা...।’ পাশে বসে রাজের কথা শুনে হাসছিলেন পরীমনি। রাজ্য তখন আরেকজনের কোলে গভীর ঘুমে।
পরীমনি বলছিলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরে রাজ্যের আচরণে পরিবর্তন এসেছে। সারা রাত না ঘুমিয়ে ভোরবেলায় ঘুমায়। সারা রাত আমাকে জেগে থাকতে হয়। শুক্রবার রাতে সারা রাত ঘুমাইনি, ছেলেকে সময় দিয়েছি। রাজ সারা রাত আরামে ঘুমিয়েছে। খুব স্বার্থপর রাজ, আমাকে রেখে সারা রাত ঘুমাল সে। হা হা হা...।’ একটু থেমে আবার বলেন, ‘আমার এখন খুব ঘুম পাচ্ছে। ইস! এখন যদি একটু ঘুমাতে পারতাম। বাসায় কোনোমতে যেতে পারলেই টানা ঘুম দিব।’
জানতে চাওয়া হলে পরী বললেন, ‘এখনো জানি না।’ তবে রাজ বলেছেন, ‘কে, কীভাবে পরস্পরকে সারপ্রাইজ দেব, তা নিয়ে একটা ভাবনা তো আছেই। এর বেশি আর বলতে চাচ্ছি না।’ তবে বিবাহবার্ষিকীতে পরীর পক্ষ থেকে রাজের জন্য বিশেষ একটা উপহার অবশ্য আছে, ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ মুক্তি পেয়েছে। পরীমনি বলেন, ‘আমি এখনো দেখিনি। আজ আমার ও রাজের জন্য বিশেষ দিন। সন্ধ্যায় নিজে টিকিট কেটে রাজকে আমার সিনেমা দেখাব। এটি বিবাহবার্ষিকীতে রাজের জন্য উপহার।’
অন্যদিকে পরপর তিন ছবি ‘পরাণ, ‘হাওয়া’ ও ‘দামাল’ মুক্তির পর শরীফুল রাজ আলোচনায় আছেন। ছবিগুলো মুক্তির অনেক দিন হয়ে গেল। ভক্ত অনুসারীরা নতুন নতুন ছবিতে কাজের প্রত্যাশা করলেও এখনো কোনো নতুন ছবিতে চুক্তির খবর নেই রাজের। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে ঢাকাই ছবির এই নায়ক বলেন, ‘ভালো গল্প দাও, চরিত্র দাও, নতুন সিনেমায় চুক্তি করছি। সত্য কথা কি, অনেকগুলো ছবির গল্প শুনেছি, চিত্রনাট্যও পড়েছি, কিন্তু সেসব চিত্রনাট্যে কাজের ইচ্ছা জাগেনি। শুনেছি, অপেক্ষার ফল নাকি সুমিষ্ট হয়। আরেকটু অপেক্ষা করি না।’
‘গুণিন’ সিনেমায় কাজ করতে গিয়েই রাজের সঙ্গে তাঁর প্রথম দেখা হয়। সেই দেখার মাত্র সাত দিনের মাথায় গোপনে বিয়ে করেন তাঁরা। প্রথম আলোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পরীমনি জানান, ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর তাঁর বিয়ে করেছেন। প্রেম হওয়ার ঠিক সাত দিনের মাথায় এমন সিদ্ধান্ত নেন। পরে ২২ জানুয়ারি রাতে জমকালো আয়োজনে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সারেন তাঁরা।
পরীমনি বলেন, ‘প্রথমে দুই পরিবারকেই আমরা দুজন জানিয়েছিলাম। এরপর পারিবারিকভাবে রাজের আফতাব নগরের বাসায় বিয়ে হয় আমাদের।’ পরীমনি বলেন, ‘তাঁর সঙ্গে মিশতে গিয়ে দেখলাম, আমরা দুজনই পাগল। দুজনই ভাবলাম, আমাদের সারা জীবন একসঙ্গে থাকা উচিত। তাই কোনো কিছু না ভেবেই বিয়ের সিদ্ধান্ত নিই আমরা।’ গত বছরের ১০ জানুয়ারি জানা যায়, পরীমনি মা হতে চলেছেন।