alt

বিনোদন

‘সাঁতাও’ : প্রিমিয়ারে বিপুল সাড়া, তবু হল পাচ্ছে না!

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

গণ অর্থায়নে নির্মিত স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র ‘সাঁতাও’ এর প্রিমিয়ারে দর্শকের বিপুল আগ্রহ দেখা গেলেও সিনেমার মুক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় নির্মাতা।

আগামী ২৭ জানুয়ারি ‘সাঁতাও’ মুক্তির ঘোষণা দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোন হল সিনেমাটি চালাতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্মাতা খন্দকার সুমন।

গত শনিবার তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু জায়গায় যোগাযোগ করেছি। কেউ এখনও হ্যাঁ বলেনি। কোন হল থেকেই এখন পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পাইনি। দেশের মানুষকে সিনেমাটা দেখাতে পারব কি না তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় আছি।’

গত শুক্রবার ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার শেষেও এমন হতাশার কথা বলতে গিয়ে সুমনের চোখ ভিজে ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্স এবং যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ‘সাঁতাও’ চালানোর বা না চালানোর কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। দুয়েক দিনের মধ্যে হয়ত সিদ্ধান্ত হবে। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে নির্মাতাকে জানিয়ে শিডিউল দেয়া হবে।

মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বললেন আরও হতাশার কথা।

‘সিঙ্গেল স্ক্রিনের দর্শক সাধারণত বাণিজ্যিক ছবি দেখে। সম্প্রতি কয়েকটি সিনেমা চালিয়ে আমরা মারাত্মক লোকসানের মুখে পড়েছি। ভাবছি হল আবার বন্ধ করে দেব। ঈদের আগে কোন ছবি চালানোর সম্ভাবনাই নেই।’

নির্মাতা খন্দকার সুমন বললেন, রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের যাপিত জীবনের ঘটনা নিয়ে নির্মিত সাঁতাও রংপুরের শাপলা সিনেমা হলে মুক্তি পাবে কি না, সে বিষয়েও এখনও কিছু জানায়নি হল কর্তৃপক্ষ।

অথচ শুক্রবার প্রিমিয়ারে দর্শকদের কাছ থেকে আশাতীত ভালো সাড়া মিলেছিল। এত দর্শক হয়েছিল যে, তাদের জায়গা দিতে সিনেমার অনেক কলাকুশলীই সিনেমাটা দেখতে পারেননি। অনেক দর্শক ফিরে গেছেন। ৬৫০ সিট ভরে যাওয়ার পর মেঝেতে, দুই সিটের মাঝে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে ৯৭ মিনিটের সিনেমাটি দেখেছেন অনেকে।

সুমন বলেন, ‘ফিরে যাওয়া দর্শকদের অনেকেই আমাকে বলেছেন, ছবিটা দেখতে না পারলেও তাদের আফসোস নেই। বরং বাংলা সিনেমার জন্য এমন ভিড় দেখে ভালো লেগেছে। তারা হলে গিয়ে দেখবেন।’

‘শুক্রবার দেখানো হয়েছে সাড়ে তিন জিবির ফাইল। মাল্টিপ্লেক্স বা হলের জন্য প্রস্তুত করেছি ১২০ জিবির ফাইল। ছবিটার আসল কালার, সাউন্ডসহ অনেক কিছুর প্রকৃত ফিল প্রদর্শনীতে পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকজন দর্শক জানিয়েছেন, তারা ছবিটির প্রকৃত স্বাদ পেতে হলে গিয়ে দেখবেন।’

দর্শক প্রতিক্রিয়া : প্রিমিয়ার দেখে অনেক দর্শক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

ফারুক উজ্জামান নামে এক দর্শক হলভর্তি দর্শকের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের কৃষকদের বাস্তবতা নিয়ে অসাধারণ একটি সিনেমা সাঁতাও। কৃষক আছে দেখেই আমরা আছি। তাই এমন ছবি যদি ঢাকায় মুক্তি না পায়, তা আমাদের সমাজের জন্য হতাশা বয়ে আনবে। তবে চিটাগাং এ ২৭শে জানুয়ারি সুগন্ধায় সাঁতাও মুক্তি পাচ্ছে। চিটাগং এর বন্ধুদের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন পরিবার নিয়ে ছবিটি দেখতে যায়।’

ভিডিও পোস্ট করে সাজ্জাদ হোসেন নামে একজন লিখেছেন, ‘সাঁতাও একটি বিজয়ের নাম!

ভালোবাসার নাম! আমি ভাগ্যবান আমি সাঁতাও দেখেছি।’

মাহফুজ মুন্না লিখেছেন, ‘অসাধারণ ক্যামেরার ফ্রেমের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে প্রতিটা দৃশ্যপট। যেন এক কবিতার প্রতিটা লাইন আপনার চোখের সামনে ভাসছে।’

শামস শাহীন লিখেছেন, ‘আসন না পেয়ে ফিরে গেল শত শত দর্শক। বাধ ভাঙা দর্শক জোয়ারে উচ্ছ্বসিত পরিবেশে দর্শক গ্যালারিতে ক্ষণে অশ্রু সিক্ত নয়নে, ক্ষণে হাসির ঝলকে হয়ে গেল আবাহমান বাংলার প্রবাহমান জীবন চিত্র নিয়ে নির্মিত ‘সাঁতাও’ সিনেমার প্রিমিয়ার।’

মীর সামছুল আলম লিখেছেন, ‘সাঁতাওয়ের টিশার্ট পরে গিয়েই ছবিটি দেখতে পারিনি। হলে ঢুকতে না পেরে ফিরে এসেছি। এখন সিনেমা হলে মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছি।’

তপন দেবনাথ লিখেছেন, ‘খন্দকার সুমন পরিচালিত সাঁতাও সিনেমাটি আজ জাতীয় জাদুঘরে দেখলাম। খুবই ভালো একটি সিনেমা। এই সিনেমাটি সবাইকে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।’

সিনেমাটি দেখতে না পেয়ে ফিরে যাওয়া দর্শকদের জন্য বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থার কথা জানিয়ে খন্দকার সুমন ফেইসবুকে একটি ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘যারা ২০ জানুয়ারি জাতীয় জাদুঘরে এসেও ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রের শো দেখার সুযোগ পাননি দয়া করে তারা আমাকে জানাবেন। আমি আপনাদের জন্য ২২ জানুয়ারি একটি বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করব।’

‘প্রদর্শনী কোথায় কখন হবে আমি সরাসরি যোগাযোগ করে জানাব। আর ২০ জানুয়ারির মত পরিস্থিতি তৈরি হোক আমরা চাই না। করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি যেসকল দর্শক সাঁতাও দেখতে পারেননি তাদের নিকট।’

উজানের বাঁধে মরুভূমিতে রূপ নেয়া ভাটি অঞ্চলের কৃষকের হাত-পা বাঁধা প্রকৃতি আর এলাকার প্রভাবশালীদের কাছে। সেইসব কৃষকদের যাপিত জীবনের যন্ত্রণা আর সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘সাঁতাও’।

প্রয়োজক না পেয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৫৫৯ জন মানুষের কাছ থেকে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ অনুদান নিয়ে। তাই সুমন এটিকে বলছেন গণ অর্থায়নে নির্মিত সিনেমা।

গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক ও আবদুল্লাহ আল সেন্টুসহ অনেকে।

ছবি

‘অমীমাংসিত’ আটকে দিলো সেন্সর বোর্ড, জানালো প্রদর্শন ‘উপযোগী নয়’

ছবি

বন্যাকে বিমানবন্দরে সংবর্ধনা

ছবি

আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ের গল্প বাংলাদেশের পর্দায়

ছবি

ফটোগ্রাফারদের ওপর খেপলেন নোরা

ছবি

পুরনো লাইনআপে ফিরছে ‘ব্ল্যাক’!

ছবি

‘জংলি’তে সিয়ামের নায়িকা বুবলী

ছবি

টিভি চ্যানেল ও স্টেজ শো’তে ব্যস্ত তিন্নি

সদারঙ্গের উচ্চাঙ্গসংগীত সম্মেলন শুরু , উৎসর্গ ওস্তাদ রাশিদ খানকে

ছবি

চ্যানেল আইতে ‘৫১ বর্তী’

ছবি

গানে গানে তাদের এগিয়ে চলা

ছবি

আসছেন তুহিনের একক অ্যালবাম ‘সন্ধ্যা নামিলো শ্যাম’

ছবি

যুক্তরাজ্যের চ্যানেলে ফারুকীর ‘অটোবায়োগ্রাফি’

ছবি

অভিনেতা রুমি মারা গেছেন

ছবি

জয়ী হয়ে ডিপজলের ঘোষণা

ছবি

বিদেশে যাচ্ছে ঈদের তিন সিনেমা

ছবি

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত সদস্যদের সম্মাননা দিল অভিনয় শিল্পী সংঘ

ছবি

সরকারি জমি পেল অভিনয় শিল্পী সংঘ আফতাবনগরে হবে ‘অ্যাক্টরস হোম’

ছবি

৩ মে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘শ্যামা কাব্য’

ছবি

শেক্সপিয়ারের ওথেলো অবলম্বনে ‘অথৈ’ আসছে বড়পর্দায়

ছবি

৭০০ পর্বের দিকে ‘বকুলপুর সিজন টু’

‘প্রিয় মালতী’ হয়ে বড়পর্দায় আসছেন মেহজাবীন

ছবি

ইলিয়াস কাঞ্চনের অভিনন্দন ও আহ্বান

ছবি

‘তাৎপর্যপূর্ণ’ সফরে আজ আসছেন কাতারের আমির

স্রোত এর ‘তারা উৎসব-২০২৪’

ছবি

মস্কো উৎসবে মুগ্ধতা ছড়ালেন প্রিয়াম

ছবি

কাজে ফিরতে প্রস্তুত পূর্ণিমা...

ছবি

অভিমান ভুলে একসঙ্গে পর্দায় ফিরছেন তাহসান-মিথিলা

ছবি

নিউইয়র্কে চলচ্চিত্র উৎসবে ওয়ালিদ আহমেদের ‘মেঘের কপাট’

ছবি

চিন্তাও করিনি মাত্র ১৬ ভোটে হারবো : নিপুণ

ছবি

শিল্পী সমিতির নতুন সভাপতি মিশা, সাধারণ সম্পাদক ডিপজল

ছবি

এবার যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মধ্যপ্রাচ্যে ‘ওমর’

ছবি

একসঙ্গে নচিকেতা ও জয় শাহরিয়ার

ছবি

এআই প্রযুক্তিতে প্রথম বাংলা গানের অ্যালবাম

ছবি

কানের সমান্তরাল বিভাগে ঢাকার দুই নির্মাতার স্বল্পদৈর্ঘ্য

ছবি

‘প্রিয় মালতি’ হয়েই বড় পর্দায় অভিষেক হচ্ছে মেহজাবিনের

ছবি

দুই সিনেমা নিয়ে নিউইয়র্কে সুচিত্রা সেন উৎসবে ফেরদৌস

tab

বিনোদন

‘সাঁতাও’ : প্রিমিয়ারে বিপুল সাড়া, তবু হল পাচ্ছে না!

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩

গণ অর্থায়নে নির্মিত স্বাধীন ধারার চলচ্চিত্র ‘সাঁতাও’ এর প্রিমিয়ারে দর্শকের বিপুল আগ্রহ দেখা গেলেও সিনেমার মুক্তি নিয়ে দুশ্চিন্তায় নির্মাতা।

আগামী ২৭ জানুয়ারি ‘সাঁতাও’ মুক্তির ঘোষণা দেয়া হলেও এখন পর্যন্ত কোন হল সিনেমাটি চালাতে রাজি হয়নি বলে জানিয়েছেন নির্মাতা খন্দকার সুমন।

গত শনিবার তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু জায়গায় যোগাযোগ করেছি। কেউ এখনও হ্যাঁ বলেনি। কোন হল থেকেই এখন পর্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পাইনি। দেশের মানুষকে সিনেমাটা দেখাতে পারব কি না তা নিয়ে কিছুটা শঙ্কায় আছি।’

গত শুক্রবার ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার শেষেও এমন হতাশার কথা বলতে গিয়ে সুমনের চোখ ভিজে ওঠে।

বিষয়টি নিয়ে স্টার সিনেপ্লেক্স এবং যমুনা ব্লকবাস্টার সিনেমাস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ‘সাঁতাও’ চালানোর বা না চালানোর কোন সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। দুয়েক দিনের মধ্যে হয়ত সিদ্ধান্ত হবে। ইতিবাচক সিদ্ধান্ত হলে নির্মাতাকে জানিয়ে শিডিউল দেয়া হবে।

মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ বললেন আরও হতাশার কথা।

‘সিঙ্গেল স্ক্রিনের দর্শক সাধারণত বাণিজ্যিক ছবি দেখে। সম্প্রতি কয়েকটি সিনেমা চালিয়ে আমরা মারাত্মক লোকসানের মুখে পড়েছি। ভাবছি হল আবার বন্ধ করে দেব। ঈদের আগে কোন ছবি চালানোর সম্ভাবনাই নেই।’

নির্মাতা খন্দকার সুমন বললেন, রংপুর অঞ্চলের কৃষকদের যাপিত জীবনের ঘটনা নিয়ে নির্মিত সাঁতাও রংপুরের শাপলা সিনেমা হলে মুক্তি পাবে কি না, সে বিষয়েও এখনও কিছু জানায়নি হল কর্তৃপক্ষ।

অথচ শুক্রবার প্রিমিয়ারে দর্শকদের কাছ থেকে আশাতীত ভালো সাড়া মিলেছিল। এত দর্শক হয়েছিল যে, তাদের জায়গা দিতে সিনেমার অনেক কলাকুশলীই সিনেমাটা দেখতে পারেননি। অনেক দর্শক ফিরে গেছেন। ৬৫০ সিট ভরে যাওয়ার পর মেঝেতে, দুই সিটের মাঝে বসে কিংবা দাঁড়িয়ে ৯৭ মিনিটের সিনেমাটি দেখেছেন অনেকে।

সুমন বলেন, ‘ফিরে যাওয়া দর্শকদের অনেকেই আমাকে বলেছেন, ছবিটা দেখতে না পারলেও তাদের আফসোস নেই। বরং বাংলা সিনেমার জন্য এমন ভিড় দেখে ভালো লেগেছে। তারা হলে গিয়ে দেখবেন।’

‘শুক্রবার দেখানো হয়েছে সাড়ে তিন জিবির ফাইল। মাল্টিপ্লেক্স বা হলের জন্য প্রস্তুত করেছি ১২০ জিবির ফাইল। ছবিটার আসল কালার, সাউন্ডসহ অনেক কিছুর প্রকৃত ফিল প্রদর্শনীতে পাওয়া যায়নি। বেশ কয়েকজন দর্শক জানিয়েছেন, তারা ছবিটির প্রকৃত স্বাদ পেতে হলে গিয়ে দেখবেন।’

দর্শক প্রতিক্রিয়া : প্রিমিয়ার দেখে অনেক দর্শক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।

ফারুক উজ্জামান নামে এক দর্শক হলভর্তি দর্শকের ছবি ও ভিডিও পোস্ট করে লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের কৃষকদের বাস্তবতা নিয়ে অসাধারণ একটি সিনেমা সাঁতাও। কৃষক আছে দেখেই আমরা আছি। তাই এমন ছবি যদি ঢাকায় মুক্তি না পায়, তা আমাদের সমাজের জন্য হতাশা বয়ে আনবে। তবে চিটাগাং এ ২৭শে জানুয়ারি সুগন্ধায় সাঁতাও মুক্তি পাচ্ছে। চিটাগং এর বন্ধুদের প্রতি অনুরোধ থাকবে তারা যেন পরিবার নিয়ে ছবিটি দেখতে যায়।’

ভিডিও পোস্ট করে সাজ্জাদ হোসেন নামে একজন লিখেছেন, ‘সাঁতাও একটি বিজয়ের নাম!

ভালোবাসার নাম! আমি ভাগ্যবান আমি সাঁতাও দেখেছি।’

মাহফুজ মুন্না লিখেছেন, ‘অসাধারণ ক্যামেরার ফ্রেমের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে প্রতিটা দৃশ্যপট। যেন এক কবিতার প্রতিটা লাইন আপনার চোখের সামনে ভাসছে।’

শামস শাহীন লিখেছেন, ‘আসন না পেয়ে ফিরে গেল শত শত দর্শক। বাধ ভাঙা দর্শক জোয়ারে উচ্ছ্বসিত পরিবেশে দর্শক গ্যালারিতে ক্ষণে অশ্রু সিক্ত নয়নে, ক্ষণে হাসির ঝলকে হয়ে গেল আবাহমান বাংলার প্রবাহমান জীবন চিত্র নিয়ে নির্মিত ‘সাঁতাও’ সিনেমার প্রিমিয়ার।’

মীর সামছুল আলম লিখেছেন, ‘সাঁতাওয়ের টিশার্ট পরে গিয়েই ছবিটি দেখতে পারিনি। হলে ঢুকতে না পেরে ফিরে এসেছি। এখন সিনেমা হলে মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছি।’

তপন দেবনাথ লিখেছেন, ‘খন্দকার সুমন পরিচালিত সাঁতাও সিনেমাটি আজ জাতীয় জাদুঘরে দেখলাম। খুবই ভালো একটি সিনেমা। এই সিনেমাটি সবাইকে দেখার জন্য অনুরোধ করছি।’

সিনেমাটি দেখতে না পেয়ে ফিরে যাওয়া দর্শকদের জন্য বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থার কথা জানিয়ে খন্দকার সুমন ফেইসবুকে একটি ঘোষণা দিয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘যারা ২০ জানুয়ারি জাতীয় জাদুঘরে এসেও ‘সাঁতাও’ চলচ্চিত্রের শো দেখার সুযোগ পাননি দয়া করে তারা আমাকে জানাবেন। আমি আপনাদের জন্য ২২ জানুয়ারি একটি বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করব।’

‘প্রদর্শনী কোথায় কখন হবে আমি সরাসরি যোগাযোগ করে জানাব। আর ২০ জানুয়ারির মত পরিস্থিতি তৈরি হোক আমরা চাই না। করজোড়ে ক্ষমা প্রার্থনা করছি যেসকল দর্শক সাঁতাও দেখতে পারেননি তাদের নিকট।’

উজানের বাঁধে মরুভূমিতে রূপ নেয়া ভাটি অঞ্চলের কৃষকের হাত-পা বাঁধা প্রকৃতি আর এলাকার প্রভাবশালীদের কাছে। সেইসব কৃষকদের যাপিত জীবনের যন্ত্রণা আর সংগ্রাম নিয়ে নির্মিত সিনেমা ‘সাঁতাও’।

প্রয়োজক না পেয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে ১৫৫৯ জন মানুষের কাছ থেকে ১০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ অনুদান নিয়ে। তাই সুমন এটিকে বলছেন গণ অর্থায়নে নির্মিত সিনেমা।

গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন আইনুন পুতুল, ফজলুল হক ও আবদুল্লাহ আল সেন্টুসহ অনেকে।

back to top