রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে নির্মিত ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমা মুক্তিতে এখন আর কোনো বাধা নেই। সিনেমাটি চার বছর আটকে ছিল সেন্সর বোর্ডে। গত ২১ জানুয়ারি সিনেমাটি মুক্তির জন্য বাধা নেই বলে জানান সাংবাদিক ও আপিল বোর্ড সদস্য শ্যামল দত্ত।
গত ২১ জানুয়ারি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমা নিয়ে শুনানি হয় আপিল বোর্ডের। ওই দিন সিনেমার নির্মাতা-প্রযোজকের বক্তব্য শোনেন আপিল কমিটির সদস্যরা। সেই আলোকে সিনেমাটি মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে মতামত দেন সবাই।
এদিকে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার কাহিনি নিয়েই নির্মাণ করা হয়েছে ‘ফারাজ’ সিনেমা। বলিউডের এই সিনেমা আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্মাতা ফারুকী এই ফারাজ মুক্তির আগে মুক্তি দিতে চাচ্ছেন ‘শনিবার বিকেল’। কিন্তু সিনেমাটি মুক্তিতে বাধা না থাকলেও এখনো সেন্সর বোর্ড থেকে কোনো চিঠি পাননি এই নির্মাতা।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ফারুকী এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ বিষয়ে বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডের প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমরা এখনো আপনাদের চিঠির অপেক্ষায়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আপিল বোর্ড একটা সিনেমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা রাখে। শনিবার বিকেলের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত দেশি-আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকা এবং টেলিভিশনের কল্যাণে সারা দুনিয়ার মানুষ জানে। তারা সবাই তাকিয়ে আছে। আর দেরি না করে চিঠিটা তাড়াতাড়ি পাঠান। আমরা বাংলাদেশকে আর বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলি।’
এরপরই ফারাজ সিনেমার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ওদিকে ফারাজ রিলিজ হচ্ছে তিন তারিখ। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে শনিবার বিকেল মুক্তির দিকে, ফারাজের সঙ্গে একই দিন বা এক ঘণ্টা আগে হলেও। সুতরাং এটা দ্রুত সমাধান করেন। আমরা হাসি-মুখে সিনেমাটা রিলিজ করি।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর নানা দেশে সিনেমাটা দেখানো হয়েছে, হচ্ছে। এবার বাংলাদেশের মানুষের পালা। পাশাপাশি এটাও আপনাদের ভাবার সময় আসছে, এই নতুন মিডিয়ার যুগে সিনেমা আটকানোর মতো সেকেলে চিন্তা আদৌ কোনো কাজে আসে কিনা। কারণ যে কেউ চাইলে তার সিনেমা ডিজিটাল প্লাটফর্মে উন্মুক্ত করে দিতে পারে। ফলে সিনেমা আটকানোর চেষ্টা একটা পণ্ডশ্রম যা কেবল দেশের জন্য বদনামই বয়ে আনতে পারে।’
ফারুকী বলেন, ‘আরেকটা কথা যেটা বারবারই বলছি, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করে কারো সিনেমা বানানোর দরকার নেই। দেশের বাইরে যেকোনো দেশ থেকে ইউটিউব-ফেসবুকে একটা দশ মিনিটের ভিডিও আপ করে দিলেই হয়। শিল্প রচনার মতো এতো কষ্টসাধ্য পথে যাওয়ার তো দরকার নেই। তাছাড়া শিল্পীর লক্ষ্য এতো ন্যারো থাকে না। কারো ভাবমূর্তি রক্ষা বা ক্ষুণ্ন করার মতো কাজ তার না। তার লক্ষ্য মহাকালের সঙ্গে তার কালের কথোপকথন।’
সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলা নিয়ে নির্মিত ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমা মুক্তিতে এখন আর কোনো বাধা নেই। সিনেমাটি চার বছর আটকে ছিল সেন্সর বোর্ডে। গত ২১ জানুয়ারি সিনেমাটি মুক্তির জন্য বাধা নেই বলে জানান সাংবাদিক ও আপিল বোর্ড সদস্য শ্যামল দত্ত।
গত ২১ জানুয়ারি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমা নিয়ে শুনানি হয় আপিল বোর্ডের। ওই দিন সিনেমার নির্মাতা-প্রযোজকের বক্তব্য শোনেন আপিল কমিটির সদস্যরা। সেই আলোকে সিনেমাটি মুক্তিতে কোনো বাধা নেই বলে মতামত দেন সবাই।
এদিকে হলি আর্টিজানে সন্ত্রাসী হামলার কাহিনি নিয়েই নির্মাণ করা হয়েছে ‘ফারাজ’ সিনেমা। বলিউডের এই সিনেমা আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের নির্মাতা ফারুকী এই ফারাজ মুক্তির আগে মুক্তি দিতে চাচ্ছেন ‘শনিবার বিকেল’। কিন্তু সিনেমাটি মুক্তিতে বাধা না থাকলেও এখনো সেন্সর বোর্ড থেকে কোনো চিঠি পাননি এই নির্মাতা।
সোমবার (৩০ জানুয়ারি) ফারুকী এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ বিষয়ে বলেন, ‘সেন্সর বোর্ডের প্রিয় ভাই-বোনেরা, আমরা এখনো আপনাদের চিঠির অপেক্ষায়। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী আপিল বোর্ড একটা সিনেমার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার সর্বোচ্চ ক্ষমতা রাখে। শনিবার বিকেলের ব্যাপারে তাদের সিদ্ধান্ত দেশি-আন্তর্জাতিক পত্র-পত্রিকা এবং টেলিভিশনের কল্যাণে সারা দুনিয়ার মানুষ জানে। তারা সবাই তাকিয়ে আছে। আর দেরি না করে চিঠিটা তাড়াতাড়ি পাঠান। আমরা বাংলাদেশকে আর বিব্রতকর অবস্থায় না ফেলি।’
এরপরই ফারাজ সিনেমার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘ওদিকে ফারাজ রিলিজ হচ্ছে তিন তারিখ। বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে শনিবার বিকেল মুক্তির দিকে, ফারাজের সঙ্গে একই দিন বা এক ঘণ্টা আগে হলেও। সুতরাং এটা দ্রুত সমাধান করেন। আমরা হাসি-মুখে সিনেমাটা রিলিজ করি।’
তিনি বলেন, ‘পৃথিবীর নানা দেশে সিনেমাটা দেখানো হয়েছে, হচ্ছে। এবার বাংলাদেশের মানুষের পালা। পাশাপাশি এটাও আপনাদের ভাবার সময় আসছে, এই নতুন মিডিয়ার যুগে সিনেমা আটকানোর মতো সেকেলে চিন্তা আদৌ কোনো কাজে আসে কিনা। কারণ যে কেউ চাইলে তার সিনেমা ডিজিটাল প্লাটফর্মে উন্মুক্ত করে দিতে পারে। ফলে সিনেমা আটকানোর চেষ্টা একটা পণ্ডশ্রম যা কেবল দেশের জন্য বদনামই বয়ে আনতে পারে।’
ফারুকী বলেন, ‘আরেকটা কথা যেটা বারবারই বলছি, সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার জন্য অমানুষিক পরিশ্রম করে কারো সিনেমা বানানোর দরকার নেই। দেশের বাইরে যেকোনো দেশ থেকে ইউটিউব-ফেসবুকে একটা দশ মিনিটের ভিডিও আপ করে দিলেই হয়। শিল্প রচনার মতো এতো কষ্টসাধ্য পথে যাওয়ার তো দরকার নেই। তাছাড়া শিল্পীর লক্ষ্য এতো ন্যারো থাকে না। কারো ভাবমূর্তি রক্ষা বা ক্ষুণ্ন করার মতো কাজ তার না। তার লক্ষ্য মহাকালের সঙ্গে তার কালের কথোপকথন।’