ভারতের বিখ্যাত নির্মাতা মৃণাল সেনের জীবন নিয়ে নির্মানাধীন সিনেমায় ‘মৃণাল সেনে’র চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। কলকাতার আলোচিত সিনেমার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি দীর্ঘ গবেষণার পর এ সিনেমা নির্মাণের কাজে হাত দেন। এ কাজটি চঞ্চলের জীবনের একটি ঐতিহাসিক কাজ হতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
মৃণাল সেনের জীবন নিয়ে পদাতিক সিনেমায় মৃণাল সেনের লুকে চঞ্চলের কয়েকটি ছবি প্রকাশ্যে এলে আলোচিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবার সিনেমার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন চঞ্চল চৌধুরী, কলকাতায় প্রথম দফার দৃশ্যধারণ শেষ করে গত সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন এই অভিনেতা।
প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম কোনো জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্রে দেখা যাবে চঞ্চলকে। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন টালিগঞ্জের নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয়ের বিষয়ে চঞ্চল জানান, মৃণাল সেনের মতো এত বড় ব্যক্তিত্বের চরিত্র করা কঠিন ব্যাপার। তিনি বলেন, ‘চরিত্রটি আমার জন্য সহজ নয়। জীবনীভিত্তিক সিনেমায় দর্শকেরা ওই চরিত্রে হুবহু দেখতে চান। চেহারা, কণ্ঠ মেলাতে চান। তাই আমি ভয়ও পাই। মৃণাল সেনের আদল, হাঁটাচলা, অঙ্গভঙ্গিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’
চঞ্চল জানান, কাজটির জন্য তাঁর বড় রকমের প্রস্তুতির দরকার ছিল। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। তারপরও তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘যতটুকু শুটিং করেছি, এর চাইতে আরেকটু ভালো করতে পারতাম। ভাষাগত দিক দিয়ে সমস্যা একটু হয়েছে। ইংরেজি, হিন্দির বিষয় আছে। এ ছাড়া ওদের বাংলার উচ্চারণ আমাদের মতো নয়। তবে এসব ডাবিংয়ে কাটিয়ে ওঠা যাবে।’
অন্তত দু-তিন মাসের প্রস্তুতি নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে কাজটি অন্য রকম হতো বলে মনে করেন কারাগার সিরিজের এই অভিনেতা। সিনেমার গল্পে মৃণাল সেনের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ছয়টি লুকে দেখা যাবে চঞ্চলকে। কাজটি কঠিন হলেও ঠিকঠাকমতো শেষ করতে পারলে এটি একটি ঐতিহাসিক কাজ হবে বলে মনে করেন এই অভিনেতা।
বাইশে শ্রাবণ, জাতিস্মর-এর মতো আলোচিত সিনেমার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির এটিই প্রথম কাজ চঞ্চল চৌধুরীর। তিনি বলেন, ‘তিনি (সৃজিত মুখার্জি) মৃণাল সেনকে নিয়ে পুরোপুরি গবেষণা করেই কাজ শুরু করেছেন। ওখানে যাওয়ার পর মৃণাল সেনকে নিয়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের ডিভিডি, বইপত্র আমাকে ধরিয়ে দিলেন তিনি, যাতে শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমি আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি।’
তিন ধাপে শুটিং শেষ হবে এ ছবির। ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় দ্বিতীয় ধাপের কাজ হবে। এর আগেই কলকাতায় উড়াল দেবেন চঞ্চল। সিনেমার শেষ ধাপের দৃশ্যধারণ হবে ইতালিতে। সিনেমায় মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের ভূমিকায় অভিনয় করছেন টালিউডের অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমার চিত্রনাট্যও লিখেছেন সৃজিত মুখার্জি।
বুধবার, ০১ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
ভারতের বিখ্যাত নির্মাতা মৃণাল সেনের জীবন নিয়ে নির্মানাধীন সিনেমায় ‘মৃণাল সেনে’র চরিত্রে অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। কলকাতার আলোচিত সিনেমার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি দীর্ঘ গবেষণার পর এ সিনেমা নির্মাণের কাজে হাত দেন। এ কাজটি চঞ্চলের জীবনের একটি ঐতিহাসিক কাজ হতে যাচ্ছে বলে জানান তিনি।
মৃণাল সেনের জীবন নিয়ে পদাতিক সিনেমায় মৃণাল সেনের লুকে চঞ্চলের কয়েকটি ছবি প্রকাশ্যে এলে আলোচিত হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এবার সিনেমার ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন চঞ্চল চৌধুরী, কলকাতায় প্রথম দফার দৃশ্যধারণ শেষ করে গত সোমবার ঢাকায় ফিরেছেন এই অভিনেতা।
প্রায় দুই যুগের ক্যারিয়ারে এবারই প্রথম কোনো জীবনীভিত্তিক চলচ্চিত্রে দেখা যাবে চঞ্চলকে। সিনেমাটি নির্মাণ করছেন টালিগঞ্জের নির্মাতা সৃজিত মুখার্জি। মৃণাল সেনের চরিত্রে অভিনয়ের বিষয়ে চঞ্চল জানান, মৃণাল সেনের মতো এত বড় ব্যক্তিত্বের চরিত্র করা কঠিন ব্যাপার। তিনি বলেন, ‘চরিত্রটি আমার জন্য সহজ নয়। জীবনীভিত্তিক সিনেমায় দর্শকেরা ওই চরিত্রে হুবহু দেখতে চান। চেহারা, কণ্ঠ মেলাতে চান। তাই আমি ভয়ও পাই। মৃণাল সেনের আদল, হাঁটাচলা, অঙ্গভঙ্গিকে প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’
চঞ্চল জানান, কাজটির জন্য তাঁর বড় রকমের প্রস্তুতির দরকার ছিল। কিন্তু বাবার মৃত্যুর পর সময়টা ভালো যাচ্ছিল না। তারপরও তিনি যথাসাধ্য চেষ্টা চালিয়ে গেছেন। তিনি বলেন, ‘যতটুকু শুটিং করেছি, এর চাইতে আরেকটু ভালো করতে পারতাম। ভাষাগত দিক দিয়ে সমস্যা একটু হয়েছে। ইংরেজি, হিন্দির বিষয় আছে। এ ছাড়া ওদের বাংলার উচ্চারণ আমাদের মতো নয়। তবে এসব ডাবিংয়ে কাটিয়ে ওঠা যাবে।’
অন্তত দু-তিন মাসের প্রস্তুতি নিয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালে কাজটি অন্য রকম হতো বলে মনে করেন কারাগার সিরিজের এই অভিনেতা। সিনেমার গল্পে মৃণাল সেনের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ছয়টি লুকে দেখা যাবে চঞ্চলকে। কাজটি কঠিন হলেও ঠিকঠাকমতো শেষ করতে পারলে এটি একটি ঐতিহাসিক কাজ হবে বলে মনে করেন এই অভিনেতা।
বাইশে শ্রাবণ, জাতিস্মর-এর মতো আলোচিত সিনেমার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির এটিই প্রথম কাজ চঞ্চল চৌধুরীর। তিনি বলেন, ‘তিনি (সৃজিত মুখার্জি) মৃণাল সেনকে নিয়ে পুরোপুরি গবেষণা করেই কাজ শুরু করেছেন। ওখানে যাওয়ার পর মৃণাল সেনকে নিয়ে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের ডিভিডি, বইপত্র আমাকে ধরিয়ে দিলেন তিনি, যাতে শুটিংয়ের ফাঁকে ফাঁকে আমি আরও ভালোভাবে প্রস্তুতি নিতে পারি।’
তিন ধাপে শুটিং শেষ হবে এ ছবির। ১০ থেকে ২০ ফেব্রুয়ারি কলকাতায় দ্বিতীয় ধাপের কাজ হবে। এর আগেই কলকাতায় উড়াল দেবেন চঞ্চল। সিনেমার শেষ ধাপের দৃশ্যধারণ হবে ইতালিতে। সিনেমায় মৃণাল সেনের স্ত্রী গীতা সেনের ভূমিকায় অভিনয় করছেন টালিউডের অভিনেত্রী মনামী ঘোষ। পরিচালনার পাশাপাশি সিনেমার চিত্রনাট্যও লিখেছেন সৃজিত মুখার্জি।