ইসরায়েল উত্তর গাজা থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও হামাসের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান সম্প্রসারণ করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে ওয়াশিংটন পোস্টে খবর আসে। দক্ষিণ গাজায় সাধারণ মানুষেরা দুটি স্কুলে আশ্রয় নিয়ে আছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েল উত্তর গাজায় বিশাল কয়েকটি এলাকা এবং গাজা সিটির আশেপাশের উত্তর-পশ্চিমের কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। কিন্তু হামাস এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, হামাসের গেরিলা-ধাঁচের প্রতিরোধ গাজা সিটির কয়েকটি অংশসহ শহুরে উত্তরাঞ্চল, জাবালিয়া এবং বিচ শরণার্থী শিবিরেও অনেক শক্তিশালী।
৫০ জিম্মিকে মুক্তির বিনিময়ে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার খবর নাকচ হওয়ার পর রোববার গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজার কেন্দ্রস্থলে কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে শনিবার ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছিল, কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে এবং উভয় পক্ষ একটি চুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট ‘ছয় পাতার ওই চুক্তি’ সম্পর্কে ‘বিস্তারিত তথ্য’ দিয়ে জানায়, চুক্তিতে ‘অন্তত পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। যে সময়ে প্রাথমিকভাবে ৫০ জন বা তার বেশি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় জিম্মিদের এক একটি দলকে মুক্তি দেওয়া হবে’।
সেইসঙ্গে চুক্তিতে গাজায় পাঠানো ‘মানবিক ত্রাণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর’ কথাও বলা হয়। ওই ত্রাণের মধ্যে বিশেষ করে ‘জ্বালানির’ কথা উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, চুক্তি এখনও হয়নি। হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা এখনও কোনো চুক্তিতে পৌঁছাইনি। তবে একটি চুক্তি করার চেষ্টা চলছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, জাবালিয়ার দিকে অগ্রসরমান ইসরায়েলি স্থল সেনাদের সঙ্গে হামাসের বন্দুকধারীদের তীব্র লড়াই হয়েছে গতরাতে। সেখানকার শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে প্রায় ১ লাখ মানুষের বাস।
জাবালিয়ায় বার বার ইসরায়েলের বোমা হামলায় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের চিকিৎসাকর্মীরা। ইসরায়েল বলছে, এসব বোমা হামলায় সেখানে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে থাকা বহু হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে।
সোমবার, ২০ নভেম্বর ২০২৩
ইসরায়েল উত্তর গাজা থেকে গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও হামাসের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান সম্প্রসারণ করার প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ে ওয়াশিংটন পোস্টে খবর আসে। দক্ষিণ গাজায় সাধারণ মানুষেরা দুটি স্কুলে আশ্রয় নিয়ে আছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েল উত্তর গাজায় বিশাল কয়েকটি এলাকা এবং গাজা সিটির আশেপাশের উত্তর-পশ্চিমের কয়েকটি এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। কিন্তু হামাস এবং স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছে, হামাসের গেরিলা-ধাঁচের প্রতিরোধ গাজা সিটির কয়েকটি অংশসহ শহুরে উত্তরাঞ্চল, জাবালিয়া এবং বিচ শরণার্থী শিবিরেও অনেক শক্তিশালী।
৫০ জিম্মিকে মুক্তির বিনিময়ে পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির নিয়ে ইসরায়েল ও হামাসের একটি চুক্তিতে উপনীত হওয়ার খবর নাকচ হওয়ার পর রোববার গাজার উত্তরাঞ্চলে দুই পক্ষের মধ্যে লড়াই আরও তীব্র হয়েছে। ইসরায়েলের বিমান হামলায় গাজার কেন্দ্রস্থলে কয়েক ডজন মানুষ মারা গেছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।
কূটনীতিকদের বরাত দিয়ে শনিবার ওয়াশিংটন পোস্টের খবরে বলা হয়েছিল, কাতারের মধ্যস্থতায় ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে আলোচনায় অগ্রগতি হয়েছে এবং উভয় পক্ষ একটি চুক্তির বিষয়ে একমত হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্ট ‘ছয় পাতার ওই চুক্তি’ সম্পর্কে ‘বিস্তারিত তথ্য’ দিয়ে জানায়, চুক্তিতে ‘অন্তত পাঁচ দিনের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। যে সময়ে প্রাথমিকভাবে ৫০ জন বা তার বেশি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। প্রতি ২৪ ঘণ্টায় জিম্মিদের এক একটি দলকে মুক্তি দেওয়া হবে’।
সেইসঙ্গে চুক্তিতে গাজায় পাঠানো ‘মানবিক ত্রাণের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য হারে বাড়ানোর’ কথাও বলা হয়। ওই ত্রাণের মধ্যে বিশেষ করে ‘জ্বালানির’ কথা উল্লেখ করা হয়।
কিন্তু পরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বলেন, চুক্তি এখনও হয়নি। হোয়াইট হাউজের একজন মুখপাত্র বলেন, “আমরা এখনও কোনো চুক্তিতে পৌঁছাইনি। তবে একটি চুক্তি করার চেষ্টা চলছে।”
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, জাবালিয়ার দিকে অগ্রসরমান ইসরায়েলি স্থল সেনাদের সঙ্গে হামাসের বন্দুকধারীদের তীব্র লড়াই হয়েছে গতরাতে। সেখানকার শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে প্রায় ১ লাখ মানুষের বাস।
জাবালিয়ায় বার বার ইসরায়েলের বোমা হামলায় অনেক মানুষের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের চিকিৎসাকর্মীরা। ইসরায়েল বলছে, এসব বোমা হামলায় সেখানে সাধারণ মানুষের মধ্যে মিশে থাকা বহু হামাস যোদ্ধা নিহত হয়েছে।