alt

আন্তর্জাতিক

লিবিয়ার বাতাসে লাশের গন্ধ, স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কায় ডব্লিওএইচও

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় নিহতদের গণকবর দেওয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (ডব্লিওএইচও) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। তারা বলেছে, এটা নিহতদের পরিবারগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী মানসিক যন্ত্রণার পাশাপাশি বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

জাতিসংঘ বলছে, লিবিয়া এক দশকের সংঘাত এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় বিভক্ত এক জাতির দেশ লিবিয়া। গত রবিবার তীব্র বৃষ্টির ফলে দুটি বাঁধ ফেটে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষকে গণকবরে সমাহিত করা হয়েছে। গত ৭ দিনে উদ্ধার হয়েছে ১১ হাজার ৩০০টি মরদেহ। নিখোঁজ আছেন হাজারও মানুষ।

রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির বিলাল সাবলুহ বলেন, ‘ধসে পড়া ভবন ও ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে অনেক মানুষ। আমার এক সহকর্মী ডেরনার কাছে সমুদ্র সৈকতে ২০০টিরও বেশি মরদেহ গণনা করেছেন মাত্র দুই ঘণ্টায়।’

লিবিয়ার ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইব্রাহিম আল আরাবি বলেন, ‘মরদেহ, মৃত প্রাণী, আবর্জনা এবং রাসায়নিক পদার্থের কারণে ভূগর্ভস্থ পানি দূষিত হচ্ছে। আমরা জনগণকে ডেরনার কূপের কাছে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

ডেরনার ওয়াহদা হাসপাতালের প্রধান মোহাম্মদ আল-কাবিসি বলেন, ‘পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও কলেরা রোগীর সন্ধান মেলেনি।’ লিবিয়ায় অভিবাসন মিশনের আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, হাসপাতালে তিন হাজার ৯২২ জনের মৃত্যু নিবন্ধিত হয়েছে।

বন্যা-কবলিত অঞ্চলে ৩৮ হাজার ৬৪০ জনেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ডেরনার দোকানদার ৬০ বছরের নুরি মোহাম্মদ বলেন, ‘এখনও মাটির নিচে মৃতদেহ আছে... এখন সেখানে লাশের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস-বন্যায় হাজার হাজার মানুষ নিহতের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে লিবিয়ার বিদ্রোহী সরকারের কর্মকর্তাদের ওপর। দেশটির অভ্যন্তর, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের মতে, কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণেই ঘটেছে এই বিপুল প্রাণহানি।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্ব লিবিয়ায় ক্ষমতাসীন সরকারের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন— সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যরা ঝড়ের আগে দেরনা শহরের বাসিন্দাদের ঝড় সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, নিরাপদ স্থানে সরেও যেতে বলেছিলেন। কিন্তু সাধারণ লোকজনের অনেকেই এই সতর্কবার্তাকে ‘অতিরঞ্জিত’ মনে করে আমল দিতে চাননি।

ছবি

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ১১ হাজারেরও বেশি প্রবাসী গ্রেপ্তার

ছবি

দিল্লিতে আফগান দূতাবাসের কার্যক্রম বন্ধ

ছবি

যেভাবে শাটডাউন এড়ালো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ভারতে ট্যুরিস্ট বাস খাদে পড়ে নিহত ৮

ছবি

জার্মানিতে অভিবাসন নীতি নিয়ে বাড়ছে অসন্তোষ

ছবি

বাংলাদেশ-জাপান ১৫০০ মিলিয়ন ডলারের ঋণচুক্তি সই

ছবি

শাটডাউনের মুখ থেকে বেঁচে গেলো যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট ‘ভারতবিরোধী’ নেতা মোহামেদ মুইজ্জু

ছবি

বাস্তবায়নের পথে সৌদি-ইসরায়েল চুক্তি: যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

দখলকৃত যে ৪ অঞ্চল পুনর্গঠনের প্রতিশ্রুতি পুতিনের

ছবি

ভারতীয় হাইকমিশনারকে স্কটল্যান্ডের গুরুদুয়ারায় ঢুকতে বাধা

ছবি

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে এক বছরে কর্মসংস্থান বেড়েছে

ছবি

জেলে ফিলিস্তিনির সঙ্গে যৌন সম্পর্ক, নারী গার্ডদের সরাবে ইসরায়েল

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে শাটডাউন আসন্ন, বন্ধ হতে পারে ৪০ লাখ কর্মীর বেতন

ছবি

কানাডার সঙ্গে বিরোধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে : জয়শঙ্কর

ছবি

পশ্চিমবঙ্গে দেয়াল ধসে তিন শিশুর মৃত্যু

ছবি

নিকারাগুয়ার ১০০ কর্মকর্তাকে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিল যুক্তরাষ্ট্র

ছবি

ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণ সেপ্টেম্বর দেখল ইউরোপ

ছবি

ভারী বর্ষণে নিউ ইয়র্কে বন্যা : জরুরি অবস্থা জারি

ছবি

পাকিস্তানে ভয়াবহ বোমা হামলা

ছবি

বিশ্ব শান্তি-উন্নয়নে ইউনেসকোর সঙ্গে সহযোগিতা বাড়াতে চায় চীন

ছবি

খালিস্তানি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ধরতে ৬ রাজ্যে অভিযান ভারতের

ছবি

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা’র বোর্ড অব গভর্নর্সের সদস্য হলো বাংলাদেশ

ছবি

পারমাণবিক অস্ত্র বানাতে সংবিধানে পরিবর্তন আনলো উ. কোরিয়া

ছবি

পাকিস্তানে আরেক মসজিদ বোমা হামলায় নিহত ৪

ছবি

আবারও যুদ্ধের ময়দানে ওয়াগনার সেনারা

ছবি

কানাডীয় তদন্তে সহায়তায় ভারতকে আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের

ছবি

পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হামলায় নিহত অর্ধশতাধিক

ছবি

১ অক্টোবর থেকে মণিপুরে সেনাশাসন জারি

ছবি

শরণার্থী সংকটের মাঝে বোঝাপড়ার পথে ইউরোপীয় ইউনিয়ন

ছবি

খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কোর্ট বেকায়দায় পড়ে গেছে : দুদু

ছবি

পাকিস্তানে ঈদে মিলাদুন্নবীর মিছিলে বোমা হামলা, নিহত ৩৪

ছবি

চলতি বছরে ভূমধ্যসাগরে ২৫০০ অভিবাসনপ্রত্যাশী নিখোঁজ

ছবি

নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক মেনে নিতে হবে : বাইডেন

ছবি

নেদারল্যান্ডসের বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুক হামলা, শিক্ষকসহ নিহত ৩

ছবি

বাংলাদেশের যে কাউকেই প্রয়োজন অনুসারে নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র

tab

আন্তর্জাতিক

লিবিয়ার বাতাসে লাশের গন্ধ, স্বাস্থ্য ঝুঁকির শঙ্কায় ডব্লিওএইচও

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩

লিবিয়ায় ভয়াবহ বন্যায় নিহতদের গণকবর দেওয়া বন্ধ করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাসহ (ডব্লিওএইচও) বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা। তারা বলেছে, এটা নিহতদের পরিবারগুলোকে দীর্ঘমেয়াদী মানসিক যন্ত্রণার পাশাপাশি বড় ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।

জাতিসংঘ বলছে, লিবিয়া এক দশকের সংঘাত এবং রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলায় বিভক্ত এক জাতির দেশ লিবিয়া। গত রবিবার তীব্র বৃষ্টির ফলে দুটি বাঁধ ফেটে যাওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষকে গণকবরে সমাহিত করা হয়েছে। গত ৭ দিনে উদ্ধার হয়েছে ১১ হাজার ৩০০টি মরদেহ। নিখোঁজ আছেন হাজারও মানুষ।

রেড ক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির বিলাল সাবলুহ বলেন, ‘ধসে পড়া ভবন ও ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়েছে অনেক মানুষ। আমার এক সহকর্মী ডেরনার কাছে সমুদ্র সৈকতে ২০০টিরও বেশি মরদেহ গণনা করেছেন মাত্র দুই ঘণ্টায়।’

লিবিয়ার ত্রিপোলিভিত্তিক সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইব্রাহিম আল আরাবি বলেন, ‘মরদেহ, মৃত প্রাণী, আবর্জনা এবং রাসায়নিক পদার্থের কারণে ভূগর্ভস্থ পানি দূষিত হচ্ছে। আমরা জনগণকে ডেরনার কূপের কাছে না যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।’

ডেরনার ওয়াহদা হাসপাতালের প্রধান মোহাম্মদ আল-কাবিসি বলেন, ‘পানিবাহিত রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা আছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনও কলেরা রোগীর সন্ধান মেলেনি।’ লিবিয়ায় অভিবাসন মিশনের আন্তর্জাতিক সংস্থা বলছে, হাসপাতালে তিন হাজার ৯২২ জনের মৃত্যু নিবন্ধিত হয়েছে।

বন্যা-কবলিত অঞ্চলে ৩৮ হাজার ৬৪০ জনেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। ডেরনার দোকানদার ৬০ বছরের নুরি মোহাম্মদ বলেন, ‘এখনও মাটির নিচে মৃতদেহ আছে... এখন সেখানে লাশের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।’

এদিকে, ঘূর্ণিঝড় ড্যানিয়েলের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাস-বন্যায় হাজার হাজার মানুষ নিহতের ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে লিবিয়ার বিদ্রোহী সরকারের কর্মকর্তাদের ওপর। দেশটির অভ্যন্তর, জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিশ্বের মতে, কর্মকর্তাদের অবহেলার কারণেই ঘটেছে এই বিপুল প্রাণহানি।

তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে পূর্ব লিবিয়ায় ক্ষমতাসীন সরকারের কর্মকর্তারা দাবি করেছেন— সেনা কর্মকর্তা ও সদস্যরা ঝড়ের আগে দেরনা শহরের বাসিন্দাদের ঝড় সম্পর্কে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন, নিরাপদ স্থানে সরেও যেতে বলেছিলেন। কিন্তু সাধারণ লোকজনের অনেকেই এই সতর্কবার্তাকে ‘অতিরঞ্জিত’ মনে করে আমল দিতে চাননি।

back to top