মাহসা আমিনির বাবা আমজাদ আমিনিকে শনিবার তার মৃত্যুবার্ষিকীর দিন আটক করা হয়েছে বল মানবাধিকার গ্রুপগুলো জানিয়েছে।
ইরানের পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় গত বছরের এই দিনে মারা যান মাহসা। ইরানের ধর্মীয় নিয়ম মেনে হিজাব না পরায় তাকে প্রথমে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের নীতি পুলিশ। তার মৃত্যু পর দেশটিতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে যা কয়েক মাস স্থায়ী ছিল।
কুর্দিস্তান হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার আগে আমজাদ আমিনিকে তার মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছিল। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ আমজাদ আমিনিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে তাকে সংক্ষিপ্তভাবে আটক বা সতর্ক করা হয়েছে কিনা তা বলা হয়নি।
এর আগে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলোর প্রতিবেদনে পশ্চিম ইরানের সাকেজে আমিনির বাড়ির চারপাশে নিরাপত্তা বাহিনী অবস্থান নেওয়ার কথা বলেছিল।
২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণীর মৃত্যর পর অনেকেই চার দশকের বেশি সময় ধরে চলা শিয়া ধর্মগুরুর শাসনের অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট অনুসারে, আমিনির বাবা-মা চলতি সপ্তাহের শুরুতে একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, সরকারি সতর্কতা সত্ত্বেও, তারা সাকেজে তাদের কন্যার কবরে একটি ‘ঐতিহ্যগত এবং ধর্মীয় বার্ষিকী অনুষ্ঠান’ পালন করবে।
মানবাধিকার গোষ্ঠীর মতে, অশান্তির প্রত্যাশায় শনিবার ইরানের বেশিরভাগ কুর্দি অঞ্চলে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি মোতায়েন করা হয়েছিল। ইরানের কুর্দিস্তান অঞ্চলের একাধিক শহরেও ব্যাপক হামলার খবর পাওয়া গেছে।
আরআইএনএ জানিয়েছে, আমিনির নিজ শহর সাকেজ সম্পূর্ণ শান্ত ছিল এবং জনগণের সতর্কতা এবং নিরাপত্তা ও সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির কারণে কুর্দি এলাকায় ধর্মঘটের আহ্বান ব্যর্থ হয়েছে।
কুর্দিস্তান প্রদেশের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে আরআইএনএ বলেছে, ‘প্রতি-বিপ্লবী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকটি এজেন্ট যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার এবং মিডিয়ার খাদ্য প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করেছিল তাদের শনিবারু ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আমিনির মৃত্যুর পরে বিক্ষোভে ৭১ জন নাবালকসহ ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়, শত শত আহত হয় এবং হাজার হাজার গ্রেপ্তার হয় বলে অধিকার গোষ্ঠীরা জানিয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।
শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩
মাহসা আমিনির বাবা আমজাদ আমিনিকে শনিবার তার মৃত্যুবার্ষিকীর দিন আটক করা হয়েছে বল মানবাধিকার গ্রুপগুলো জানিয়েছে।
ইরানের পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় গত বছরের এই দিনে মারা যান মাহসা। ইরানের ধর্মীয় নিয়ম মেনে হিজাব না পরায় তাকে প্রথমে গ্রেপ্তার করেছিল ইরানের নীতি পুলিশ। তার মৃত্যু পর দেশটিতে সরকার বিরোধী বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে যা কয়েক মাস স্থায়ী ছিল।
কুর্দিস্তান হিউম্যান রাইটস নেটওয়ার্ক জানিয়েছে, মুক্তি পাওয়ার আগে আমজাদ আমিনিকে তার মেয়ের মৃত্যুবার্ষিকী পালনের বিরুদ্ধে সতর্ক করা হয়েছিল। ইরানের সরকারি বার্তা সংস্থা আইআরএনএ আমজাদ আমিনিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে তাকে সংক্ষিপ্তভাবে আটক বা সতর্ক করা হয়েছে কিনা তা বলা হয়নি।
এর আগে, সোশ্যাল মিডিয়া এবং অধিকার গোষ্ঠীগুলোর প্রতিবেদনে পশ্চিম ইরানের সাকেজে আমিনির বাড়ির চারপাশে নিরাপত্তা বাহিনী অবস্থান নেওয়ার কথা বলেছিল।
২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণীর মৃত্যর পর অনেকেই চার দশকের বেশি সময় ধরে চলা শিয়া ধর্মগুরুর শাসনের অবসানের আহ্বান জানিয়েছেন।
সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট অনুসারে, আমিনির বাবা-মা চলতি সপ্তাহের শুরুতে একটি বিবৃতিতে বলেছিলেন, সরকারি সতর্কতা সত্ত্বেও, তারা সাকেজে তাদের কন্যার কবরে একটি ‘ঐতিহ্যগত এবং ধর্মীয় বার্ষিকী অনুষ্ঠান’ পালন করবে।
মানবাধিকার গোষ্ঠীর মতে, অশান্তির প্রত্যাশায় শনিবার ইরানের বেশিরভাগ কুর্দি অঞ্চলে বিশাল নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতি মোতায়েন করা হয়েছিল। ইরানের কুর্দিস্তান অঞ্চলের একাধিক শহরেও ব্যাপক হামলার খবর পাওয়া গেছে।
আরআইএনএ জানিয়েছে, আমিনির নিজ শহর সাকেজ সম্পূর্ণ শান্ত ছিল এবং জনগণের সতর্কতা এবং নিরাপত্তা ও সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির কারণে কুর্দি এলাকায় ধর্মঘটের আহ্বান ব্যর্থ হয়েছে।
কুর্দিস্তান প্রদেশের একজন কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে আরআইএনএ বলেছে, ‘প্রতি-বিপ্লবী গোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পৃক্ত বেশ কয়েকটি এজেন্ট যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার এবং মিডিয়ার খাদ্য প্রস্তুত করার পরিকল্পনা করেছিল তাদের শনিবারু ভোরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আমিনির মৃত্যুর পরে বিক্ষোভে ৭১ জন নাবালকসহ ৫০০ জনের বেশি মানুষ নিহত হয়, শত শত আহত হয় এবং হাজার হাজার গ্রেপ্তার হয় বলে অধিকার গোষ্ঠীরা জানিয়েছে। এর সঙ্গে জড়িত সাতজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।