যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আঘাত হানে শক্তিশালী হারিকেন ইয়ান। চতুর্থ ক্যাটেগরির এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সেদিন রাজ্যটির অনেক এলাকা তছনছ হয়ে যায়। ২৪১ কিলোমিটারের বেশি বেগে আঘাত হানা ঝড়ের সঙ্গে ছিল ভারী বৃষ্টি। সাগর ফুলে উঠেছিল ১৮ ফুট।
এতে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ উপকূল। ফ্লোরিডার ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ওই ঘূর্ণিঝড় প্রাণ কেড়ে নেয় কমপক্ষে দেড়শ মানুষের। ঝড় চলে যাওয়ার পর ৪০ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন।
কিন্তু এ দুর্যোগের মধ্যেও বিস্ময়করভাবে রক্ষা পায় বেবকক রেঞ্চ নামের একটি শহর। কী এমন ছিল সেখানে, যা এমন দুর্যোগেও অক্ষত রেখেছিল শহরটিকে?
ফ্লোরিডার ফোর্ট মায়ার্সের কাছাকাছি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ছোট্ট শহর রেঞ্চের আয়তন ৭৩ বর্গকিলোমিটার। হারিকেন ইয়ান আঘাত হানার সময় এটি ছিল ঝড়ের কেন্দ্রে। কিন্তু তাতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শহরটি বিশেষভাবে ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধী করে গড়ে তোলা হয়েছে। এর নকশা করেছিলেন পরিকল্পনাবিদ সিড কিটসন। মূলত তাঁর নেতৃত্বে এক দল প্রকৌশলীর চেষ্টায় গড়ে ওঠে পরিকল্পিত শহরটি।
হারিকেন ইয়ান আঘাত হানার পাঁচ দিন আগে সিড কিটসন প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে তিনি বেবকক রেঞ্চ নিয়ে তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাদের কাছে জানতে চান, ‘আমরা কি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানুষ হিসেবে যতটা সম্ভব করতে পেরেছি?’
কিটসন বিল্ডিং কোডের প্রয়োজনীয়তার চেয়েও বেশি খরচ ও চেষ্টা যোগ করেছেন শহর নির্মাণে, যাতে এটি ঝড় মোকাবিলায় সক্ষম হয়। তিনি বলেন, তারা নিরাপত্তার জন্য এবং অন্য শহরগুলো থেকে আলাদা করতে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেছেন। পুরো পরিকল্পনার কেন্দ্রে ছিল পরিবেশ ও প্রতিরোধ। এ দুই বিষয় মাথায় রেখে তারা কাজ করেছেন।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আইল্যান্ডের চেয়ে পাঁচ গুণ রেঞ্চ ২০১৮ সালে বসবাসের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সুদৃশ্য শহরটির রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন, গলফের মাঠগুলো সবুজ, সুন্দর ফুটপাত ও সাইকেল লেন। সেখানে লেক ও পুকুরের সংখ্যা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে, যাতে এগুলো বন্যার পানি ধারণ করতে পারে।
সড়কের পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেন প্রবল বর্ষণেও জলাবদ্ধতা না হয়। এত কিছুর পরও রাখা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র।
বেবকক রেঞ্চ যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সৌরশক্তি পরিচালিত শহর। ৮৭০ একর জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে সুবিশাল সৌর প্যানেল, যা আলোকিত করছে পুরো শহরকে। সে হিসেবে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক শহরও এটি।
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় ২০২২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর আঘাত হানে শক্তিশালী হারিকেন ইয়ান। চতুর্থ ক্যাটেগরির এ ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতে সেদিন রাজ্যটির অনেক এলাকা তছনছ হয়ে যায়। ২৪১ কিলোমিটারের বেশি বেগে আঘাত হানা ঝড়ের সঙ্গে ছিল ভারী বৃষ্টি। সাগর ফুলে উঠেছিল ১৮ ফুট।
এতে তলিয়ে যায় বিস্তীর্ণ উপকূল। ফ্লোরিডার ইতিহাসে স্মরণকালের সবচেয়ে ভয়াবহ ওই ঘূর্ণিঝড় প্রাণ কেড়ে নেয় কমপক্ষে দেড়শ মানুষের। ঝড় চলে যাওয়ার পর ৪০ লাখের বেশি মানুষ বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েন।
কিন্তু এ দুর্যোগের মধ্যেও বিস্ময়করভাবে রক্ষা পায় বেবকক রেঞ্চ নামের একটি শহর। কী এমন ছিল সেখানে, যা এমন দুর্যোগেও অক্ষত রেখেছিল শহরটিকে?
ফ্লোরিডার ফোর্ট মায়ার্সের কাছাকাছি দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ছোট্ট শহর রেঞ্চের আয়তন ৭৩ বর্গকিলোমিটার। হারিকেন ইয়ান আঘাত হানার সময় এটি ছিল ঝড়ের কেন্দ্রে। কিন্তু তাতেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। শহরটি বিশেষভাবে ঘূর্ণিঝড় প্রতিরোধী করে গড়ে তোলা হয়েছে। এর নকশা করেছিলেন পরিকল্পনাবিদ সিড কিটসন। মূলত তাঁর নেতৃত্বে এক দল প্রকৌশলীর চেষ্টায় গড়ে ওঠে পরিকল্পিত শহরটি।
হারিকেন ইয়ান আঘাত হানার পাঁচ দিন আগে সিড কিটসন প্রকৌশলী, ঠিকাদার ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের নিয়ে এক বৈঠকে বসেছিলেন। সেখানে তিনি বেবকক রেঞ্চ নিয়ে তাদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন। তাদের কাছে জানতে চান, ‘আমরা কি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মানুষ হিসেবে যতটা সম্ভব করতে পেরেছি?’
কিটসন বিল্ডিং কোডের প্রয়োজনীয়তার চেয়েও বেশি খরচ ও চেষ্টা যোগ করেছেন শহর নির্মাণে, যাতে এটি ঝড় মোকাবিলায় সক্ষম হয়। তিনি বলেন, তারা নিরাপত্তার জন্য এবং অন্য শহরগুলো থেকে আলাদা করতে অতিরিক্ত অর্থ খরচ করেছেন। পুরো পরিকল্পনার কেন্দ্রে ছিল পরিবেশ ও প্রতিরোধ। এ দুই বিষয় মাথায় রেখে তারা কাজ করেছেন।
নিউইয়র্কের ম্যানহাটান আইল্যান্ডের চেয়ে পাঁচ গুণ রেঞ্চ ২০১৮ সালে বসবাসের জন্য উন্মুক্ত করা হয়। সুদৃশ্য শহরটির রাস্তাঘাট পরিচ্ছন্ন, গলফের মাঠগুলো সবুজ, সুন্দর ফুটপাত ও সাইকেল লেন। সেখানে লেক ও পুকুরের সংখ্যা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা হয়েছে, যাতে এগুলো বন্যার পানি ধারণ করতে পারে।
সড়কের পানি নিষ্কাশনের সুব্যবস্থা রাখা হয়েছে, যেন প্রবল বর্ষণেও জলাবদ্ধতা না হয়। এত কিছুর পরও রাখা হয়েছে ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্র।
বেবকক রেঞ্চ যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম সৌরশক্তি পরিচালিত শহর। ৮৭০ একর জায়গাজুড়ে স্থাপন করা হয়েছে সুবিশাল সৌর প্যানেল, যা আলোকিত করছে পুরো শহরকে। সে হিসেবে বিশ্বের অন্যতম আধুনিক শহরও এটি।