alt

আন্তর্জাতিক

ইউরোপীয় অর্থনীতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের আরও বড় প্রভাবের আশঙ্কা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে ইউরোপজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে যুদ্ধের বড় নেতিবাচক প্রভাব এখনও পড়েনি। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সুইস ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণের পর ইউরোপে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের অর্থনীতিতে বড় সংকোচন হয়েছে।

জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি ও সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতির ওপর যুদ্ধের প্রভাব পর্যালোচনা করে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো যদি কিয়েভের ওপর হামলা না চালাতো তাহলে ২০২২ সালের চতুর্থ অর্ধে প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক এক শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেশি হতে পারতো। মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক দুই থেকে শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম হতো।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝারি থেকে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব আরও বেশি হতে পারে, বিশেষ করে বাস্তব অর্থনীতির ক্ষেত্রে। এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই প্রভাব প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।

গবেষণা অনুসারে, যুদ্ধে কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জার্মানি। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আক্রমণ না করতো তাহলে ২০২২ সালের চতুর্থ অর্ধে দেশটির জিডিপি শূন্য দশমিক সাত শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম থাকতো।

ব্রিটেনও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির জিডিপি হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক সাত শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক দুই শতাংশ। সংঘাত না হলে ফ্রান্সে মূল্যস্ফীতি কম হতো শূন্য দশমিক তিন শতাংশ এবং জিডিপি বেশি হতো শূন্য দশমিক এক শতাংশ।

ইতালির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক দুই শতাংশ কম এবং জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি হতো।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধ না হলে সুইজারল্যান্ডের জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম হতো।

এই যুদ্ধটি আগের যুদ্ধের তুলনায় কাছাকাছি এবং অতীতের তুলনায় শরণার্থী ও অতিরিক্ত সামরিক ব্যয়ের কারণে ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় নিহত আরও ৩১

ছবি

ভুয়া ভিডিও: অভিযোগ রাশিয়ার দিকে, সতর্কবার্তা এফবিআইয়ের

মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত এক নারীর মৃত্যু

ছবি

তেল আবিবে ইসরায়েলি সামরিক ঘাঁটিতে রকেট হামলা হিজবুল্লাহর

ছবি

বিশ্বে বায়ুদূষণের শীর্ষে দিল্লি, চতুর্থ অবস্থানে ঢাকা

ছবি

জাপানে ১২৬ বছরের রেকর্ড ভাঙলো অক্টোবরের তাপমাত্রা

ছবি

গাজায় ৪৮ ঘণ্টায় ৫০ জনের বেশি শিশুকে হত্যা করেছে ইসরায়েল

ছবি

ট্রাম্প না কমলা, কার দিকে ঝুঁকছেন অভিবাসীরা

ছবি

৫ নভেম্বর নয়, দোদুল্যমান ৭ রাজ্যের ভোটের পরই চূড়ান্ত ফল

ছবি

সীমান্তের এক ইঞ্চি জমি নিয়েও আপস করবে না ভারত: মোদী

ছবি

ট্রাম্প-কমলা ছাড়াও প্রার্থী হিসেবে আছেন যারা

ছবি

ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় হামলার প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ খামেনির না

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ৪৬ জন নিহত

ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার নিন্দা

ছবি

কমলা জয়ী হলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হবে: ট্রাম্প

ছবি

স্পেনের ভয়াবহ বন্যায় অন্তত ৯৫ জনের মৃত্যু, নিখোঁজ বহু

ছবি

গাজায় ইসরায়েলি বর্বরতায় নিহত আরও শতাধিক ফিলিস্তিনি

ছবি

যুক্তরাষ্ট্রে নির্বাচন : নেটো-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন ইউরোপ

ছবি

নির্বাচনের আগে সমাপনী বক্তব্যে যা বললেন ট্রাম্প-কমলা

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজাজুড়ে নিহত ১৪৩, লেবাননে আরও ৭৭

ছবি

গুগল থেকে ৩১ হাজার কোটি টাকা আদায় করল দম্পতি

ছবি

হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান শেখ নাইম কাসেম

ছবি

হিজবুল্লাহর নতুন প্রধান কে এই শেখ নাঈম কাসেম

ছবি

ক্ষমতায় গেলে বিদেশে যুদ্ধ করবেন না, প্রতিশ্রুতি ট্রাম্পের

ছবি

দুই দিনের সফরে ঢাকায় ফলকার টুর্ক

ছবি

আরও কিছু আরব দেশের সাথে শান্তি চুক্তি চায় ইসরায়েল : নেতানিয়াহু

ছবি

ট্রাম্পের লাগামহীন কথাবার্তা নির্বাচনে কতটা প্রভাব ফেলবে?

ছবি

ব্যালন ডি’অর বয়কটের সিদ্ধান্ত রিয়াল মাদ্রিদের, পুরস্কার প্রক্রিয়ায় আপত্তি ক্লাবের

ছবি

কেনিয়ায় আদানি গ্রুপের বিদ্যুৎ প্রকল্প চুক্তি আদালতে স্থগিত

ছবি

রাফাল যুদ্ধবিমান নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর সত্য নয়

ছবি

ইসরায়েলে বাস স্টপে ট্রাকের ধাক্কায় নিহত ১, আহত ৪০

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় গাজায় নিহত আরও ৫৩, লেবাননে ২১

ছবি

মিশিগানে প্রচারণায় কমলার পাশে মিশেল, মুসলিমদের ভোট চাইলেন ট্রাম্প

ছবি

ইসরায়েলের হামলায় ‘ভুল হিসাব’ দেখছে ইরান, পাল্টা প্রতিক্রিয়ার হুঁশিয়ারি খামেনির

ছবি

কেলেঙ্কারির মাঝেই জাপানে আগাম নির্বাচনের ভোটগ্রহণ

ছবি

ইসরায়েলি হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ক্ষতি হয়নি: জাতিসংঘ

tab

আন্তর্জাতিক

ইউরোপীয় অর্থনীতিতে ইউক্রেন যুদ্ধের আরও বড় প্রভাবের আশঙ্কা

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে ইউরোপজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে যুদ্ধের বড় নেতিবাচক প্রভাব এখনও পড়েনি। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

সুইস ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণের পর ইউরোপে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের অর্থনীতিতে বড় সংকোচন হয়েছে।

জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি ও সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতির ওপর যুদ্ধের প্রভাব পর্যালোচনা করে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো যদি কিয়েভের ওপর হামলা না চালাতো তাহলে ২০২২ সালের চতুর্থ অর্ধে প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক এক শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেশি হতে পারতো। মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক দুই থেকে শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম হতো।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝারি থেকে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব আরও বেশি হতে পারে, বিশেষ করে বাস্তব অর্থনীতির ক্ষেত্রে। এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই প্রভাব প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।

গবেষণা অনুসারে, যুদ্ধে কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জার্মানি। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আক্রমণ না করতো তাহলে ২০২২ সালের চতুর্থ অর্ধে দেশটির জিডিপি শূন্য দশমিক সাত শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম থাকতো।

ব্রিটেনও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির জিডিপি হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক সাত শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক দুই শতাংশ। সংঘাত না হলে ফ্রান্সে মূল্যস্ফীতি কম হতো শূন্য দশমিক তিন শতাংশ এবং জিডিপি বেশি হতো শূন্য দশমিক এক শতাংশ।

ইতালির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক দুই শতাংশ কম এবং জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি হতো।

গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধ না হলে সুইজারল্যান্ডের জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম হতো।

এই যুদ্ধটি আগের যুদ্ধের তুলনায় কাছাকাছি এবং অতীতের তুলনায় শরণার্থী ও অতিরিক্ত সামরিক ব্যয়ের কারণে ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।

back to top