ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে ইউরোপজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে যুদ্ধের বড় নেতিবাচক প্রভাব এখনও পড়েনি। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সুইস ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণের পর ইউরোপে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের অর্থনীতিতে বড় সংকোচন হয়েছে।
জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি ও সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতির ওপর যুদ্ধের প্রভাব পর্যালোচনা করে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো যদি কিয়েভের ওপর হামলা না চালাতো তাহলে ২০২২ সালের চতুর্থ অর্ধে প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক এক শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেশি হতে পারতো। মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক দুই থেকে শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম হতো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝারি থেকে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব আরও বেশি হতে পারে, বিশেষ করে বাস্তব অর্থনীতির ক্ষেত্রে। এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই প্রভাব প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।
গবেষণা অনুসারে, যুদ্ধে কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জার্মানি। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আক্রমণ না করতো তাহলে ২০২২ সালের চতুর্থ অর্ধে দেশটির জিডিপি শূন্য দশমিক সাত শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম থাকতো।
ব্রিটেনও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির জিডিপি হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক সাত শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক দুই শতাংশ। সংঘাত না হলে ফ্রান্সে মূল্যস্ফীতি কম হতো শূন্য দশমিক তিন শতাংশ এবং জিডিপি বেশি হতো শূন্য দশমিক এক শতাংশ।
ইতালির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক দুই শতাংশ কম এবং জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি হতো।
গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধ না হলে সুইজারল্যান্ডের জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম হতো।
এই যুদ্ধটি আগের যুদ্ধের তুলনায় কাছাকাছি এবং অতীতের তুলনায় শরণার্থী ও অতিরিক্ত সামরিক ব্যয়ের কারণে ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।
শনিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩
ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধের কারণে ইউরোপজুড়ে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমেছে এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। তবে যুদ্ধের বড় নেতিবাচক প্রভাব এখনও পড়েনি। সুইস ন্যাশনাল ব্যাংকের এক গবেষণা প্রতিবেদনে এই আশঙ্কার কথা উঠে এসেছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সুইস ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়া আক্রমণের পর ইউরোপে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধি, আর্থিক বাজারে অস্থিরতা দেখা গেছে এবং রাশিয়া ও ইউক্রেনের অর্থনীতিতে বড় সংকোচন হয়েছে।
জার্মানি, ব্রিটেন, ফ্রান্স, ইতালি ও সুইজারল্যান্ডের অর্থনীতির ওপর যুদ্ধের প্রভাব পর্যালোচনা করে গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো যদি কিয়েভের ওপর হামলা না চালাতো তাহলে ২০২২ সালের চতুর্থ অর্ধে প্রবৃদ্ধি শূন্য দশমিক এক শতাংশ থেকে শূন্য দশমিক ৭ শতাংশ বেশি হতে পারতো। মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক দুই থেকে শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম হতো।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মাঝারি থেকে দীর্ঘ মেয়াদে যুদ্ধের নেতিবাচক প্রভাব আরও বেশি হতে পারে, বিশেষ করে বাস্তব অর্থনীতির ক্ষেত্রে। এক থেকে দুই বছরের মধ্যে এই প্রভাব প্রায় দ্বিগুণ হতে পারে।
গবেষণা অনুসারে, যুদ্ধে কারণে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে জার্মানি। রাশিয়া যদি ইউক্রেনে আক্রমণ না করতো তাহলে ২০২২ সালের চতুর্থ অর্ধে দেশটির জিডিপি শূন্য দশমিক সাত শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম থাকতো।
ব্রিটেনও ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। দেশটির জিডিপি হ্রাস পেয়েছে শূন্য দশমিক সাত শতাংশ এবং মূল্যস্ফীতি বেড়েছে শূন্য দশমিক দুই শতাংশ। সংঘাত না হলে ফ্রান্সে মূল্যস্ফীতি কম হতো শূন্য দশমিক তিন শতাংশ এবং জিডিপি বেশি হতো শূন্য দশমিক এক শতাংশ।
ইতালির ক্ষেত্রে মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক দুই শতাংশ কম এবং জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি হতো।
গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, যুদ্ধ না হলে সুইজারল্যান্ডের জিডিপি শূন্য দশমিক তিন শতাংশ বেশি এবং মূল্যস্ফীতি শূন্য দশমিক চার শতাংশ কম হতো।
এই যুদ্ধটি আগের যুদ্ধের তুলনায় কাছাকাছি এবং অতীতের তুলনায় শরণার্থী ও অতিরিক্ত সামরিক ব্যয়ের কারণে ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর বিরূপ প্রভাব পড়েছে।