alt

আন্তর্জাতিক

১ অক্টোবর থেকে মণিপুরে সেনাশাসন জারি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট : শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভারতের মণিপুর রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে আগামী অক্টোবর থেকে সেনাশাসন জারি করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ রুখতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যে বিশেষ আইন প্রয়োগ করা হয়, সেই আফস্পা আইন (সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন—এএফএসপিএ) ১ অক্টোবর থেকে আদিবাসী অঞ্চলে জারি করা হবে।

তবে এই আইন জারি করা হবে না বলে ‘অব্যাহত রাখা হবে’ বলাই সংগত। কারণ, মণিপুরে আইনটি দীর্ঘদিন ধরে বলবৎ রয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতির’ কারণে ২০২২ সাল থেকে আফস্পা ধীরে ধীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই অধ্যুষিত উপত্যকার জেলাগুলো থেকে প্রত্যাহার করে শুধু আদিবাসী অঞ্চলে বলবৎ রাখা হয়।

সেনাবাহিনী সরকারের কাছে এক প্রস্তাবে বলেছিল, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আফস্পা গোটা মণিপুরে জারি করা প্রয়োজন। কিন্তু মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দপ্তর সেই প্রস্তাবে কান না দিয়ে শুধু আদিবাসী অঞ্চলেই আফস্পা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দপ্তর গতকাল বুধবার এক নির্দেশে জানিয়েছে, আফস্পাবিষয়ক ‘স্থিতাবস্থা’ (স্ট্যাটাস কো) বজায় রাখা হবে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নোটিশে বলা হয়েছে ‘রাজ্যপাল গোটা মণিপুর আফস্পার অধীনে রাখার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।

তবে ১৯টি পুলিশ থানা ‘অস্থিতিশীল অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত হবে না এবং এই আইনের আওতায় আসবে না। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ছয় মাসের জন্য আইনটি জারি করা হলো।

রাজধানী ইম্ফলসহ উপত্যকার সাত জেলার ১৯টি পুলিশ থানার নামও সরকারি নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই নির্দেশিকার অর্থ মণিপুরের সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এটা আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দিলেন, মণিপুরে সহিংসতা কুকি-চিন-জোমি প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের কারণেই ছড়াচ্ছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের এই সংঘর্ষে কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় বসবাস করে, এমন অঞ্চল স্থিতিশীল রয়েছে বলেই মনে করছেন সরকার। যদিও ভারতের সেনাবাহিনী চেয়েছিল, গোটা মণিপুরেই আফস্পা জারি করা হোক। মেইতেই গোষ্ঠী হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুসারী।

মণিপুর সরকার এই নির্দেশিকায় এমন একটি মন্তব্য করেছে, যা ‘রীতিমতো অবিশ্বাস্য’ বলে মনে করছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুটি প্রধান সংগঠনের একটি, আদিবাসী ঐক্য কমিটি।

নির্দেশিকার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাজ্য সরকার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পর মনে করছে, সহযোগী নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যস্ত থাকায় (পরিস্থিতির) বিশদ মূল্যায়ন এখনই সম্ভব নয়। আরও বিশদ মূল্যায়ন ছাড়া এই জাতীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত হবে না। তাই এই মুহূর্তে রাজ্যের ‘অস্থিতিশীল এলাকা’–সম্পর্কিত অবস্থা পর্যালোচনা করা যাচ্ছে না।’

স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশ মেনে নিতে পারছে না ঐক্য কমিটি। আদিবাসী ঐক্য কমিটি মনে করছে, উপত্যকার ১৯টি থানা এলাকা ‘অশান্ত এলাকা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত না হওয়ার কারণেই অতীতে সহিংসতা ছড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ছড়াবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে ঐক্য কমিটি এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছে, এই সিদ্ধান্ত ‘জাতিগত নির্মূলের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করার একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।’

ছবি

ভারত-পাকিস্তান সংঘাতে লাহোরে প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অচল, সীমান্তজুড়ে

ছবি

উত্তরকাশীতে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ৬ জন নিহত, একজন আহত

ছবি

অভাব, ক্ষুধা ও হতাশায় অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে গাজাবাসী

ছবি

রাজস্থান-পাঞ্জাবে সতর্কতা, পুলিশের ছুটি বাতিল-প্রস্তুত মিসাইল

ভারতের বিরুদ্ধে সামরিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেওয়া হবে: জয়শঙ্কর

দুই দেশকেই ভালোভাবে চিনি, এই সংঘাত বন্ধ হোক : ট্রাম্প

ইসরায়েলি ২৫ ড্রোন ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান

ছবি

ভূস্বর্গ কাশ্মীর নিয়ে ভারত-পাকিস্তান দ্বন্দ্বের সূত্রপাত কোথায়

ছবি

‘অপারেশন সিঁদুর’ চলমান, পাল্টা জবাব দেবে ভারত: রাজনাথ সিং

ছবি

পাকিস্তানে ভারতীয় ড্রোন ভূপাতিত, উত্তেজনা চরমে

কাশ্মীর সীমান্তে রাতভর গোলাগুলি

ছবি

সকালে লাহোরে বিস্ফোরণের শব্দ

ছবি

আমরা একে অপরের শত্রু নই: ভারত-পাকিস্তানকে মালালার শান্তির বার্তা

ছবি

পোপ নির্বাচনে প্রথম দফায় ফল শূন্য, চিমনি দিয়ে কালো ধোঁয়া

ছবি

আবারও মঙ্গলবারেই বদলার বার্তা, বালাকোট ও অপারেশন সিঁদুরে মিল খুঁজে পাচ্ছে বিশ্লেষকরা

ছবি

কাশ্মীরে হামলার জেরে পাকিস্তান ও নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’

ছবি

ভারতের হামলাকে ‘যুদ্ধ ঘোষণা’ বলে নিন্দা পাকিস্তানের

পাক-ভারত যুদ্ধ, বিজয়ী হবে কে?

ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের উত্তাপ, বিশ্বনেতাদের প্রতিক্রিয়া

গাজায় হামাসের হাতে আটক ২১ জিম্মি জীবিত আছেন : ট্রাম্প

‘শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত লড়ব’ ইমরান খানের বার্তা

ছবি

ভারত-পাকিস্তানের যত যুদ্ধ

ছবি

ভারতের হামলায় মাসুদ আজহারের পরিবারের ১০ সদস্যসহ ১৪ জন নিহত

ছবি

ভারতের হামলার পর পাঞ্জাবে জরুরি অবস্থা, সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ

ছবি

বেলুচিস্তানে বোমা হামলায় ৭ পাকিস্তানি সেনা নিহত

ছবি

ভারতের পাঁচ যুদ্ধবিমান ‘ভূপাতিত’ করার দাবি পাকিস্তানের

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে পাকিস্তানের গুলিতে নিহত ৩: দাবি দিল্লির

ছবি

পাকিস্তানে ভারতের হামলাকে ‘লজ্জাজনক’ বললেন ট্রাম্প, জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্বেগ

ছবি

জঙ্গি ঘাঁটি লক্ষ্য করেই হামলা: ভারতের দাবি

ছবি

পাকিস্তানে ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত অন্তত ৮

ছবি

ভারত-পাকিস্তানের অত্যাধুনিক সমরসজ্জা সংঘাতের শঙ্কা কয়েক গুণ বাড়িয়েছে

ছবি

মুহুর্মুহু ড্রোন হামলার পর মস্কোর সব বিমানবন্দর বন্ধ ঘোষণা

নথিবিহীন অভিবাসীরা স্বেচ্ছায় যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগ করলে পাবেন পুরস্কার

ভারত-পাকিস্তানকে ‘সর্বোচ্চ সংযমের’ আহ্বান জাতিসংঘের

ফিলিস্তিনি লেখক পেলেন পুলিৎজার পুরস্কার

ছবি

একসঙ্গে ৪ দেশে হামলা চালাল ইসরায়েল

tab

আন্তর্জাতিক

১ অক্টোবর থেকে মণিপুরে সেনাশাসন জারি

সংবাদ অনলাইন রিপোর্ট

শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ভারতের মণিপুর রাজ্যের আদিবাসী অধ্যুষিত অঞ্চলে আগামী অক্টোবর থেকে সেনাশাসন জারি করা হয়েছে। জঙ্গিবাদ রুখতে ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে যে বিশেষ আইন প্রয়োগ করা হয়, সেই আফস্পা আইন (সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা আইন—এএফএসপিএ) ১ অক্টোবর থেকে আদিবাসী অঞ্চলে জারি করা হবে।

তবে এই আইন জারি করা হবে না বলে ‘অব্যাহত রাখা হবে’ বলাই সংগত। কারণ, মণিপুরে আইনটি দীর্ঘদিন ধরে বলবৎ রয়েছে। নিরাপত্তা পরিস্থিতির ‘উল্লেখযোগ্য উন্নতির’ কারণে ২০২২ সাল থেকে আফস্পা ধীরে ধীরে সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেই অধ্যুষিত উপত্যকার জেলাগুলো থেকে প্রত্যাহার করে শুধু আদিবাসী অঞ্চলে বলবৎ রাখা হয়।

সেনাবাহিনী সরকারের কাছে এক প্রস্তাবে বলেছিল, বর্তমান পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে আফস্পা গোটা মণিপুরে জারি করা প্রয়োজন। কিন্তু মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দপ্তর সেই প্রস্তাবে কান না দিয়ে শুধু আদিবাসী অঞ্চলেই আফস্পা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

মণিপুরের স্বরাষ্ট্র দপ্তর গতকাল বুধবার এক নির্দেশে জানিয়েছে, আফস্পাবিষয়ক ‘স্থিতাবস্থা’ (স্ট্যাটাস কো) বজায় রাখা হবে। স্বরাষ্ট্র দপ্তরের নোটিশে বলা হয়েছে ‘রাজ্যপাল গোটা মণিপুর আফস্পার অধীনে রাখার সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন।

তবে ১৯টি পুলিশ থানা ‘অস্থিতিশীল অঞ্চল’ হিসেবে চিহ্নিত হবে না এবং এই আইনের আওতায় আসবে না। আগামী ১ অক্টোবর থেকে ছয় মাসের জন্য আইনটি জারি করা হলো।

রাজধানী ইম্ফলসহ উপত্যকার সাত জেলার ১৯টি পুলিশ থানার নামও সরকারি নির্দেশিকায় উল্লেখ করা হয়েছে। এই নির্দেশিকার অর্থ মণিপুরের সরকার ও ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার এটা আনুষ্ঠানিকভাবে বুঝিয়ে দিলেন, মণিপুরে সহিংসতা কুকি-চিন-জোমি প্রভৃতি আদিবাসী সম্প্রদায়ের কারণেই ছড়াচ্ছে।

সংখ্যাগরিষ্ঠ মেইতেইদের এই সংঘর্ষে কোনো প্রত্যক্ষ ভূমিকা নেই। সংখ্যাগরিষ্ঠ সম্প্রদায় বসবাস করে, এমন অঞ্চল স্থিতিশীল রয়েছে বলেই মনে করছেন সরকার। যদিও ভারতের সেনাবাহিনী চেয়েছিল, গোটা মণিপুরেই আফস্পা জারি করা হোক। মেইতেই গোষ্ঠী হচ্ছে হিন্দু সম্প্রদায়ের অনুসারী।

মণিপুর সরকার এই নির্দেশিকায় এমন একটি মন্তব্য করেছে, যা ‘রীতিমতো অবিশ্বাস্য’ বলে মনে করছে আদিবাসী সম্প্রদায়ের দুটি প্রধান সংগঠনের একটি, আদিবাসী ঐক্য কমিটি।

নির্দেশিকার দ্বিতীয় অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘রাজ্য সরকার বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিশ্লেষণের পর মনে করছে, সহযোগী নিরাপত্তা এজেন্সিগুলো মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের কাজে ব্যস্ত থাকায় (পরিস্থিতির) বিশদ মূল্যায়ন এখনই সম্ভব নয়। আরও বিশদ মূল্যায়ন ছাড়া এই জাতীয় স্পর্শকাতর বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছানো উচিত হবে না। তাই এই মুহূর্তে রাজ্যের ‘অস্থিতিশীল এলাকা’–সম্পর্কিত অবস্থা পর্যালোচনা করা যাচ্ছে না।’

স্বাভাবিকভাবেই এই নির্দেশ মেনে নিতে পারছে না ঐক্য কমিটি। আদিবাসী ঐক্য কমিটি মনে করছে, উপত্যকার ১৯টি থানা এলাকা ‘অশান্ত এলাকা’ হিসেবে সংজ্ঞায়িত না হওয়ার কারণেই অতীতে সহিংসতা ছড়িয়েছে এবং ভবিষ্যতেও ছড়াবে। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করে ঐক্য কমিটি এক লিখিত বিবৃতিতে বলেছে, এই সিদ্ধান্ত ‘জাতিগত নির্মূলের জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করার একটি ইচ্ছাকৃত প্রচেষ্টা।’

back to top