নিহত ৫৯, বাড়তে পারে আরও
পাকিস্তানে বোমা হামলার পর আহতদের উদ্ধার
পাকিস্তানের দুটি বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা যায়।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানা যায়, ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষে বেলুচিস্তান প্রদেশে মাস্তুংয়ের একটি মসজিদের কাছে আয়োজিত শোভাযাত্রার প্রস্তুতিকালে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন অন্তত ৫৯ জন।
দ্বিতীয় হামলা হয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের হাঙ্গু জেলার একটি থানার মসজিদে। সেখানে নিহত হন পাঁচজন। বিস্ফোরণে মসজিদের ছাদ ধসে পড়ে। জিও নিউজ জানিয়েছে, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে।
টিভি ফুটেজ এবং সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওগুলিতে বোমা হামলার পরে ঘটনাস্থলে নিহত ও আহতদের জুতা ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। চাদরে ঢাকা মরদেহের সারি। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে ছুটছেন স্থানীয় জনগণ ও জরুরি উদ্ধারকর্মীরা। রক্তদানের জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল রশীদ। আহতের অনেকের অবস্থাই বেশ গুরুতর। এই ঘটনায় পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বাগতি এই হামলাকে ‘অত্যন্ত জঘন্য’ অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছে।
মাস্তুংয়ের স্থানীয় ডেপুটি কমিশনার রাজ্জাক সাসোলির জানান, পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট নওয়াজ গিশকোরিকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হতে পারে। নিহতদের মধ্যে তিনি রয়েছেন। সাসোলি জানান, হামলাকারী গায়ে বোমা নিয়ে গিশকোরির গাড়ির পাশে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।
এখন পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। তবে ইসলামাবাদ-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ পিস স্টাডিজের পরিচালক আমির রানার মতে, দুটি হামলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে এর পেছনে পাকিস্তানে ইসলামিক স্টেটের দুটি ভিন্ন শাখার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছর সরকার ও তেহরিক-ই-তালিবান-টিটিপি এর সঙ্গে একটি অস্ত্র বিরতি চুক্তি বাতিল হওয়ার পর পাকিস্তানে ইসলামি সন্ত্রাসীদের হামলা আবার বেড়ে গেছে। তবে শুক্রবারের হামলার দায় অস্বীকার করেছে টিটিপি।
নিহত ৫৯, বাড়তে পারে আরও
পাকিস্তানে বোমা হামলার পর আহতদের উদ্ধার
শুক্রবার, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩
পাকিস্তানের দুটি বোমা হামলায় কমপক্ষে ৫৯ জন নিহত হয়েছে। শুক্রবার (২৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ সময় রাত ৮টায় যুক্তরাজ্যের গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত খবরে এ তথ্য জানা যায়।
গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে জানা যায়, ঈদে মিলাদুন্নবি উপলক্ষে বেলুচিস্তান প্রদেশে মাস্তুংয়ের একটি মসজিদের কাছে আয়োজিত শোভাযাত্রার প্রস্তুতিকালে আত্মঘাতী হামলার ঘটনা ঘটে। এতে নিহত হন অন্তত ৫৯ জন।
দ্বিতীয় হামলা হয় খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের হাঙ্গু জেলার একটি থানার মসজিদে। সেখানে নিহত হন পাঁচজন। বিস্ফোরণে মসজিদের ছাদ ধসে পড়ে। জিও নিউজ জানিয়েছে, প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা পড়েছে।
টিভি ফুটেজ এবং সোশ্যাল মিডিয়া ভিডিওগুলিতে বোমা হামলার পরে ঘটনাস্থলে নিহত ও আহতদের জুতা ছড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। চাদরে ঢাকা মরদেহের সারি। আহতদের হাসপাতালে নিয়ে ছুটছেন স্থানীয় জনগণ ও জরুরি উদ্ধারকর্মীরা। রক্তদানের জন্য আবেদন জানানো হচ্ছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন জেলার স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আবদুল রশীদ। আহতের অনেকের অবস্থাই বেশ গুরুতর। এই ঘটনায় পাকিস্তানে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সরফরাজ বাগতি এই হামলাকে ‘অত্যন্ত জঘন্য’ অভিহিত করে নিন্দা জানিয়েছে।
মাস্তুংয়ের স্থানীয় ডেপুটি কমিশনার রাজ্জাক সাসোলির জানান, পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট নওয়াজ গিশকোরিকে লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হতে পারে। নিহতদের মধ্যে তিনি রয়েছেন। সাসোলি জানান, হামলাকারী গায়ে বোমা নিয়ে গিশকোরির গাড়ির পাশে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।
এখন পর্যন্ত কোন গোষ্ঠী এই ঘটনার দায় স্বীকার করেনি। তবে ইসলামাবাদ-ভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পাকিস্তান ইনস্টিটিউট অফ পিস স্টাডিজের পরিচালক আমির রানার মতে, দুটি হামলার ধরন দেখে মনে হচ্ছে এর পেছনে পাকিস্তানে ইসলামিক স্টেটের দুটি ভিন্ন শাখার সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে।
প্রসঙ্গত, গত বছর সরকার ও তেহরিক-ই-তালিবান-টিটিপি এর সঙ্গে একটি অস্ত্র বিরতি চুক্তি বাতিল হওয়ার পর পাকিস্তানে ইসলামি সন্ত্রাসীদের হামলা আবার বেড়ে গেছে। তবে শুক্রবারের হামলার দায় অস্বীকার করেছে টিটিপি।