ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো বৈঠকে মিলিত হলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ দেশের পরারাষ্ট্রমন্ত্রীরা। রাজধানী কিয়েভে এই ঐতিহাসিক বৈঠক করেন ইইউর শীর্ষ কূটনীতিকরা। ব্লকের বাইরে এটিই ইইউর নেতাদের প্রথম বৈঠক। সভার বিষয়ে আগে তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
সদস্যভুক্ত ২৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কিয়েভের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে উপস্থিত ছিলেন ২৩ জন। বাকি চার দেশ প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘আমরা এখানে ইউক্রেনে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি ঐতিহাসিক বৈঠক আহ্বান করেছি।’ ইউক্রেন সদস্য প্রার্থী দেশ এবং ভবিষ্যৎ সদস্য। ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ ইইউর মধ্যেই নিহিত বলেও দাবি করেন তিনি।
বোরেল বলেন, ‘আমরা এখানে ইউক্রেনের জনগণের প্রতি আমাদের সংহতি ও সমর্থন প্রকাশ করতে এসেছি। বৈঠকটি অনানুষ্ঠানিক। যেখানে মন্ত্রীরা যুদ্ধ এবং পশ্চিমারা কীভাবে ইউক্রেনকে সমর্থন করতে পারে– সে সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করবেন।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, সরকারি শাটডাউন এড়াতে মার্কিন কংগ্রেসের সাময়িক বাজেটে নতুন করে ইউক্রেন সহায়তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছে কিয়েভ। কিয়েভের কাছ থেকে ওয়াশিংটন দূরে যাবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এদিকে মার্কিন সিনেটের বেশ কয়েকজন সদস্য ইউক্রেনের জন্য আরও সহায়তার বিষয়ে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কুলেবা জানান, ইউক্রেনের জন্য সহায়তা নিশ্চিতে এখন কংগ্রেসের উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করছেন তারা। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি না যে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন শেষ হয়ে গেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে কুলেবার সঙ্গে কুশল বিনিময়ে জোসেপ বোরেল বলেন, ‘ইইউ ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। আমি নিশ্চিত, মার্কিন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে এবং সবাই একসঙ্গে ইউক্রেনের পাশে থাকবে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের বিজয় নির্ভর করছে ইইউর সঙ্গে সহযোগিতার ওপর। ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে রোববার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের ‘জয় আসবেই’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে এই জয় নিশ্চিতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান জেলেনস্কি।
ক্রেমলিন বলেছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউক্রেনে সহায়তার জন্য অন্য দেশগুলোতেও অস্থিরতা ও ক্লান্তি বাড়বে। সরকারের শাটডাউন এড়াতে ইউক্রেনে সহায়তা বাদ রেখে সাময়িক বাজেট পাস হওয়ার পর এই প্রতিক্রিয়া জানান ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
এদিকে পশ্চিমা সহায়তার জন্য জেলেনস্কির আবেদনকে উপহাস করে এক্সে পোস্ট দিয়েছেন ইলন মাস্ক। এতে ইউক্রেনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন পার্লামেন্টের স্পিকার রুসলান স্টেফানচুক মাস্ককে পাল্টা আঘাত করেছেন। মাস্ক তাঁর পোস্টে জেলেনস্কির একটি উদ্বেগের ছবি পোস্ট করেন গতকাল। আর তাতে উপহাস করে লেখেন– ‘পাঁচ মিনিট হয়ে গেছে, অথচ আপনি বিলিয়ন ডলার সহায়তার কথা বলেননি।’
এর জবাবে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট এক্সের অফিসিয়াল পেজে মাস্ককে রুশ প্রচারণা ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করে। মাস্কের একটি ছবিসহ তারাও একটি পোস্ট দিয়েছে। যেখানে লিখা হয়– ‘পাঁচ মিনিট হয়ে গেছে, অথচ আপনি এখনও রাশিয়ান প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেননি।’
ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। দিনিপ্রোর ডলগিন্টসেভো এয়ারফিল্ডে ডিপো ও সামরিক বিমান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো। খেরসনে গোলাবর্ষণে একই পরিবারের অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। আর দোনেৎস্কের লাইমানে ইউক্রেনের পক্ষে লড়াই করা এক এস্তোনিয়ান স্বেচ্ছাসেবক রুশ হামলায় নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার, ০৩ অক্টোবর ২০২৩
ইউক্রেনে প্রথমবারের মতো বৈঠকে মিলিত হলেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) ২৭ দেশের পরারাষ্ট্রমন্ত্রীরা। রাজধানী কিয়েভে এই ঐতিহাসিক বৈঠক করেন ইইউর শীর্ষ কূটনীতিকরা। ব্লকের বাইরে এটিই ইইউর নেতাদের প্রথম বৈঠক। সভার বিষয়ে আগে তারিখ ঘোষণা করা হয়নি।
সদস্যভুক্ত ২৭ দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের কিয়েভের সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে উপস্থিত ছিলেন ২৩ জন। বাকি চার দেশ প্রতিনিধি পাঠিয়েছে। বৈঠকে ইউক্রেনের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
ইইউর পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক প্রধান জোসেপ বোরেল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে বলেন, ‘আমরা এখানে ইউক্রেনে ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি ঐতিহাসিক বৈঠক আহ্বান করেছি।’ ইউক্রেন সদস্য প্রার্থী দেশ এবং ভবিষ্যৎ সদস্য। ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ ইইউর মধ্যেই নিহিত বলেও দাবি করেন তিনি।
বোরেল বলেন, ‘আমরা এখানে ইউক্রেনের জনগণের প্রতি আমাদের সংহতি ও সমর্থন প্রকাশ করতে এসেছি। বৈঠকটি অনানুষ্ঠানিক। যেখানে মন্ত্রীরা যুদ্ধ এবং পশ্চিমারা কীভাবে ইউক্রেনকে সমর্থন করতে পারে– সে সম্পর্কে চিন্তাভাবনা করবেন।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা বলেছেন, সরকারি শাটডাউন এড়াতে মার্কিন কংগ্রেসের সাময়িক বাজেটে নতুন করে ইউক্রেন সহায়তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। তবে ওয়াশিংটনের সঙ্গে এ নিয়ে কাজ করছে কিয়েভ। কিয়েভের কাছ থেকে ওয়াশিংটন দূরে যাবে না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
এদিকে মার্কিন সিনেটের বেশ কয়েকজন সদস্য ইউক্রেনের জন্য আরও সহায়তার বিষয়ে ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কুলেবা জানান, ইউক্রেনের জন্য সহায়তা নিশ্চিতে এখন কংগ্রেসের উভয় পক্ষের সঙ্গে কাজ করছেন তারা। তিনি বলেন, ‘আমরা মনে করি না যে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন শেষ হয়ে গেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকের আগে কুলেবার সঙ্গে কুশল বিনিময়ে জোসেপ বোরেল বলেন, ‘ইইউ ইউক্রেনকে সমর্থন অব্যাহত রাখবে। আমি নিশ্চিত, মার্কিন সহায়তা বন্ধের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করা হবে এবং সবাই একসঙ্গে ইউক্রেনের পাশে থাকবে।’
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধে ইউক্রেনের বিজয় নির্ভর করছে ইইউর সঙ্গে সহযোগিতার ওপর। ইইউ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। এর আগে রোববার রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনের ‘জয় আসবেই’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। তবে এই জয় নিশ্চিতে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানান জেলেনস্কি।
ক্রেমলিন বলেছে, শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউক্রেনে সহায়তার জন্য অন্য দেশগুলোতেও অস্থিরতা ও ক্লান্তি বাড়বে। সরকারের শাটডাউন এড়াতে ইউক্রেনে সহায়তা বাদ রেখে সাময়িক বাজেট পাস হওয়ার পর এই প্রতিক্রিয়া জানান ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
এদিকে পশ্চিমা সহায়তার জন্য জেলেনস্কির আবেদনকে উপহাস করে এক্সে পোস্ট দিয়েছেন ইলন মাস্ক। এতে ইউক্রেনে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। ইউক্রেন পার্লামেন্টের স্পিকার রুসলান স্টেফানচুক মাস্ককে পাল্টা আঘাত করেছেন। মাস্ক তাঁর পোস্টে জেলেনস্কির একটি উদ্বেগের ছবি পোস্ট করেন গতকাল। আর তাতে উপহাস করে লেখেন– ‘পাঁচ মিনিট হয়ে গেছে, অথচ আপনি বিলিয়ন ডলার সহায়তার কথা বলেননি।’
এর জবাবে ইউক্রেনের পার্লামেন্ট এক্সের অফিসিয়াল পেজে মাস্ককে রুশ প্রচারণা ছড়ানোর জন্য অভিযুক্ত করে। মাস্কের একটি ছবিসহ তারাও একটি পোস্ট দিয়েছে। যেখানে লিখা হয়– ‘পাঁচ মিনিট হয়ে গেছে, অথচ আপনি এখনও রাশিয়ান প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে দেননি।’
ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে হামলা অব্যাহত রেখেছে রাশিয়া। দিনিপ্রোর ডলগিন্টসেভো এয়ারফিল্ডে ডিপো ও সামরিক বিমান ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে মস্কো। খেরসনে গোলাবর্ষণে একই পরিবারের অন্তত তিনজন আহত হয়েছেন। আর দোনেৎস্কের লাইমানে ইউক্রেনের পক্ষে লড়াই করা এক এস্তোনিয়ান স্বেচ্ছাসেবক রুশ হামলায় নিহত হয়েছেন।