মায়ানমারের চিন রাজ্যের জান্তাবিরোধী যোদ্ধারা ভারত সীমান্তের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। দুটি সামরিক ফাঁড়ি দখলের পর সামরিক শাসনের বিরোধীরা এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিদ্রোহীদের এক সিনিয়র কমান্ডার।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাদের সঙ্গে তাদের যোদ্ধারা লড়াই করেছে। ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্তে মায়ানমার অংশে দুটি ফাঁড়ি দখল নিতে সক্ষম হয়েছে যোদ্ধারা। জান্তার বিরুদ্ধে অভিযান বিস্তৃত করার অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়।
মায়ানমারের সামরিক সরকার ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেনি রয়টার্স।
চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (সিএনএফ) এর ভাইস চেয়ারম্যান সুই কার বলেন, সোমবার প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে কয়েক ডজন বিদ্রোহী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লড়াই করে ভারত সীমান্তবর্তী দুইটি সেনাপোস্টের দখল নিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স থেকে মায়ানমার সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে কোথাও থেকে সাড়া মেলেনি।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে মায়ানমারের ক্ষমতায় আসে দেশটির সেনাবাহিনী। তারপর থেকে এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে এবারই প্রথম পড়তে হয়েছে তাদের। গত মাসের শেষ থেকে মায়ানমারের তিনটি সংখ্যালঘু আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী একজোট হয়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছে। এরই মধ্যে সমন্বিত এই জোট কয়েকটি ছোট ছোট শহর ও সেনাপোস্ট দখল করে নিয়েছে।
বিদ্রোহীরা এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ১০২৭’। প্রাথমিকভাবে তারা চীন সীমান্তের শান রাজ্যে জান্তা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করেছে এবং সেখানে সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে কয়েকটি শহর ও শতাধিক সেনাপোস্টের দখল কেড়ে নিয়েছে।
“আমরা উত্তরের শান রাজ্যে আমাদের হামলা অব্যাহত রেখেছি,” বলেন মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির মুখপাত্র কিয়াও নাইং। বিদ্রোহী এই দলটিও জোটের মধ্যে আছে।
এ সপ্তাহে পশ্চিমের রাখাইন রাজ্য এবং চীন রাজ্যে নতুন করে আরো দুই জায়গায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরাম পালিয়ে গেছে।
মঙ্গলবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৩
মায়ানমারের চিন রাজ্যের জান্তাবিরোধী যোদ্ধারা ভারত সীমান্তের বড় অংশের নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে। দুটি সামরিক ফাঁড়ি দখলের পর সামরিক শাসনের বিরোধীরা এই লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিদ্রোহীদের এক সিনিয়র কমান্ডার।
মঙ্গলবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
সোমবার ভোর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমারের সেনাদের সঙ্গে তাদের যোদ্ধারা লড়াই করেছে। ভারতের মিজোরাম রাজ্যের সীমান্তে মায়ানমার অংশে দুটি ফাঁড়ি দখল নিতে সক্ষম হয়েছে যোদ্ধারা। জান্তার বিরুদ্ধে অভিযান বিস্তৃত করার অংশ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়।
মায়ানমারের সামরিক সরকার ও ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানাতে পারেনি রয়টার্স।
চীন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (সিএনএফ) এর ভাইস চেয়ারম্যান সুই কার বলেন, সোমবার প্রত্যন্ত পাহাড়ি অঞ্চলে কয়েক ডজন বিদ্রোহী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর সঙ্গে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত লড়াই করে ভারত সীমান্তবর্তী দুইটি সেনাপোস্টের দখল নিয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে বার্তা সংস্থা রয়টার্স থেকে মায়ানমার সেনাবাহিনী এবং ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে কোথাও থেকে সাড়া মেলেনি।
২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে হটিয়ে মায়ানমারের ক্ষমতায় আসে দেশটির সেনাবাহিনী। তারপর থেকে এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে এবারই প্রথম পড়তে হয়েছে তাদের। গত মাসের শেষ থেকে মায়ানমারের তিনটি সংখ্যালঘু আদিবাসী বিচ্ছিন্নতাবাদী বাহিনী একজোট হয়ে সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণ চালাচ্ছে। এরই মধ্যে সমন্বিত এই জোট কয়েকটি ছোট ছোট শহর ও সেনাপোস্ট দখল করে নিয়েছে।
বিদ্রোহীরা এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন ১০২৭’। প্রাথমিকভাবে তারা চীন সীমান্তের শান রাজ্যে জান্তা নিয়ন্ত্রিত এলাকায় প্রবেশ করেছে এবং সেখানে সামরিক বাহিনীর কাছ থেকে কয়েকটি শহর ও শতাধিক সেনাপোস্টের দখল কেড়ে নিয়েছে।
“আমরা উত্তরের শান রাজ্যে আমাদের হামলা অব্যাহত রেখেছি,” বলেন মায়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আর্মির মুখপাত্র কিয়াও নাইং। বিদ্রোহী এই দলটিও জোটের মধ্যে আছে।
এ সপ্তাহে পশ্চিমের রাখাইন রাজ্য এবং চীন রাজ্যে নতুন করে আরো দুই জায়গায় যুদ্ধ শুরু হয়েছে। ফলে হাজার হাজার মানুষ সীমান্ত পেরিয়ে মিজোরাম পালিয়ে গেছে।