ধর্ষণ ও শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বিশপ ক্রিস্টোফার সন্ডার্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ব্রুম অঞ্চল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ ও ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিসের নির্দেশে সন্ডার্সের যৌন অপরাধের বিষয়ে আলাদা তদন্তের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন অপরাধের অভিযোগ অতীতে অস্বীকার করা ৭৪ বছর বয়সী সন্ডার্সের জামিন নাকচ করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
সন্ডার্স সর্বজ্যেষ্ঠ দ্বিতীয় ক্যাথলিক যাজক, যার বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সন্ডার্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি, অবৈধ ও অশালীন আক্রমণের ১৪টি এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে শিশুর সঙ্গে অশালীন আচরণের তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত শহর ব্রুম, কুনুনুরায় থাকার সময় এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠী কালুমবুরুর লোকজনের সঙ্গে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সময়ের মধ্যে সন্ডার্স যৌন অপরাধগুলো করেন।
সন্ডার্সের আগে শিশুদের সঙ্গে যৌন অপরাধের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাবন্দি হন কার্ডিনাল জর্জ পেল, যিনি পরবর্তী সময়ে খালাস পান।
এতে বলা হয়েছে, সন্ডার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘খুবই মারাত্মক’ এবং ‘গভীর পীড়াদায়ক’, বিশেষত তাদের জন্য, যারা অভিযোগগুলো করেছেন।
ক্যাথলিক নিউজ এজেন্সি তথ্যমতে, ১৯৭৬ সালে চার্চে নিয়োজিত হওয়ার পর থেকেই সন্ডার্সের কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় অস্ট্রেলিয়ার উত্তর–পশ্চিম কোণে প্রত্যন্ত কিম্বারলি অঞ্চলে কেটেছে। ১৯৯৫ সালে তিনি ব্রুমের বিশপ নিযুক্ত হন।
বিশপের এখতিয়ারভুক্ত এলাকাটি প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার বর্গ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত, যার অধীনে দেশের বেশির ভাগ প্রত্যন্ত অঞ্চলই পড়ে। এটি আকারে প্রায় তুরস্কের সমান।
অভিযোগ উঠার পর ২০২০ সালে ব্রুমের বিশপ পদ থেকে সরে স্বেচ্ছায় দাঁড়ান সন্ডার্স। সে সময় পুলিশের তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পোপ ফ্রান্সিস ২০২১ সালে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছিলেন।
বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
ধর্ষণ ও শিশুদের যৌন নিপীড়নের অভিযোগে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক বিশপ ক্রিস্টোফার সন্ডার্সকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ব্রুম অঞ্চল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার পুলিশ ও ক্যাথলিক চার্চের প্রধান পোপ ফ্রান্সিসের নির্দেশে সন্ডার্সের যৌন অপরাধের বিষয়ে আলাদা তদন্তের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ধর্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের যৌন অপরাধের অভিযোগ অতীতে অস্বীকার করা ৭৪ বছর বয়সী সন্ডার্সের জামিন নাকচ করা হয়েছে। তাকে বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) আদালতে উপস্থাপন করা হবে।
সন্ডার্স সর্বজ্যেষ্ঠ দ্বিতীয় ক্যাথলিক যাজক, যার বিরুদ্ধে উল্লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
সন্ডার্সের বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি, অবৈধ ও অশালীন আক্রমণের ১৪টি এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তি হিসেবে শিশুর সঙ্গে অশালীন আচরণের তিনটি অভিযোগ আনা হয়েছে।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রত্যন্ত শহর ব্রুম, কুনুনুরায় থাকার সময় এবং আদিবাসী জনগোষ্ঠী কালুমবুরুর লোকজনের সঙ্গে ২০০৮ থেকে ২০১৪ সময়ের মধ্যে সন্ডার্স যৌন অপরাধগুলো করেন।
সন্ডার্সের আগে শিশুদের সঙ্গে যৌন অপরাধের ঘটনায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে কারাবন্দি হন কার্ডিনাল জর্জ পেল, যিনি পরবর্তী সময়ে খালাস পান।
এতে বলা হয়েছে, সন্ডার্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘খুবই মারাত্মক’ এবং ‘গভীর পীড়াদায়ক’, বিশেষত তাদের জন্য, যারা অভিযোগগুলো করেছেন।
ক্যাথলিক নিউজ এজেন্সি তথ্যমতে, ১৯৭৬ সালে চার্চে নিয়োজিত হওয়ার পর থেকেই সন্ডার্সের কর্মজীবনের বেশিরভাগ সময় অস্ট্রেলিয়ার উত্তর–পশ্চিম কোণে প্রত্যন্ত কিম্বারলি অঞ্চলে কেটেছে। ১৯৯৫ সালে তিনি ব্রুমের বিশপ নিযুক্ত হন।
বিশপের এখতিয়ারভুক্ত এলাকাটি প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার বর্গ কিলোমিটারজুড়ে বিস্তৃত, যার অধীনে দেশের বেশির ভাগ প্রত্যন্ত অঞ্চলই পড়ে। এটি আকারে প্রায় তুরস্কের সমান।
অভিযোগ উঠার পর ২০২০ সালে ব্রুমের বিশপ পদ থেকে সরে স্বেচ্ছায় দাঁড়ান সন্ডার্স। সে সময় পুলিশের তদন্তে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার মতো পর্যাপ্ত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। পোপ ফ্রান্সিস ২০২১ সালে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছিলেন।