ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নিস্ক্রিয়তা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
ক্লিমাসেনিওরিনেন নামের একটি সংগঠনের সদস্যদের করা একটি মামলার রায়ে এ কথা বলেছে আদালতটি। সুইজারল্যান্ডের জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সোচ্চার প্রবীণাদের নিয়ে গঠিত ওই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা দুহাজারের বেশি, যাদের অধিকাংশের বয়স ৭০ এর ওপরে।
নয় বছর আগে তারা মামলাটি করে। মামলায় তারা আর্জি জানায়, বয়সের কারণে ও নারী হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত তাপপ্রবাহের কারণে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাপদাহের সময়গুলোতে তারা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন না এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়েন। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার দাবি জানিয়েছিলেন তারা।
মঙ্গলবার সেই মামলার রায় হয়। রায়ে উল্লিখিত আদালতের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরণে সুইজারল্যান্ডের পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত খুবই অপর্যাপ্ত। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয় কনভেনশনের অধীনে তার যে দায়িত্ব ছিল তা পালনে সে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
রায়ে আরো বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সুইজারল্যান্ডের আইনে এখনো মারাত্মক ফাঁক রয়ে গেছে। তারা গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণের পরিমাণ কী পরিমাণ কমাতে হবে, সেটাই এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি আদালতে এ ধরনের রায় আগে কখনো হয়নি। রায়ের পর মামলা দায়েরকারীদের একজন রোজমারি উইডলার-ওয়াল্টি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, "আমরা সত্যিই এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। আমরা আমাদের আইনজীবীদের বারবার জিজ্ঞাসা করেছি, আসলেই কি এটি ঘটেছে? আমরা জিতেছি? তারা আমাদের জানিয়েছে, এর চেয়ে বড় কিছু আর হয় না।
প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের এই রায় যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের ৪৬টি দেশের আইনকে প্রভাবিত করবে।
রায়ের পর মামলায় জয়ীদের সঙ্গে যুক্ত হতে স্ট্রাসবার্গে যেখানে আদালতটি অবস্থিত সেখানে গেছেন বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিচিত মুখ সুইডেনের গ্রেটা থানবার্গ। তিনি বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আইনী লড়াইয়ে জয়ের শুরু হলো। এর মানে হল যে আমাদের আরও লড়াই করতে হবে । কারণ জলবায়ু সঙ্কটে সবকিছুই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।"
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী. সুইস প্রেসিডেন্ট ভায়োলা আমহার্ড একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রায়টি বিস্তারিতভাবে পড়ে তিনি মন্তব্য করবেন। তবে তিনি বলেন, "সুইজারল্যান্ডের জন্য, টেকসইতা জীববৈচিত্র্য ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"
দেশটির সোশ্যালিস্ট পার্টি আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলেছে, সরকারের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই রায়ের আলোকে পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়ন করা। তবে ডানপন্থী সুইস পিপলস পার্টি এই রায়ের নিন্দা জানিয়েছে।
বুধবার, ১০ এপ্রিল ২০২৪
ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালত বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তন রোধে নিস্ক্রিয়তা মানবাধিকার লঙ্ঘন।
ক্লিমাসেনিওরিনেন নামের একটি সংগঠনের সদস্যদের করা একটি মামলার রায়ে এ কথা বলেছে আদালতটি। সুইজারল্যান্ডের জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সোচ্চার প্রবীণাদের নিয়ে গঠিত ওই সংগঠনের সদস্য সংখ্যা দুহাজারের বেশি, যাদের অধিকাংশের বয়স ৭০ এর ওপরে।
নয় বছর আগে তারা মামলাটি করে। মামলায় তারা আর্জি জানায়, বয়সের কারণে ও নারী হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত তাপপ্রবাহের কারণে তারা বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। তাপদাহের সময়গুলোতে তারা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেন না এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যায় পড়েন। তাই জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার মাধ্যমে স্বাস্থ্য সুরক্ষার দাবি জানিয়েছিলেন তারা।
মঙ্গলবার সেই মামলার রায় হয়। রায়ে উল্লিখিত আদালতের পর্যবেক্ষণ হচ্ছে, তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে কার্বন নিঃসরণ কমানোর যে লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে তা পূরণে সুইজারল্যান্ডের পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত খুবই অপর্যাপ্ত। জলবায়ু পরিবর্তন বিষয় কনভেনশনের অধীনে তার যে দায়িত্ব ছিল তা পালনে সে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্য দিয়ে মানুষের ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবনের অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে।
রায়ে আরো বলা হয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় সুইজারল্যান্ডের আইনে এখনো মারাত্মক ফাঁক রয়ে গেছে। তারা গ্রিনহাউস গ্যাসের নিঃসরণের পরিমাণ কী পরিমাণ কমাতে হবে, সেটাই এখনো নির্ধারণ করতে পারেনি।
বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধির বিষয়ে আন্তর্জাতিকভাবে এরকম গুরুত্বপূর্ণ একটি আদালতে এ ধরনের রায় আগে কখনো হয়নি। রায়ের পর মামলা দায়েরকারীদের একজন রোজমারি উইডলার-ওয়াল্টি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, "আমরা সত্যিই এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। আমরা আমাদের আইনজীবীদের বারবার জিজ্ঞাসা করেছি, আসলেই কি এটি ঘটেছে? আমরা জিতেছি? তারা আমাদের জানিয়েছে, এর চেয়ে বড় কিছু আর হয় না।
প্রসঙ্গত, ইউরোপীয় মানবাধিকার আদালতের এই রায় যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের ৪৬টি দেশের আইনকে প্রভাবিত করবে।
রায়ের পর মামলায় জয়ীদের সঙ্গে যুক্ত হতে স্ট্রাসবার্গে যেখানে আদালতটি অবস্থিত সেখানে গেছেন বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের পরিচিত মুখ সুইডেনের গ্রেটা থানবার্গ। তিনি বলেন, "জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় আইনী লড়াইয়ে জয়ের শুরু হলো। এর মানে হল যে আমাদের আরও লড়াই করতে হবে । কারণ জলবায়ু সঙ্কটে সবকিছুই ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।"
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবর অনুযায়ী. সুইস প্রেসিডেন্ট ভায়োলা আমহার্ড একটি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, রায়টি বিস্তারিতভাবে পড়ে তিনি মন্তব্য করবেন। তবে তিনি বলেন, "সুইজারল্যান্ডের জন্য, টেকসইতা জীববৈচিত্র্য ও কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামিয়ে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।"
দেশটির সোশ্যালিস্ট পার্টি আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানিয়েছে। তারা বলেছে, সরকারের উচিত যত তাড়াতাড়ি সম্ভব এই রায়ের আলোকে পদক্ষেপসমূহ বাস্তবায়ন করা। তবে ডানপন্থী সুইস পিপলস পার্টি এই রায়ের নিন্দা জানিয়েছে।