ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কার্টয। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) তার এমন আহ্বানের খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
ইসরায়েল পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্টয নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, সকালে আমি ৩২টি দেশের কাছে চিঠি লিখেছি এবং ডজনখানেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকে বলেছি, চলমান পরিস্থিতিতে ইরানের মিসাইল প্রকল্প ও তাদের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য।
তিনি আরও লিখেন, দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই ইরানকে অবশ্যই থামাতে হবে।
কার্টযের এমন আহ্বানকে ইরানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইসরায়েলের একজন শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক।
এর আগে ১৫ এপ্রিল সোমবার ইসরায়েলি সেনাপ্রধান হারজি হালেভি বলেছিলেন, ইরানের হামলার পাল্টা পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে নেয়া হবে।
এর জবাবে পরদিন মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেয়া হবে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, এমনকি ক্ষুদ্র ইরানি স্বার্থের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর, বিস্তৃত ও বেদনাদায়ক জবাব দেয়া হবে।
এদিকে হামলার বিষয়ে চীন বলেছে, তারা বিশ্বাস করে, ইরান তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষা করে পরিস্থিতি ভালোভাবেই সামাল দিতে সক্ষম। মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা এড়াতেও তারা সক্ষম।
সিরিয়ার দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জেরে গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে ইরানের বদলার প্রেক্ষাপটে এসব কথা বলেছে চীন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এই ফোনালাপে ইরানের অবস্থান সম্পর্কে ওয়াংকে ব্রিফ করেন আবদুল্লাহিয়ান।
মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, ওয়াং বলেছেন, আঞ্চলিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু না করার বিষয়ে ইরানের জোরালো অবস্থানের প্রশংসা করে চীন।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নেয়া পদক্ষেপকে সীমিত বলে ওয়াংয়ের কাছে তুলে ধরেছে ইরান। একই সঙ্গে বলেছে, এটি তারা আত্মরক্ষার জন্য করেছে।
ওয়াং বলেছেন, ইরানের দূতাবাসে (কনস্যুলেট) হামলার তীব্র নিন্দা জানায় চীন। তারা দৃঢ়ভাবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে। তারা এ ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মনে করে।
ওয়াংকে আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইরান আঞ্চলিক উত্তেজনা সম্পর্কে অবগত। তেহরান সংযম চর্চায় আগ্রহী। আরও উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছাই ইরানের নেই।
ইরানের হামলার জবাব দেয়ার ব্যাপারে চাপে আছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এখন পর্যন্ত তার যুদ্ধ মন্ত্রিসভা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে কোনো ধরনের ইঙ্গিত দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলো চাইছে, এক্ষেত্রে ইসরায়েল সংযম প্রদর্শন করুক। নতুবা পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে।
চিরশত্রুর হামলার শিকার হওয়ার পরও বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কথা বলছেন না নেতানিয়াহু। যেটা তার স্বভাব বিরুদ্ধ। তিনি এখন পর্যন্ত ইরানের হামলার বিরুদ্ধে তার দেশ কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে চলেছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
ইরানের ওই হামলার পর ইসরায়েলের পাশে ‘দৃঢ়ভাবে’ অবস্থানের কথা জানিয়েছে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে সঙ্গে এও বলেছে যে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে অংশ নেবে না’ এবং তারা এ ধরনের পদক্ষেপের সমর্থনও করে না।
যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সসহ ইসরায়েলের অন্যান্য মিত্র দেশগুলোও একই সুরে কথা বলেছে। এদিকে, দেশের ভেতর বেশ কয়েকজন রাজনীতিক নেতানিয়াহুর প্রতি ইরানের হামলার কঠোর জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত শনিবার রাতেই জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী আইটামার বেন জভির কঠোর পাল্টা জবাবের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রশংসনীয় প্রতিরক্ষা এখন অবশ্যই একটি গুঁড়িয়ে ফেলার মতো পাল্টা জবাব চাই।’
‘তাড়াহুড়ার প্রয়োজন নেই’
গত শনিবার রাতের ওই হামলার পর সোমবার পর্যন্ত নেতানিয়াহু তার যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সঙ্গে দুইবার বৈঠক করেছেন। ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে।
কিন্তু রোববারের পর তিনি এ বিষয়টি নিয়ে জনসম্মুখে আর কোনো কথা বলেননি। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি ছোট পোস্টে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন।
নেতানিয়াহু কিছু না বললেও ইসরায়েলের সেনাপ্রধান হারজি হালেভি সোমবার সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ইরানের হামলার ‘জবাব দেয়া হবে’। তবে তিনি কখন বা জবাব কেমন হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরান বিষয়ক গবেষক রাজ জিমত বলেন, ‘নজিরবিহীন এই হামলার কারণে এটির জবাব দেয়া নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি সরকার প্রচ- চাপে রয়েছে।’
এমন কী যদি তারা একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে নাও চায় তারপরও ওই হামলার একটি নির্দিষ্ট এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর চাপ তারা এড়িয়ে যেতে পারবে কিনা সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। এইক্ষেত্রে যদি আমার মতামত নেয়া হয় তবে আমি দায় স্বীকার না করে ইরানে ইসরায়েলের কিছু কর্মকা- দেখা পছন্দ করবো।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং এমনকি আঞ্চলিক মিত্র জর্ডান ইসরায়েলকে ইরানের হামলা প্রতিহত করতে সাহায্য করেছে। যদি তারা সাহায্য না করতো তবে অত্যাধুনিক আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ নিয়েও এতটা সফলভাবে ইসরায়েল নিজেদের প্রতিরক্ষা করতে সক্ষম হতো না।
ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষায় সহায়তা করা ওইসব পশ্চিমা দেশও তেল আবিবকে উত্তেজনা না বাড়াতে সতর্ক করেছে।
এমনকি ইরানও বলেছে, তারা এই হামলার পর বিবাদের ‘অবসান’ হয়েছে বলে ধরে নিয়েছে। যদি না ইসরায়েল ‘আরেকটি ভুল না করে’।
যদি ইসরায়েল পাল্টা হামলা করে তবে আরও ‘গুরুতর জবাব’ দেয়া হবে বলেও সতর্ক করেছে তেহরান।
গাজা যুদ্ধের কারণে এমনিতেই আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে শুরু করেছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় পশ্চিমা মিত্রদের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।
মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪
ইসরায়েলে ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কার্টয। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) তার এমন আহ্বানের খবর জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা।
ইসরায়েল পররাষ্ট্রমন্ত্রী কার্টয নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, সকালে আমি ৩২টি দেশের কাছে চিঠি লিখেছি এবং ডজনখানেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। তাদেরকে বলেছি, চলমান পরিস্থিতিতে ইরানের মিসাইল প্রকল্প ও তাদের ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার জন্য।
তিনি আরও লিখেন, দেরি হয়ে যাওয়ার আগেই ইরানকে অবশ্যই থামাতে হবে।
কার্টযের এমন আহ্বানকে ইরানের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক আক্রমণ হিসেবে অভিহিত করেছেন ইসরায়েলের একজন শীর্ষস্থানীয় কূটনীতিক।
এর আগে ১৫ এপ্রিল সোমবার ইসরায়েলি সেনাপ্রধান হারজি হালেভি বলেছিলেন, ইরানের হামলার পাল্টা পদক্ষেপ নিশ্চিতভাবে নেয়া হবে।
এর জবাবে পরদিন মঙ্গলবার ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি বলেছেন, ইরানের স্বার্থের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেয়া হবে।
কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানিকে ইরানের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, আমরা দৃঢ়তার সঙ্গে ঘোষণা করছি যে, এমনকি ক্ষুদ্র ইরানি স্বার্থের বিরুদ্ধে যেকোনো পদক্ষেপ গ্রহণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর, বিস্তৃত ও বেদনাদায়ক জবাব দেয়া হবে।
এদিকে হামলার বিষয়ে চীন বলেছে, তারা বিশ্বাস করে, ইরান তার সার্বভৌমত্ব ও মর্যাদা রক্ষা করে পরিস্থিতি ভালোভাবেই সামাল দিতে সক্ষম। মধ্যপ্রাচ্যে আরও উত্তেজনা এড়াতেও তারা সক্ষম।
সিরিয়ার দামেস্কের ইরানি কনস্যুলেটে ইসরায়েলি হামলার জেরে গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে ইরানের বদলার প্রেক্ষাপটে এসব কথা বলেছে চীন।
চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই সোমবার ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। এই ফোনালাপে ইরানের অবস্থান সম্পর্কে ওয়াংকে ব্রিফ করেন আবদুল্লাহিয়ান।
মঙ্গলবার চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়ার খবরে বলা হয়, ওয়াং বলেছেন, আঞ্চলিক ও প্রতিবেশী দেশগুলোকে লক্ষ্যবস্তু না করার বিষয়ে ইরানের জোরালো অবস্থানের প্রশংসা করে চীন।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে নেয়া পদক্ষেপকে সীমিত বলে ওয়াংয়ের কাছে তুলে ধরেছে ইরান। একই সঙ্গে বলেছে, এটি তারা আত্মরক্ষার জন্য করেছে।
ওয়াং বলেছেন, ইরানের দূতাবাসে (কনস্যুলেট) হামলার তীব্র নিন্দা জানায় চীন। তারা দৃঢ়ভাবে এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরোধিতা করে। তারা এ ঘটনাকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ মনে করে।
ওয়াংকে আবদুল্লাহিয়ান বলেছেন, ইরান আঞ্চলিক উত্তেজনা সম্পর্কে অবগত। তেহরান সংযম চর্চায় আগ্রহী। আরও উত্তেজনা বাড়ানোর কোনো ইচ্ছাই ইরানের নেই।
ইরানের হামলার জবাব দেয়ার ব্যাপারে চাপে আছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এখন পর্যন্ত তার যুদ্ধ মন্ত্রিসভা তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে কোনো ধরনের ইঙ্গিত দেয়নি। যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্র দেশগুলো চাইছে, এক্ষেত্রে ইসরায়েল সংযম প্রদর্শন করুক। নতুবা পুরো মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার মারাত্মক ঝুঁকি রয়েছে।
চিরশত্রুর হামলার শিকার হওয়ার পরও বিষয়টি নিয়ে খুব বেশি কথা বলছেন না নেতানিয়াহু। যেটা তার স্বভাব বিরুদ্ধ। তিনি এখন পর্যন্ত ইরানের হামলার বিরুদ্ধে তার দেশ কী ধরনের প্রতিক্রিয়া দেখাতে চলেছে সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
ইরানের ওই হামলার পর ইসরায়েলের পাশে ‘দৃঢ়ভাবে’ অবস্থানের কথা জানিয়েছে দেশটির সবচেয়ে প্রভাবশালী মিত্র যুক্তরাষ্ট্র। তবে সঙ্গে এও বলেছে যে, তারা ইরানের বিরুদ্ধে কোনো ‘প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপে অংশ নেবে না’ এবং তারা এ ধরনের পদক্ষেপের সমর্থনও করে না।
যুক্তরাজ্য এবং ফ্রান্সসহ ইসরায়েলের অন্যান্য মিত্র দেশগুলোও একই সুরে কথা বলেছে। এদিকে, দেশের ভেতর বেশ কয়েকজন রাজনীতিক নেতানিয়াহুর প্রতি ইরানের হামলার কঠোর জবাব দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
গত শনিবার রাতেই জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী আইটামার বেন জভির কঠোর পাল্টা জবাবের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্স এ এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘এখন পর্যন্ত প্রশংসনীয় প্রতিরক্ষা এখন অবশ্যই একটি গুঁড়িয়ে ফেলার মতো পাল্টা জবাব চাই।’
‘তাড়াহুড়ার প্রয়োজন নেই’
গত শনিবার রাতের ওই হামলার পর সোমবার পর্যন্ত নেতানিয়াহু তার যুদ্ধ মন্ত্রিসভার সঙ্গে দুইবার বৈঠক করেছেন। ফোনে কথা বলেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে।
কিন্তু রোববারের পর তিনি এ বিষয়টি নিয়ে জনসম্মুখে আর কোনো কথা বলেননি। শুধু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে একটি ছোট পোস্টে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর প্রশংসা করেছেন।
নেতানিয়াহু কিছু না বললেও ইসরায়েলের সেনাপ্রধান হারজি হালেভি সোমবার সেনাবাহিনীকে উদ্দেশ করে বলেছেন, ইরানের হামলার ‘জবাব দেয়া হবে’। তবে তিনি কখন বা জবাব কেমন হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইরান বিষয়ক গবেষক রাজ জিমত বলেন, ‘নজিরবিহীন এই হামলার কারণে এটির জবাব দেয়া নিয়ে গত ৪৮ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে ইসরায়েলি সরকার প্রচ- চাপে রয়েছে।’
এমন কী যদি তারা একটি পূর্ণ মাত্রার যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে নাও চায় তারপরও ওই হামলার একটি নির্দিষ্ট এবং তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানানোর চাপ তারা এড়িয়ে যেতে পারবে কিনা সে বিষয়ে আমি নিশ্চিত নই। এইক্ষেত্রে যদি আমার মতামত নেয়া হয় তবে আমি দায় স্বীকার না করে ইরানে ইসরায়েলের কিছু কর্মকা- দেখা পছন্দ করবো।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স এবং এমনকি আঞ্চলিক মিত্র জর্ডান ইসরায়েলকে ইরানের হামলা প্রতিহত করতে সাহায্য করেছে। যদি তারা সাহায্য না করতো তবে অত্যাধুনিক আকাশ সুরক্ষা ব্যবস্থা ‘আয়রন ডোম’ নিয়েও এতটা সফলভাবে ইসরায়েল নিজেদের প্রতিরক্ষা করতে সক্ষম হতো না।
ইসরায়েলকে প্রতিরক্ষায় সহায়তা করা ওইসব পশ্চিমা দেশও তেল আবিবকে উত্তেজনা না বাড়াতে সতর্ক করেছে।
এমনকি ইরানও বলেছে, তারা এই হামলার পর বিবাদের ‘অবসান’ হয়েছে বলে ধরে নিয়েছে। যদি না ইসরায়েল ‘আরেকটি ভুল না করে’।
যদি ইসরায়েল পাল্টা হামলা করে তবে আরও ‘গুরুতর জবাব’ দেয়া হবে বলেও সতর্ক করেছে তেহরান।
গাজা যুদ্ধের কারণে এমনিতেই আন্তর্জাতিকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে শুরু করেছে ইসরায়েল। এ অবস্থায় পশ্চিমা মিত্রদের সতর্কবার্তা উপেক্ষা করে ইসরায়েল ইরানে হামলা চালায় কিনা সেটাই এখন দেখার বিষয়।