ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে তিনটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সময় বুধবার এই হামলা চালানো হয়। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা মিত্রদের কাছ থেকে আরো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে, এর মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে।
ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা কিছু ছবিতে দেখা যায়, হামলায় ঘটনাস্থলে রক্ত ছড়িয়ে রয়েছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধান করছে এবং আহতদের স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছে।
চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেছেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ হওয়ার পরে সুরক্ষার জন্য তার সন্তানদের সঙ্গে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডরে ঢুকেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীরা আগে থেকেই সেখানে ছিল।
আমরা সবাই মেঝেতে পড়ে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে লাগলাম। তখন আরো দুটি বিস্ফোরণ হয়। তারপরে আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।’ দিনের বেলায় সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে পৌঁছেছে কিন্তু যখন জরুরি পরিষেবাগুলো বলেছে ৬০ জন।
মেয়র ওলেকজান্ডার লোমাকো বলেছেন, হামলায় বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেছেন, বেশ কয়েকটি যানবাহন এবং চিকিৎসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলার কারণে একটি আটতলা হোটেল ভবন ধসে পড়ে। উদ্ধারকর্মীরা একটি ক্রেন ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করছিলেন বলে ঘটনাস্থলে অবস্থানরত এএফপি সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া আশপাশের অ্যাপার্টমেন্ট, একটি বিউটি সেলুন এবং দোকানের জানালা হামলায় উড়ে যায়।
চেরনিহিভের ভারপ্রাপ্ত মেয়র অলেকজান্ডার লোমাকো বলেন, স্থানীয় সময় সকাল ৯টার পর শহরের একটি ব্যস্ততম অংশে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। হামলার পর লোকজন বাস থেকে নেমে নিরাপদ স্থানে যেতে ছুটতে থাকে। আহতদের চিকিৎসায় জরুরি পরিষেবা এবং চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এদিকে হামলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং যদি রাশিয়ার সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করতে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো দৃঢ় পদক্ষেপ নিত তাহলে এ হামলার ঘটনা ঘটত না।
বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪
ইউক্রেনের ঐতিহাসিক শহর চেরনিগিভে তিনটি রুশ ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে ১৭ জন নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সময় বুধবার এই হামলা চালানো হয়। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা মিত্রদের কাছ থেকে আরো বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে, এর মধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে।
ইউক্রেন কর্তৃপক্ষের প্রকাশ করা কিছু ছবিতে দেখা যায়, হামলায় ঘটনাস্থলে রক্ত ছড়িয়ে রয়েছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেঁচে থাকা ব্যক্তিদের সন্ধান করছে এবং আহতদের স্ট্রেচারে করে নিয়ে যাচ্ছে।
চেরনিগিভের বাসিন্দা ওলগা সামোইলেঙ্কো এএফপিকে বলেছেন, প্রথম ক্ষেপণাস্ত্র বিস্ফোরণ হওয়ার পরে সুরক্ষার জন্য তার সন্তানদের সঙ্গে তাদের অ্যাপার্টমেন্ট বিল্ডিংয়ের করিডরে ঢুকেছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেশীরা আগে থেকেই সেখানে ছিল।
আমরা সবাই মেঝেতে পড়ে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে লাগলাম। তখন আরো দুটি বিস্ফোরণ হয়। তারপরে আমরা পার্কিং লটে ছুটে যাই।’ দিনের বেলায় সরকারিভাবে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭ জনে পৌঁছেছে কিন্তু যখন জরুরি পরিষেবাগুলো বলেছে ৬০ জন।
মেয়র ওলেকজান্ডার লোমাকো বলেছেন, হামলায় বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা বলেছেন, বেশ কয়েকটি যানবাহন এবং চিকিৎসা ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
হামলার কারণে একটি আটতলা হোটেল ভবন ধসে পড়ে। উদ্ধারকর্মীরা একটি ক্রেন ব্যবহার করে ধ্বংসাবশেষ পরিষ্কার করছিলেন বলে ঘটনাস্থলে অবস্থানরত এএফপি সাংবাদিকরা জানিয়েছেন। এ ছাড়া আশপাশের অ্যাপার্টমেন্ট, একটি বিউটি সেলুন এবং দোকানের জানালা হামলায় উড়ে যায়।
চেরনিহিভের ভারপ্রাপ্ত মেয়র অলেকজান্ডার লোমাকো বলেন, স্থানীয় সময় সকাল ৯টার পর শহরের একটি ব্যস্ততম অংশে তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে। হামলার পর লোকজন বাস থেকে নেমে নিরাপদ স্থানে যেতে ছুটতে থাকে। আহতদের চিকিৎসায় জরুরি পরিষেবা এবং চিকিৎসকরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এদিকে হামলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
তিনি বলেন, ইউক্রেন যদি পর্যাপ্ত বিমান প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম পেত এবং যদি রাশিয়ার সন্ত্রাসী কার্যক্রম প্রতিহত করতে বিশ্বের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো দৃঢ় পদক্ষেপ নিত তাহলে এ হামলার ঘটনা ঘটত না।