ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে ভারতের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দেয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, যোগাযোগের সুবিধার্থে ইরানের কৌশলগত বন্দর প্রকল্পে কাজ করবে ভারতীয় কোম্পানি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও অতীতে এই বন্দরের বৃহৎ সুবিধার বিষয়ে প্রশংসাও করেছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারির বিষয়ে এমন মন্তব্য করেছেন এস জয়শঙ্কর। ইরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে বিবেচনা করছে, এমন যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
পাকিস্তান লাগোয়া ইরানের সীমান্তের কাছের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য তেহরান-নয়াদিল্লির মাঝে ২০১৬ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। সোমবার এই বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ইরানের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। তেহরানের সাথে নয়াদিল্লির এই চুক্তিকে ভালোভাবে নেয়নি ওয়াশিংটন। ভারতের সাথে উষ্ণ সম্পর্ক থাকলেও ইরানের সাথে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে সম্প্রতি আরও অবনতি ঘটেছে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধরত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রতি তেহরানের সমর্থন ঘিরে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারির বিষয়ে কথা বলেছেন এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বোঝাতে হবে যে এই প্রকল্প আসলে সবার উপকারে আসবে।’’
ভারতের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনি যদি অতীতের দিকে নজর রাখেন, তাহলে চাবাহার সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মনোভাব কেমন ছিল তা জানতে পারবেন। এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই এই সত্য স্বীকার করেছে যে বৃহৎ পরিসরে চাবাহার বন্দরের প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে।’’ আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির সময় অনিচ্ছাসত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এই বন্দর প্রকল্পটিকে মেনে নিয়েছিল। কারণ ২০২১ সালে কাবুলে ক্ষমতাসীন সরকারের পতনে সমর্থন জানানোয় নয়াদিল্লিকে মূল্যবান অংশীদার হিসাবে দেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইরানের চাবাহার বন্দর প্রকল্পে কাজ করা ভারতীয় কোম্পানিগুলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেগুলোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, ‘যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান— যারাই ইরানের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে; তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মাঝে নিজেদেরই উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।’’
বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
ইরানের চাবাহার বন্দরের উন্নয়নে ভারতের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারিকে পাত্তা না দেয়ার কথা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেছেন, যোগাযোগের সুবিধার্থে ইরানের কৌশলগত বন্দর প্রকল্পে কাজ করবে ভারতীয় কোম্পানি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রও অতীতে এই বন্দরের বৃহৎ সুবিধার বিষয়ে প্রশংসাও করেছিল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারির বিষয়ে এমন মন্তব্য করেছেন এস জয়শঙ্কর। ইরানের চাবাহার বন্দর পরিচালনার জন্য ভারত ১০ বছরের চুক্তিতে স্বাক্ষরের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মঙ্গলবার নয়াদিল্লির বিরুদ্ধে সম্ভাব্য নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন বলছে, ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে বিবেচনা করছে, এমন যেকোনো দেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।
পাকিস্তান লাগোয়া ইরানের সীমান্তের কাছের কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ চাবাহার বন্দরের উন্নয়নের জন্য তেহরান-নয়াদিল্লির মাঝে ২০১৬ সালে একটি প্রাথমিক চুক্তি হয়। সোমবার এই বন্দরের উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য ইরানের সাথে দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ভারত। তেহরানের সাথে নয়াদিল্লির এই চুক্তিকে ভালোভাবে নেয়নি ওয়াশিংটন। ভারতের সাথে উষ্ণ সম্পর্ক থাকলেও ইরানের সাথে দীর্ঘদিনের বৈরী সম্পর্ক রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের। ইরান-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কে সম্প্রতি আরও অবনতি ঘটেছে ইসরায়েলের সাথে যুদ্ধরত ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের প্রতি তেহরানের সমর্থন ঘিরে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যার দিকে কলকাতায় এক অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার হুঁশিয়ারির বিষয়ে কথা বলেছেন এস জয়শঙ্কর। তিনি বলেন, ‘‘প্রত্যেকের সঙ্গে যোগাযোগ করে বোঝাতে হবে যে এই প্রকল্প আসলে সবার উপকারে আসবে।’’
ভারতের এই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘‘আপনি যদি অতীতের দিকে নজর রাখেন, তাহলে চাবাহার সম্পর্কে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব মনোভাব কেমন ছিল তা জানতে পারবেন। এক সময় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রই এই সত্য স্বীকার করেছে যে বৃহৎ পরিসরে চাবাহার বন্দরের প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে।’’ আফগানিস্তানে মার্কিন সামরিক বাহিনীর উপস্থিতির সময় অনিচ্ছাসত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্র এই বন্দর প্রকল্পটিকে মেনে নিয়েছিল। কারণ ২০২১ সালে কাবুলে ক্ষমতাসীন সরকারের পতনে সমর্থন জানানোয় নয়াদিল্লিকে মূল্যবান অংশীদার হিসাবে দেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র।
তবে মঙ্গলবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ইরানের চাবাহার বন্দর প্রকল্পে কাজ করা ভারতীয় কোম্পানিগুলো মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে রয়েছে বলে সতর্ক করে দিয়েছে। পররাষ্ট্র দপ্তরের উপ-মুখপাত্র বেদান্ত প্যাটেল বলেন, ইরানের ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এখনও বহাল রয়েছে এবং ওয়াশিংটন সেগুলোর প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে। তিনি বলেন, ‘যেকোনও ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান— যারাই ইরানের সাথে বাণিজ্যিক কার্যক্রমের বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করছে; তাদের সম্ভাব্য ঝুঁকি সম্পর্কে জানতে হবে যে, তারা নিষেধাজ্ঞার সম্ভাব্য ঝুঁকির মাঝে নিজেদেরই উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।’’