রাখাইন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে হাজারো নির্যাতিত সংখ্যালঘুকে বাস্তুচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। রোহিঙ্গা অধিকারকর্মীরা সেখানে সক্রিয় জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে রাখাইনে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত নভেম্বরে মায়ানমারের জান্তার সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ শুরুর পর থেকেই রাখাইন রাজ্য উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মি বলছে, তারা স্থানীয় রাখাইনদের আরও স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়ে যাচ্ছে। মায়ানমারের ওই রাজ্যে প্রায় ছয় লাখ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমের বসবাস। ২০১৭ সালে জান্তার অভিযানের মুখে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে লাখো রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে জাতিগত হত্যার মামলা চলছে।
একটি যৌথ বিবৃতিতে বিদেশ থেকে সক্রিয় রোহিঙ্গাদের কয়েকটি অধিকার সংগঠন অভিযোগ করেছে, রাখাইন রাজ্যের বুথিডাং শহর থেকে গত সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের উদ্বাস্তু হতে বাধ্য করেছে আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। শহরটির বাড়িঘরে লুটপাট চালানো হয়েছে। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
শুধু তা–ই নয়, বুথিডাং শহর থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে নিয়ে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নেয়া হয়েছে বলেও ওই বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, আরাকান আর্মির যোদ্ধারা রোহিঙ্গাদের জোর করে উদ্বাস্তু করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
গত সপ্তাহে রাখাইনের বুথিডাং শহরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার কথা জানিয়েছে আরাকান আর্মি। তাদের মতে, এটা মায়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে সংগঠনের বিজয়ের সর্বশেষ নজির। আরাকান আর্মি জানিয়েছে, বাসিন্দাদের শহর ছাড়তে সতর্ক করা হয়েছিল। তাদের আরাকান আর্মি অধ্যুষিত নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে সহায়তাও করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
মায়ানমারের জান্তা বাহিনী বুথিডাংয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে অভিযোগ আরাকান আর্মির। তারা বলছে, আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শহরটিতে জাতিগত ও ধর্মীয় সহিংসতা চালিয়েছে জান্তা সেনারা। বুথিডাং এলাকাজুড়ে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ নিয়ে জান্তার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, রাখাইনের সাম্প্রতিক সংঘর্ষে কয়েকশ’ মানুষ নিহত হয়েছে। উদ্বাস্তু হয়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষ। ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। তাই সেখান থেকে তথ্য পাওয়া এখন বেশ কঠিন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার জানায়, মায়ানমারের বুথিডাং শহরটি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা শহর ছেড়ে পালিয়েছেন। এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানও শহরটির পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, রাখাইনে সাম্প্রতিক সহিংসতা-সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও নতুন করে প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি করেছে। স্থানীয় বেসামরিক মানুষজনকে সুরক্ষা দেয়া ও সেখানে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে মায়ানমারের জান্তা ও সব সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪
রাখাইন রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে হাজারো নির্যাতিত সংখ্যালঘুকে বাস্তুচ্যুত করার অভিযোগ উঠেছে। রোহিঙ্গা অধিকারকর্মীরা সেখানে সক্রিয় জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান আর্মির বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে রাখাইনে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
গত নভেম্বরে মায়ানমারের জান্তার সঙ্গে আরাকান আর্মির সংঘর্ষ শুরুর পর থেকেই রাখাইন রাজ্য উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মি বলছে, তারা স্থানীয় রাখাইনদের আরও স্বায়ত্তশাসনের জন্য লড়ে যাচ্ছে। মায়ানমারের ওই রাজ্যে প্রায় ছয় লাখ সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলিমের বসবাস। ২০১৭ সালে জান্তার অভিযানের মুখে রাখাইন রাজ্য ছেড়ে লাখো রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। রোহিঙ্গা নির্যাতনের ঘটনা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে জাতিগত হত্যার মামলা চলছে।
একটি যৌথ বিবৃতিতে বিদেশ থেকে সক্রিয় রোহিঙ্গাদের কয়েকটি অধিকার সংগঠন অভিযোগ করেছে, রাখাইন রাজ্যের বুথিডাং শহর থেকে গত সপ্তাহে রোহিঙ্গাদের উদ্বাস্তু হতে বাধ্য করেছে আরাকান আর্মির যোদ্ধারা। শহরটির বাড়িঘরে লুটপাট চালানো হয়েছে। পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
শুধু তা–ই নয়, বুথিডাং শহর থেকে রোহিঙ্গাদের তাড়িয়ে নিয়ে আরাকান আর্মি নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নেয়া হয়েছে বলেও ওই বিবৃতিতে উল্লেখ রয়েছে। অভিযোগ করা হয়েছে, আরাকান আর্মির যোদ্ধারা রোহিঙ্গাদের জোর করে উদ্বাস্তু করেছে। মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে।
গত সপ্তাহে রাখাইনের বুথিডাং শহরটি নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয়ার কথা জানিয়েছে আরাকান আর্মি। তাদের মতে, এটা মায়ানমারের জান্তার বিরুদ্ধে সংগঠনের বিজয়ের সর্বশেষ নজির। আরাকান আর্মি জানিয়েছে, বাসিন্দাদের শহর ছাড়তে সতর্ক করা হয়েছিল। তাদের আরাকান আর্মি অধ্যুষিত নিরাপদ জায়গায় সরে যেতে সহায়তাও করা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
মায়ানমারের জান্তা বাহিনী বুথিডাংয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে বলে অভিযোগ আরাকান আর্মির। তারা বলছে, আরাকান আর্মির সঙ্গে লড়াই করতে গিয়ে শহরটিতে জাতিগত ও ধর্মীয় সহিংসতা চালিয়েছে জান্তা সেনারা। বুথিডাং এলাকাজুড়ে সাম্প্রতিক সংঘর্ষ নিয়ে জান্তার পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে আরাকান আর্মির সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল এএফপি। সাড়া পাওয়া যায়নি।
এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, রাখাইনের সাম্প্রতিক সংঘর্ষে কয়েকশ’ মানুষ নিহত হয়েছে। উদ্বাস্তু হয়েছে প্রায় তিন লাখ মানুষ। ইন্টারনেট ও টেলিফোন পরিষেবা বন্ধ করা হয়েছে। তাই সেখান থেকে তথ্য পাওয়া এখন বেশ কঠিন।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় গত মঙ্গলবার জানায়, মায়ানমারের বুথিডাং শহরটি জ্বালিয়ে দেয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাসহ স্থানীয় বাসিন্দারা শহর ছেড়ে পালিয়েছেন। এর আগে জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধানও শহরটির পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার বলেন, রাখাইনে সাম্প্রতিক সহিংসতা-সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা আরও নতুন করে প্রাণহানির আশঙ্কা তৈরি করেছে। স্থানীয় বেসামরিক মানুষজনকে সুরক্ষা দেয়া ও সেখানে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে মায়ানমারের জান্তা ও সব সশস্ত্র গোষ্ঠীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।