ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে যে, তারা লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরের জলসীমায় চারটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। হুতির সামরিক বাহিনী এ ঘটনার দায়িত্ব স্বীকার করে এক বিবৃতি দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, এই হামলাগুলো আঞ্চলিক শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধের অংশ।
"আমরা এই হামলাগুলো পরিচালনা করেছি আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা বিভিন্ন বিদেশী নৌযানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে।"
শুক্রবার হুতিরা লোহিত সাগরে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজে হামলা চালায়। জাহাজটি লক্ষ্য করে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলে একটি সামুদ্রিক সংস্থা জানিয়েছে।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক টেলিভিশন বিবৃতিতে বলেন, তাদের বাহিনী লোহিত সাগরে ডেলোনিক্স নামের একটি তেলবাহী জাহাজ লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে আর সেটিতে ‘সরাসরি আঘাত হেনেছে’।
কিন্তু যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অর্গানাইজেশন (ইউকেএমটিও) এর আগে জানিয়েছিল, ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দর শহর থেকে ১৭২ মাইল উত্তরপশ্চিমে ডেলোনিক্স নামের জাহাজটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, কিন্তু সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং উত্তর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
হুতিরা লোহিত সাগরে ইয়োয়ানেস নামের আরেকটি জাহাজে এবং ভূমধ্যসাগরে তেলবাহী জাহাজ ওয়েলার এবং কন্টেইনারবাহী ইয়োহানেস মেয়ার্স্কে হামলা চালিয়েছে বলে সারি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “মেয়ার্স্কে হামলা চালানো হয়েছে কারণ এটি জায়নবাদী সত্তার পক্ষে সবচেয়ে বেশি সমর্থন যোগানো কোম্পানিরগুলোর মধ্যে একটির মালিকানাধীন আর অধিকৃত ফিলিস্তিনের বন্দরগুলোতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে বড় লঙ্ঘনকারী।”
ডেনমার্কের পতাকাবাহী মেয়ার্স্ক বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কন্টেইনার ক্যারিয়ার কোম্পানি মেয়ার্স্কবির মালিকানাধীন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মধ্যপ্রাচ্যের অঞ্চলিক শক্তি ইরানের সমর্থন পেয়ে আসা হুতিরা জানিয়েছে, তারা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে ইসরায়েলে মালিকানাধীন বা দেশটির সঙ্গে সম্পর্কিত অথবা দেশটিকে সমর্থন দেওয়া পশ্চিমা দেশগুলোর জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও সংলগ্ন জলপথে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হুতিরা হামলা শুরু করার পর থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক জাহাজই সুয়েজ খাল-লোহিত সাগর জলপথ এড়িয়ে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে, এতে সময় ও খরচ উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই হামলার ফলে লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরের বাণিজ্যিক নৌ চলাচল মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হতে পারে, কারণ এই অঞ্চলগুলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, আন্তর্জাতিক মহল থেকে তীব্র নিন্দার প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও হামলার আশঙ্কা থাকায় এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সামনের দিনগুলোতে এই ঘটনার ফলে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কেমন হতে পারে তা এখন দেখার বিষয়।
শনিবার, ২৯ জুন ২০২৪
ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীরা দাবি করেছে যে, তারা লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরের জলসীমায় চারটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে। হুতির সামরিক বাহিনী এ ঘটনার দায়িত্ব স্বীকার করে এক বিবৃতি দিয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, এই হামলাগুলো আঞ্চলিক শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে তাদের প্রতিরোধের অংশ।
"আমরা এই হামলাগুলো পরিচালনা করেছি আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা বিভিন্ন বিদেশী নৌযানের প্রতিক্রিয়া হিসেবে।"
শুক্রবার হুতিরা লোহিত সাগরে লাইবেরিয়ার পতাকাবাহী একটি জাহাজে হামলা চালায়। জাহাজটি লক্ষ্য করে পাঁচটি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছিল বলে একটি সামুদ্রিক সংস্থা জানিয়েছে।
হুতিদের সামরিক মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি এক টেলিভিশন বিবৃতিতে বলেন, তাদের বাহিনী লোহিত সাগরে ডেলোনিক্স নামের একটি তেলবাহী জাহাজ লক্ষ্য করে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে আর সেটিতে ‘সরাসরি আঘাত হেনেছে’।
কিন্তু যুক্তরাজ্যের মেরিটাইম ট্রেড অর্গানাইজেশন (ইউকেএমটিও) এর আগে জানিয়েছিল, ইয়েমেনের হোদেইদাহ বন্দর শহর থেকে ১৭২ মাইল উত্তরপশ্চিমে ডেলোনিক্স নামের জাহাজটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল, কিন্তু সেটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি এবং উত্তর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
হুতিরা লোহিত সাগরে ইয়োয়ানেস নামের আরেকটি জাহাজে এবং ভূমধ্যসাগরে তেলবাহী জাহাজ ওয়েলার এবং কন্টেইনারবাহী ইয়োহানেস মেয়ার্স্কে হামলা চালিয়েছে বলে সারি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “মেয়ার্স্কে হামলা চালানো হয়েছে কারণ এটি জায়নবাদী সত্তার পক্ষে সবচেয়ে বেশি সমর্থন যোগানো কোম্পানিরগুলোর মধ্যে একটির মালিকানাধীন আর অধিকৃত ফিলিস্তিনের বন্দরগুলোতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার সবচেয়ে বড় লঙ্ঘনকারী।”
ডেনমার্কের পতাকাবাহী মেয়ার্স্ক বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কন্টেইনার ক্যারিয়ার কোম্পানি মেয়ার্স্কবির মালিকানাধীন বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
মধ্যপ্রাচ্যের অঞ্চলিক শক্তি ইরানের সমর্থন পেয়ে আসা হুতিরা জানিয়েছে, তারা ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের মধ্যে যুদ্ধে ফিলিস্তিনিদের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে ইসরায়েলে মালিকানাধীন বা দেশটির সঙ্গে সম্পর্কিত অথবা দেশটিকে সমর্থন দেওয়া পশ্চিমা দেশগুলোর জাহাজে হামলা চালাচ্ছে।
গত বছরের নভেম্বর থেকে লোহিত সাগর ও সংলগ্ন জলপথে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোতে হুতিরা হামলা শুরু করার পর থেকে আন্তর্জাতিক জাহাজ চলাচল বিঘ্নিত হচ্ছে। অনেক জাহাজই সুয়েজ খাল-লোহিত সাগর জলপথ এড়িয়ে আফ্রিকা মহাদেশ ঘুরে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে, এতে সময় ও খরচ উভয়ই বৃদ্ধি পাচ্ছে।
এই হামলার ফলে লোহিত সাগর ও ভূমধ্যসাগরের বাণিজ্যিক নৌ চলাচল মারাত্মকভাবে প্রভাবিত হতে পারে, কারণ এই অঞ্চলগুলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এদিকে, আন্তর্জাতিক মহল থেকে তীব্র নিন্দার প্রতিক্রিয়া পাওয়া গেছে।
এই ধরনের হামলা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। ভবিষ্যতে এ ধরনের আরও হামলার আশঙ্কা থাকায় এই অঞ্চলে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেতে পারে।
সামনের দিনগুলোতে এই ঘটনার ফলে আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক কেমন হতে পারে তা এখন দেখার বিষয়।