ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি হয়েছে। পেনসিলভানিয়ার বাটলারে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে এই ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বক্তৃতা করছিলেন, এমন সময় গুলি করা হয়।
ঘটনার পর ছড়িয়ে যাওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গুলির শব্দে তিনি বসে পড়েন।
পরে তাকে নিরাপত্তা কর্মীরা ঘিরে উদ্ধার করেন।
তার কানে রক্ত।
ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রথমে শোঁ শোঁ শব্দ পান। এরপর চামড়া চিড়ে গুলি বেরিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয় তার।
এই ঘটনায় ট্রাম্পের সমাবেশে আসা এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
পরে হামলাকারীও সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
হামলার নিন্দা করেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
তারা দুজনেই বলছেন, আমেরিকার মাটিতে এই হামলার স্থান নেই।
বিবিসিকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গুলি শুরু হওয়ার আগে তারা রাইফেল হাতে একজনকে পাশের ছাদে ক্রলিং করতে দেখেছেন।
হামলার পরপরই ট্রাম্পকে পাশে রাখা একটি গাড়িতে করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এসময় তিনি তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত তুলে ধরেন। তার মুখে কান থেকে গড়িয়ে আসা রক্ত দেখা যায়।
সমাবেশটি হচ্ছিল পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলার কাউন্টিতে। হামলার পরপরই সেটিকে ক্রাইম সিন ঘোষণা করা হয়।
হামলার খবরে তটস্থ আমেরিকান, বিশেষ করে, তার দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প ও তার পরিবারের জন্য প্রার্থনা জানাতে থাকেন।
সমাবেশ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই বিকট শব্দ শোনা যায় গুলির।
উপস্থিত জনতা তখন মাথা নিচু করার জন্য বলছে একে অপরকে।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন ট্রাম্পকে ঘিরে উদ্ধার করেন।
হামলাকারী কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পাশের একটি ছাদ থেকে।
এই ঘটনায় আরো দুজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন রিপাবলিকান নেতা রনি জ্যাকসনের ভাগ্নে। জ্যাকসন বিবিসিকে জানান তার ভাগ্নে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে গিয়েছিলেন ট্রাম্পের সমাবেশে। তারা ছিলেন মঞ্চের ডান দিকে। গুলির মধ্যে পড়ে যান।
তার ভাগ্নে রক্তাক্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরেকজনের মাথায় গুলি লেগেছে।
এরপরই সিক্রেট সার্ভিসের একজন মুখপাত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট নিরাপদে আছেন বলে আশ্বস্ত করেন এবং ঘটনার পরপরই এ নিয়ে তদন্তেও নামে তারা।
ট্রাম্পকে উদ্ধারের পাশাপাশি হামলাকারীকে ধরতেও তৎপর হয়ে ওঠে সেখানে নিয়োজিত সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী বিবিসিকে পরে নিশ্চিত করে যে হামলাকারীও নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষজন ট্রাম্পের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করেছেন।
তার মধ্যে ইলন মাস্কও রয়েছেন। তিনি লিখেছেন, রুজভেল্টের পর এমন দৃঢ়তা আর কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যে দেখিনি।
ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনার পর দেওয়া বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প যে ঠিক আছেন, এটি জেনে আমি কৃতজ্ঞ, সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের কাছে।
এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে গোটা জাতিকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কের স্টামারও। তিনি বলেন, আমরা হতবাক হয়ে গেছি এই হামলার দৃশ্যে।
তিনি বলেন, আমরা যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানাই এবং ট্রাম্প ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রার্থনা করি।
রোববার, ১৪ জুলাই ২০২৪
ডোনাল্ড ট্রাম্পের ওপর গুলি হয়েছে। পেনসিলভানিয়ার বাটলারে একটি রাজনৈতিক সমাবেশে এই ঘটনা ঘটেছে।
তিনি বক্তৃতা করছিলেন, এমন সময় গুলি করা হয়।
ঘটনার পর ছড়িয়ে যাওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, গুলির শব্দে তিনি বসে পড়েন।
পরে তাকে নিরাপত্তা কর্মীরা ঘিরে উদ্ধার করেন।
তার কানে রক্ত।
ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রথমে শোঁ শোঁ শব্দ পান। এরপর চামড়া চিড়ে গুলি বেরিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হয় তার।
এই ঘটনায় ট্রাম্পের সমাবেশে আসা এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।
পরে হামলাকারীও সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
হামলার নিন্দা করেছেন, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস।
তারা দুজনেই বলছেন, আমেরিকার মাটিতে এই হামলার স্থান নেই।
বিবিসিকে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গুলি শুরু হওয়ার আগে তারা রাইফেল হাতে একজনকে পাশের ছাদে ক্রলিং করতে দেখেছেন।
হামলার পরপরই ট্রাম্পকে পাশে রাখা একটি গাড়িতে করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।
এসময় তিনি তার অনুসারীদের উদ্দেশ্যে মুষ্ঠিবদ্ধ হাত তুলে ধরেন। তার মুখে কান থেকে গড়িয়ে আসা রক্ত দেখা যায়।
সমাবেশটি হচ্ছিল পেনসিলভ্যানিয়ার বাটলার কাউন্টিতে। হামলার পরপরই সেটিকে ক্রাইম সিন ঘোষণা করা হয়।
হামলার খবরে তটস্থ আমেরিকান, বিশেষ করে, তার দলের নেতাকর্মী ও সমর্থকরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রাম্প ও তার পরিবারের জন্য প্রার্থনা জানাতে থাকেন।
সমাবেশ শুরুর পাঁচ মিনিটের মধ্যেই বিকট শব্দ শোনা যায় গুলির।
উপস্থিত জনতা তখন মাথা নিচু করার জন্য বলছে একে অপরকে।
কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে সিক্রেট সার্ভিসের লোকজন ট্রাম্পকে ঘিরে উদ্ধার করেন।
হামলাকারী কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে পাশের একটি ছাদ থেকে।
এই ঘটনায় আরো দুজন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে একজন রিপাবলিকান নেতা রনি জ্যাকসনের ভাগ্নে। জ্যাকসন বিবিসিকে জানান তার ভাগ্নে পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে গিয়েছিলেন ট্রাম্পের সমাবেশে। তারা ছিলেন মঞ্চের ডান দিকে। গুলির মধ্যে পড়ে যান।
তার ভাগ্নে রক্তাক্ত হয়েছেন এবং চিকিৎসা নিচ্ছেন।
আরেকজনের মাথায় গুলি লেগেছে।
এরপরই সিক্রেট সার্ভিসের একজন মুখপাত্র সাবেক প্রেসিডেন্ট নিরাপদে আছেন বলে আশ্বস্ত করেন এবং ঘটনার পরপরই এ নিয়ে তদন্তেও নামে তারা।
ট্রাম্পকে উদ্ধারের পাশাপাশি হামলাকারীকে ধরতেও তৎপর হয়ে ওঠে সেখানে নিয়োজিত সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যরা। আইন শৃঙ্খলাবাহিনী বিবিসিকে পরে নিশ্চিত করে যে হামলাকারীও নিহত হয়েছেন।
এই ঘটনার পর রাজনৈতিক অঙ্গনের বাইরেও বিভিন্ন ক্ষেত্রে মানুষজন ট্রাম্পের প্রতি সংহতি জ্ঞাপন করেছেন।
তার মধ্যে ইলন মাস্কও রয়েছেন। তিনি লিখেছেন, রুজভেল্টের পর এমন দৃঢ়তা আর কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থীর মধ্যে দেখিনি।
ট্রাম্পের ওপর হামলার ঘটনার পর দেওয়া বিবৃতিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, ট্রাম্প যে ঠিক আছেন, এটি জেনে আমি কৃতজ্ঞ, সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের কাছে।
এই ধরনের ঘটনার বিরুদ্ধে গোটা জাতিকে অবশ্যই ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এই ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কের স্টামারও। তিনি বলেন, আমরা হতবাক হয়ে গেছি এই হামলার দৃশ্যে।
তিনি বলেন, আমরা যে কোনো ধরনের রাজনৈতিক সহিংসতার নিন্দা জানাই এবং ট্রাম্প ও তার পরিবারের সদস্যদের জন্য প্রার্থনা করি।